Translate

Thursday, November 1, 2012

তাজমহল এখন মধ্যপ্রাচ্যে, নতুন নামে ”তাজ অ্যারাবিয়া!”

তাজমহলের চার গুণ বড় তাজ অ্যারাবিয়া!

দুবাইয়ের একটি প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে তাজমহলের সামনের অংশের রেপ্লিকা
দুবাইয়ের একটি প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে তাজমহলের সামনের অংশের রেপ্লিকা
১৬৪৮ সালে স্ত্রী মমতাজের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন মোগল সম্রাট শাহজাহান। সাদা মার্বেলপাথরে তৈরি এই সমাধিসৌধ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে প্রেম-ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে। এবার প্রায় চার শতক পর পৃথিবীর বুকে নির্মিত হতে যাচ্ছে আরেক তাজমহল। ‘তাজ অ্যারাবিয়া’ নামের এই রেপ্লিকা (তাজমহলের হুবহু গঠন) সৌদি আরবে বানানো হচ্ছে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। মোগল আমলে ভারতের আগ্রায় নির্মিত তাজমহলের হুবহু অনুকরণ করা হলেও দুবাইয়ের তাজ অ্যারাবিয়া হবে তার প্রায় চার গুণ বড়।
১০ লাখ বর্গফুট জায়গার ওপর নির্মিত হবে দুবাইয়ের নতুন এই ‘তাজমহল’। এটি মূলত নির্মাণ করা হচ্ছে ৩০০ কক্ষবিশিষ্ট একটি হোটেলের জন্য। দুবাইয়ের ফ্যালকন সিটি অব ওন্ডারে পিরামিড, ব্যবিলনের ঝুলন্ত বাগান, আইফেল টাওয়ারের মতো স্থাপনার রেপ্লিকার পাশে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে এই তাজ অ্যারাবিয়া। ২০০৫ সালে প্রায় ৩৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়নির্ধারিত এই ফ্যালকন সিটি অব ওন্ডারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ব্যয়বহুল এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান লিংক গ্লোবালের সূত্রমতে, তাজমহলের এই নকল স্থাপনাটি ব্যবহার করা হবে হোটেলের জন্য। এরই মধ্যে ৩০০ কক্ষবিশিষ্ট তাজ অ্যারাবিয়া পরিচালনার জন্য হোটেল পরিচালকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে লিংক গ্লোবাল।
লিংক গ্লোবালের পরিচালক অরুণ মেহরা সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এরই মধ্যে তিন-চারটি হোটেল পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা এখানে সবচেয়ে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে চাই।’
তাজমহল ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ায় নতুন এই ‘তাজমহল’-এও অনেকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন বলে অনুমান করছে লিংক গ্লোবাল। তাই এখানে স্বর্ণ ও অলংকার ব্যবসায়ীরা সাফল্য অর্জন করতে পারবেন বলে বিশ্বাস এই প্রতিষ্ঠানের। সৌদি আরবের শীর্ষ অলংকার ব্যবসায়ীরা এখানে দোকানের জায়গা পাওয়ার জন্য বিপুল আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানিয়েছেন অরুণ মেহরা। তিনি বলেছেন, ‘তাজমহলকে ঘিরে আমরা একটা প্রেম ও বিয়ের আবহ রাখতে চাই। দুবাইয়ের স্বর্ণ ও অলংকার ব্যবসা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কাজেই সেই বিবেচনায় এখানে সেই ধরনের দোকান রাখা হবে।’
২০১৪ সালের মাঝামাঝি তাজ অ্যারাবিয়ার নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

0 comments:

Post a Comment