নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নির্দেশনা – রাফি
সূচনাঃ
বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং একটি আলোচিত বিষয়, তাই অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন, কিন্তু তারা সঠিক গাইড লাইন বা তথ্যের অভাবে সঠিক ভাবে আগাতে পারেনা বা সঠিক লক্ষে পোঁছাতে পারেনা।
তাই, আমি আজ নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একেবারে শুরু থেকেই পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো এবং আপনাদেরকে সঠিক গাইডলাইন বা তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবো। অর্থাৎ, একেবারেই শুরু থেকে যেমন- ফ্রিল্যান্সিং কি, আউটসোর্সসিং কি, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস কি, মার্কেট প্লেসে কোন ধরনের কাজ পাওয়া যায় বা কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি, মার্কেট প্লেসে কিভাবে কাজ পাবো, কিভাবে টাকা হাতে পাবো, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ, ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে হলে কি কি করতে হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমি নিচে আলোচনা করছিঃ
সকল ধরনের পেশাজীবিদের একটা আলাদা আলাদা নাম আছে, যেমনঃ যারা ব্যবসা করেন তারা হলেন ব্যবসায়ী, যারা চাকুরী করে তারা হলেন চাকুরীজিবী, আবার যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা হলেন মৎস্যজীবি, সব ধরনের পেশাতেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর অবশ্যই জানতে হয় এবং সেই ধরনের কাজের উপর কর্মক্ষম হতে হয় ।
ফ্রিল্যান্সিং শব্দের বাংলা অর্থ হল ”’মুক্তপেশা”’। ফ্রিল্যান্সিং বলতে বাঁধাধরা কোন নিয়ম মেনে চাকরি না করে নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী বা মু্ক্তভাবে কাজ করাকে বুঝায়। যারা এ ধরণের কাজ করে থাকেন তাদেরকে বলা হয় “মুক্তপেশাজীবী” বা ফ্রিল্যান্সার ।
মুক্তপেশাজীবি বা ফ্রিল্যান্সারদের রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারণের স্বাধীনতা, যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা, গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সাররা স্বীমাবদ্ধ নয়। তাছাড়া, একজন ফ্রিল্যান্সার কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবী হিসেবে নয়, কাজের ধরণ বা প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী স্বল্পকালীন চুক্তিতে কাজ করে থাকেন।
সহজ কথায় বলা যায় যে, গতানুগতিক চাকরির বাইরে নিজের পছন্দমত বা স্বাধীনভাবে কাজ করার নামই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং , এবং যারা এ ধরনের কাজ গুলো করে থাকেন তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার ।
যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাঁর নিজের বা প্রতিষ্ঠানের কাজ ইন-হাউজ না করে তৃতীয় কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সাহায্যে করিয়ে নেয় তখন সেটিই হল আউটসোর্সিং। এই কাজ হতে পারে কোনো প্রকল্পের অংশ বিশেষ কিংবা সমগ্র প্রকল্প।
কেন কম্পানি বা প্রতিষ্ঠান গুলো আউটসোর্সিং করায়ঃ
আউটসোর্সিং এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কাজটি অন্য কোন মাদ্ধমে সম্পন্ন করা । আর তাই, উন্নত দেশের ব্যবসায়ীরা আউটসোর্সিং এর মাদ্ধমে তাঁদের ব্যবসা পরিচালনার খরচ অনেকাংশে কমিয়ে নিচ্ছেন। তাছাড়া, অনেক সময় দেখা যায় যে পর্যাপ্ত সময়, শ্রম অথবা প্রযুক্তির অভাবেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিং করিয়ে থাকে।
ধরুন, আমেরিকার একজন ওয়েব ডেভেলপার এর গড় বেতন হল ৫০ হাজার ডলার, কিন্তু বাংলাদেশী কোন ওয়েব ডেভেলপারকে এই কাজটি সর্বাধিক ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার দিয়ে করিয়ে নেয়া সম্ভব। তাহলে এখন হিসাব করুন, আউটসোর্সিংয়ের এর মাদ্ধমে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে কম পারিশ্রমিকের মাধ্যমে কিভাবে কাজ করিয়ে নিচ্ছে উন্নত দেশের ব্যবসায়ীরা ।
আউটসোর্সিং এবং ফ্রিলান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য-
আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং শব্দ দুটি আমরা একই জিনিস বুঝলেও, অর্থগত দিক থেকে এদের পার্থক্য রয়েছে, সংক্ষিপ্তভাবে নিচে তা আলোচনা করা হলঃ-
আউটসোর্সিং হল নিজের বা নিজ প্রতিষ্ঠানের কাজ গুলো নিজে বা নিজ প্রতিষ্ঠানের কাউকে দিয়ে না করিয়ে তৃতীয় পক্ষের মাদ্ধমে করিয়ে নেয়া।
আর, ফ্রিল্যান্সাররাই হল ওইসব তৃতীয় পক্ষ, যারা অন্যের কাজ গুলো কাজের ধরণ বা প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী স্বল্পকালীন চুক্তিতে কাজটি করে থাকেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য বা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে কি কি যোগ্যতা বা দক্ষতার প্রয়োজনঃ
সর্বস্থর এর মানুষই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে, এতে নারী-পুরুষের কোন ভেদাভেদ নেই, কিংবা বয়সেরও কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তাছাড়া, ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন ডিগ্রি বা একাডেমীক সার্টিফিকেট এর ও প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিষয় বা কাজের উপর অর্থাৎ, আপনি যে কাজটি করবেন সে কাজের উপর আপনার যথাযথ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। তাছাড়া আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার, ইন্টারনেট, এবং বিভিন্ন অনলাইন কমিউনিকেশন সিস্টেম যেমন- স্কাইপ ইত্যাদি সম্পর্কে বেসিক ধারনা এবং অবশ্যই ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষ হতে হবে। কারন, আপনি যখন আপনার ক্লায়েন্ট এর সাথে স্কাইপ বা অন্য কোন কমিউনিকেশন সিস্টেম এর মাদ্ধমে যোগাযোগ করবেন তখন কিন্তু আপনাকে ইংরেজিতেই কমিউনিকেশন করতে হবে। তাছাড়া, আপনার টাইপিং স্পীড ও কিন্তু ভালো হওয়া চাই।
১. ভালো কনফিগারেশনের একটি ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ কম্পিউটার ।
২. ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ ।
৩. কাজ করার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ ।
৪. কাজ শিখা ও শিখার পর অনুশীলন করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ।
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ -
প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এই সময়ে বলা হচ্ছে, আগামীতে আয়ের বড় উৎস এবং কর্মসংস্থানের একটি বৃহৎ সেক্টর হবে ফ্রিল্যান্সিং । একসময় আমরা কম্পিউটার কি তা জানতাম না, ঠিক ভাবে মাউস ও ধরতে পারতাম না, ইন্টারনেটের প্রকৃত ব্যাবহার সম্পর্কে জানতাম না, কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আজ সেই আমরাই কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যাবহার এর মাধ্যমে ফ্রিলান্সিং করে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছি।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান পূর্বের চেয়ে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। ফ্রিলাঞ্চিং মার্কেট প্লেস “ওডেস্কের” সম্প্রিতিক এক জরিপে প্রকাশ করা হয় যে, সাইটটিতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারের হিসাব অনুযায়ী আমরা বিশ্বব্যাপী তৃতীয় অবস্থানে রয়েছি।
কিন্তু ২০০৯ সালেও ওডেস্কের মোট কাজের মাত্র ২ শতাংশ কাজ করতে পেরেছিল বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা । পরবর্তীতে, ২০১২ সালে অর্থাৎ মাত্র তিন বছরেই ওডেস্কে বাংলাদেশ শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে, এবং ওডেস্কের মোট কাজের ১০ শতাংশ কাজই বাংলাদেশিরা সম্পন্ন করেছিল। তাছাড়া, বর্তমানে (১৩-২০১৪ সাল) ওডেস্কের মোট কাজের ১২-১৫ শতাংশ কাজই বাংলাদেশিরা সম্পন্ন করছে। [সুত্রঃ ইন্টারনেট]
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের সম্পর্কে ওডেস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড এন্টারপ্রাইস “ম্যাট কুপার” জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা খুব ভালো কাজ করছেন এবং তাঁদের দ্রুতই উন্নতি হচ্ছে। [সুত্রঃ ইন্টারনেট]
শুধু ওডেস্কে ই নয়, জনপ্রিয় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসেই বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা ভালো রেটে কাজ করছে এবং প্রতি মাসেই হাজার হাজার ডলার দেশে আনছে। এছাড়া, ওডেস্ক সহ প্রতিটা জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেই আমাদের অবস্থান তৃতীয় থেকে পঞ্চমের মধ্যে রয়েছে ।
বাংলাদেশের ওভারঅল অবস্থান নিয়ে বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আমরা সাধারণ ডাটা এন্ট্রির কাজ থেকে শুরু করে উচু মানের বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজেও বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছি। বর্তমানে দেশের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার তরুণ মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে।
যেসব কারনে ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশ এখনো কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেঃ
ইন্টারনেটের ধীর গতি, উচ্চমূল্যের ইন্টারনেট সেবা, ঘনঘন লোডশেডিং সমস্যা, প্রযুক্তি পন্যের অধিক দাম, আইটি সম্পর্কে আমরা এখনও যথেষ্ট পরিমানে অজ্ঞ, বাহিরে থেকে টাকা দেশে আনতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং জগতে অন্যান্য দেশ গুলোর মত দ্রত গতিতে এগোতে পারছে না।
চাকুরীঃ
বর্তমানে আমাদের দেশে চাকুরী পাওয়াটা ঠিক “সোনার হরিন” পাওয়ার মত। কারন, যথাযত যোগ্যতা থাকার পরও আমাদেরকে একটি ভালো মানের চাকুরী পেতে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে। একটি নুন্যতম বেতনের সরকারী চাকুরী পেতে হলে আমাদেরকে হয় ঘুষ দিতে হয়, আবার না হয় মামা, খালু বা আত্মীয়-স্বজনদের মেনেজ করে চাকরি পেতে হয়। তাছাড়া,চাকরি পাবার পরও কিন্তু নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদেরকে, যেমনঃ গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে স্বীমাবদ্ধ থাকা, বসের কথা মত চলতে হবে অর্থাৎ নিজস্ব কোন স্বাধীনতা থাকছে না, প্রাথমিক অবস্থায় কম বেতন পাওয়া, যাতায়ত সমস্যা, ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদেরকে ।
ফ্রিল্যান্সিং:
ফ্রিল্যান্সিং মানেই মুক্ত পেশা । ফ্রিল্যান্সারদের রয়েছে নিজের ইচ্ছেমত কাজ করার স্বাধীনতা, গতানুগতিক ৯টা-৫টা অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সাররা স্বীমাবদ্ধ নয়, ফ্রিল্যান্সারদের কোন বস নেই এখানে ফ্রিল্যান্সাররা নিজেই নিজের বস। তাছাড়া, কাজ বা যোগ্যতা এবং দক্ষতা ভেদে একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক ইনকাম হতে পারে আকাশছোঁয়া ।
১। সময়ের স্বাধীনতা ।
২। স্থানগত স্বাধীনতা।
৩। নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করার স্বাধীনতা।
৪। নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজের রেট বা মূল্য নির্ধারণের স্বাধীনতা ।
৫। কোন নিদ্রিস্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে একই সাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবিধা।
৬। এককভাবে কাজ করার পাশাপাশি দলগত ভাবে কাজ করার সুবিধা।
ফ্রিল্যান্সিং এ যেমন নানা ধরনের সুবিধা রয়েছে, তেমনি আবার ফ্রিল্যান্সিং এ নানা ধরনের অসুবিধা ও রয়েছে। তবে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার মধ্যে অন্যতম অসুবিধা হল “স্বাস্থ্যগত সমস্যা”,আমি সেগুলো নিয়েই নিচে বিস্তারিত আলোচনা করছিঃ
২। ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকার ফলে কোমরে দীর্ঘ স্থায়ী বেদনার সৃষ্টি হতে পারে।
৩। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের স্ক্রিনের সামনে বসে থাকার ফলে চোখের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
৪। দিনের বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারের সামনে বা একলা ঘরে থাকতে হয় বলে একাকীত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে, এবং এই একাকীত্ববোধ থেকে আবার বিষন্নতারও সৃষ্টি হতে পারে।
৫। বেশির ভাগ সময় বাসায় থাকার কারনে ফ্রিল্যান্সারদের রোদের সামনে খুব একটা যাওয়া হয় না, যার ফলে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব দেখা দিতে পারে।
৬। বেশির ভাগ সময় রাত জেগে কাজ করতে হয় বলে ঘুমের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুণ যেমনঃ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, হাঁটাহাঁটি করা ইত্যাদি, কাজ করার পাশাপাশি মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিন, সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘুরতে বের হন, একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে না থেকে নিয়ম করে কিছুক্ষন পরপর হাঁটাচলা করুণ, কম্পিউটারের মনিটরের থেকে নিদ্রিস্ট দূরত্বে থাকুন এবং মনিটরের আলো কিছুটা কমিয়ে রাখতে পারেন এর ফলে চোখের সমস্যা কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব হবে, মাঝে মাঝে রোদে হাঁটাচলা করতে পারেন, যার ফলে ভিটামিন ডি-র অভাব প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করুণ, তাহলেই এ সকল স্বাস্থ্যগত সমস্যা গুলো অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
নতুন অবস্থায় আপনারা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি যতটুকু সহজ মনে করছেন আসলে তা কিন্তু ততটুকু সহজ নয়। শুধু কম্পিউটারের সামনে বসে থাকবেন,আর মাসে মাসে আপনার অ্যাকাউন্ট এ ডলার জমা হবে, এমনটি নয় কিন্তু। ফ্রিলাঞ্চিং করার জন্য আপনাকে প্রচুর ধর্যের অধিকারী হতে হবে, কাজ শিখা এবং অনুশীলন করার জন্য পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করতে হবে, কাজের প্রতি প্রবল মনোযোগী হতে হবে,আগে কাজ শিখে দক্ষতা অর্জন করা এবং তারপর টাকা ইনকামের চিন্তা ভাবনা করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিশ্রমী হতে হবে। সুতরাং, আপনারা যদি এসব নিয়ম-কানুন গুলো মেনে চলেন বা অনুসরণ করেন তাহলে অবশ্যই ফ্রিলান্সিং এ সাফল্য আপনার জন্য অনিবার্য ।
আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব, সুবিধা, এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আরও কিছু বাস্তব ধারনা পেতে নিচের লিংকটিতে ভিজিট করুণ, সেখানে দেখুন ফ্রিল্যান্সিং এ সফল ব্যাক্তিরা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কি বলছেন-
আমার সংক্ষিপ্ত টিউনটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। RRF এর টেক ব্লগে আমার পরবর্তী টিউন গুলো পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই আজকের টিউনটি শেষ করছি ।