Translate

Sunday, July 28, 2013

নিয়ম মেনে হাত ধোয়া - রোগকে না বলুন

নিয়ম মেনে হাত ধোয়া -  রোগকে না বলুন

   স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল


এক কথায় বলা যায়, অপরিচ্ছন্নতা সকল রোগের প্রাথমিক কারন।
ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড থেকে শুরু করে সাধারণ ফ্লু, ভাইরাস জ্বর—এ রকম অনেক রোগবালাই ছড়ায় হাতের মাধ্যমে। হাতের ত্বকে লেগে থাকে জীবাণু। তাই স্বাস্থ্যকর উপায়ে হাত ধুয়ে আমরা এসব মারাত্মক রোগ থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পারি। বিশেষ করে, বাড়িতে শিশুদের সঠিক উপায়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য আপনার সহযোগিতা খুবই জরুরি।
কোন কোন সময় হাত ধোয়া অতি আবশ্যক
—খাদ্য প্রস্তুতির আগে এবং পরে
—খাদ্যগ্রহণের আগে
—শৌচাগার ব্যবহারের পর
—শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তন করার পর
—ময়লা-আবর্জনা ধরার পর, যেমন রান্নাঘরের ময়লার বালতি বা অপরিষ্কার জুতা
—পশুপাখি ধরার পর
—হাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দেওয়ার পর
—অসুস্থ ব্যক্তিকে সেবা করার আগে ও পরে
—চোখে কনটাক্ট লেন্স ব্যবহারের আগে
হাত ধোয়ার জন্য কলের পানি ও সাধারণ সাবান সবচেয়ে কার্যকর। দুটো বিষয় মনে রাখা দরকার। সব সময় বা ঘন ঘন জীবাণুনাশক পদার্থ, যেমন ডেটল, স্যাভলন, স্পিরিট ইত্যাদি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান যে সাধারণ সাবানের চেয়ে বেশি ভালো, তা-ও মনে করার কোনো কারণ নেই। বরং এ ধরনের সাবান বা জীবাণুনাশক ত্বকের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে নাশ করে আরও ক্ষতি ডেকে আনবে।
১: প্রথমে পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে নিয়ে সাবান লাগান।
২: দুই হাত জোরে জোরে ঘষুন। আঙুলগুলো পরস্পরের ভেতর ঢুকে থাকবে।
৩: ডান হাতের তালু অপর হাতের পিঠে ঘষুন, তারপর করুন উল্টোটা।
৪: দুই হাতের পিঠ পরস্পরের সঙ্গে ঘষুন।
৫: আঙুল অপর হাতের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে নিন। তারপর করুন উল্টোটা।
৬: কবজি অবধি পরিষ্কার করুন। আঙুলের নখের তলা পরিষ্কার করুন।
৭: শেষে পরিষ্কার তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে হাত মুছুন। সম্ভব হলে ওই টিস্যু দিয়েই কল বন্ধ করুন।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক, এনএইচএস  । প্রথম আলো ডেস্ক | তারিখ: ১৯-০৭-২০১৩

0 comments:

Post a Comment