অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব
গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই
আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব
অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।
আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার
বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।
বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই
সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।
শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা
যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।
Tuesday, March 26, 2013
Saturday, March 23, 2013
ঋতু বদলের অসুখ
ঋতু বদলের অসুখ
Sunday, March 17, 2013
ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। সময় এসেছে এবার পথে নামার।
প্রসঙ্গঃ ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। সময় এসেছে এবার পথে নামার। আপনি বিকলাঙ্গ হলে এ পোস্টে ঢোকার প্রয়োজন নেই! আপডেটেড উইথ এক্সক্লুসিভ নিউজ!
আমাদের ছোট্ট এ দেশটির অনেক কিছুই বদলেছে, আবার অনেক কিছুই অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়ে গেছে। ইন্টারনেট ইউসেজ এর মুল্য ৫/৬ বছর আগে যা ছিল এখন ও তাই আছে।
আগে পার কিলো বাইট দুই পয়সা ছিল, এখনো তাই। এক জিবি ৩৫০টাকা ছিল, এখনো তাই। ভাবা যায়!
কিছু কিছু প্যাকেজের মুল্য কমেছে কিন্তু তা আশানুরুপ নয়।
অতীতের কথা বাদ দিলাম। তখন ব্যান্ডউইথের মুল্য অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন তো আগের অবস্থা নেই। সরকার দফায়-দফায় ব্যান্ডউইথের মুল্য কমিয়ে ৮০০০টাকাতে এনেছে। তারপরেও আমরা ভোক্তারা এর সুফল ভোগ করতে পারছিনা।
এটা গেল সার্ভিস প্রোভাইডারদের ভোক্তাদের বাশ দেবার কথা।
এবার আসুন দেখি সরকারের নীতি নির্ধারক মহল কি করছে।
২০১২ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ১৬৪ (আরেক সূত্রমতে ২০০) জিবিপিএস/সেকেন্ড। এর মধ্যে মাত্র ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আমরা সবাই মিলে ব্যবহার করি।
তবে আসল কথা হল, আমাদের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বর্তমানে কত আছে এবং কত ব্যান্ডউইথ পড়ে আছে, কেউই এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিচ্ছেনা।
প্রশ্ন জাগেনা- বাকি ব্যান্ডউইথ তাহলে গেল কোথায়? সরকারের নীতি নির্ধারকদের কথা অনুযায়ী এই ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ বাদে বাকি ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ রাখা হয়!
ব্যান্ডউইথ সোনা নাকি জমি যে রিজার্ভ অবস্থায় ফেলে রেখে দিলে এর মুল্য বা চাহিদা বাড়বে অথবা ইন্টারনেট ইউজারদের কোন উপকারে আসবে!
মুল্য যতই কমানো হোক, প্রায় ৮০% ব্যান্ডউইথ ফেলে রাখলে সেটা দেশের কোন উপকারে আসবে?
প্রয়োজন হলে ব্যান্ডউইথের দাম আরো কমিয়ে সম্পুর্ন ব্যান্ডউইথ সকল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হোক। কারন কয়েক শ কোটি টাকার ব্যান্ডউইথ ফেলে রেখে তো কোন উপকারে আসছেনা!
ভাবছেন কি গর্দভ সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের লোকগুলো! ভুলেও তা ভাবতে যাবেন না।
ওরা আপনার আমার চাইতে অনেক অনেক বুদ্ধিমান এবং নিজের আখের গোছাতে সচেষ্ট।
বিভিন্ন সূত্রমতে, কিছু প্রভাবশালী মহল সরকারের উঁচু পর্যায়ের কিছু অফিসিয়ালের সাথে যোগসাজশ করে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি বিজনেস চালাচ্ছে।
যে কারনে আমরা টাকা দিয়ে কলা কিনছি ঠিকই কিন্তু কপালে কলার খোসা ছাড়া আর কিছুই জুটছেনা। অথচ আমাদের যে ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে বলা হচ্ছে সেই ব্যান্ডউইথ গুলো সঠিকভাবে এ্যালোকেট করলে এবং যে টাকা আমরা ইন্টারনেট ইউজের জন্য ব্যয় করি, তাতে আমাদের কমপক্ষে ৭থেকে ৮গুণ বেশি স্পীড পাবার কথা।
তথ্যগুলো আপনারা আমার থেকে অনেক ভাল জানেন, ব্লগে বা ফেসবুকেও কম লেখালেখি হল না।
কথা সেটা নয়। কথা হল আর কতকাল এভাবে চুপ থাকব আমরা? আর কতকাল নিজেদের পশ্চাৎদেশ সার্ভিস প্রোভাইডার আর সরকারের নীতি নির্ধারকদের দিকে মেলে বসে থাকব?? পশ্চাৎদেশে আর কত বাশমারা খেলে আপনাদের ঘুম ভাঙ্গবে???
ব্লগে/ফেবুতে তো অনেক লাফালাফি হল, মাঠে নামার সময় কি এখনো হয়নি?
ফেসবুক/ব্লগে প্রতিবাদ করে আমাদের দ্বায়িত্ব শেষ মনে না করি।
যদি সৎ উপার্জনের টাকায় ইন্টারনেট ইউজ করে থাকেন, তাহলে আসুন এবার পথে নামি।
ব্লগে/ফেবুতে অনেক বড় বড় ব্লগার আছেন, যাদের একটি ডাকে হাজার হাজার মানুষ আসবে।
তাদের কেউ একজন কি এই বিষয়ে স্ট্যান্ড নিতে পারেন না?
কাউকে না কাউকে দ্বায়িত্ব নিতে হবেই। কেউ একজন স্ট্যান্ড না নিলে এরা সারাজীবন ধরে আমাদের টাকা ভ্যাম্পায়ারের মত চুষেই খাবে।
*আপডেটঃ
আমরা শাহবাগ/বিটিসিএল কার্যালয় অথবা কোন টিভি চ্যানেলের সামনে মানব বন্ধন করার মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করব।
আমি জানি শুধু মানব বন্ধনে কোন কাজ হবেনা, তবে প্রাইমারি স্টেপ হিসাবে এটার বিকল্প কিছু দেখছিনা।
মিডিয়া কাভারেজ হিসাবে আমরা ইটিভি কে পাশে পাচ্ছি ইনশাল্লাহ। তাছাড়া কয়েকটি পত্রিকার সাথেও কথা হচ্ছে।
ওরা এটা নিয়ে নিউজ করবে এবং মানব বন্ধনের দিন রিপোর্টার পাঠাবে।
তবে তার জন্য আপনাদের হেল্প দরকার।
ওরা একটা প্রেস নোট চেয়েছে। কতটুকু ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে, কতটুকু ইউজ হচ্ছে ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে একটা ডিটেইল রিপোর্ট ও চেয়েছে।
প্রেস নোট কিভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া নেই।
আর কিছু না পারেন, অন্তত এই উপকার টুকু করেন।
কবে-কিভাবে আমরা রাস্তায় নামতে পারি, সরকার কে আমাদের পাওনা ব্যান্ডউইথ দেবার কথা কিভাবে বলতে পারি আইডিয়া দিন।
সবাই আরেকটিবার জাগুন! মেসেজ টি সবার কাছে পৌছে দিন।
Collected from Popular site Techtunes.com.bd
টিউন করেছেন : মাহবুব হাসান | প্রকাশিত হয়েছিল : 21 January, 2013
Friday, March 15, 2013
ন্যায়বিচার চাই - ভোক্তার জন্য
ভোক্তার জন্য ন্যায়বিচার চাই
আমাদের দেশে সত্তরের দশকে ভোক্তা আন্দোলন শুরু করার চার দশক পর ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন পাস হয়। এ আইনে ২০ ধরনের অপরাধের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আইনের ৫৪ ধারায় মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করার দণ্ড : কোনো ব্যক্তি, কোনো ব্যবসায়ী বা সেবা প্রদানকারীকে হয়রানি বা জনসমক্ষে হেয় বা বা ব্যবসায়িক ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করলে ওই ব্যক্তি অনূর্ধ্ব তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ৫০ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন করলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
একজন নকল ও ভেজাল পণ্য উৎপাদক ও বাজারজাতকারী জঘন্য সন্ত্রাসীর চেয়েও মারাত্মক। অনেক লোকের প্রাণহানি নীরবে ঘটিয়ে শাস্তি পাবেন তিন বছর জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানা। আর একজন সাধারণ ভোক্তা কারো অপব্যবসায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তা প্রমাণে ব্যর্থ হলে ব্যবসায়ীর মামলায় নিজেই শাস্তি ভোগ করবেন তিন বছর জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এটা কি ন্যায়বিচার? কোর্ট-কাচারিতে একটি অভিযোগ দায়ের করে তা প্রমাণ করা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। এ জন্য যে মানের আইনজীবী প্রয়োজন তা সাধারণ ভোক্তার নাগালের বাইরে। ফলে আইনগত বাধ্যবাধকতার ভয়ে ভোক্তা পণ্য কিনে ঠকলে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের না করাই শ্রেয় মনে করেন। অর্থাৎ, ভোক্তা আইনে সাধারণ মানুষের অভিযোগ দায়ের ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের (আইপিএইচ) অধীনস্থ ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, দেশের মানুষ প্রতিদিন যে মাছ, গোশত, দুধ, ফল, চাল, ডাল, তেল, মসলা ও লবণ খাচ্ছে এর শতকরা ৪০-৫৪ ভাগই ভেজাল। এসব খাদ্যে বিভিন্ন কীটনাশক, ভারী ধাতু, সিসা, আর্সেনিক ও স্টেফাইলোকক্কাসের মতো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।
ফল পাকাতে ব্যাপকভাবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও ইথেফেন এবং সতেজ রাখতে ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে। চিকিৎসা ও পুষ্টিবিদেরা বলেন, এগুলোর প্রভাবে শিশুর ডায়রিয়া থেকে শুরু করে ফুসফুসের সংক্রমণ, কিডনি ও লিভার পচে যাওয়া, রক্ত সরবরাহ বিঘিœত হওয়া, এমনকি অন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, ইথেফেনের কারণে ২০-৩০ শতাংশ এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইডের কারণে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায় ফলের পুষ্টিমান। জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ২০১০ সালে পাঁচ হাজার ৭৫৯টি খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করে ভেজাল পেয়েছিল দুই হাজার ৯৯০টিতে। গত জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৩৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮৭টি ভেজাল পায়। ডিম ও মাছ উৎপাদনে ট্যানারির বর্জ্যজাত খাদ্য ব্যবহার করে মানবস্বাস্থ্য বিষিয়ে তোলা হচ্ছে। লবণ ও মুড়ি সাদা করতে হাইড্রোজ ও ইউরিয়ার অপব্যবহার চলছে। ইরি-২৮ চাল অটোরাইস মিলে কেটেছেঁটে নাজির শাইল ও মিনিকেট বানানোর বাহারি কৌশলের ফাঁদে দেশের মানুষ। তদুপরি, অতিরিক্ত দাম দিয়ে এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অভিযোগে ৬২টি কোম্পানির তৈরী ওষুধ পরীক্ষার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর কাজ করছে। কমিটির সভায় নি¤œ মানের ওষুধ তৈরির কারণে যে নয়টি প্রতিষ্ঠানের সনদ বাতিল হয়েছিল, তারা উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ওষুধ সাধারণ মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবেও সংসদীয় কমিটি চিহ্নিত করেছে।
এ দিকে, মালিকদের সিদ্ধান্তে বাসভাড়া বেড়েছে। সরকার তবুও ব্যবস্থা নেয়নি। আইন অনুযায়ী, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ এবং মালিক পক্ষের মধ্যে আলোচনাসাপেক্ষে সরকারি উচ্চমহল ভাড়া নির্ধারণ এবং এসআরো জারির মাধ্যমে সরকার তা বাস্তবায়ন করে থাকে। সম্প্রতি মালিকেরা সরকারকে পাশ কাটিয়ে একতরফাভাবে বেশি ভাড়া আদায় করে চলেছেন যাত্রীদের জিম্মি করে।
বছর ঘুরে আসার দু-এক মাস আগেই বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়া ৫০০ থেকে দুই-তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতে শুরু করেন। ১৯৯১ সালে প্রণীত বাড়িভাড়া আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই।
শিক্ষার ক্ষেত্রেও সরকারি নীতি কার্যকর হচ্ছে না। শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন অনেক ক্ষেত্রে কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ। শিক্ষার বৈষম্য, কোচিংবাণিজ্য বন্ধ করা আর নোট ও গাইড বইয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বইয়ের সংখ্যা শিশু-কিশোরদের ধারণক্ষমতার বেশি। এতে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের গৃহশিক্ষক ও কোচিংমুখিতা বেড়েছে। শিক্ষাব্যয়ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নাগালের বাইরে। যারা গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে এবং কোচিং করতে পারছে না, তারা ঝরে যায় অথবা সহপাঠীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে।
চিকিৎসাব্যবস্থায় কতটা নাজুক ও অরাজক পরিস্থিতি বিদ্যমান, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। ডাক্তাররা যে যেমন পারছেন, আদায় করে চলেছেন ফি। সর্দি-কাশি নিয়ে ডাক্তারদের শরণাপন্ন হলে দুই-তিনটা টেস্ট ধরিয়ে দিয়ে বলে থাকেন, অমুক ল্যাব থেকে টেস্ট করিয়ে আনুন। রোগী এসব হুকুম মানতে বাধ্য। শোনা যায়, পরীক্ষা ফির একটা অংশ ডাক্তারদের বখরা দেয়া হয়। সরকার এসব শোনে, কিছু করে না। এখানেও WHO নির্ধারিত, রোগীর অধিকার ভূলুণ্ঠিত।
বাংলাদেশের ভোক্তাদের দুর্ভোগ-দুর্দশা উত্তরণে দেশে আইন বিদ্যমান। এসব আইন বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দায়িত্বশীল লোক থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই। জনগণের চলছে ভোগান্তি। সরকারি মহলের রয়েছে সদিচ্ছার অভাব।
ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে সিআই-এর ডাইরেক্টর জেনারেল হেলেন এমসি কাম্ভ বলেছেন, ভোক্তাদের জন্য ভালো সুরক্ষা কেবল একটি আইনি বিষয় নয়। এটি ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের অঙ্গীকার এবং জীবন রক্ষার প্রতিশ্রুতিও।
জাতিসঙ্ঘস্বীকৃত ক্রেতা ও ভোক্তাদের আটটি অধিকার ও পাঁচটি দায়িত্ব সম্পর্কে আমরা সচেতন হলে ভোক্তাদের সমস্যা দূর হতে থাকবে। ভোক্তারা সরকারি মহলের শৈথিল্যের বিরুদ্ধে যত দ্রুত সোচ্চার ও সংগঠিত হতে শুরু করবেন, তত ভোক্তাস্বার্থ এবং সংশ্লিষ্ট আইন হালনাগাদকরণ ও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।
লেখক : এমদাদ হোসেন মালেক, তারিখ: ১৫ মার্চ, ২০১৩, Daily Naya Diganto.
সাধারণ সম্পাদক, কনজুমারস ফোরাম (সিএফ)
Monday, March 4, 2013
ভেজাল খাবারের সুদরপসারী প্রতিক্রিয়া
ভেজাল খাবারের সুদরপসারী প্রতিক্রিয়া
চিকিৎসক, পুষ্টিবিজ্ঞানীরা যা বললেন