Translate

Thursday, March 1, 2012

Dolancer প্রতারণার ডিজিটাল ফাঁদ


~~ প্রতারণার ডিজিটাল ফাঁদ ~~ ডোল্যান্সার নামের প্রতিষ্ঠানটি তুলেছে ৫০০ কোটি টাকা পাততাড়ি গোটানোর আশঙ্কা(সংগৃহীত)

আপনি বেকার, লেখাপড়া কম জানেন, নো টেনশন। ঘরে কম্পিউটার আর ইন্টারনেট থাকলেই হবে। আয় করতে পারবেন ডলার। ৫০টি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই প্রতিদিন এক ডলার! মাস শেষে ৩০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই হাজার টাকারও বেশি। অথচ বিনিয়োগ করতে হবে এককালীন মাত্র সাড়ে সাত হাজার টাকা!’_ ধরনের লোভনীয় আয়ের কথা বলেডোল্যান্সার’, ‘ল্যান্সটেকইত্যাদি নামের ইন্টারনেটভিত্তিক বেশ কয়েকটি এমএলএম প্রতিষ্ঠান চটকদার ফাঁদ পেতে বসেছে। আর এদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিচ্ছেন হাজার হাজার বেকার তরুণ-তরুণী। তাঁদের ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এক হিসাবে দেখা গেছে, সারা দেশে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের কাছ থেকে সদস্য বানানোর কথা বলে ডোল্যান্সার ইতিমধ্যেই হাতিয়ে নিয়েছে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি। সদস্যরা প্রথম দিকে সামান্য কিছু আয়ের মুখ দেখলেও এখন আর কিছুই পাচ্ছেন না। ডোল্যান্সারের অফিসে গিয়ে তাঁদের এখন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। আশঙ্কা বাড়ছে, ডোল্যান্সারের মতো এমএলএম প্রতিষ্ঠানগুলো যেকোনো সময় পাততাড়ি গুটিয়ে উধাও হতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের বলেছেন, মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কম্পানিগুলো মানুষের কাছে স্বপ্ন বিক্রি করে তাদের অনেককে নিঃস্ব করছে। ধরনের প্রায় ৬৯টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন রয়েছে। প্রতারণার অভিযোগ পাওয়ার পর নতুন করে নিবন্ধন স্থগিত রাখা হয়েছে।
গত বছর চটকদার ওয়েবসাইট তৈরি করে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) পদ্ধতিতে সদস্য সংগ্রহ শুরু করে ডোল্যান্সার। রাজধানীতে রয়েছে তাদের একাধিক অফিস। কার্যালয়ে গিয়ে সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে কিছুদিন তাদের ক্লিকের আয়ের টাকা দেওয়া হলেও গত জানুয়ারি মাস থেকে তা বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স কাজের কথা বলা হলেও করার মতো কোনো প্রজেক্ট থাকে না। যেকোনো দিন ডোল্যান্সার অফিস গুটিয়ে উধাও হয়ে যাবে এমন আশঙ্কাও করছেন অনেক সদস্য

1 comment: