Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Friday, November 30, 2012

জানুয়ারী ১২ তে ত্রিশ হাজার শ্রমিক যাবে মালেশিয়ায়


জানুয়ারিতে ত্রিশ হাজার শ্রমিক যাবে মালয়েশিয়ায়


বাংলাদেশ থেকে কম টাকায় শ্রমিক প্রেরণের বহুল আলোচিত চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় মালয়েশিয়ার পুত্রাযায়ায় দুটি চুক্তি সম্পাদন হয়। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যটিতে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। মালয়েশিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেন মানবসম্পদ মন্ত্রী ড. এস সুব্রামনিয়াম। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম দফায় কৃষি কাজের জন্য ৩০ হাজার শ্রমিক ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় যাবেন এবং এ শ্রমিক প্রেরণের কাজ শুরু হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। চুক্তি শেষে ওই দিন বিকালে মালয়েশিয়া সময় সাড়ে ৬টায় মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাজধানী কুয়ালালামপুরের মতিয়ারা কমপ্লেক্সে শ্রমমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 
 
মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শ্রমমন্ত্রী বলেন, ৭০ হাজার ভাগ্যবিড়ম্বিত অবৈধ শ্রমিকের পাশে থাকবে সরকার। বেসরকারি শ্রমিক নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা কামনা করে শ্রমমন্ত্রী বলেন, বিদেশে শ্রমিক প্রেরণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক ভূমিকা রয়েছে এবং সরকার তাদের দাবি-দাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। জিটুজির মাধ্যমে শ্রমিক প্রেরণের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রমিকরা কম টাকায় এসে যাতে দেশে কিছু উপার্জন করে পাঠাতে পারে এবং মেয়াদ শেষে যাতে অবৈধভাবে বসবাসের পর্যায়ে পড়তে না হয় সে লক্ষে সরকার এবার কম টাকায় সরকারিভাবে লোক প্রেরণে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারের এ প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রবাসীরা বলছেন, চুক্তির শর্তগুলো সবাইকে জানানো দরকার। প্রবাসীরা আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, সরকারের এ চুক্তি যদি কোন দলের চুক্তিতে পরিণত হয় তা হলে সেটি হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। মাত্র ৪০ হাজার টাকায় সে দেশে শ্রমিক পাঠানোর ফলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা বাংলাদেশী মুদ্রায় মাসে ২০ হাজার টাকা করে পাঠাতে পারবেন। বাংলাদেশের জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য দু’দেশের সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুশীল সমাজ। তবে ৬ পির সমস্যা সমাধান বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক প্রেরণের ফরম নিয়ে হাঁটছেন এমন অভিযোগ করে তারা বলেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক প্রেরণে যাতে সরকারি চুক্তির পরিবর্তে কোন দলের চুক্তিতে পরিণত না হয়। এব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কমিউনিটি নেতারা।

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া থেকে ২০১২
দৈনিক যুগান্তর, তাং ১লা ডিসে.১২

ঢাকার ২৪ সরকারি স্কুলে ভর্তি ফরম বিক্রি শুরু


ঢাকার ২৪ সরকারি স্কুলে ভর্তি ফরম- বিক্রি শুরু আজ
রাজধানীর ২৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ফরম বিক্রি কার্যক্রম আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি ফরম বিক্রি ও জমা দেয়ার কার্যক্রম চলবে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ফরম বিক্রি ও জমা দেয়া যাবে। ভর্তি ফরমের মূল্য ১০০ টাকা। একটি ক্যাটাগরির বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা একটি ফরম কিনতে পারবে। তিন ক্যাটাগরির বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ তিনটি ফরম কেনা যাবে। যে স্কুলের ভর্তির ফরম সেই স্কুল থেকেই বিক্রি করা হবে।

দ্বিতীয় থেকে ৮ম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য রাজধানীর ২৪টি স্কুলকে আগের মতোই তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে আটটি স্কুল রয়েছে। 'এ' গ্রুপের স্কুলগুলোতে ১৪ ডিসেম্বর, 'বি' গ্রুপের স্কুলগুলোতে ১৫ ডিসেম্বর এবং 'সি' গ্রুপের স্কুলগুলোতে ১৭ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা হবে।

গত দুই বছরের মতো এবারো ১ম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী বাছাই করতে লটারী অনুষ্ঠিত হবে। আগামি ২৭ ডিসেম্বর এই লটারী হবে এবং ওইদিনই ফল ঘোষণা করা হবে। প্রভাতি শিফটের লটারী হবে সকাল ১০টায় আর দিবা শিফটের লটারী হবে বিকেল ২টায়।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা ২০১৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ি ৯ম শ্রেণীতে ভর্তিতে কোনো পরীক্ষা বা লটারী হবে না। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ড মেধাক্রম তৈরি করবে।

পরীক্ষার সময় ও মান বন্টণ: ২য় ও ৩য় শ্রেণীতে লিখিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য ভর্তিচ্ছুরা সময় পাবে ১ ঘণ্টা। ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় বাংলা থেকে ১৫ নম্বর, ইংরেজি থেকে ১৫ ও গণিত থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ২য় থেকে ৪র্থ শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়। ৪র্থ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় বাংলা ৩০, ইংরেজি ৩০ ও গণিতের প্রশ্ন থাকবে ৪০ নম্বরের। পরীক্ষা শুরু হবে দুপর ২টায়। 

১ম শ্রেণীতে আসন সংখ্যা: রাজধানীর ২৪টি স্কুলের মধ্যে কেবল ১৩টিতে প্রথম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এর মধ্যে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে শূন্য আসন আছে ২৪০টি, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২০টি, ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুলে ১৬০টি, তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২০টি, তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২০টি, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০টি ও নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২০টি।

এ ছাড়া বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে শূন্য আসন আছে ১২০টি, শেরে বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২০টি, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাই স্কুলে ১২০টি, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৫টি, গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২০টি এবং শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিযোগ্য শূন্য আসন আছে ১২০টি।
কোন গ্রুপে কোন স্কুল
'এ' গ্রুপের স্কুলগুলো হচ্ছে: গভ:ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নিউ গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল, নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও ধানমন্ডি কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়।

'বি' গ্রুপের স্কুলগুলো হচ্ছে: মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাই স্কুল, গভ. মুসলিম হাই স্কুল, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ।

'সি' গ্রুপের স্কুলগুলো হচ্ছে: ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাই স্কুল, আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, টিকাটুলী কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, শেরে বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় 
দৈনিক  ইত্তেফাক থেকে সংগৃহীত

Wednesday, November 28, 2012

ফ্রিল্যান্সিং আয়ের মাধ্যমে দেশ সহজেই মধ্য আয়ের দেশে পরিনত হতে পারে

ফ্রিল্যান্সিং আয়ের মাধ্যমে দেশ সহজেই 

       মধ্য আয়ের দেশে পরিনত হতে পারে 

বর্তমানে ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে দেশের তরুণ-তরুণীরা অর্জন করছে বৈদেশিক মুদ্রা। কয়েক বছর ধরে আউটসোর্সিং কাজের সাথে দেশের তরুণ প্রজন্ম সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।



এ ধরনের সাইটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করার আগেই নিবন্ধনের নামে নেয়া হয় বড় অঙ্কের টাকা। পরে বলা হচ্ছে, আগ্রহী পেশাজীবীরা (ফ্রিল্যান্সার) কমিশন প্রথার মাধ্যমে নতুন নতুন ক্রেতা তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবেন। এসব সাইট পরিচালনা করা হয় বাংলাদেশ থেকেও। 
বিশ্বের সেরা মার্কেটপ্লেস সমূহ -
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এসব মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইটের সাহায্য নেয়া যায়। 
www.odesk.com, 
www.freelancer.com, 
www.elance.com, 
www.vworker.com, 
www.scriptlance.com, 
www.getacoder.com, 
www.99designs.com, 
www.peopleperhour.com। 
এ ছাড়া বেশ কিছু সাইট রয়েছে, যেগুলোতে গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন, স্ক্রিপ্ট, অডিও ও ভিডিও মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সাইটগুলো হলো: 
www.themeforest.net, 
www.graphicriver.net, 
www.codecanyon.net, 
www.activeden.net, 
www.3docean.net, 
www.audiojungle.net, 
www.videohive.net
শেষ কথা : বর্তমান আর্থসামাজিক প্রোপটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং হতে পারে অর্থনৈতিক মুক্তির উপায়। দেশের দ ও বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জনশক্তিতে পরিণত করতে এটি হতে পারে একটি সহায়ক নিয়ামক। এ েেত্র সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই যথাযথ পদপে নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষজ্ঞের মতামত


মূলত প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের রয়েছে ব্যবহারবান্ধব নীতিমালা, যা নিবন্ধন পূর্ণাঙ্গ করার আগে ব্যবহারকারী সহজে বুঝতে পারবেন। প্রতারণামূলক সাইটগুলোতে এসব নিয়মের কথা নিজেদের মনের মতো করে দেয়া হয়। 


সতর্কতা  ঃ 

  তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটে ভালো আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসের (কাজ পাওয়ার ওয়েবসাইট) পাশাপাশি চালু হয়েছে বেশ কিছু ওয়েবসাইট, যেগুলোতে আউটসোর্সিংয়ের নামে চলছে প্রতারণা। যেমন -  Dolancer, skylancer, freelancer  etc. 
শেষকথা -
আমাদের সকলকে এই সকল ভূয়া আউটসোসিং সর্ম্পকে সতর্ক হতে হবে। এছাড়া যে কোন সাইটে কাজ করার পূর্বে েঐসকল সাইটের নাম দিয়ে সার্চ দিয়ে তার রিভিউ দেখে নিতে হবে।
 পরিশেষে আসুন সবাই দৈনিক ৭০ বার মুত্যুকে স্বরন করি এবং দুনিয়ার পাশাপাশি আখেরাতে সফল হওয়ার ব্যপারে প্রয়োজনীয় ইবাদত করি। সালাত কায়েম করি ও প্রতি মুহুর্তে জিকির চলি এবং দৈনিক কমপক্ষে কয়েক আয়াত অর্র্থ সহু কুরআন ও হাদিস পড়ি । আমিন।  সকলকে ধন্যবাদ।

Saturday, November 24, 2012

" Odesk or Elance - "ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোনটি ভাল


ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোনটি ভাল

আমাদের বাংলাদেশ , ছোট্ট একটা দেশ , কিন্তু ১৬ কোটি মানুষ।
কিন্তু দেশে এতো মানুষের কর্মসংস্থান কই ?
তার পরেও আমাদের তরুণরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে কাজ নিয়ে বেকারত্ত দূর করছে (যদিও এর সংখ্যা অনেক কম)।
আমি আজ ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে কিছু কথা বলব। কোনটা ভাল , কোনটা খারাপ, কোনটার কি অপশন আছে , এইসব।
অনেক গুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট আছে elance.com , odesk.com , freelancer.com , getacoder.com ... আরও অনেক সাইট আছে। কিন্তু এই গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল হল elance.com ও odesk.com . ভালো বললাম এই জন্য যে , এগুলোতে যে সব কাজ পাওয়া যায় সেগুলোর মান ভালো ও টাকাও ভালো পাওয়া যায়। আমি আজ এই দুইটা সাইট নিয়েই কথা বলব।
Odesk বৃহত্তম অনলাইন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এখানে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায় । চুক্তি ভিত্তিক অথবা ঘণ্টা প্রতি । বাংলাদেশের যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের বেশিরভাগ odesk থেকে কাজ নেন । কিন্তু odesk এ কাজে টাকার পরিমানটা একটু কম । আবার কিছু ক্ষেত্রে টাকা না পাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে, কারন odesk এ পেমেন্ট(ক্লায়েন্ট ও প্রোভাইডার এর মধ্যে) নিয়ে খুব একটা ভালো কোনো বেবস্থা নেই । মানে এমন কোনো বেবস্থা নেই যার জন্য আপনি আপনার পেমেন্ট নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। এবং যেহেতু odesk  এ কম দামি কাজই বেশি , তাই মাঝে মধ্যে কিছু কিছু এই ধরনের সমস্যা হয়। কিন্তু odesk  এ কাজ এর জন্য অ্যাপ্লাই করতে প্রোভাইডারকে কোনো সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হয় না ।
Elance ও অন্যতম বৃহত্ত অনলাইন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। কিন্তু এই সাইটটি অনেক গুছানো । এখানেও  চুক্তি ভিত্তিক অথবা ঘণ্টা প্রতি কাজ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের কম সংখ্যক লোকই elance থেকে কাজ নেন। কারন এখানে বেশি সংখ্যক কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করতে  সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হয়। কিন্তু এখানে সবচেয়ে ভালো ভালো কাজ পাওয়া যায় । এবং এখানে কাজের টাকার পরিমানটাও অনেক বেশি। এবং দুনিয়াজুরে নামকরা সকল ফ্রিল্যান্সিং কম্পানি elance এ কাজ করেন । এখানেও কিন্তু আমাদের বাংলাদেশিরা পিছিয়ে নেই । elance এ বাংলাদেশিদের অবস্থান মুটামুটি ৪ নাম্বারে (ইন্ডিয়া, উক্রেইন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ)। elance  এ সব চেয়ে বড় যে সুবিধা আছে সেটা হল 'ESCROW System' . এটি এমন একটা বেবস্থা , যেখানে ক্লায়েন্ট ও প্রোভাইডার , দুই পক্ষেরই একটা নিরাপদ পেমেন্ট বেবস্থা। এই সিস্টেম এ টাকা প্রথমে এখানে জমা হয় , এবং কাজ শেষে ক্লায়েন্ট টাকা ছাড় করে দেন। কিন্তু কন কারনে কোনো পক্ষ কন সমস্যা সৃষ্টি করলে elance এ আপিল করা যায় , তখন elance সকল মেসেজ পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে জয়ী পক্ষকে টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তু elnace এ ইন্ডিয়ানদের আধিপত্য বেশি, এই লিঙ্ক এ গিয়ে দেখুন(https://www.elance.com/r/contractors/ , https://www.elance.com/r/contractors/loc-india ও https://www.elance.com/r/contractors/loc-bangladesh) । আমাদের বাংলাদেশিদেও বেশি করে এগিয়ে আসা উচিৎ। কারন এখানে ভালো মান ও ভালো টাকার অনেক কাজ আছে।
Collected from- (http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/104184) টিউন করেছেন :  | প্রকাশিত হয়েছে : 30 December, 2011  

Monday, November 12, 2012

পানির অজানা ১২টি বৈশিষ্ট্য


পানির অজানা ১২টি বৈশিষ্ট্য
সোমবার, ১২ নভেম্বর ২০১২
 পানি আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর একটি। শরীরের জন্য পানি কতোটা অপরিহার্য, তা নিচের ১২টি বৈশিষ্ট্যেই প্রমাণিত:
১)    যে মস্তিষ্ক আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে, সেই মস্তিষ্কের অধিকাংশ স্থানই দখল করে আছে পানি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, আমাদের মস্তিষ্কে ৯০ শতাংশই পানি।
২)    রক্তের মধ্যে পানির পরিমাণ ৮৩ শতাংশ।
৩)    হাড়ে রয়েছে ২২ শতাংশ পানি।
৪)    মাংসপেশী ধারণ করে ৭৫ শতাংশ পানি।
৫)    পানি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও শরীরকে স্বাভাবিক রাখে।
৬)    শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া ও হজমক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে।
৭)    শরীরের কোষসমূহে পুষ্টি উপাদান ও অক্সিজেন সরবরাহ করে পানি।
৮)    পানি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়।
৯)    শরীরের সংযোগ পেশী ও অস্থি-মজ্জাকে আর্দ্র ও সক্রিয় রাখে।
১০)     আমাদের ফুসফুসে থাকা অক্সিজেনকে আর্দ্র রাখে।
১১)     শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে সুরক্ষা দেয়।
১২)     অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোতে সঠিক মাত্রায় পুষ্টি উপাদানসমূহ পৌঁছাতে সাহায্য করে পানি।
Colled from, মানবজমিন ডেস্ক

Saturday, November 10, 2012

দেশের সূর্যসন্তান ড. ইউনূস!

বিশ্ব-বিজ্ঞানী ও দেশের সূর্যসন্তান ড. ইউনূস!
শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১২
উনি ভদ্র। উনি বিনয়ী। উনি উঁচু মাপের মানুষ। ১০০ মিটার লম্বা! অযাচিত গালমন্দ গায়ে মাখেন না। গায়ে মাখেন না বলাটা ভুল হলো গায়ে লাগে না ওনার! ওনার কান লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারা পাগলের প্রলাপ তলপেট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। পাগল আর ছাগলের উচ্চতা অতটুকুই! ১০০ মিটার উঁচু উনি পৃথিবী বিখ্যাত বিজ্ঞানী! উনি বাংলাদেশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। উনি সামাজিক ব্যবসার আবিষ্কর্তা ড. ইউনূস! ‘সামাজিক ব্যবসা’টি নিয়ে হয়েছে একটু মুশকিল। মাত্র এক দশকের আবিষ্কার! সহজ অথচ বিশাল বিষয়ের আবিষ্কারের প্রথম অধ্যায়টি থাকে কিছুটা এলোমেলো। মানুষের তাই বুঝতে একটু সময় লাগে। সামাজিক ব্যবসার সৌন্দর্য-ই হচ্ছে এর সিম্পলিসিটি। কথাটা আমার না স্যার ইউনূসের। সিম্পল বিষয় বুঝলে সোজা, না বুঝলে কঠিন। ‘হোয়্যার ঈগলস ডেয়ার’ মুভিতে গাড়ি চালাচ্ছেন অভিনেতা অ্যান্থনি কুইন। তার পাশের মহিলা সহযাত্রী কথার ফাঁকে নির্লিপ্তভাবে বললো ‘আমি তোমাকে ভালবাসি।’ মনে হলো বললো ‘আমি পানি খাবো।’ অ্যান্থনি কুইন গাড়ি চালাতে চালাতে বললেন ‘আমিও তোমাকে ভালবাসি।’ মনে হলো বললেন ‘ওই ফ্লাস্ক খুলে পানি খেয়ে নাও!’ ভালবাসা বিষয়টি যে এত সহজ, ১৪ বছর বয়সী আমি তা জানতাম না। জানলাম। ৩ দিন পর আমার চেয়ে ৬ বছর বড় ইউনিভার্সিটি পড়–য়া সুন্দরী চাচাতো বোনের হাত ধরলাম। নির্লিপ্তভাবে বললাম ‘আপা আমি তোমাকে ভালবাসি।’ আপা আমার চোখের দিকে মুগ্ধ হয়ে ৬ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকলেন। তারপর-ই কষে লাগালেন এক চড়! চোখের সামনে উনার বদলে সর্ষে ফুল দেখলাম! বিষয়টি হয়ে গেল জটিল।
সামাজিক ব্যবসা খুব সোজা। হেন বিষয় নেই যা নিয়ে আপনি সামাজিক ব্যবসা করতে পারবেন না। গাছ নিয়ে, মাছ নিয়ে, পানি নিয়ে, বৃষ্টি নিয়ে, ছাতা নিয়ে, রিকশা নিয়ে, ট্রাফিক নিয়ে, খাবার নিয়ে, বিয়ে নিয়ে, ডিভোর্স নিয়ে, ড্রাগস নিয়ে, শাড়ি নিয়ে, বাড়ি নিয়ে এমন কি মিডিয়া নিয়েও! আমি ভেবেছি তরিতরকারি নিয়ে একটি চমৎকার ‘সামাজিক ব্যবসা’ করবো। নাম দেবো ‘সোশ্যাল ভেজিটেবল বিজনেস।’
ড. ইউনূসের এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটি মানুষের মস্তিষ্ক খুলে দেবে। মানুষের কাছে সমস্যা কোন সমস্যা মনে হবে না। অলরেডি প্রায় দু’কোটি মানুষ পৃথিবীতে সামাজিক ব্যবসার চর্চা শুরু করেছে। জ্যামিতিক হারে এর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এটা সৎ ও সৃষ্টিশীল মানুষের ব্যবসা। আপনি এলিট শ্রেণীর চোর হলে এ ব্যবসা করার দরকার নেই! তবে এ ব্যবসায় ইনভেস্ট করতে পারেন। কোন সৎ ও মেধাবী মানুষের কনসেপ্টের ওপর। এতে দু’টো লাভ হবে। সমাজের উন্নয়ন হবে এবং আপনার কালো টাকা সাদা হবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ‘চোর’-এর ওপর কেউ কোন ‘সামাজিক ব্যবসার’ আইডিয়া আনে অর্থাৎ ‘সোশ্যাল থিফ বিজনেস’ তাতে আপনি ইনভেস্ট করুন! এতে আপনি নিজের অজান্তেই নিজ এবং সমাজকে শুদ্ধ করে ফেললেন! একটি ‘সামাজিক ব্যবসা’র জন্য মোটা দাগে প্রয়োজন ৫০০ গ্রাম সৃষ্টিশীলতা, ৫০০ গ্রাম সততা, ৫০০ গ্রাম সামাজিক কমিটমেন্ট, ৫০০ গ্রাম উদ্যোগ, ১,০০,০০০ গ্রাম লক্ষ্য, ১৫০ গ্রাম ইনভেস্টমেন্ট এবং ২০ গ্রাম লাভ বা প্রফিট!
আপনি এবং বন্ধুরা কাল থেকে শুরু করে দিন! এতদিন মনের মধ্যে সমাজের কোন বিষয় নিয়ে নিশ্চয়ই উন্নয়নের চিন্তা ছিল। প্রবাদ আছে ‘সিঁড়ির চূড়া পর্যন্ত তাকানোর প্রয়োজন নেই, প্রথম ধাপটি ফেলো!’ ড. ইউনূস শুধু বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী-ই নন, একজন ভিন্ন মাপের মুক্তিযোদ্ধাও। ১৯৭১-এর ভৌগোলিক মুক্তিযোদ্ধা এবং এই শতাব্দীর অর্থনৈতিক মুক্তিযুদ্ধের কাণ্ডারী। তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে যে প্রশ্ন তুলবেন, তার আওয়াজ আইসক্রিমঅলার ঘণ্টার মতো শোনাবে।
সংগৃহীত - দৈনিক  ইনকিলাব , শায়ের খান.

Thursday, November 8, 2012

‘ঘরে বসে আয়’ - প্রতারনর হাত থেকে বাচুন


‘ঘরে বসে আয়’-এর নামে প্রতারণার ফাঁদ!

কলাবাগান থানার সামনে গত ১ জুন টাকা ফেরতের দাবিতে স্কাইল্যান্সারের সদস্যরা বিক্ষোভ করেন
কলাবাগান থানার সামনে গত ১ জুন টাকা ফেরতের দাবিতে স্কাইল্যান্সারের সদস্যরা বিক্ষোভ করেন
ছবি: সংগৃহীত
ঘরে বসে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে বিপুল পরিমাণ টাকা উপার্জনের স্বপ্ন দেখিয়েছিল ‘অ্যাফারি ট্র্যাক লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এতে সাড়া দেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা আমিরুল কবির। তাঁর দাবি, নিবন্ধন ফি হিসেবে তিনি সেখানে সাত লাখ টাকা দেন। কিছুদিনের মধ্যেই সব টাকা নিয়ে কার্যালয় বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। 
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের চাকরিজীবী আমিরুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটু সচ্ছলতার আশায় জীবনের সঞ্চিত সব টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’ 

ইতি  পূর্বে এই ব্লগে একটি সতর্কতা মূলক  নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল।

অ্যাফারি ট্র্যাকের মতো ডোলেন্সার, স্কাইল্যান্সার ও বিডিএস ক্লিক নামের প্রতিষ্ঠানগুলোতে সদস্য হয়ে এখন অনেকই হতাশ। 
য়েকটি যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নিয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে নিয়েছে ‘ট্রেড লাইসেন্স’। ‘সরকারি অনুমোদন’ হিসেবে দেখিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। 
জানতে চাইলে যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ের নিবন্ধক বিজন কুমার বৈশ্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন করলে তা নিবন্ধন করতে আমরা আইনগতভাবে বাধ্য। যদি কেউ প্রতারণার আশ্রয় নেয়, তাহলে তা বাতিল করার এখতিয়ার আমাদের নেই।’ 
ঢাকা সিটি করপোরেশনের (দক্ষিণ) প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, লাখ লাখ ট্রেড লাইসেন্সধারীর মধ্যে কে শর্ত অনুযায়ী ব্যবসা করছে, তা তদারক করা কঠিন। 
অ্যাফারি ট্র্যাকের কয়েকজন সদস্য জানান, গত জানুয়ারিতে রাজধানীর পান্থপথে একটি ভবনের কার্যালয়ে ‘অ্যাফারি ট্র্যাক লিমিটেডের’ কার্যক্রম শুরু হয়। বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি বহুধাপ বিপণন পদ্ধতিতে (এমএলএম) আউটসোর্সিংয়ের কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানে একটি নিবন্ধনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে মাসে আয় করা যাবে প্রায় দুই হাজার টাকা। একজন একাধিক নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রতি নিবন্ধনের ফি আট হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার নিবন্ধন হয়। প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে গিয়ে টাকা দিয়ে নিবন্ধন করেন অনেকেই। কথা ছিল, প্রতি মাসের অর্জিত টাকা কার্যালয় থেকে দেওয়া হবে। কিন্তু গত জুনে কার্যালয় বন্ধ করে পালিয়ে যান কর্মকর্তারা। 
সম্প্রতি রাজধানীর পান্থপথে অ্যাফারি ট্র্যাকের কার্যালয়ে গিয়েও তা বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, তিন-চার মাস আগে কার্যালয়টি বন্ধ করে কর্মকর্তারা চলে গেছেন। এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে অ্যাফারি ট্র্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশরাক কবীরের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 
ভাঙচুর, বিক্ষোভ, মামলা: ইতিমধ্যে ডোলেন্সার, স্কাইল্যান্সার ও বিডিএস ক্লিক নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সদস্যরা। সদস্যদের অভিযোগ ও মামলার বিবরণ অনুযায়ী, এ প্রতিষ্ঠান তিনটির কর্মকর্তারা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি কলাবাগানে স্কাইল্যান্সারের কার্যালয়ে ভাঙচুরও করেছেন সদস্যরা। পুলিশ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পরে জামিনে তাঁরা বের হন। 
ডোলেন্সার ও বিডিএস ক্লিকের কার্যালয় ছিল ধানমন্ডিতে। ডোলেন্সারের স্বত্বাধিকারী রোকন ইউ আহমেদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে সদস্যদের অভিযোগ। এ অভিযোগে চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে বেশ কয়েক দিন মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগে রোকনের শ্বশুরবাড়িও ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন সদস্যরা। সদস্যরা মিরপুর ও ধানমন্ডি থানায় মামলাও করেছেন। একই অভিযোগে বিডিএস ক্লিকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। বিডিএসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তারা পলাতক। 
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ডোলেন্সার ও বিডিএস ক্লিকের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
কলাবাগান থানার ওসি এনামুল হক বলেন, শিগগিরই ডোলেন্সারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। 
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল মোমিন বলেন, ‘পরিবার থেকে প্রায় এক লাখ টাকা নিয়ে স্কাইল্যান্সারের সদস্য হয়েছিলাম। এখন পরিবার থেকেও বেশ চাপে আছি।’ 
সৈয়দপুরের বাসিন্দা মোসাম্মৎ নাজনীন জানান, তাঁর আশ্বাসে প্রায় ৮০০ জন ডোলেন্সারের সদস্য হয়েছিলেন। বিনিয়োগ করা টাকা হারিয়ে একদিকে তিনি যেমন সর্বস্বান্ত, অন্যদিকে সদস্যদের হুমকির মুখে দিশেহারা।
প্রতারণার কৌশল: প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সরকারি অনুমোদন দেখিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, প্রচারপত্র বা পোস্টারের মাধ্যমে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের প্রচার চালান। আবার অনেক সময় কর্মকর্তারা নিজেরাই বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে সদস্য হতে উৎসাহিত করেন। তবে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্সে ব্যবসার ধরন হিসেবে যা উল্লেখ করা হয়, তা বাস্তবে দেখা যায় না। 
অ্যাফারি ট্র্যাকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সে ব্যবসার ধরনে সফটওয়্যার আমদানি, রপ্তানি ও সরবরাহকারীর কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু কর্মকর্তারা তা না করে বরং আউটসোর্সিংয়ের নামে এমএলএম ব্যবসা শুরু করেন। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে একই চিত্র দেখা যায়। 
সতর্কতা: অনলাইন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে অনলাইন আউটসোর্সিং ও এমএলএম নিয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় অনেকেই সহজে প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারছেন। 
ফ্রিল্যান্সার রাসেল আহমেদ বলেন, আউটসোর্সিং হচ্ছে বাইরের কোনো দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। এ কাজ হতে পারে ওয়েবসাইট উন্নয়ন, গ্রাফিকস ডিজাইন প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে কাউকে অগ্রিম টাকা দিতে হয় না।
ফ্রিল্যান্সার জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে আউটসোর্সিংয়ের ধারণাটি এতটা স্পষ্ট নয়। আবার অনেকেরই ইন্টারনেট সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা নেই। ফলে অনেকেই না বুঝেই প্রতারিত হচ্ছেন।’
কাজী আনিছ , দৈনিক প্রথম আলো তাং- ৯ ্নভেম্বর‘১২.

Tuesday, November 6, 2012

উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চান ?


উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ পড়তে যাওয়ার আগে - - - 

নিজকে প্রস্তুুত করুন, নীচের প্রবন্ধটি পড়ুন, আপনার কাজে লাগবে .


বিদেশে পড়তে যেতে সবার আগে চাই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা।
উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পড়তে যেতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, দীর্ঘমেয়াদি কৌশল ও পূর্বপ্রস্তুতি। দরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ভবিষ্যতে কোথায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত রূপে দেখতে চাই, কোন ক্ষেত্রে নিজের পেশাজীবন গড়তে চাই এবং কীভাবে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই—সেগুলো স্থির করতে হবে। পাশাপাশি ঠিক করতে হবে কোন দেশে পড়লে লক্ষ্যপূরণ সহজ হবে। তারপর চলতে থাকবে পছন্দের বিষয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খোঁজ।

কোথায়, কোন বিষয়ে এবং কেন পড়তে চাই, সেগুলোর উত্তর মিলে গেলে আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করলে খুলতে হবে অ্যাকাউন্ট। দেখতে হবে কী কী শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার সুযোগ আছে সেখানে। এই পুরো ব্যাপারটি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ও জটিল। এর জন্য প্রয়োজন বাড়তি মনোযোগ ও সতর্কতা। এই দীর্ঘ সময়ে আবেদনকারীদের শেষ করে ফেলা দরকার প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো: টোয়েফল, আইইএলটিএস, জিআরই, জিম্যাটসহ অন্যান্য।

আইইএলটিএস 
অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অধিকাংশ দেশে ইংরেজিতে দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম) গ্রহণ করা হয়। শুধু তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টোয়েফলের সঙ্গে সঙ্গে আইইএলটিএস স্কোর গ্রহণ করে। আইইএলটিএসে মোট স্কোর ১০। দুই দিনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। প্রথম দিন চারটি মডিউলের মধ্যে রিডিং, লিসেনিং ও রাইটিং পরীক্ষা নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিন ইংরেজি ভাষায় বিশেষজ্ঞ পরীক্ষকেরা গ্রহণ করেন স্পোকেন টেস্ট। পুরো পরীক্ষাটি ‘পেপার-বেসড’।
‘ব্রিটিশ কাউন্সিল আইইএলটিএস পরীক্ষা’ কমিটির প্রধান হারুন উর রশীদ জানান, আইইএলটিএসের প্রস্তুতি নেওয়ার সুবিধার্থে অনেক ব্যবস্থা রয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিলে। প্রস্তুতিমূলক বই পাওয়া যাবে লাইব্রেরিতে। রয়েছে এক দিনের ওয়ার্কশপ এবং আড়াই মাসের প্রস্তুতি কোর্স। এমনকি নির্দিষ্ট মূল্যে প্রতিটি মডিউলের মডেল টেস্টও দেওয়া যাবে। এতে আপনি আপনার অবস্থান এবং আপনার সম্ভাব্য স্কোর আন্দাজ করতে পারবেন। ‘রোড টু আইইএলটিএস’ সেকশনে যে কেউ বিনা মূল্যে ১০ ঘণ্টার অনলাইন কোর্স এবং নিবন্ধন করা পরীক্ষার্থীরা ১২০ ঘণ্টার অনলাইন কোর্স করতে পারবেন। নিবন্ধন ফি ১১ হাজার ৯০০ টাকা।

টোয়েফল 
ইংরেজি ভাষায় পেশাদারি দক্ষতা যাচাইয়ে প্রয়োজন হয় টোয়েফল (টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাজ আ ফরেন ল্যাংগুয়েজ)। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্য উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আবেদনে প্রথম শর্ত টোয়েফলে নির্দিষ্ট স্কোর পেতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পছন্দের বিষয়ভেদে স্কোর করতে হয় সর্বমোট ১২০ নম্বরের মধ্যে। টোয়েফলে চারটি ভাগ থাকে: রিডিং, লিসেনিং, স্পিকিং ও রাইটিং। টোয়েফলে ১২০ স্কোরের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড মান ১০০-এর মধ্যে। অর্থাৎ ১০০ পেলে ভালো। এই নম্বরটি পেতে প্রয়োজন দীর্ঘ সময়ের কঠোর প্রস্তুতি। বাজারে অনেক বই আছে টোয়েফল প্রস্তুতির জন্য। সময় একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, যার জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। তৈরি করতে হবে নিজের নির্মিত কৌশল। মডেল টেস্টগুলো যত দেওয়া যায় ততই ভালো। টোয়েফল নিবন্ধন ফি ১৬০ মার্কিন ডলার। নিবন্ধনের সময়ই পরীক্ষা কোথায় হবে তা জেনে নেওয়া ভালো। প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট- www.ets.org/toefl

জিআরই 
বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করতে উত্তর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবশ্যক শর্ত জিআরই (গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন)। ২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে বদলে গেছে জিআরই। নতুন পদ্ধতিতে জিআরইর স্কোর ৩৪০। ভার্বাল ও কোয়ান্টিটেটিভ সেকশনের স্কোরের ব্যাপ্তি ১৩০-১৭০।
‘অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং সেকশনে’ দুটি রচনা ‘ইস্যু ট্রাস্ক’ এবং ‘আর্গুমেন্ট টাস্ক’-এর জন্য স্কোর ০-৬।
ভার্বাল সেকশন দুটি, কোয়ান্টিটেটিভ দুটি সেকশন এবং একটি পরীক্ষামূলক সেকশন উত্তর দিতে হয়। পরীক্ষামূলক সেকশনটি ভার্বালও হতে পারে অথবা কোয়ান্টিটেটিভও হতে পারে। সেকশনগুলোতে প্রতিটি প্রশ্নের স্কোর সমান।
প্রথম সেকশনগুলোতে সর্বোচ্চ সঠিক উত্তর দিলে ‘ডিফিকাল্টি লেভেল’ ভিত্তিতে পরবর্তী সেকশনগুলোতে উচ্চমাননির্ভর প্রশ্ন দেওয়া হয়। জিআরইর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি। প্রচুর বিদেশি পত্রিকা ও প্রবন্ধ পড়ার অভ্যাস থাকতে হবে। নতুন জিআরই ‘ভোকাবুলারি’ নির্ভর না হলেও যত শব্দ জানা থাকে তত ভালো। সময় সম্পর্কে রাখতে হবে অতিরিক্ত খেয়াল। প্রচুর মডেল টেস্ট দিতে হবে এবং জিআরইভিত্তিক ব্লগ ও ওয়েবসাইটগুলোতে নিয়মিত হতে হবে। আমেরিকান সেন্টারে জিআরই ও জিম্যাটের নিত্যনতুন প্রস্তুতির বই ও মডেল টেস্ট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

জিম্যাট
ব্যবসায় প্রশাসনভিত্তিক অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং বিষয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে স্নাতকোত্তর অথবা এমবিএ করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালগুলোতে প্রয়োজন হয় জিম্যাট (গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট)। জিম্যাট পরীক্ষায় চারটি সেকশনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাই করা হয়। এগুলো হলো: ‘ভার্বাল’, ‘কোয়ান্টিটেটিভ’, সম্প্রতি চালু হওয়া ‘ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং ও ‘অ্যানলিটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্ট’। জিম্যাট স্কোরের ব্যাপ্তি ২০০ থেকে ৮০০। এখানে শেষের দুটি সেকশনের স্কোর অন্তর্ভুক্ত নয়। ‘ভার্বাল’ ও ‘কোয়ান্টিটেটিভ’ সেকশনের স্কোর শূন্য থেকে ৬০ পর্যন্ত। ধাপে ধাপে একেকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদানের মাধ্যমে স্কোর বাড়তে থাকে। পরীক্ষার্থীর প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক সমাধানের মধ্য দিয়ে ‘ডিফিকাল্টি লেভেল’ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে স্কোর। ‘ইন্টিগ্রেটেড রিজনিং’-এর স্কোর ১-৮ এবং ‘অ্যানালিটিক্যাল রাইটিং অ্যাসেসমেন্ট’ ০-৬। এ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন প্রচুর মডেল টেস্ট দেওয়া। বাজারে জিম্যাট প্রস্তুতির জন্য অনেক বই পাওয়া যায়। তবে জিআরই আর জিম্যাট দুটিই কম্পিউটার-নির্ভর। তাই ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগ নিয়মিত দেখে প্রস্তুত করে তুলতে হবে নিজেকে। নিবন্ধন ফি ২৫০ মার্কিন ডলার।

উপরের যে কোনো বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার আগে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহের প্রোগ্রামে পড়তে আবশ্যক স্কোর দেখে নিতে হবে। তারপর সেই স্কোরের লক্ষ্য নিয়ে কৌশল তৈরি করতে হবে। পরীক্ষার ‘ফরম্যাট’, প্রতি সেকশনে প্রশ্নের সংখ্যা, গঠন এবং সময় বুঝে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রস্তুতির জন্য নিজের দক্ষতা অনুযায়ী সময় বেঁধে নিন। অধিকাংশ আবেদনকারী মনে করেন, আগেই নিবন্ধন করা ভালো। তাতে পড়ার জোর বাড়ে। নিয়মিত বিভিন্ন ব্লগ পড়ুন। যাতায়াত করুন আমেরিকান ইনফরমেশন সেন্টারসহ সহায়ক কেন্দ্রগুলোতে। ব্যবহার করুন তাদের পাঠাগার। এতে যাঁরা পরীক্ষা এরই মধ্যে দিয়ে ফেলেছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ও ভাববিনিময়ের সুযোগ ঘটবে। নতুন কী কী বই আসছে, তার খবরও পাওয়া যাবে সেখানে। দলীয়ভাবে পড়লে ভালো করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সুতরাং আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই এই পরীক্ষাগুলো দিয়ে দিন। কারণ এগুলোর স্কোরের ওপর নির্ভর করে আপনার পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ
আমেরিকান সেন্টার, টেলিফোন: ৮৮৩৭১৫০-৪, ওয়েবসাইট: www.educationusa.state.gov
ব্রিটিশ কাউন্সিল, টেলিফোন: ৮৬১৮৯০৫, ওয়েবসাইট: www.britishcouncil.org/ bangladesh
সংকলিত . . . 
শিখ্তী সানী | তারিখ: ০৭-১১-২০১২, দৈনিক প্রথম আলো।

সুন্দর জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরী কিভাবে করব ?


আজ আমি আপনাদের জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব।আমি দেখিছি চাকুরীপ্রার্থীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত সুন্দর এবং সঠিকভাবে তৈরী করার ব্যপারে গুরুত্ব প্রদান করে না ফলশ্রুতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থীই Job Interview তে ডাক পায় না এবং যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়
আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর আগে যে সকল বাস্তবতার দিকে নজর রাখবেন
একজন চাকুরীদাতা গড়ে একটি জীবনবৃত্তান্ত (CV)-এর উপর ৩০ সেকেন্ডের বেশী সময় দেয় না সুতরাং এটি হতে হবে সংক্ষিপ্ত তথ্যগুলোর উপস্থাপন হতে হবে সুস্পষ্ট অপ্রয়োজনীয় বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিহার করতে হবে
একজন অনভিজ্ঞ/সদ্য পাস করা চাকুরীপ্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত এক থেকে দুই পাতার বেশী হওয়া কোনভাবেই উচিত্ নয়
আপনার জীবনবৃত্তান্ত হচ্ছে আপনার নিজেকে বিপণন করার মাধ্যম সুতরাং এটি হতে হবে আকর্ষণীয় তবে চটকদার কোন কিছু যেমন রঙিন কাগজ বা রঙিন কালি ব্যবহার করবেন না কোন কিছু Highlight করতে হলে সেটিকে Bold, italic বা underline করতে পারেন
মনে রাখবেন, আপনার জীবনবৃত্তান্তের মধ্যে যদি কোন বানান ভুল বা ভাষাগত/ Grammatical ভুল থাকে তবে সম্ভাব্য চাকুরীদাতার আপনার সম্বন্ধে নেতিবাচক ধারণা হবে এটি প্রকাশ পাবে যে আপনি কোন কাজই নির্ভুল ভাবে করতে সক্ষম নন সুতরাং একটি CV তৈরীর পর সেটি নিজে ভাল করে পড়ুন এবং শুদ্ধ ইংরেজী জানেন এমন ব্যক্তিকে দেখিয়ে নিন
যখন আপনি কোন নির্দিষ্ট চাকুরী বিজ্ঞপ্তির (job announcement)-এর বিপরীতে আবেদন করার জন্য জীবনবৃত্তান্ত পাঠাবেন, তখন চেষ্টা করুন আপনার CV সেই চাকুরীর চাহিদা অনুযায়ী তৈরী করতে (Customize your CV) এর জন্য প্রয়োজন চাকুরী বিজ্ঞপ্তি ভাল করে পড়া এবং প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে কিছু গবেষণা (Research) করা উদাহরণ স্বরুপ আপনি যদি জানেন যে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের যে কোন স্থানে নিয়োগ দিতে পারে, তাহলে আপনি আপনার CV-তে উল্লেখ করতে পারেন আপনি বাংলাদেশের কোন কোন স্থানে পূর্বে অবস্থান করেছেন অথবা কোন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এমন কোন লোক খুঁজছে যার একজনসংগঠকের (organizer’) ভূমিকা পালন করতে হবে, সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ছাত্রজীবনের কোন সাংগঠনকারীর ভূমিকা উল্লেখ করেন তবে আপনার CV নিয়োগকারীর কাছে আলাদা মূল্য পাবে
§ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার CV তে সঠিক তথ্য দিবেন এমন কোন তথ্য দিবেন না যা আপনার Job interview-তে ভুল প্রমানিত হতে পারে
জীবনবৃত্তান্তের (CV) বিভিন্ন অংশ
একটি জীবনবৃত্তান্তে (CV) যে তথ্যগুলো আপনি সুবিন্যস্ত ভাবে উপস্থাপন করবেন সেগুলো হচ্ছে
*
শিরোনাম (Title)
*
সার সংক্ষেপ (Career Summary) –> অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের জন্য বেশী প্রয়োজন
*
ক্যারিয়ার উদ্দেশ্য (Career objective)–>সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থীদের জন্য বেশী প্রয়োজন
*
চাকুরির অভিজ্ঞতা (Experience)
*
শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education)
*
অতিরিক্ত তথ্য (Additional Information)
*
ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information)
*
রেফারেন্স (Reference)
শিরোনাম: (Title)
জীবনবৃত্তান্তের শুরুতেই থাকবে আপনার পুরো নাম এটা বোল্ড (bold) হবে এবং একটু বড় ফন্টে লিখতে হবে (ডাক নাম পরিহার করুন) তার পর থাকবে আপনার ঠিকানা (বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনাকে চিঠি দিলে আপনি পাবেন), ফোন নম্বর -মেইল এড্রেস এই অংশটুকু পৃষ্ঠার উপরে মধ্যখানে থাকবে, যাতে তা প্রথমেই চোখে পরে
Career Summary( সার সংক্ষেপ )
যে সকল ব্যক্তিদের - বছরের বেশী চাকরীর অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য এটি বেশী প্রযোজ্য এই অংশে আপনি সর্বোচ্চ - লাইনে উল্লেখ করুন আপনার পূর্ব চাকরীর অভিজ্ঞতার কর্মক্ষেত্রগুলো আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার সাফল্যগুলো (Achievement) সংক্ষেপে তুলে ধরুন (যদি থাকে)
Career Objective
এটি বেশী প্রযোজ্য সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থী বা অল্প অভিজ্ঞ ( / বছর) চাকুরী প্রার্থীদের জন্য এই অংশে আপনি আপনার চাকুরীক্ষেত্রে বর্তমান লক্ষ্য (Immediate goal) উল্লেখ করুন এবং আপনার যোগ্যতা কিভাবে বিজ্ঞপ্তির (Advertised) চাকুরী বা যে প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন, তার প্রয়োজন মেটাতে পারে তার প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করুন চাকুরীর জন্য উপযুক্ত ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষিপ্তভাবে উলেখ করুন চাকুরী বিজ্ঞপ্তি বা কোম্পানির প্রয়োজনের সাথে খাপ খাইয়ে Career Objective লেখা জরুরী আপনি কোম্পানিকে কি দিতে পারবেন তার ওপর গুরুত্বারোপ করুন, কোম্পানির কাছ থেকে আপনি কি আশা করছেন তার ওপর নয়
Experience: (কর্ম অভিজ্ঞতা)
অভিজ্ঞ পেশাজীবিদের জন্য এই অংশটি শিক্ষাগত যোগ্যতার আগেই আসা উচিত সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education) এবং তার পরে experience আসা উচিত
যে সকল তথ্য আপনার প্রতিটি পূর্ব অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে উল্লেখ করবেন সেগুলো হচ্ছে,
* Organization name (প্রতিষ্ঠানের নাম)
* Designation (
পদবী)
* Time period- From & To (
সময়কাল)
* Job responsibility (
দায়িত্ব)
* Special achievement (
উল্লেখযোগ্য সাফল্য)
আপনি যদি একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করে থাকেন, তাহলে আলাদা আলাদা ভাবে তা উল্লেখ করুন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি প্রথমেই উল্লেখ করবেন আপনার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা (most recent experience), তার পরে এক এক করে Resume Chronological Order- একটির পর একটি অভিজ্ঞতা উল্লেখ করবেন যা শেষ হবে আপনার সর্বপ্রথম অভিজ্ঞতা দিয়ে
আপনার খুব কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম সময়ের অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করাই ভাল তবে লক্ষ্য রাখবেন যে আপনার List of experience এর মধ্যে যাতে খুব বেশী Time gap না থাকে
Education & Training (শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশিক্ষণ)
আগেই বলা হয়েছে যে এই অংশটি সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞদের জন্য Experience অংশের আগেই আসা উচিত্ Education অংশে আপনি আপনার ডিগ্রিগুলোর নাম উল্লেখ করবেন এবং নিম্নেবর্ণিত তথ্য প্রদান করবেন
* ডিগ্রির নাম (যেমন: SSC, HSC, BCom)
*
কোর্স সময়কাল (কবে থেকে কবে)
*
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডের নাম
*
পরীক্ষার বছর এবং প্রয়োজনে ফলাফল প্রকাশের সময়
*
ফলাফল/Result এবং যদি উল্লেখযোগ্য সাফল্য (যেমন: মেধাতালিকায় স্থান) থাকে তবে তার উল্লেখ করতে হবে
Experience-এর মতো এক্ষেত্রেও আপনি আপনার সবচেয়ে সাম্প্রতিক ডিগ্রির উল্লেখ আগে করবেন এবং তার পর পর্যায়ক্রমিক ভাবে বাকিগুলো উল্লেখ করবেন
লক্ষ্য রাখবেন আপনার কোন ডিগ্রির চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হয়ে থাকলে সেই ডিগ্রির উল্লেখ করার সময় ব্র্যাকেটে ‘Appeared’ উল্লেখ করবেন কোন কোর্সে অধ্যায়নরত থাকলে ‘Ongoing’ উল্লেখ করুন কোন ডিগ্রির ক্ষেত্রে আপনার Result যদি খুব খারাপ হয়ে থাকে তবে কোন Result- উল্লেখ করার দরকার নেই মনে রাখবেন একটি ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করা অন্যটি উল্লেখ না করা দৃষ্টিকটু
আপনি যদি কোন বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং যদি তা আপনার কাজের যোগ্যতার সহায়ক বলে মনে করেন তবে তা উল্লেখ করবেন সেক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, Topics, প্রতিষ্ঠানের সময় (Duration) তারিখ উল্লেখ করবেন৷
প্রশিক্ষণের তালিকা আপনি Education অংশের নীচে দিতে পারেন
অতিরিক্ত তথ্য / Additional Information
যে সকল তথ্য উপরে উল্লেখিত অংশগুলোর মধ্যে পড়ে না কিন্তু চাকরির সাথে সম্পর্কিত তা বিভাগে বর্ণনা করুন
* পেশাগত অর্জন / Professional Achievement
*
পদক/ সম্মাননা/ Award.
*
ভাষাগত দক্ষতা / Language Literacy
*
কম্পিউটারে দক্ষতা / Computer Skills.
*
লাইসেন্স,সরকারি পরিচয়পত্র, প্রকাশিত লেখা সত্বাধিকার
*
স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড ইত্যাদি
ব্যক্তিগত তথ্য / Personal Information
এই অংশে পিতামাতা, বর্তমান/স্থায়ী ঠিকানা, ধর্ম, যে সকল দেশ আপনি ভ্রমণ করেছেন, শখ ইত্যাদি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে
রেফারেন্স (Reference)
খেয়াল রাখবেন Reference অংশে আপনি আপনার নিকট আত্মীয়দের নাম উল্লেখ করবেন না আপনাকে আপনার ছাত্র জীবনে বা কর্মজীবনে কাছ থেকে দেখেছে এমন ব্যক্তিকেই আপনি Reference হিসাবে উল্লেখ করবেন অবশ্যই যাদেরকে Reference দিবেন তাদের ফোন নাম্বার, ঠিকানা এবং -মেইল (যদি থাকে) উল্লেখ করবেন সাধারণত Reference হিসাবে সর্বোচ্চ - জনের নাম উল্লেখ করাই শ্রেয় তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে আপনি যাদেরকে Reference হিসাবে উল্লেখ করেছেন সে সকল ব্যাক্তিকে আপনার আগে থেকে জানাতে হবে যে আপনি তাদের Reference হিসাবে আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV)- তে উল্লেখ করেছেন
ভাল হলে কমাস্ড করেতে ভুলেেবন না িকন্তু ভুল হলে কমান্ড করে সাহায্য করেেবন
টিউন করেছেন : সজিব আহমেদ | প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে, ২০১১ 
 উপরোক্ত টিউনিটি প্রকাশিত হয়েছিল।
Read more: http://techtunes.com.bd/tips-and-tricks/tune-id/72699/#ixzz1Njj4xlDm