Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Wednesday, January 30, 2013

ফরমালিনমুক্ত বাজারের নামে প্রতারণা


ফরমালিনমুক্ত বাজারের নামে প্রতারণা
রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার আনুষ্ঠানিকভাবে ফরমালিনমুক্ত ঘোষণা করা হলেও এসব বাজার এখনও ফরমালিনে সয়লাব।







 সমকালের বিশেষ অনুসন্ধানে ফরমালিনমুক্ত আদর্শ বাজারগুলোর ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ফরমাল ডিহাইড্রেড মেশিন নিয়ে কয়েকটি বাজারে পণ্য পরীক্ষা করা হলে অধিকাংশতেই ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শুধু মালিবাগ ছাড়া ফরমালিনমুক্ত ঘোষিত বাজারগুলোতে নিয়মিত ফরমালিন পরীক্ষাও করা হয় না। গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর কাপ্তানবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান ময়নাসহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়। তখন বেশির ভাগ দোকানের মাছে ফরমালিন পাওয়া যায়। ১৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে মাছ পরীক্ষা করা হলে একইভাবে ফরমালিন ধরা পড়ে। 
  গতকাল সোমবার মহাখালী কাঁচাবাজারে ফল পরীক্ষায় ধরা পড়ে ফরমালিন। ক্রেতাদের অভিযোগ, এসব বাজারে নিয়মিত ফরমালিন পরীক্ষার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। ফলে আগের মতোই ফরমালিনযুক্ত পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন তারা। 
ফরমালিনমুক্ত ঘোষিত রাজধানীর সাতটি কাঁচাবাজারে সমকালের উদ্যোগে অনুসন্ধান চালানো হয়। এ সময় বাজারগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে পণ্য পরীক্ষা করা হয়। বাজারগুলো হচ্ছে_ কাপ্তানবাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল, মহাখালী, মালিবাগ, শান্তিনগর, গুলশান ও মিরপুরের শাহআলী। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর টাউন হল ও মহাখালী বাজারের কয়েকটি দোকানের ফল ও মাছে ফরমালিন পাওয়া যায়। কাপ্তানবাজারের সব মাছের দোকানে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই বাজার তিনটিতে সর্বনিম্ন দশমিক ২০ পার্ট পার মিলিয়ন (পিপিএম) থেকে ৪১ পিপিএম মাত্রায় ফরমালিন শনাক্ত করা হয়। এতে বিব্রত বোধ করেন ব্যবসায়ী নেতারা। তবে পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত টেকনিশিয়ানদের কেউ কেউ বলেন, দশমিক ৯৯ পিপিএম পর্যন্ত ফরমালিন সহনীয়। আবার ফুড অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, খাদ্যপণ্যে কোনো মাত্রার ফরমালিনই গ্রহণযোগ্য নয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ফরমালিনমুক্ত রাখতে পরীক্ষা করে পণ্য বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও তা বেশির ভাগ সময়ে হচ্ছে না। ঘোষণার কথা শুনে এসব বাজারে ফরমালিনমুক্ত পণ্য কিনতে ভিড় জমান ভোক্তারা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের অবহেলার কারণে ভোক্তাদের প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। 

চাকরী দাও ! আমি কিভাবে চাকরি পাব ?

চাকরি খুঁজো না, চাকরি দাও , আমি কি ভাবে চাকরি পাব!

 

মালয়েশিয়ায় পামবাগানে শ্রমিক যেতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে। প্রতি মাসে বেতন বাংলাদেশি টাকায় ২৫ হাজার। ৩০ হাজার কর্মীর জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ১৫ লাখ কর্মপ্রত্যাশী। এর আগে গত বছরে চার হাজার ৬০০ সরকারি চাকরির জন্য বিসিএস পরীক্ষার আবেদন করেছেন মাত্র এক লাখ ৯১ হাজার চাকরিপ্রত্যাশী। উভয় ক্ষেত্রে সাফল্যের দেখা পাবেন খুবই কমসংখ্যক প্রাথী। অবশিষ্ট প্রার্থীদের হয় পরের বারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, নতুবা বেকারত্বের ঘানি টেনে নিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশে এখন বেকার বা ছদ্মবেকারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এর চেয়ে জরুরি হলো, বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ কর্মপ্রত্যাশী কর্মবাজারে আসেন। আমরা শুনেছি, সরকারি আর আধা সরকারি মিলে আমাদের মোট চাকরির সংখ্যাই নাকি ১৫ লাখ! ইচ্ছা করলেই সরকার এই পদের সংখ্যা কয়েক শ গুণ বাড়াতে পারবে না। তাহলে ২০-২১ সালে আমরা যে পরিবারপ্রতি কমপক্ষে একজনের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখছি, সেটি কীভাবে পূরণ হবে? নাকি এটি সোনার হরিণই থেকে যাবে?
আমাদের দেশে আমরা কি বড় আকারের শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে পারব দ্রুত গতিতে, কাঙ্ক্ষিত গতিতে; বলা মুশকিল। তবে, বড় আকারের বেসরকারি সংস্থাও কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের কর্মসংস্থানের চূড়ান্ত সমাধান নয়। যেমন: আজ প্রায় ৬০ বছর ধরে ওষুধ, আবাস ও হাসপাতালশিল্পে কাজ করছে, এমন একটি শিল্প-পরিবার এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল কোম্পানিতে কর্মীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি নয়। সাধারণভাবে বলা যায়, প্রচলিত পদ্ধতিতে আমাদের কর্মসংস্থান সমস্যার সমাধান নেই।
অন্যদিকে, কয়েক বছর ধরে আমরা একটি বিশেষ ঘটনা প্রত্যক্ষ করছি ইন্টারনেটের বদৌলতে। একটি কম্পিউটার আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই এখন একজন শিক্ষিত ব্যক্তি নিজেই স্বতন্ত্র উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা একটু তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন, তাঁরা তো অনেকখানি এগিয়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশের লাখ খানেক তরুণ-তরুণী এখন ইন্টারনেটে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করছেন। বছর চারেক আগে, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক থেকে আমরা যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে এই পেশার পক্ষে প্রচারণা চালাতে শুরু করি, তখন হাতেগোনা কয়েকজন তরুণ এই ডলার-রাজ্যের খোঁজ রাখতেন। এখন জানলাম, এই মুহূর্তে ইন্টারনেটের জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস এডেস্ক ডট কমে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশের কর্মী রেজিস্ট্রেশন করেছেন; যদিও সবাই এখনো সেভাবে কাজ পাচ্ছেন না। তবে, একটি খুবই রক্ষণশীল হিসাব। ২০১২ সালেই আমাদের এই তরুণ কর্মী বাহিনী প্রতিদিন এক কোটি ডলার আয় করেছেন! ইন্টারনেট যে কেবল স্বতন্ত্র উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে তা নয়, এটি প্রায় সবার জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
কাজে কেবল স্বতন্ত্র ও মুক্ত উদ্যোক্তা নয়, সুযোগ এসেছে দেশে উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তাবান্ধব একটি পরিবেশ সৃষ্টি করার। আর এ ক্ষেত্রে সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এভাবে যাঁরা নিজেদের বৈশ্বিক গ্রামের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলবেন, তাঁরা কখনোই ‘চাকরি জাতীয়করণের জন্য পুলিশের সঙ্গে লাঠালাঠি করতে যাবেন না’।
তবে, যেভাবেই আমরা বলি না কেন, আমাদের সমাজ এখনো উদ্যোক্তাদের ভালো চোখে দেখে না। অনেকেই মনে করেন, মুনাফা খারাপ। ব্যবসায়ী মাত্রই অসৎ এবং অবৈধভাবে টাকা আয় করেন। আমরা বিল গেটস বা ওয়ারেন বাফেটের গল্প করতে ভালোবাসি, কিন্তু ব্যবসায়ী উদ্যোক্তার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সময় ইতস্তত করি। বিয়ের বাজারে উদ্যোক্তার নিজের চেয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দর ভালো।
আমাদের দেশে উদ্যোক্তা হওয়ার সংস্কৃতি যে গড়ে ওঠেনি, তার একটা কারণ হলো ঔপনিবেশিক শিক্ষা। এই শিক্ষা আমাদের কেরানি বানাতে চেয়েছে এবং সফল হয়েছে। ফলে আমাদের সবার ধ্যানজ্ঞান থাকে চাকরি নামের সোনার হরিণ। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিলেবাস তৈরির সময়ও চাকরির ব্যাপারটি মাথায় রাখা হয়।
আবার উদ্যোক্তাদের মধ্যে সফল হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও রয়েছে দারুণভাবে। আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠানের তীর্থ সিলিকন ভ্যালির সাধারণ প্রতীতি হলো, একটি গুগল পাওয়ার জন্য কমপক্ষে আড়াই হাজার চেষ্টা করতে হয়। আমেরিকার প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নিয়ে কোর্স করানো হয় এবং সেখানকার পড়াশোনাও বেশ ব্যতিক্রমী। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করার পর সবাই নিজে একটা কিছু করার চেষ্টা করেন। কয়েকবার ফেল করার পর তাঁরা চাকরি করতে যান। এসব কারণে সেই দেশে উদ্যোক্তাবান্ধব একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ইসরায়েলেও একই রকম ব্যাপার। ইসরায়েলকে তো বলা হয় স্টার্টআপ নেশন!
আমাদের এখন দরকার দেশে আত্মকর্মসংস্থানের একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলা। কাজটা সহজ হবে না, তবে সেটি মোটেই অসম্ভব নয়।
আমরা যদি আমাদের তরুণদের সুযোগ করে দিতে পারি, তাহলে অনেকখানি এগিয়ে যেতে পারব। তাঁদের ব্যবসা শেখার সুযোগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পরিচর্যাকেন্দ্র গড়ে তার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের জন্য নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে; সেই সঙ্গে দরকার তাঁদের অর্থায়নের ব্যবস্থা নেওয়া।
আমরা নানা খাতে প্রতিবছরই হাজার কোটি টাকা নষ্ট আর অপচয় করি। আগামী অর্থবছরে, অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করব মাত্র ১০ কোটি টাকা এ খাতে দেওয়ার জন্য। এই ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে এক হাজার দলকে, যার প্রতিটিতে তিনজন করে সদস্য থাকবেন। তাঁরা তাঁদের আইডিয়া বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবেন। সরকার ইচ্ছে করলে তদারকির ব্যবস্থা করবে; না করলেও চলবে।
এই দলগুলোর কোনোটি আইটি প্রতিষ্ঠান করবে, কেউ কেউ কাজ করবে কৃষি-বাণিজ্য নিয়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলার জন্য নতুন কিছু বের করার চেষ্টা করবেন অনেকে সদস্য। আবার অনেকে মুক্ত পেশাজীবী হবেন। মাত্র ১০ মাসেই এই তিন হাজার উদ্যোক্তা সারা দেশের তরুণদের জন্য অনেক অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করবেন। তাঁদের দেখানো পথে যাঁরা হাঁটবেন, তাঁদের জন্য সরকারকে তখন কিছুই করতে হবে না।
এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, আমাদের যে ৩৩ লাখ লোক এখন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন, তাঁদের একটি বড় অংশ আমাদের স্বপ্নবাজ তরুণদের পাশে দাঁড়াবেন, এনজেল ইনভেস্টর হবেন এবং তাঁদের কাঁধে হাত দিয়ে বলবেন, ‘চাকরি খুঁজো না, চাকরি দাও।’
সংগৃহীত ঃ মুনির হাসান | তারিখ: ৩১-০১-২০১৩, দৈনিক প্রথম আলো
মুনির হাসান: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।

Thursday, January 24, 2013

আমরা কি খাই, যেই শিম চাষীরা খান না, কেন?

আমরা কি খাই, ক্ষেতের শিম  চাষীরা খান না! কেন?
বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে, নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী (মাসুম) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শিম চাষীরা নিজ ক্ষেতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা শিম না খেয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা ঘরের কোণে অল্প পরিসরে লাগানো গাছের শিম খায়। পোকার আক্রমণ ও পচন থেকে রক্ষার জন্য শিম ক্ষেতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, এই কারণে চাষীরা নিজেরা ওই শিম খাই না বলে জানা গেছে। উপজেলার আয়নাবাজ কালাইয়া গ্রামের রহমান বেপারী (৪৪) এবার ৩০ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেছেন। অথচ বাড়ির একপাশে সামান্য জায়গায় পৃথকভাবে কিছু শিম গাছ লাগিয়েছেন। এ ব্যাপারে রহমান বেপারী বলেন, শিম ক্ষেতে এখন এত বেশি বিষ দেয়া হয় যে খেতেও ভয় লাগে। পরিবারের কেউ এই শিম  খেতে চায় না। তাই বসতভিটার আঙ্গিনার খানিকটা শিম কীটনাশক ছাড়াই চাষ করি, সেগুলোই খাই। আর ক্ষেতের শিম বিক্রি করি। এ বছর শিমের বাজারদর এখনো বেশ ভালো রয়েছে। প্রতি মণ শিমের বর্তমান বাজারদর ৯৬০ টাকা। তাই ফলন বাড়াতে কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহার করছেন তারা। উপজেলার কালাইয়া বন্দরের লঞ্চঘাট এলাকার সবজি চাষী শংকর হাওলাদার বলেন, সবজিতে কোনো পোকা থাকলে কেউ সবজি কিনতে চায় না। কীটনাশক ছিটিয়েও এবার ক্ষেত রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পোকার আক্রমণ নাজেহাল করে তুলেছে। তখন লোকসান গুনতে হয় কৃষকের। তাই বাধ্য হয়েই কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুর রহমান বলেন, যে কোনো ধরনের সবজিতে কীটনাশক প্রয়োগ আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। আইপিএম পদ্ধতিতে পোকা দমনের চেষ্টা করার জন্য কৃষকদের বারবার আমরা বলে আসছি। কিন্তু কৃষকরা কীটনাশকের দিকেই ঝুঁকে পড়েছেন। বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা.মনজুরুল আলম বলেন, কিটনাশক মিশ্রিত সবজি খাওয়ার পর জ-িস, কিডনির সমস্যা, প্যারালাইসিস, পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Monday, January 21, 2013

স্থূলতায় আয়ু কমে!

স্থূলতায় আয়ু কমে!
এমনিতেই মুটিয়ে যাওয়া মানুষ তাদের একটু বাড়তি স্বাস্থ্য নিয়ে নানা রকম ঝক্কিতে ভোগেন। তার উপর এবার বাড়তি দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে স্থূলতার সাথে মানুষের বেঁচে থাকার সম্পর্কের বিষয়টি। মানুষের খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস, শরীরের ওজন এবং বিভিন্ন ওজন বা খাদ্যাভ্যাসের মানুষের গড় আয়ু বিশ্লেষণ করে এমনই একটি আভাস দিয়েছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের দাবী স্থুলতার সাথে অনেকটা হাত ধরাধরি করেই মানুষের শরীরে এসে ভিড় করে হাজারো রোগ। আর এসব রোগই পক্ষান্তরে মানুষের আয়ু কমিয়ে দেওয়া বা বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমায়। বিশেষ করে স্থূলতার সাথে সম্পৃক্ত বা ঝুঁকি তৈরি করা রোগগুলো যেমন বিভিন্ন স্তরের হূদরোগ, ডায়াবেটিস নিদ্রাহীনতা বা শ্বাসকষ্টের মতো অসুখে অনেক মানুষই আয়ু হারাতে পারেন। এ ছাড়া স্থূলতার কারণে ঝুঁকি বাড়ে নানা ধরনের ক্যান্সার ও আর্থাইটিসের মতো রোগেরও। আর এসব কারণে অস্বাভাবিক মুটিয়ে যাওয়া কিংবা শরীরের সাথে মানানসই ওজনের চাইতে বেশি ওজনের অধিকারী ব্যক্তিরা গড়ে ১০ বছর পর্যন্ত কম আয়ুরও অধিকারী হতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো মুটিয়ে যাওয়ার সময় ও ধরন। যারা ভাবেন যে শেষ বয়সে কিংবা জীবনের যেকোনো পর্যায়ে সামান্য একটু মুটিয়ে যাওয়া এমন কোনো ক্ষতিকর বিষয় হয় তাদের সাবধান করে দিয়ে এই গবেষকরা বলেছেন, মাঝে মাঝে সামান্য ওজন বৃদ্ধিই স্থূলতার প্রবণতাকে ক্রমাগত বাড়িয়ে তোলে এবং ক্ষীণ দেহের ব্যক্তিরাও মোটা হতে শুরু করার পক্ষ থেকে নানা রোগে ভুগতে শুরু করেন।

রূপচর্চায় ভেজষের গুনাগুণ

রূপ চরচায় ভেজষের গুনাগুণ...


  • নানা ভেষজের নানা গুণ, ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন এসব। মডেল: সাবিলা
    নানা ভেষজের নানা গুণ, ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন এসব। মডেল: সাবিলা
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানের কদর হয়েছে যুগে যুগে। এখনো রূপসচেতন নারী-পুরুষেরা সৌন্দর্যচর্চায় সবার আগে বেছে নিতে চান ভেষজ বা হারবাল প্যাক। রূপবিশেষজ্ঞদের পছন্দের তালিকায় হারবাল উপাদান সব সময়ই প্রথম। এমন কী গুণ আছে হারবালের? হারমনি স্পার প্রধান রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানার পছন্দের হারবালগুলোতেই না-হয় চোখ বুলিয়ে বুঝে নিন—কেনটির কী গুণ জানিয়ে দিয়েছেন তিনিই।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অ্যালোভেরায় মূলত শাঁস ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বক ও চুল ভালো রাখে, তবে ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করা ঠিক নয়। এর ফলে চুলকানি বা অ্যালার্জি হতে পারে। কোনো উপযুক্ত মাধ্যমের সাহায্যে ব্যবহার করলে অ্যালোভেরা জাদু দেখাতে পারে। শুষ্ক ত্বকে অ্যালোভেরায় দুধ ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো। তৈলাক্ত ত্বকে শুধু মধু যোগ করতে পারেন। চুলে সরাসরি লাগানো যায়। এক ঘণ্টা রাখলে চুল পড়া কমবে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। অ্যালোভেরা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

হরীতকী
আগের দিনে নবজাতকের চোখে হরীতকীর কাজল লাগানো হতো। বিশ্বাস ছিল, এতে করে তার চোখের গঠন সুন্দর হবে, চোখ বড় হবে। ভেষজের মধ্যে হরীতকীর গুরুত্ব অনেক। হরীতকীর ভেজানো নরম শাঁস ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে প্রচুর। ত্রিফলার মধ্যে হরীতকী অন্যতম উপাদান। স্বাস্থ্যের যত্নে এর অবদান নতুন করে কিছু বলার আছে কি?

আমলকী
আমলকীতে সব ধরনের স্বাদ আছে। তাই তো এটি চ্যবনপ্রাসের মূল উপাদান। আমলকী ত্বক ও চুলের যত্নে অসাধারণ। এর আছে অ্যান্টি-এজিং বা বয়স প্রতিরোধক ক্ষমতা। আমলকীর পেস্টের সঙ্গে তিলের তেল মেখে মুখে ঘষলে রিংকল বা বয়সের ভাঁজ কম দেখায়। রিংকল কমাতে আমলকীর ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য আধা কাপ আমলকীর শাঁসের পেস্ট, ২৫০ গ্রাম তিলের তেল, দুই টেবিল-চামচ মৌমাছির মোম প্রথমে চুলায় জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। তারপর ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা হয়ে এলে এক টেবিল-চামচ মধু মেশাতে হবে। এই ক্রিম প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যবহার করতে হবে। 

তুলসী
সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা প্রতিরোধে তুলসীর কোনো তুলনা নেই। একই সঙ্গে এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে। রূপচর্চায় তুলসী মূলত ব্যবহার করা হয় মেছতা তোলার কাজে। এ জন্য প্রতিদিন ২০ মিনিট মেছতার ওপর তুলসী বেটে লাগিয়ে রাখতে হয়। তুলসীর রস প্রতিদিন পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

মেথি
চুলের ও ত্বকের হারবাল উপাদান হিসেবে মেথির কোনো তুলনা নেই। মেথি গুঁড়ো করে ব্রণের ওপর লাগালে ব্রণ কমে। চুল নরম ও ঝলমলে করে। মেথি ভেজানো পানি পান করলে ডায়াবেটিসের রোগীদের উপকার হয়। কারণ, মেথি ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।
সংগৃহীত- দৈনিক প্রথম আলো, খাদিজা ফাল্গুনী | তারিখ: ২২-০১-২০১৩

আপনি কি ১০০ টাকায় ১ জিবি ও ৫০০ টাকায় আনলিমিটেড ইন্টারনেট চান

১০০ টাকায় ১ জিবি ও ৫০০ টাকায় আনলিমিটেড ইন্টারনেট চান ? আমাদের কি করা উচিত।

অনেক দিন ধরে ফেসবুকে , বিভিন্ন ব্লগে ইন্টারনেট এর মুল্য বা ব্যান্ডউইথ এর দাম পরিবরতন এর জন্য ।
কিন্তু ভাল কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নাই , আমাদের সরকার এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ ই নিল না
। কিন্তু এ ভাবে আর কত দিন বিটিসিএল বলেছিল  ইণ্টারনেট এর দাম নাকি কমানো হবে , কিন্তু কই কোন নাম গন্ধ ই নাই ।
একটা ব্যাপার সবাই চিন্তা করুন জখন মোবাইলের কল রেট ছিল ৮ টাকা মিনিট তখন কার সময়ে ইন্টারনেট এর মুল্য আর এখন কল রেট ১০ পয়সা পার সেকেন্ড মানে ৬০ পয়সা  মিনিট এখন কার ইন্টারনেট এর মুল্য একটু খেয়াল করে দেখুন তফাতটা বুঝতে পারবেন ।
তখন কার ব্যান্ডউইথ এর মুল্য ছিল কত আর এখন মাত্র ৮০০০ হাজার টাকা , তার পর ও আমরা এর কোন ফল পাচ্ছি না  কিন্তু কেন ? এর মুলে রয়েছে সরকারের অব্যাস্থাপনা , কারন বাংলাদেশ একটা উন্নয়নশীল দেশ এই  জন্য সরকারে খেয়াল থাকে বিভিন্ন দিকে , জদিও আমাদের সরকার আমাদের বলেছিল ২০২১ সালের ভিতর বাংলাদেশ ডিজিটাল করবে , কিন্তু যদি ইন্টারনেট এর এই আকাশচুম্বি দাম থাকে তাহলে ২০২১ সাল তো ভাল ২০৫০ সালেও দেশ ডিজিটাল হবে না । কারন আমাদের এই দেশ এ শতকরা ৮০% ইন্টারনেট ব্যাবহার করে স্টুডেন্টরা , তাদের পক্ষে মাস শেসে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে ইন্টারনেট চালাতে হিমসিম খেতে হয় । কারন আমাদের দেশে ১জিবি ইন্টারনেট এর দাম ৩০০ টাকা ( গ্রামিনফোন ) ২৭৫ টাকা ( সিটিসেল , বাংলালিংক , রবি , এয়ারটেল ) , আর ১ জিবিতে ১ মাস চালানো যে কত দুস্কর ।
এর সাথে আবার জোগ হয় ১৫% ভ্যাট বোঝেন ঠ্যালা কত । মানে ১০০ টাকার নেট কিনলে ১৫ টাকা দিতে হবে সরকার কে , আমাদের সরকার বলছিল ইন্টারনেট থেকে নাকি ভ্যাট উঠাইয়া নিবে কিন্তু কবে ? আর ইন্টারনেট এর স্পিড এর কথা আর না বললাম , সবাই জানেন যে এক এক কম্পানি এক এক ডায়লগ নিয়া আসে বলে আমার কচ্চপ না আমরা ঘোড়া কিন্তু সবাই জানে যে আসল কাহিনি কি ।
২০১২ সালের হিসাব মতে বাংলাদেশ এ ব্যান্ডউইথ ছিল ২০০ গিগা বাইট পার সেকেন্ড কিন্তু এর মধ্য আমরা সাধারন জনগন মাত্র ২৬ গিগাবাইট পার সেকেন্ড ব্যবহার করিছি তাহলে বাকি টুকু কই গেল , তবে আমাদের এই দেশ এ কত ব্যান্ডউইথ আসে কত খরচ হয় বা পাবলিক এর মাজে বিতরন করা হয় তাহ হিসাব কেউ সঠিক ইনফরমেসন দিচ্ছে না বিস্তারিত জানতে মাহাবুব ভাই এর এই পোস্টটি পরুন
তাহলে এই সময়ে আমাদের কি কিছুই করার নাই ?
আছে অবশ্যই আছে , ১৯৫২, ১৯৭১ সালে আমারা যেভাবে সবাই এক হয়ে পাক সেনাদের পরাজিত করেছিলাম ঠিক সেই ভাবে আজ আমারা সবাই এক হয়ে রক্তচোশা মোবাইল অপারেটর , ওয়াইম্যাক্স কোম্পানির কাছ থেকে আমাদের দাবি দাওয়া পুরন করতেই হবে । বাংলাদেশ এ প্রায় এক কোটি ইন্টারনেট ব্যাবহার কারি আছে এর মধ্য প্রায় ৮০% ই স্টুডেন্ট । আমারা যদি এই ৮০% স্টুডেন্ট এর ভিতরে ৫০-৬০% স্টুডেন্ট নিয়ে এগিয়ে আন্দোলন করা জায় তবে আশার আলো দেখা জাইতে পারে ।
ইন্টারনেট এর মুল্য কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে 
১ - প্রথম দরকার আমাদের একজন ভাল নেতা বা লিডার যে আমাদের সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে , টেকটিউনসে অনেক ভাল লিডার আছে দেখেন কেউ আসে কিনা ।
২ - এর পর প্রতি বিভাগে এক জন লিডার নিরবাচন করতে হবে , তার নেতৃতে প্রতি বিভাগে প্রথম মানব বন্ধন হবে ।
৩ - এর পর প্রতি জেলার এক জন করে লিডার নিরবাচন করতে হবে তার নেতৃতে প্রতি জেলার প্রথম মানব বন্ধন হবে, জানি আমাদের এই সরকার এর মানব বন্ধন করলে কোন মাথা ব্যাথা নাই , কারন আপনার ভালই জানেনে তার পর ও জাস্ট শো ।
৪ - কিন্তু আমাদের সকল বিভাগ, জেলার, থানার সকল স্টুডেন্ট রা যদি এক হয়ে আন্দোলন করতে পারি তাহলে সরকারের মাথা নিশ্চই  নরবে । কারন দশে লাঠি একের বোঝা ।
কিন্তু আমাদের আন্দোলন টা যেন মোবাইল ব্যাবসাইদের মত না হয় , মাঝ নদীতে যেন নৌকা ডুবে না যায় , মাঠে যদি নামতে ভাল মত নামতে হবে সব প্রস্তুতি নিয়ে ।
আর আমাদের আন্দোলন হবে ফেসবুকের মাধ্যমে ।
এ ছারা কারও কোন অন্য আইডিয়া থাকলে জানান
কে কোন জেলায় আছেন  কমান্ড করেন ।
জাই হোক না কেন আমাদের সবার মনের প্রানের এক দফা দাবি ১০০ টাকার ১ জিবি   ৫০০ টাকায় আনলিমিটেড আর স্পিড হবে মিনিমাম ২৫৬ কেবিপিএস
Collected,   Kaif Hasan, Techtunes.com.bd

ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ? আর কত কাল আঙ্গুল চুষবো, আর ঠকবো!

প্রসঙ্গঃ ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। সময় এসেছে এবার পথে নামার। আপনি বিকলাঙ্গ হলে এ পোস্টে ঢোকার প্রয়োজন নেই! আপডেটেড উইথ এক্সক্লুসিভ নিউজ!

  যেদিকে তাকাই-শুধু পরিবর্তনের হাওয়া। আমি শুভ পরিবর্তন গুলোর কথা বলছি।
আমাদের ছোট্ট এ দেশটির অনেক কিছুই বদলেছে, আবার অনেক কিছুই অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়ে গেছে। ইন্টারনেট ইউসেজ এর মুল্য ৫/৬ বছর আগে যা ছিল এখন ও তাই আছে।
আগে পার কিলো বাইট দুই পয়সা ছিল, এখনো তাই। এক জিবি ৩৫০টাকা ছিল, এখনো তাই। ভাবা যায়!
কিছু কিছু প্যাকেজের মুল্য কমেছে কিন্তু তা আশানুরুপ নয়।
অতীতের কথা বাদ দিলাম। তখন ব্যান্ডউইথের মুল্য অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন তো আগের অবস্থা নেই। সরকার দফায়-দফায় ব্যান্ডউইথের মুল্য কমিয়ে ৮০০০টাকাতে এনেছে। তারপরেও আমরা ভোক্তারা এর সুফল ভোগ করতে পারছিনা।
এটা গেল সার্ভিস প্রোভাইডারদের ভোক্তাদের বাশ দেবার কথা।
এবার আসুন দেখি সরকারের নীতি নির্ধারক মহল কি করছে।
২০১২ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ১৬৪ (আরেক সূত্রমতে ২০০) জিবিপিএস/সেকেন্ড। এর মধ্যে মাত্র ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আমরা সবাই মিলে ব্যবহার করি।
তবে আসল কথা হল, আমাদের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বর্তমানে কত আছে এবং কত ব্যান্ডউইথ পড়ে আছে, কেউই এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিচ্ছেনা।
প্রশ্ন জাগেনা- বাকি ব্যান্ডউইথ তাহলে গেল কোথায়? সরকারের নীতি নির্ধারকদের কথা অনুযায়ী এই ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ বাদে বাকি ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ রাখা হয়!
ব্যান্ডউইথ সোনা নাকি জমি যে রিজার্ভ অবস্থায় ফেলে রেখে দিলে এর মুল্য বা চাহিদা বাড়বে অথবা ইন্টারনেট ইউজারদের কোন উপকারে আসবে!
মুল্য যতই কমানো হোক, প্রায় ৮০% ব্যান্ডউইথ ফেলে রাখলে সেটা দেশের কোন উপকারে আসবে?
প্রয়োজন হলে ব্যান্ডউইথের দাম আরো কমিয়ে সম্পুর্ন ব্যান্ডউইথ সকল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হোক। কারন কয়েক শ কোটি টাকার ব্যান্ডউইথ ফেলে রেখে তো কোন উপকারে আসছেনা!
ভাবছেন কি গর্দভ সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের লোকগুলো! ভুলেও তা ভাবতে যাবেন না।
ওরা আপনার আমার চাইতে অনেক অনেক বুদ্ধিমান এবং নিজের আখের গোছাতে সচেষ্ট।
বিভিন্ন সূত্রমতে, কিছু প্রভাবশালী মহল সরকারের উঁচু পর্যায়ের কিছু অফিসিয়ালের সাথে যোগসাজশ করে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি বিজনেস চালাচ্ছে।
যে কারনে আমরা টাকা দিয়ে কলা কিনছি ঠিকই কিন্তু কপালে কলার খোসা ছাড়া আর কিছুই জুটছেনা। অথচ আমাদের যে ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে বলা হচ্ছে সেই ব্যান্ডউইথ গুলো সঠিকভাবে এ্যালোকেট করলে এবং যে টাকা আমরা ইন্টারনেট ইউজের জন্য ব্যয় করি, তাতে আমাদের কমপক্ষে ৭থেকে ৮গুণ বেশি স্পীড পাবার কথা।
তথ্যগুলো আপনারা আমার থেকে অনেক ভাল জানেন, ব্লগে বা ফেসবুকেও কম লেখালেখি হল না।
কথা সেটা নয়।  কথা হল আর কতকাল এভাবে চুপ থাকব আমরা? আর কতকাল নিজেদের পশ্চাৎদেশ সার্ভিস প্রোভাইডার আর সরকারের নীতি নির্ধারকদের দিকে মেলে বসে থাকব?? পশ্চাৎদেশে আর কত বাশমারা খেলে আপনাদের ঘুম ভাঙ্গবে???
ব্লগে/ফেবুতে তো অনেক লাফালাফি হল, মাঠে নামার সময় কি এখনো হয়নি?
ফেসবুক/ব্লগে প্রতিবাদ করে আমাদের দ্বায়িত্ব শেষ মনে না করি।
যদি সৎ উপার্জনের টাকায় ইন্টারনেট ইউজ করে থাকেন, তাহলে আসুন এবার পথে নামি।
ব্লগে/ফেবুতে অনেক বড় বড় ব্লগার আছেন, যাদের একটি ডাকে হাজার হাজার মানুষ আসবে।
তাদের কেউ একজন কি এই বিষয়ে স্ট্যান্ড নিতে পারেন না?
কাউকে না কাউকে দ্বায়িত্ব নিতে হবেই। কেউ একজন স্ট্যান্ড না নিলে এরা সারাজীবন ধরে আমাদের টাকা ভ্যাম্পায়ারের মত চুষেই খাবে।
*আপডেটঃ
আমরা শাহবাগ/বিটিসিএল কার্যালয় অথবা কোন টিভি চ্যানেলের সামনে মানব বন্ধন করার মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করব।
আমি জানি শুধু মানব বন্ধনে কোন কাজ হবেনা, তবে প্রাইমারি স্টেপ হিসাবে এটার বিকল্প কিছু দেখছিনা।
একটু আগে একটা টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে কথা হয়েছে।
ওরা এটা নিয়ে নিউজ করবে এবং মানব বন্ধনের দিন রিপোর্টার পাঠাবে।
তবে তার জন্য আপনাদের হেল্প দরকার।
ওরা একটা প্রেস নোট চেয়েছে। কতটুকু ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে, কতটুকু ইউজ হচ্ছে ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে একটা ডিটেইল রিপোর্ট ও চেয়েছে।
প্রেস নোট কিভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া নেই।
আর কিছু না পারেন, অন্তত এই উপকার টুকু করেন।
কবে-কিভাবে আমরা রাস্তায় নামতে পারি, সরকার কে আমাদের পাওনা ব্যান্ডউইথ দেবার কথা কিভাবে বলতে পারি আইডিয়া দিন।
সবাই আরেকটিবার জাগুন! মেসেজ টি সবার কাছে পৌছে দিন।
সংগৃহীত - টেকটিউনস্ , টিউন করেছেন : মাহবুব হাসান

Tuesday, January 15, 2013

মাধ্যমিক শিক্ষকদের দাবির প্রতি ঐকতান


মাধ্যমিক শিক্ষকদের দাবির প্রতি ঐকতান 
 মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের জন্য রাষ্ট্রের বিবেকের দরজা আর কতকাল অবরুদ্ধ থাকবে
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন, আপনারা মাধ্যমিক শিক্ষকদের দাবী মেনে নিন, যেমনভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবী মেনে শিক্ষাখাতে ইতিহাস তৈরী করেছেন।”


একটু িচিন্তা করুন - বরতমান বাজারে এত নিম্মআয়ে তারা কিভাবে বাঁচবে।সমাজের নিভৃতচারী মানুষ গড়ার কারিগরদের জন্য সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা উচিৎ যেন শিক্ষক সমাজ একটি সম্মাজনক অবস্থানে বাস করতে পারে 

বাস্তবে একজন শিক্ষকের কাজ কী? শিক্ষক কি শুধুই বিদ্যাপীঠে জ্ঞান বা শিক্ষাই প্রদান করেন, নাকি জ্ঞানের বাইরেও সকল তথ্যের বাতায়নকে শিক্ষার্থীর দৃষ্টিসীমায় মেলে ধরেন। জীবনের পথচলায় সার্থক আলোকিত পথের দৃষ্টান্তটি তুলে ধরার পাশাপাশি শক্তি সাহস জোগান। বাস্তবে শিক্ষকেরা একটি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজš§ জন্য এক অত্যাবশ্যক সহায়ক শক্তি আলোর দিশারী। কিন্তু এই শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নের কথা সব সময়ই থেকেছে উপেক্ষিত। অবাক লাগে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাথাভারী নীতি প্রণেতারা কীভাবে তা প্রণয়ন, প্রস্তাব, নির্ধারণ বাস্তবায়ন ঘটান?

আমাদের মতো দেশে শিক্ষকেরা প্রতিটা স্তরেই অবহেলিত, সেটা চিকিৎসা ব্যবস্থার মতো যত্রতত্র বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠাকোচিং সেন্টারেরপ্রকোপ থেকেই আন্দাজ করা যায়। সরকার বা রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে শিক্ষকদের সমস্যা যেমন বিবেচনাহীন বিষয়, তেমনি গুরুত্বহীন তাদের ধর্মঘট-অনশন-বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ সমাবেশ! তা না হলে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন কী করে জাতীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত প্রতিবাদমুখর মাধ্যমিক শিক্ষদের ছত্রভঙ্গে পিপার  গ্যাস বা জল কামান ব্যবহার করে? গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সংবিধানে অর্ন্তভুক্ত বিক্ষোভ প্রদর্শন সমাবেশের অধিকার কি নামমাত্র স্বাধিকার? সেই অর্থে, স্বাধীনতার চার দশক পেরিয়ে যাওয়ার পর সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমিক তিন ধাপে জাতীয়করণ কিআহা মরিকোনো বিষয়? তবু বিষয়, কেননা অতীতে কোনো সরকারই তা করেনি এবং শিক্ষকের পদযুগল নিজ হস্তে ধৌত করার মতো রাজসিক বদান্যতা না হলেও কম কী? এখন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বিষয়টি সরকারকে একই দৃষ্টিভঙ্গিতে দ্রুত বিবেচনায় নেয়া উচিত।
শিক্ষামন্ত্রী জাতিকে সামগ্রিক অগ্রগতির কথা শুনিয়ে চলেছেন। বাস্তবে শিক্ষকের দাবি উপেক্ষা করে সামগ্রিক শিক্ষার অগ্রগতি হতে পারে না। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের মতোই মাধ্যমিক শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নয়নের পাশাপাশি বিজ্ঞান শিক্ষার অগ্রগতি সাধন জরুরি 

জনপ্রিয় ব্লগার আসিফ ছুরিকাহত


 জনপ্রিয় ব্লগার আসিফ ছুরিকাহত

রাজধানীর উত্তরায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন জনপ্রিয় ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আসিফ মহিউদ্দিন। সোমবার রাত ১০টায় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে তিনি এ হামলার শিকার হন। তিনি বর্তমানে উত্তরা ১১ সেক্টরের মুনছুর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মুনছুর আলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎক গোলাম সরওয়ার আসীফের বরাত দিয়ে জানান, আসিফ গরীব-ই-নেওয়াজ সড়কে নিজের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর পেছন থেকে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আসীফের ঘাড়ে ও পিঠে পাঁচটি ছুরিকাঘাত রয়েছে। ঘাড়ের আঘাতগুলো গভীর। এজন্য প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আসিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।

পুলিশ বলেছে, গতকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলেই অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
মাসুদ আলম : আমাদের সময় তাং ১৬/০১/১৩

Sunday, January 13, 2013

বয়সকে হার মানালেনশ্যামনগরের রতন গাছি


বয়সকে হার মানালেনশ্যামনগরের রতন গাছি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, দৈনিক ইত্তেফাক তাং ১৩/০১/১৩
বয়সের কাছে সকলকে হার মানতে হয় এটাই স্বাভাবিক। প্রকৃতির এই স্বাভাবিক নিয়মকে হার মানিয়ে সকলের দৃষ্টি কেড়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের গাছি রতন রফতান ওরফে রতন কালা (১০৪)। শত আয়ু পার করেও রতন নিজের রোজগারে সংসার চালান। এ বয়সে যে পেশাকে তিনি আঁকড়ে ধরে আছেন, তা খুবই কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণও বটে। 

গাছ কাটা বা পরিষ্কার করার দরকার পড়লে উপজেলার সদরের গোপালপুর, কাঁচড়াহাটি, সোনমুগারী, বাদঘাটা, কুলখালিসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষকে রতন কালার শরণাপন্ন হতে হয়। রতন কালাই এলাকার একমাত্র গাছি অর্থাত্ নারকেল গাছ, তালগাছ ঝোড়া (পরিষ্কার করা) এবং তাল গাছ ও খেজুর গাছ হতে রস সংগ্রহ করার পেশায় জড়িত। ৪৮ বছর বয়সে কঠিন এক অসুখে পড়ে দুটি কানে আর শুনতে পান না বললেই চলে। তবে ইশারায় সবকিছুই বুঝতে পারেন। গত শনিবার তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল শৈত্যপ্রবাহের কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে ভোরবেলায় নিজ বাড়ির আঙিনায় খেজুর গাছ থেকে রসের ভাড় নামাচ্ছে। এ এলাকায় আগের দিনের মত আর গাছি খুঁজে পাওয়া যায় না। যারা ছিল তারা এ কঠিন ঝুঁকিপূর্ণ পেশা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু রতন কালা তার দীর্ঘদিনের পেশা ছাড়তে রাজি না। 

তিন পুত্র, এক কন্যা সন্তানের জনক রতন। বড় পুত্র কালিপদ রফতান, মেজ পুত্র মন্টু রফতান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ছোট পুত্র মন্টু রফতান (৪৮) দিন মজুরের কাজ করে। একমাত্র কন্যা সীতা রানী তার সংসারে মা অনিমা রফতানকে (৯০) নিয়ে বসবাস করে। এ বয়সে প্রতিদিন ভোরে গাছ ঝোড়া বা রস সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে বের হন রতন। যত উঁচু গাছই হোক না কেন রতন কালার কাছে যেন তা কোন ব্যাপারই না। তিনি নারিকেল গাছ ঝুড়তে গাছপ্রতি ২০ টাকা, খেজুর গাছ ২০ টাকা, তালগাছ ৫০ টাকা। এছাড়া রসের জন্য প্রতিদিন গাছপ্রতি (খেজুর) ৮-১০ টাকা, (তালগাছ) ২০ টাকা হারে পেয়ে থাকেন। রতন বলেন, ''কাজ না করলি মরে যাব, রোগ হবে''। স্ত্রী অনিমা জানান, অসুখ হলে গাছ-গাছড়ার ঔষধ ছাড়া অন্য কোন চিকিত্সা তারা নেন না। একগাল হেসে রতন বলেন, 'এখনকার ছেলেপিলেরা কাজ করে না তাই তাগো অল্প বয়সে রোগ বেরাম হয়। রতনের ভাষ্যে শরীর ভাল রাখতে গেলে নিয়মিত দৈহিক পরিশ্রম করতে হবে।