Translate

Tuesday, July 23, 2013

আউটসোর্সিং কি ? কেন ? কিভাবে ?

আউটসোর্সিং কি ? কেন ? কিভাবে ?


ইদানিং বাংলাদেশে খুব বেশি মাতামাতি হচ্ছে আউটসোর্সিং নিয়ে। রাতারাতি বড়লোক হবার বাহারি ও রকমারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করার পায়তারায় মত্ত আছে একটি শ্রেনী। অনলাইনে আয় করার এইসব বাহারি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে প্রতারিতও হচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার এই ক্ষেত্রটিকে সদ্য সমালোচিত এমএলএম ব্যাবসার সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। বাস্তবে আসলে কি ?
আউটসোর্সিং শব্দটি আমাদের দেশে যে খুব বেশি পরিচিত তা নয়, তবে অসাধু ব্যাবসায়ী আর চটকদার বিজ্ঞাপনের কল্যাণে শব্দটি এখন মানুষের মনে নানা কৌতুহলের জন্ম দিচ্ছে, এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশীদের কাছে অতি পরিচিত শব্দ হিসাবে সমাদৃত হচ্ছে। আবার কারো কারো কাছে নিন্দিত হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হবার কথা ছিল না। এখন থেকে দশ বছর আগেও আমাদের দেশের মানুষ এই শব্দটির সাথে পরিচিত ছিল না। তখন যে আউটসোর্সিং এর কাজ হতনা তা নয়, কিন্তু এখনকার মত ছিল না। পরিবর্তনশীল এবং প্রতিযোগীতা মূলক বিশ্বায়নের এই সময়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার কারনে অর্থনৈতিক বৈশম্য এবং অব্যবস্থাপনার কারনে বেকার সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশও এই পরিস্থিতির স্বীকার। যার ফলে বেকার যুবকদের পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষ জীবনের প্রয়োজনে বিকল্প আয়ের পথ খুজছে। এই সুজোগে আউটসোর্সিং শব্দটি বাংলাদেশের মানুষের মাঝে দ্রুত প্রসার লাভ করছে, এবং হয়তো ভবিষ‌্যতে আরও করবে। কিন্তু আসলে কি এই ব্যবস্থার(আউটসোর্সিং) মাধ্যমে এইসকল সমস্যার সমাধান সম্ভব ? এর সঠিক উত্তর হল পুরোপুরি না হলেও অনেকাংশেই সম্ভব। তবে এর পেছনে অনেকগুলি কিন্তু জড়িত !! যেমন আমাদের দেশে এখন হর হামেশাই শোনা যায় একটি কথা, সহজ উপায়ে অনলাইনে আয়। আমার কথা হল, এত সহজে যদি অনলাইনে কাড়ি কাড়ি ডলার/টাকা কামানো যেত তাহলে পৃথিবী কোটি কোটি মানুষ স্রেফ টাকা উপার্যনের জন্য দিন রাত খাটা খাটুনি বন্ধ করে একখানা কম্পিউটার আর অনলাই কানেকশন নিয় যার যার ঘরে বসে যেত, আর ডলার আয় করত। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একটু ভিন্ন। আসলে আপনার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আউটসোর্সং কেন অন্য যেকোন সেক্টরে আপনি সফল হতে পারেন। আউটসোর্সিংএর ভিন্নতাটুকু হল, এখানে কাজ করা এবং কাজ পাবার স্বাধীনতাটুকু আছে যা আপনি অন্য পেশায় পাবেন না। আর একটা পার্থক্য হল আপনার পরিশ্রমের সঠিক মূল্যায়ন এখানে পাবেন এবং তার জন্য উপযুক্ত সম্মানী পাবেন, অন্যান্য পেশায় যার জন্য প্রতিনিয়ত কর্তা ব্যাক্তিদের সাথে কর্মকর্তাদের মন কাষাকষি লেগেই থাকে, যা আউটসোর্সিং এ নেই। এক কথায় আউটসোর্সিং হল সঠিক কাজ করে সহজ উপায়ে আয় করার একটি কঠিন মাধ্যম। যেখানে সফল হতে হলে আপনাকে প্রথমেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে, এবং কাজ করার জন্য সঠিক প্লাটফর্মে আসতে হবে।
এবার জেনে নেই আউটসোর্সিং কি ? আউটসোর্সিং তথা ফ্রিল্যান্সিং শব্দের মূল অর্থ হল মুক্ত পেশা। অর্থাৎ মুক্তভাবে কাজ করে আয় করার পেশা। আর একটু সহজ ভাবে বললে, ইন্টারনেটের ব্যাবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে।
এখন এই কাজগুলি কি ? আউটসোর্সিং সাইট বা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম), লেখা ও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা (Customer Service), বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসাসেবা ইত্যাদি। এইসকল কাজগুলি ইন্টারনেট ব্যাবস্থার মাধ্যমে করে দিতে পারলেই অনলাইনে আয় করা সম্ভব। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের উন্নত ধরনের কাজ করারও ব্যাবস্থা আছে আউটসোর্সিং জগতে। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব‌্যাবসায়ী সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে নানা পদ্ধতির মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে আয় করার সহজ উপায়ের নামে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। বাস্তবে উপরে উল্লিখিত কাজগুলো অথবা এইরকম কারিগরি কাজে দক্ষতা থাকলেও কেবল আউটসোর্সিং জগতে ভাল আয় করা সম্ভব। কোনপ্রকার দক্ষতা ছাড়া এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে ভাল জানাশোনা না থাকলে ধোকা খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই। তাই আগে কাজ করার জন্য নিজেকে তৈরী করেন, তারপর এই পেশায় আসুন। ছোট্র করে বলে রাখি, আপনি যে কাজই জানেন, তা যদি মানুষের কাজে আসতে পারে বলে আপনার মনে হয়, মনে রাখবেন অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজটুকু করেই আপনি আয় করতে পারেন। শুধু দরকার সঠিক দিক নির্দেশনা, এবং যে কাজটুকু করবেন তা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা।
এবার আসব আউটসোর্সিং কেন করবেন ? কিভাবে করবেন ?
আমাদের দেশে তথা বিশ্বের সকল দেশেই আউটসোর্সিং জগতে কাজ করে এমন অনেক মানুষ রয়েছে। কিন্তু তাদের সবাই শতভাগ সফল হতে পারে না। মনে রাখবেন আউটসোর্সিং যেহেতু মুক্ত পেশা, সেখানে আপনার জবাবদিহিতার চেয়ে আপনার কাজের জবাবদিহিতা বেশি। আপনি এই জগতে আসবেন অবশ্যই উপার্যন করার জন্য, এবং আপনি যার কাছ থেকে এই উপার্জনটুকু নিবেন তাকে কোন না কোন সেবা প্রদান করেই এই উপার্যনটুকু করবেন। সুতরাং আপনার কাজ যদি সঠিক না হয়, আপনার কাজে যদি জবাবদিহিতা না থাকে, আপনি যদি কাজ করার ক্ষেত্রে মনযোগী না হন, আপনার কাজে যদি স্বচ্ছতা না থাকে তাহলে আপনি এই সেক্টরে সফল হতে পারবেন না। আউটসোর্সিং এ সবসময় আপনি নিজেকে দিয়ে মূল্যায়ন করবেন। অর্থাৎ আপনি নিজে যদি এই কাজটি (যে কাজটির জন্য আপনি মনোনিত হয়েছেন) অন্য কাউকে দিয়ে করাতেন তাহলে তার কাছ থেকে আপনি কি আশা করতেন, এবং অবশ্যই তার চেয়ে একটু বেশিই দেবার চেষ্টা করবেন। তাহলে যে আপনাকে দিয়ে কাজ করাবে সেও খুশি থাকবে আপনার কাজ পাবার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
কাজ পাবেন যেখানে:  আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা দেওয়া হলো— www.odesk.com, www.freelancer.com, www.elance.com, www.getacoder.com, www.guru.com, www.vworker.com, www.scriptlance.com ইত্যাদি। সবগুলো মোটামুটি একই রকম। অনেকে বলে থাকেন কোন কোন সাইটগুলো ফেইক তা কেন কেউ বলে না ? একটি যৌক্তিক প্রশ্ন, আসল কথা হল এই জগতে আসলের নকলের সংখ্যাই বেশি। তেমনি ফেইক সাইট এত বেশি যে, তা লিখে শেষ করা যাবে না। তাই যেগুলো পরিক্ষীত সেই সাইটগুলোর কথা লেখা হল। এর বাইরে না তাকানোই মঙ্গল।
পিটিসি সাইট কি : পিটিসি সাইটের ব্যাপারে অনেকে বলে থাকেন। আসল কথা হল পিটিসি সাইট মানেই ভুয়া সাইট। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ পিটিসি সাইট আছে যেগুলো ক্লিক করলেই ডলার আয়ের লোভনীয় অফার দিয়ে ইন্টারনেট জগতে প্রতারনা করে আসছে। আসল কথা হল কোন পিটিসি সাইটই টাকা দেয় না। সুতরাং অযথা সময় নষ্ট না করে সঠিক উপায় টাকা উপার্যন করুন।
আউটসোর্সিং এর নামে এমএলএম  : আউটসোর্সিং মানেই হল মুক্ত পেশা। আর এমএলএম হল দায়বদ্ধতার পেশা। আর একটা পার্থক্য হল, আউটসোর্সিং এর কাজ পেতে কাউকে টাকা দিতে হয় না, শুধু কাজের বিনিময়ে টাকা পাওয়া যায়, আর এমএলএম হল মানুষের কাছ থেকে টাকা এনে অন্যের পকেটে তা জমা রেখে মানুষের পেছনে পেছনে ঘুরা। সুতরাং এই দুই জগত কখনো এক হবে পারে না। ইদানিং বাংলাদেশে একাধিক কোম্পানী বেড়িয়েছে যারা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আউটসোর্সিং কে পণ্য হিসাবে ব্যাবহার করছে। বাস্তব কথা হল এরা প্রকৃত ধোকাবাজ, স্রেফ মানুষকে ধোকা দিয়ে টাকা কামানোর ধান্দায় এইসকল ব্যাবসায়ীরা মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। আসলে তারা আউটসোর্সিং করছে না। সুতরাং এদের কাছ থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকুন। আর একটি তথ‌্য দিয়ে রাখি, এই সকল কোম্পানী যারা করেছে, তারা অতীতে কোন না কোন এমএলএম কোম্পানীর সাথে জড়িত ছিল, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেখানে ভাল কিছু করতে পারছে না বিধায় এই নতুন ফন্দির পসরা নিয়ে বসেছে, তাই এদের সম্মিলিত ভাবে বয়কট করুন।
আউটসোর্সিং এর আরও কিছু কাজের ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত তথ্য নিচে দিলাম। চেষ্টা করে দেখতে পারেন :
অ্যামাজন ম্যাকানিকাল টার্ক
অতিরিক্ত আয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অ্যামাজনের মেকানিকাল টার্ক বেশ ভালো একটি উপায় হতে পারে। এখানে কাজ করে অবশ্য ঘন্টায় কয়েক ডলারের বেশি আয় করা সম্ভব নয়। তবে এখানে পর্যাপ্ত পরিমানে কাজ রয়েছে। এখানকার বেশির ভাগ কাজ গুলোই শেষ করতে এক মিনিটের চেয়ে কম সময় লাগে। আর এ জন্য আপনি পেতে পারেন কয়েক পেনি করে। এখানে কাজ করে বেশি অর্থ উপার্জন না করা গেলেও হাত খরচের টাকা অনায়াশেই তোলা সম্ভব।
নিজস্ব সংগ্রহের ছবি বিক্রি
অনলাইনে আপনি নিজের সংগ্রহের ছবি বিক্রি করতে পারেন। এ ধরণের আরো অনেক সাইট রয়েছে। তবে নিজের সংগ্রহ অনলাইনে দেয়ার আগে কোন ধরণের ছবির চাহিদা ভালো সেটা যাচাই করে নিন। ছবি নিয়ে যারা কাজ করতে ভালোবাসেন তাদের পক্ষেও অনেক সাইট কাজ করে থাকে। জনপ্রিয় অনেক ছবিই কম্পিউটারের সহযোগিতায় তৈরী করা হয়েছে। তাই দেরি না করে তিনটি সুন্দর ছবি নিয়ে  istockPhoto সাইট এ পরিদর্শনের জন্য পাঠাতে বসে যান। এতে সাইন আপ করলেই ছবি পাঠানোর সুযোগ পাবেন।
ফ্রিল্যান্স আর্টিকেল লেখক
এ ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা খুব বেশি না হলেও এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ২০০ থেকে ৩০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লিখেই আর্টিকেল ডিরেক্টরিতে পাঠিয়ে দিতে পারেন। ব্লগার, বিপননকারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ অনেকেই এর গুরুত্বপূর্ন গ্রাহক। আপনি বেশ কয়েকটি আর্টিকেল এক সঙ্গে লিখে প্যাকেজ হিসেবেও এক বা একাধিক গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতি শব্দ ভিত্তিক মূল্য ধরেও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী আর্টিকেল লেখা যেতে পারে। গ্রাহকের কাছ থেকে কোন নির্দেশ না পেলে এক্ষেত্রে সফলতার জন্য  Online Writing Jobs, PoeWar Freelance Jobs এবং  Writing.com. এর মতো ওয়েব সাইটগুলো ভিজিট করা যেতে পারে।
অডিও শুনে লেখা
কাজটি বেশ সহজ হলে এতে পারিশ্রমিকের পরিমান খুব বেশি নয়। তবে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে এটিও একটি উপায় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এ কাজ শুরু করতে  oDesk সাইনআপ করা যেতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির ফোরামে আপনার নিজের কাজের আগ্রহ সম্পর্কে জানাতে পারেন। এজন্য অবশ্য শোনার দক্ষতা এবং ইংরেজি ভাষাতে যথেষ্ট দক্ষতা থাকা একান্ত জরুরী।
ehow.com এ আর্টিকেল লিখে আয়
আপনার যদি keyword research এর মৌলিক বিষয়গুলো জানা থাকে তাহলে প্রতি মাসে  eHow তে আর্টিকেল লিখে আপনি বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমানে অর্থ আয় করতে পারেন। এতে আপনার তৈরী করা আর্টিকেল থেকে অর্জিত অর্থের এ্কটি অংশ আপনাকে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সংশ্লিস্ট বিষয়ে আপনি একদিনে একাধিক আর্টিকেলও লিখতে পারেন। এভাবে এক মাস চেষ্টা করুন। গুগলে খোজ করা হয এমন আর্টিকেল লিখতে পারলে আপনি মাসে বেশ ভালো আয় করতে সক্ষম হবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে একবার আপনার লেখা নির্ভাচিত হলে আপনি মাসের পর মাস সেটা থেকে অর্থ পেতে থাকবেন।
কোন পন্যের প্রচারের উপযোগি ভিডিও তৈরী
ছোট খাট ভিডিও তৈরী করার শখ অনেকেরই থাকে। অনেক গুরুত্বহীন ভিডিও অনলাইনে পন্য বিক্রির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। একটি নির্বাচন করে সেটার উপযোগি ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে ছেড়ে দিন। ভিডিওতে পন্যটির লিঙ্ক দিয়ে দিন। ভিডিওটি শেষে ৩০ সেকেন্ডের একটি স্টিল ফ্রেমে পন্য টি কেনার ঁৎষ দিয়ে দিন। আপনার ভিডিওটি তথ্যসমৃদ্ধ, ফানি এবং প্রয়োজনীয় প্রমানিত হলে আপনিও কিছু পন্য বিক্রি করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে পরামর্শ হলো প্রতিটি পন্য বিক্রির পর ভালো অর্থ পাওয়া যায় এমন পন্যই প্রচারণার জন্য বেছে নেয়া উচিত।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয়
নিজের তেরী কর ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অন্যে সাইটের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পে-পার-ক্লিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন পন বিক্রির ওয়েবসাইটের প্রচারণার মাধ্যমে আয় করা যায়। যখন একটি পন্য বিক্রি হবে তখন সে বিক্রির একটি অংশ আপনার একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এক্ষেতে মানুষের সমস্যা অনুধাবন করে তাদের কাজের সহায়ক পন্যগুলোকে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়ে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
স্থানীয় বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনের সুবিধা
ব্যবসায়ীদের সব সয়ই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকের নিজস্ব ওয়েবসাইট নেই। যাদের রয়েছে তারাও সেটা থেকে আশানুরুপ ফলাফল পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট তৈরীর জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে তাদের ব্যবসা প্রসারে সহায়তা করতে পারেন। আপনার সহযোগিতায় ব্যবসায়ীরা উপকৃত হলে আপনি এর সুফল পাবেন।
প্লাগইন তৈরী করুন
এখন বিভিন্ন ব্লগে প্লাগইন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ডপ্রেস শিখে এসব ব্লগারদের কাছে নতুন নতুন প্লাগইন পাঠানোর মাধ্যমেও আয় করা যেতে পারে। এর আয় একেবারে কম নয়। ব্লগারদের চাহিদা অনুযায় প্লাগইন সরবরাহ করার মাধ্যমে একে পূর্নকালীন পেশা হিসেবেও বেছে নেয়া যেতে পারে।
বিশেষ সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠুন
আমাদের দেশে পাইরেসি আইন তেমন কার্যকর নয় বলে আমরা ইচ্ছে মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারছি। তাই বলে বিশেষ প্রয়োজনীয় কোন সফটয়্যারের গুরুত্ব কমে যায়নি। এক্ষেত্রে প্রয়েজনীয় সফটওয়্যারে বিশেষ দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে অনেক সময়ই বিভিন্ন কোম্পানিকে বড় ধরণের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তাই সফটওয়্যারে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করে আপনার জানার বিষয়টি মানুষকে জানিয়ে দিন। প্রয়োজনে তারাই আপনাকে খুজে নেবে।
লোগো ডিজাইন করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিন
ডিজাইন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে বিভিন্ন কোম্পানির চাহিদা মাথায় রেখে লোগো তৈরী করে ওয়েবে দিতে পারেন। 99 designs এমনই একটি স্থান যেখানে আপনি নিজের তৈরী করা লোগো পাঠাতে পারেন। সেখানে অনেকেই বিভিন্ন ধরণের লোগো জমা দিয়ে রাখেন। তাই সেখানে জমা দেয়ার পরপরই আপনার লোগো অন্যের পছন্দ হবে এনটা ভাবার কোন কারণ নেই। অনেকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আপনার লোগোটি বিজয়ী হলে আপনি এর পুরষ্কার পাবেন। নবীন ডিজাইনারদের জন্য এটি বেশ ভালো একটি সুযোগ হতে পারে।
টুইটারের পটভূমি এবং ই-কভার তৈরী করুন
এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বেশ তীব্র। তবে আপনার যদি উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকে তাহলে অতিরিক্ত আয়ের এটি একটি ভালো উপায় হতে পারে। আপনি চিত্র শিল্পী হলে তো এক্ষেত্রে আপানার রয়েছে বাড়তি সুবিধা। প্রতিটি ডিজাইন তৈরীর সময়ই এর একটি কারণ মাথায় রাখুন। এ বিষয়টি ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে ইতি বাচক ভুমিকা পালন করবে। টুইটার পটভ’মির চাহিদা এখন তেমনটা নেই। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে How to creat your own Twitter Background পড়তে পারেন।
সংগৃহীত - উজ্জ্বল, বগ্ল কম্পিউটার জগত থেকে সংগৃহীত।

0 comments:

Post a Comment