Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Saturday, April 13, 2013

ফল ভেজাল কারবারিদের পোয়াবারো

রাজনৈতিক অস্থিরতায় ফল ভেজাল কারবারিদের পোয়াবারো
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক ইনকিলাব : রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভেজাল কারবারীদের পোয়াবারো। একদিকে, ভেজালবিরোধী অভিযান স্থবির। অন্যদিকে, র‌্যাব পুলিশ ব্যস্ত রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবেলা করতে। সব মিলে ভেজাল কারবারীদের অপকর্ম দেখার যেনো কেউ নেই। ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া গেলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলেই অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছে। বিএসটিআই’র একজন কর্মকর্তা জানান, এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য শুক্র ও শনিবারে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সেটাও বাস্তবায়ন করা যায় নি। এ অবস্থায় ভেজালের দাপটে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আসছে মৌসুমে ফরমালিনসহ বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত ফলে বাজার ছেয়ে যাবে সে আতঙ্ক রয়েছে অনেকের মধ্যেই। ইতোমধ্যে কেমিক্যাল মিশ্রিত দেশি তরমুজে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। বাজারে উঠেছে কেমিক্যাল মিশ্রিত ভারতের আম। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো। বিএসটিআই’র একজন কর্মকর্তা জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে রাজধানীতে ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। শনিবার থেকে অভিযান শুরু হতে পারে বলে তিনি আভাস দিয়েছেন।  
প্রতি বছরই ভেজালবিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। কিন্তু ভেজালকারীরা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গত কয়েক বছরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরেও ভেজাল সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা খোঁজ খবর রাখছেন কবে থেকে অভিযান পরিচালিত হয়।  ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফলে ভেজাল দেয়ার মতো জঘন্য কাজটি যারা করেন তারা সবাই এর আগে কোন না কোনভাবে ভেজালবিরোধী অভিযানে ধরা পড়েছেন। জেল খেটেছেন, জরিমানা দিয়েছেন। দীর্ঘদির ধরে যারা এ কাজটি করছেন তাদের সবাই প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। ভেজাল কারবারী করে কেউ কেউ এখন কোটিপতি। ভেজালবিরোধী অভিযান টিমের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছরই মৌসুম এলে ভেজালবিরোধী অভিযানে ঘুরে ফিরে তারাই ধরা পড়ে যারা আগেও ধরা পড়েছে, জরিমানা দিয়েছে অথবা জেল খেটেছে। এজন্য ভেজালবিরোধী আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়া উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, তা না হলে এভাবে অভিযান চলতে থাকবে, পাশাপাশি অপরাধীরাও অপরাধ করেই যাবে। জানা গেছে, ভেজালকারবারী করে যারা আলোচিত তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বাদামতলীর সাধন বাবু, নারায়ণ, টিটু, রাজ্জাক, কাল্লু, করিম হাজী, দিলু চেয়ারম্যান, তোতলা বাবুল, মিন্টু, শওকতসহ অনেকেই। ওয়াইজঘাটের জাহাঙ্গীর, সুমন, দেলোয়ার, হালিম ও এমদাদুল। যাত্রাবাড়ীর মোক্তার, মান্নান, বাবুল, আমীর, খোকন, চান্দু বাবুল, আলমসহ বেশ কয়েকজন। জোট সরকারের আমলে ম্যাজিস্ট্রেট রোকন-উদ-দৌলার নেতৃত্বাধীন মোবাইল কোর্ট যাত্রাবাড়ীর মোক্তারের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে কেমিক্যাল মিশ্রিত ৪শ’ মণ আম ও ৫০ কেজি ক্যালসিয়াম কার্বাইড উদ্ধার করেছিল। সেই মোক্তার এবারও সক্রিয়। ভোজলবিরোধী অভিযানের জন্য দেশের সবচে আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট রোকন-উদ-দৌলা। তিনিই প্রথম এ অভিযান শুরু করে দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা পরিচিত লাভ করেন। বর্তমানে তিনি রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট। রোকন-উদ-দৌলার পর ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে জনপ্রিয়তা পান ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল-আমীন। বর্তমানে তিনি দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এই দুজনের পরে কেউই আর ভেজালবিরোধী অভিযান সেভাবে জোরদার করতে পারেন নি। আলাপকালে কয়েকজন ক্রেতা জানান, ফলের মৌসুম এলেই তারা কেমিক্যাল আতঙ্কে ভোগেন। কেমিক্যাল মিশ্রিত ফল কিনতেও ইচ্ছা করে না, আবার না কিনেও উপায় নেই। এজন্য তারা ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার করার দাবি জানান।
সংগৃহীত - দৈনিক ইনকিলাব,
রোববার, ১৪ এপ্রিল ২০১৩

Tuesday, April 2, 2013

জাতিকে বিষ খাওয়াবেন না

জাতিকে বিষ খাওয়াবেন না
ফলমূলে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে উঠার পরও ব্যবসায়ীরা রাসায়নিকের ব্যবহার বাড়িয়েই চলেছেন। আমদানীকৃত ফলমূলের পাশাপাশি দেশীয় মওসুমী ফলেও ব্যাপক হারে রাসায়নিক ব্যবহৃত হচ্ছে। গতকাল ইনকিলাবে প্রকাশিত এক  সংবাদে দেশী তরমুজে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের তথ্য জানা যায়। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী দেশে উৎপাদিত মওসুমী ফল পাকাতে এবং দীর্ঘদিন তাজা রাখতে ফরমালিন, বিল্ডর, ভলুম পাস, তিতো, অ্যাডমার ইত্যাদি নামের রাসায়নিক ব্যবহার করছে। দেশী আম বাজারে আসার অনেক আগেই ভারত থেকে আসছে নানা জাতের আম। এসব আমকে পচনমুক্ত রাখতে, রং বাড়াতে ও তরতাজা রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য। এসব রাসায়নিক মিশ্রিত ফল খেয়ে সব বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুরা নানা ধরনের ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কিডনী সমস্যা, ফুসফুস, লিভার ও ত্বকে নানা রকম জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী উপসর্গ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি পাকস্থলির ক্যানসার এবং লাখ লাখ মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অস্বাভাবিকহারে কমে যাওয়ার পেছনে খাদ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিকের বিষক্রিয়াকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রকৃতিগতভাবেই নিজস্ব জীব-বৈচিত্র্য ও জীবনধারার সাথে সাযুজ্যপূর্ণ শস্য, শাক-সব্জি, ভেষজ ও ফলমূল নির্ধারিত হয়ে থাকে। আমাদের খাদ্য চাহিদা পূরণ, খাদ্য-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে উৎপাদিত এসব মওসুমী ফলমূল বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পুষ্টিকর ও মুখরোচক ফলের লোভনীয় স্বাদ পেতে মওসুমের শুরুতে উচ্চমূল্যে ফল কিনে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তারা। খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক ব্যŸহারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পত্র-পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখির সুবাদে এক সময় বাজারে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন সকল শ্রেণীর মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে ভেজাল বিরোধী অভিযান অনেকটা নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন অবাধে খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক মেশানোর অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এতদিন আমদানীকৃত বিদেশী  ফলে পচনরোধী ফরমালিন, কার্বাইড ব্যবহারের কথা শোনা গেলেও এখন দেশীয় তরমুজেও নানা রকম রাসায়নিক ব্যবহারের তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। অর্থাৎ বাজারে আসা কোন ফলই এখন বিষাক্ত রাসায়নিকের দূষণ থেকে মুক্ত নয়। সাধারণ ক্রেতারা মওসুমী ফলের স্বাদ নিতে অনেক দাম দিয়ে ফল কিনে প্রতারিত ও সপরিবারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। বাজার কমিটির উদ্যোগে ইতিপূর্বে রাজধানীতে কয়েকটি বাজারকে ফরমালিনমুক্ত ঘোষণা করে সেখানে ফরমালিন পরীক্ষার যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছিল। এ ব্যবস্থাও আর এখন কার্যকর নেই।
আঙ্গুর, আপেল, কলা, কমলা, মাল্টা, তরমুজ, বাঙ্গি, আম, লিচু ইত্যাদি দেশী-বিদেশী ফল আমাদের দেশে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং রোগীর পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। এখন সময়ের পরিবর্তনে বাজারে বিক্রি হওয়া এসব ফল সচেতন মহল সযতে পরিহার করতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রাকৃতিক, রসালো ফলমূলের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত ফল খেয়ে নানাবিধ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার চেয়ে তা বর্জন করাই শ্রেয়। আমদানীকৃত ও দেশীয় ফল ছাড়াও মাছ, গোশত, দুধ, ডিম, শাক-সব্জিসহ বাজারের প্রতিটি প্রতিটি খাদ্যপণ্যই ভেজাল ও রাসায়নিক দূষণের শিকার হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার দুর্বলতা ও প্রয়োজনীয় নজরদারীর অভাবে ভেজাল ও দূষণকারীরা অবাধে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র অভিযান চালিয়ে বা দু’ চারটা বাজারে ফরমালিন শনাক্তকরণ যন্ত্র বসিয়ে এ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা হয়তো সম্ভব নয়। এ জন্য প্রথমতঃ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি খাদ্যপণ্য উৎপাদক ও বাজারজাতকারীদের নৈতিক জাগরণ প্রয়োজন। সর্বসাধারণের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ফল সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বিষাক্ত ফলমূল খেয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে জনগণকে রক্ষা করা। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলেও জাতিকে বিষ খাওয়াবেন না, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি এটা আমাদের বিশেষ অনুরোধ।
সংগৃহীত - দৈনিক ইনকেলাব, তাং - ০৩/০৪/১৩ ইং।

পণ্য কিনে প্রতারিত হলে কী করবেন?

পণ্য কিনে প্রতারিত হলে কী করবেন?

বাজারে কিনতে গেছেন পণ্য। কোনো না কোনোভাবে আপনি প্রতারিত হলেন। কিন্তু কাকে জানাবেন সেই অভিযোগ? চিন্তার কারণ নেই। আপনার সমস্যার সমাধানে আছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯। 

পণ্য কেনার আগে যাচাই করে নিন। নইলে প্রতারিত হতে পারেন।
পণ্য কেনার আগে যাচাই করে নিন। নইলে প্রতারিত হতে পারেন।
ছবি: অধুনা


কী কী কারণে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন
যেসব কারণে আইনের শরণাপন্ন হতে পারেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—
 বিক্রেতা যদি পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করে
 মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা
 সেবার তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা
 অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা, ভেজাল পণ্য বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উত্পাদন
 মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রতারণা
 প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ না করা
 ওজনে ও পরিমাপে কারচুপি
 দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে গজ-ফিতায় কারচুপি
 নকল পণ্য প্রস্তুত 
 মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়। 

কীভাবে নেবেন আইনের আশ্রয়
ভোক্তা অধিকার রক্ষার জন্য রয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কারণগুলোর মধ্যে যেকোনো একটির কারণে আপনি যেদিন প্রতারণার শিকার হবেন সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ফ্যাক্স ও ই-মেইল (যদি থাকে) উল্লেখ করে এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ঢাকার কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে অবস্থিত) মহাপরিচালক কিংবা অধিদপ্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন না করলে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এই আইনের অধীনে আদালতে সরাসরি কোনো মামলা যায় না। আপনার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তসাপেক্ষ মামলা শুধু ভোক্তা অধিদপ্তর করতে পারবে। ঢাকা জেলার বাইরে এবং যেসব জেলায় অধিদপ্তরের শাখা নেই সেসব জেলায় এই আইনে মহাপরিচালককে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর ন্যস্ত থাকবে। আপনার ক্ষতি যদি আর্থিক মূল্যে নিরূপণযোগ্য হয়, তবে ক্ষতিপূরণ দাবি করেও যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করতে পারবেন। আদালত ক্ষতিপূরণ প্রদান ছাড়াও পণ্যের প্রতিস্থাপন বা ফেরত দিয়ে পণ্যের দাম ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া অভিযোগ করার পর তদন্তে অভিযোগটি প্রমাণিত হলে জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে, তার শতকরা ২৫ ভাগ টাকা আপনি পাবেন। এ ছাড়া তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে প্রত্যেক ভোক্তার তাঁর সেবা সম্পর্কে জানার অধিকার রয়েছে। 

শাস্তি
এসব অপরাধের শাস্তি অনূর্ধ্ব তিন বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে দণ্ডিত ব্যক্তি একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে তিনি বর্ণিত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আকরামুল ইসলাম |  লেখক: মানবাধিকারকর্মী
দৈনিক প্রথম আলো থেকে সংগৃহিত, তারিখ: ০৩-০৪-২০১৩

Monday, April 1, 2013

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ভর্তি হতে চাইলে যা জানা আবশ্যক

যারা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ভর্তি হতে চাও, জানতে চাও বা জানার আগ্রহ আমার এই টিউন তাদের জন্য।

জিহাদ বক্সস, টেকটিউন থেকে সংগৃহিত, 
লিঙ্ক - [ http://www.techtunes.com.bd/edutunes/tune-id/197163]


Hello everybody সবাই কেমন আছেন । সবাই ভাল থাকার জন্য দুওয়া করি। আমি আজ আপনাদেরকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি সর্ম্পকে মোটামোটি একটা দারনা দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে আমার বিশ্বাস যে আমার এই টিউনটি পড়ার পর আপনি কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবেন। তা মোটামোটি ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। যাক আর কতা না বাড়িয়ে কাজের কতায় আসি।
  • আমি প্রথমে প্রাইভেট ইউনিভের্সিটি গুলোকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করব। আমার মতে তিনটি শ্রেণীর ইউনিভার্সিটি নিম্নে বলছি।
1.      প্রথম শ্রেণী ইউনিভার্সিটি





2.      দ্বিতীয় শ্রেণী ইউনিভার্সিটি
3.      তৃতীয় শ্রেণী ইউনিভার্সিটি

  • আপনি BBA ,English ইত্যাদি বিষয় পড়ার জন্য যে কোন শ্রেণীর ইউনিভার্সিটি পচন্দ করতে পারেন । তবে শ্রেণী বেদে কোর্স ফি টা কম বেসি হবে।

  • যারা Low বা আইন বিষয় পড়বেন তাদের জন্য নিচের এই college বা প্রতিষ্টানে পড়া ভাল। তবে এই গুলোতে পড়তে একটু টাকা বেসি লাগবে(এখানে কয়েকটি প্রতিষ্টান এর নাম দিলাম আরও কয়েকটি আছে) ।
BRITISH SCHOOL OF LAW

             London College Of Legal Studies (South)

             Bhuiyan Academy

Ø  যারা ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পড়া-লেখা করতে চান। তারা দেখবেন যে আপনি যে ইউনিভার্সিটিতে যে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পড়তে সেই বিষয় IEB Membership আছে কি না তাকলে ভাল। যদি না তাকে তা হলে আপনি একটু সমস্যাতে পড়তে পারেন।( যারা IEB বুঝেন ভাল যারা IEB বুঝেন না তাদের জন্য আমি আমার পরবর্তি টিউনে IEB কি, কোন কোন ইউনিভার্সিটির কোন কোন subject  বা বিষয় এর IEB membership আছে, এইটার সুবিদা কি ইত্যাদি নিয়া আলোচনা করব)

Ø  যারা বস্ত্র বিষয়ে (Ex: Textile, Fashion design etc) পড়া-লেখা করতে চান তাদের জন্য নিন্মের এই উনিভার্সিটি মোটামোটি ভাল হবে।



  • উপরে যে ইউনিভার্সিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। তাতে প্রতিটি ইউনিভার্সিটিতে কোন কোর্সে কত ক্রেডিট, কত টাকা, এডমিশন, ঠিকানা, কন্টাক্ট নাম্বার ইত্যাদি তথ্য জানতে পারবেন।

  • তবে আপনাদেরকে আমি একটা কতা বলে রাখি যে উপরে ইউনিভার্সিটি গুলোর শ্রেণী বা ক্লাস এ ভাগ করেছি। তা আমার কাছে যেটা ভাল মনে হয়েছে সেটা করেছি । আপনার যদি এই প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণীর ইউনিভার্সিটির লিস্ট ভাল না লাগে বা এক মত না হন। তা হলে এখানে যোগ, বিয়োগ করতে পারেন। তবে আমার এইটাতে কিছু যোগ, বিয়োগ করার জন্য বলবেন না।

  • আমি সর্বোশেষ একটি কতা বলব যে আপনি ভাল ইউনিভার্সিটি, ভাল বিষয়, ভাল রেজাল্ট করলে যে আপনি ভাল অবস্তানে উঠে যাবেন বা তাকবেন তা সঠিক মনে করবেন না । আমার কতা হচ্ছে যে আপনি ভাল কাজ জানতে হবে, ক্রিয়েটিভ কিছু করতে হবে, সফল কিছু করার চিন্তা তাকতে হবে। তখন আপনি ভাল অবস্তানে উঠে যাবেন বা তাকবেন। তার আমি একটি উদাহরন দিতে পারি আমদের গর্ব বাংলাদেশের একজন মাইক্রোসফট এ জব করে উনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অদিনে একটি কলেজ থেকে সামাজিক বিজ্ঞান নিয়ে অনার্স পাস করেন। বর্তমানে উনি মাইক্রোসফট এ জব করছেন। উনাকে নিয়ে একবার চিন্তা করেন। তার মানে আপনি তৃতীয় শ্রেণীর ইউনিভার্সিটিতে পড়ে যে কিছু করতে পারবে না তা নয়।