মাধ্যমিক শিক্ষকদের দাবির প্রতি ঐকতান
‘মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের জন্য রাষ্ট্রের বিবেকের দরজা আর কতকাল অবরুদ্ধ থাকবে’
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন, আপনারা মাধ্যমিক শিক্ষকদের দাবী মেনে নিন, যেমনভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবী মেনে শিক্ষাখাতে ইতিহাস তৈরী করেছেন।”
একটু িচিন্তা করুন - বরতমান বাজারে এত নিম্মআয়ে তারা কিভাবে বাঁচবে।‘সমাজের নিভৃতচারী মানুষ গড়ার কারিগরদের জন্য সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা উচিৎ যেন শিক্ষক সমাজ একটি সম্মাজনক অবস্থানে বাস করতে পারে’।
বাস্তবে একজন শিক্ষকের কাজ কী? শিক্ষক কি শুধুই বিদ্যাপীঠে জ্ঞান বা শিক্ষাই প্রদান করেন, নাকি জ্ঞানের বাইরেও সকল তথ্যের বাতায়নকে শিক্ষার্থীর দৃষ্টিসীমায় মেলে ধরেন। জীবনের পথচলায় সার্থক ও আলোকিত পথের দৃষ্টান্তটি তুলে ধরার পাশাপাশি শক্তি ও সাহস জোগান। বাস্তবে শিক্ষকেরা একটি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজšে§র জন্য এক অত্যাবশ্যক সহায়ক শক্তি ও আলোর দিশারী। কিন্তু এই শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নের কথা সব সময়ই থেকেছে উপেক্ষিত। অবাক লাগে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাথাভারী নীতি প্রণেতারা কীভাবে তা প্রণয়ন, প্রস্তাব, নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন ঘটান?
আমাদের মতো দেশে শিক্ষকেরা প্রতিটা স্তরেই অবহেলিত, সেটা চিকিৎসা ব্যবস্থার মতো যত্রতত্র বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ‘কোচিং সেন্টারের’ প্রকোপ থেকেই আন্দাজ করা যায়। সরকার বা রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে শিক্ষকদের সমস্যা যেমন বিবেচনাহীন বিষয়, তেমনি গুরুত্বহীন তাদের ধর্মঘট-অনশন-বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ সমাবেশ! তা না হলে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন কী করে জাতীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত প্রতিবাদমুখর মাধ্যমিক শিক্ষদের ছত্রভঙ্গে পিপার গ্যাস বা জল কামান ব্যবহার করে? গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সংবিধানে অর্ন্তভুক্ত বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সমাবেশের অধিকার কি নামমাত্র স্বাধিকার? সেই অর্থে, স্বাধীনতার চার দশক পেরিয়ে যাওয়ার পর সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমিক তিন ধাপে জাতীয়করণ কি ‘আহা মরি’ কোনো বিষয়? তবু বিষয়, কেননা অতীতে কোনো সরকারই তা করেনি এবং শিক্ষকের পদযুগল নিজ হস্তে ধৌত করার মতো রাজসিক বদান্যতা না হলেও কম কী? এখন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বিষয়টি সরকারকে একই দৃষ্টিভঙ্গিতে দ্রুত বিবেচনায় নেয়া উচিত।
শিক্ষামন্ত্রী জাতিকে সামগ্রিক অগ্রগতির কথা শুনিয়ে চলেছেন। বাস্তবে শিক্ষকের দাবি উপেক্ষা করে সামগ্রিক শিক্ষার অগ্রগতি হতে পারে না। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের মতোই মাধ্যমিক শিক্ষকদের জীবনমানের উন্নয়নের পাশাপাশি বিজ্ঞান শিক্ষার অগ্রগতি সাধন জরুরি।
0 comments:
Post a Comment