Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Sunday, December 30, 2012

২৪টি সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ


২৪টি সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
রাজধানীর ২৪টি সরকারি বিদ্যালয়ের (সংযুক্ত প্রাথমিকসহ) ভর্তি পরীক্ষার ফল গতকাল রোববার প্রকাশ করা হয়েছে।
চলতি বছর রাজধানীর ২৪টি সরকারি বিদ্যালয়কে তিনটি গ্র“পে বিভক্ত করা হয়েছে। এ গ্র“পে থাকা ৮টি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১৪ ডিসেম্বর, বি গ্র“পে ১৫ ডিসেম্বর এবং সি গ্র“পে ১৭ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ২৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টিতে প্রথম শ্রেণী রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান, যাতায়াত, খুব ভালো, মোটামুটি ভালো ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে গ্র“প তৈরি করা হয়েছে।
‘এ’ গ্র“পের স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নিউ গভ. গার্লস হাইস্কুল, ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।

‘বি’ গ্র“পের তালিকায় রয়েছেÑ গভ. মুসলিম হাইস্কুল, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল, ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ধানমণ্ডি কামরুনন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
‘সি’ গ্র“পের ৮টি স্কুল হলÑ তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ধানমণ্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুল, আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং টিকাটুলি কামরুনন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
Daily Manab Jamin, বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১২
অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ সম্মান (অনার্স) শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গত ৭ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশিত ফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.result.nu-bd.net-এ এবং যে কোন মোবাইল থেকে ৪৬৩৬ নম্বরে NUAdmissionRollPIN No লিখে এসএমএস করে পাওয়া যাবে। পরীক্ষায় মোট আবেদনকারী ৪ লাখ ১ হাজার ৩৭৪, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৬৮। এতে উত্তীর্ণের সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৮৪০ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান গ্রুপে মোট আবেদনকারী ৫৩ হাজার ৩৭৮, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৩ ও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ১২০। ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপে মোট আবেদনকারী ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪২, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ৫ ও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৭৭৯। মানবিক গ্রুপে মোট আবেদনকারী ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৪, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৫০ ও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪১। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৪ জনকে মেধা অনুসারে তাদের পছন্দক্রম অনুযায়ী বিষয় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রথম মেধা তালিকার এসব শিক্ষার্থীদের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা তাদের মেধাক্রম ও পছন্দের ভিত্তিতে ইসলাম শিক্ষা/ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি/আরবি বিষয় বরাদ্দ পেয়েছেন। ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উল্লেখিত ওয়েব সাইটে যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। ভর্তির ফরম সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে (www.result.nu-bd.net) ১ জানুয়ারি থেকে পাওয়া যাবে।

এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে


৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু
স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ই মার্চ পর্যন্ত তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ৬ই মার্চ। পরীক্ষার্থীরা সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে তারা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ১লা ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১লা ও ২রা ফেব্রুয়ারি শুক্র ও শনিবার হওয়ায় তা ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক মানব জমিন- মঙ্গলবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১২

নববর্ষের সুসংবাদ ১০ হাজার কর্মীর চাহিদা পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া


নববর্ষের সুসংবাদ

১০ হাজার কর্মীর চাহিদা পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া


নতুন বছর আসার আগেই এল সুসংবাদ। ১০ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র এল মালয়েশিয়া থেকে।
গতকাল রোববার বনায়ন (প্ল্যান্টেশন) খাতের ১০ হাজার কর্মী নিয়োগের ওই চাহিদাপত্র ঢাকায় পাঠিয়েছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ওই কর্মী নিয়োগের নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেবে সরকার। তবে এবার শুধু ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে নাম নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া কর্মী নিয়োগের জন্য জেলা বা উপজেলা কোটার পরিবর্তে ইউনিয়ন কোটা করা হবে। তবে বনায়ন খাতে নিয়োগের জন্য কৃষিকাজে অভিজ্ঞতাসহ আগের সাত যোগ্যতা ঠিক থাকছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান গতকাল রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চার বছর পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলল। আমরা শিগগির নাম নিবন্ধন করার জন্য আবেদন চাইব। এ ক্ষেত্রে শুধু সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকেই নাম নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে। ফলে প্রতারণা কমবে।’
জাফর আহমেদ খান আরও জানান, ১০ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র পাঠালেও মালয়েশিয়া আগামী তিন মাসে বনায়ন খাতে ৩০ হাজার কর্মী নেবে। প্রতি মাসে মালয়েশিয়া ১০ হাজার করে চাহিদাপত্র পাঠাবে বলে জানিয়েছে। সচিব বলেন, ‘এ কারণে আমরা এবার একসঙ্গে ৩০ হাজার কর্মীর জন্য নাম নিবন্ধন করাব। কর্মীদের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক কোটা করছি। এর মাধ্যমে সারা দেশ থেকে সুষমভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী যেতে পারবে।’ কর্মীদের বেতন কত হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ন্যূনতম ৯০০ রিঙ্গিত বা ২৫ হাজার টাকা পাবেন। এ ছাড়া একজন কর্মীর মালয়েশিয়া যেতে খরচ ৪০ হাজার টাকার বেশি পড়বে না।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বনায়ন খাতের কর্মী হিসেবে যাঁরা মালয়েশিয়ায় যেতে চান, তাঁদের মোট সাতটি যোগ্যতা থাকতে হবে। এগুলো হলো: বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, কৃষিকাজে অভিজ্ঞতা, বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে, গ্রাম এলাকার প্রকৃত বাসিন্দা, উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ ফুট বা তদূর্ধ্ব, ওজন কমপক্ষে ৫০ কেজি এবং ২৫ কেজি মালামাল হাতে করে বহনের ক্ষমতা।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বনায়ন খাত ছাড়াও কৃষি (অ্যাগ্রিকালচার), উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচারিং), নির্মাণ ও সেবা (সার্ভিস)—এই পাঁচ খাতে বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিকভাবে লোক নেবে মালয়েশিয়া।
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় চার বছর ধরে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ। টানা কূটনৈতিক যোগাযোগের পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে দেশটি।
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিম রেজা গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি বিভাগের কর্মীদের নাম নিবন্ধনের জন্য আলাদা তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। নিজ ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে নাম নিবন্ধন করার পর তাঁকে ফিরতি যে বার্তা পাঠানো হবে, তাতে বলা থাকবে যে কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে (টিটিসি) তাঁর সাক্ষাৎকার হবে। সাক্ষাতের সময়ই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দক্ষতার কাগজপত্র ও অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাই এবং তাঁর আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত তথ্যভান্ডার করা হবে। নির্বাচিত হওয়ার পর কর্মীদের এমআরপি (যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট) করতে বলা হবে। কর্মী নিজ খরচে পাসপোর্ট করবেন। তারপর তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
দৈনিক  প্রথম আলো, প্রফুল হাসান | তারিখ: ৩১-১২-২০১২

Saturday, December 29, 2012

ফেরিওয়ালা থেকে রপ্তানিকারক


ফেরিওয়ালা হলেন রপ্তানিকারক


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কর্নেলহাট বাজারের পাশ ঘেঁষে চলে গেছে একটি সরু গলি। এর একেবারে শেষ মাথায় একটি ঘরে বড় একটি চৌবাচ্চায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে ধবধবে সাদা কচুর ছড়া। ছড়ার চামড়া ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত একদল নারী। মাটিতে বসে কোটাকুটি করছেন। পাশাপাশি কয়েকজন তরুণ এগুলো বস্তা থেকে বের করে এক জায়গায় জড়ো করে রাখছেন।
এটি অহিদুল আলমের সবজির আড়ত। এই আড়ত থেকে কাটাছাঁটা সবজিগুলো চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে।
একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে অহিদুল গড়ে তুলেছেন এই আড়ত। একসময় ফেরি করে সবজি বিক্রি করতেন তিনি। নিজের চেষ্টা, পরিশ্রম ও বুদ্ধিতে আজ তিনি একজন রপ্তানিকারক।
যেভাবে শুরু:
দারিদ্র্যের কারণে স্কুলে পড়ার সুযোগ পাননি অহিদুল। খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁকে রোজগারে নামতে হয়। দেশ স্বাধীনের পর একসময় নিজেই মাথায় করে সবজি বিক্রি করতেন। ১৯৭৮ সালের দিকে তিনি কর্নেলহাট তরকারির বাজারে আরেকজনের দোকানের সামনে বসার জায়গা করে নেন।
সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন অহিদুল। ঠিক সময়ে দোকান খুলতেন। আর যতক্ষণ বাজারে ক্রেতা থাকত, ততক্ষণ পর্যন্ত খোলা থাকত তাঁর দোকান। ধীরে ধীরে ব্যবসার উন্নতি হতে থাকে।
এরপর নিজেই একটি দোকানের মালিক বনে যান। অহিদুলের দোকান থেকে নিয়মিত সবজি নিয়ে যাওয়া হতো গ্ল্যাক্সো বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মচারী ক্যানটিনের জন্য।
 
এভাবে একসময় গ্ল্যাক্সোর কর্মচারীদের কাছ থেকে বিদেশে সবজি পাঠানোর ধারণা পান অহিদুল। ১৯৯০ সালে তিনি প্রথম দুবাইয়ে সবজি পাঠাতে শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি পাহাড়তলীর কর্নেলহাট এলাকায়
গাউছে ভান্ডার স্টোর নামে একটি আড়ত প্রতিষ্ঠা করেন। এখানেই বিভিন্ন স্থান থেকে আনা সবজি সংরক্ষণ, কাটা, ধোয়ামোছার কাজ চলতে থাকে।
কারা কাজ করছেন: অহিদুলের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে গোল হয়ে বসে কাজ করছেন নারীরা। আমেনা বেগম নয় বছর ধরে এখানে সবজি কাটার কাজ করছেন। কেমন আছেন জানতে চাইলে পান চিবোতে চিবোতে কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষায় বললেন,
স্বামী-পোলাপাইন লইয়া আল্লাহর রহমতে ভালাই আছি। সাড়ে চার হাজার টাকা ঘরভাড়া দিয়া থাকি।
আংকারা বেগম প্রায় নয় বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে জড়িত। স্বামী, পাঁচ ছেলেসহ থাকেন কর্নেলহাট এলাকায়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আড়তে কাজ করেন। বেতন পান সাপ্তাহিক ভিত্তিতে।
অহিদুল জানান, প্রায় দেড় হাজার নারী তাঁর আড়তে কাজ করেন। প্রতি কেজি সবজি কাটা বাবদ তাঁরা একেকজন পাঁচ টাকা করে পান।

সবজি সংগ্রহ ও রপ্তানি:
যেসব রপ্তানি করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে: ঝিঙে, চিচিঙা, করলা, কাঁকরোল, বরবটি, পটোল, ঢ্যাঁড়স, কচুর লতি, পাইন্যা কচু, কচুর ছড়া, লালশাক, পুঁইশাক, লাউশাক, কাঁঠালের বিচি, জলপাই, কালো জাম, টক বরই প্রভৃতি।
নরসিংদী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, যশোর, বগুড়া, মেহেরপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি থেকে ভালো মানের সবজি সংগ্রহ করে আনা হয় ট্রাকে করে। এসব সবজি যায় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, কানাডা প্রভৃতি দেশে।
অহিদুল সিমার্ক ফিশারিজ ও কোস্টার শিপ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইউরোপে সবজি রপ্তানি করেন। তাঁর আড়তে সবজি কাটা ও ধোয়ামোছার পর সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় এই দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রসেসিং প্ল্যান্টে। সেখানে সবজি প্যাকেটজাত করে হিমাগারে রেখে দেওয়া হয়। এরপর বিদেশ থেকে অর্ডার পাওয়ার পর সেগুলো জাহাজীকরণ (শিপমেন্ট) করা হয়।
আয়ের পরিমাণ: প্রতি মাসে সবজি রপ্তানি করে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো আয় হয় অহিদুলের। তবে নিজে সরাসরি রপ্তানি করতে পারলে আরও ভালো আয় হতো। অহিদুলের সহযোগী শাহ আলম বলেন,
নিজেরা সরাসরি পাঠাতে হলে অনেক টাকার দরকার। কিন্তু আমাদের কাছে তো এত টাকা নেই।

অহিদুলের পরিবার: একেবারেই সাদাসিধে গোছের মানুষ অহিদুল (৫০)। স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার। থাকেন কর্নেলহাটের পণ্ডিতবাড়ী এলাকায়। তিল তিল করে জমানো টাকায় বানিয়েছেন তিনতলা বাড়ি। স্ত্রী গৃহিণী। ছেলে পাভেল চৌধুরী এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন কাট্টলী মোস্তফা হাকিম কলেজ থেকে। মেয়ে তানজুমান আরা বেগম পড়ে কাট্টলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে।
অহিদুলের জীবনসংগ্রামের শুরুতে তাঁর স্ত্রীই ছিলেন একমাত্র প্রেরণা। আর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যেও এতটুকু ভেঙে পড়েননি। আগলে রেখেছেন ঘরসংসার। অভয় দিয়েছেন স্বামীকে। তাই তো অহিদুল সুদিনের স্বপ্ন দেখতে পেয়েছিলেন।
 
আরও অনেকে: এলাকায় দেশীয় সবজি, ফলফলারি বিদেশে পাঠানোর প্রথম নজির গড়েন অহিদুল। বর্তমানে তাঁর পথ ধরে হাঁটতে শুরু করেছেন হালিশহর, উত্তর কাট্টলী ও দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার কিছু ব্যবসায়ী।
স্থানীয় বাসিন্দা, একসময়কার সৌদি-প্রবাসী মোহাম্মদ শামীম বলেন,
এই এলাকায় অহিদুল চাচাই প্রথম বিদেশে সবজি রপ্তানি শুরু করেছেন। এর আগে এমন চিন্তা কারও মাথায়ই আসেনি।
অহিদুলের স্বপ্ন: অহিদুল আলম বলেন,
আমি সম্পূর্ণ নিজ চেষ্টায় এত দূর এসেছি। কোনো ব্যাংক অথবা কারও কাছ থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা নেইনি। নিজের ব্যবসার পাশাপাশি কিছু মানুষকে মোটামুটিভাবে চলার সুযোগ করে দিতে পারছি, এটাই আমার সান্ব্তনা। তবে আরও আর্থিক সহযোগিতা পেলে ভালো হতো। তাহলে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারতাম। এতে অনেক বেশি মানুষের কাজের সুযোগ করে দেওয়া যেত।
অহিদুলের আগামী দিনের স্বপ্নগুলো সফল হবে
এই আশা তো করাই যায়।

Thursday, December 27, 2012

পুরুষের যৌনরোগে হোমিওপ্যাথি

পুরুষের যৌনরোগে হোমিওপ্যাথি
 সংখ্যায় বেশি পুরুষের যৌনরোগ দেখতে পাওয়া যায়। যেমন বীর্যপাতলা হয়ে যাওয়া সহসায় বীর্য পতন স্বপ্নদোষ আরও নানা সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। পুরুষের রোগগুলোর মধ্যে স্বপ্নদোষ বা রাত্রে নিদ্রাকালে অসাড়ে বীর্যপাত ঘটে এই সমস্যাগুলো বিরক্তিকর, ক্ষতিকারক। স্বপ্নদোষ কি ও কেন : শরীরে যখন যৌবনের আগমন ঘটে এবং পুরুষ অল্পবিস্তার কামতাড়ির হয় তখন এমন হইতে দেখা যায়। খুব স্বাভাবিক কারণে অর্থাৎ প্রকৃতির নিয়েমেও কখনো কখনো অসারে বীর্যপাত হয়ে যায়। এই সমস্যাটি ততটা খারাপ ও ক্ষতিকারক নহে। কিন্তু ঘনঘন এমনটা হইতে থাকলে চিকিৎসার প্রয়োজন বলে মনে করতে হবে।
অল্প কথায় বেলা যেতে পারে, পুরুষ ঘুমে স্বপ্নে বাসনাত্মক স্বপ্ন দেখতে পায়। সেই স্বপ্ন্রে শেষ পরিণতি স্বপ্নদোষ।
কারণ ঃ স্বপ্নদোষের মূলকারণ অশ্লীল ও খারাপ চিন্তা-ভাবনা তাই এই সমস্যার চিকিৎসা হিসাবে ওষুধের চেয়ে বেশি  প্রয়োজন মানসিক সংযম। কখনো কোনভাবে খারাপ চিন্তা  মনে না আসে সে দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।
সুতারাং  স্বপ্নদোষ হতে রক্ষা পেতে হলে প্রত্যেক রোগীকে সচেতন হতে হবে। অশ্লীল চিন্তা, অশ্লীল পত্র-পত্রিকা পড়াসহ অশ্লীল সিনেমা দেখা কুঅভ্যাস ত্যাগ করতে পারলেই বিনা ওষুধে সমস্যা মিটে যায়।
পুরুষের যৌন দুর্বলতা : আমরা সকলেই জানি যৌন জীবন  বা যৌন মিলন শুধু সন্তান জন্ম দেওয়া নয়। এক স্বর্গীয় আনন্দদায়ক ক্রিয়া। কিন্তু কোন কারণবশত এই অপার  আনন্দ প্রাপ্তিতে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় তখন মানুষ অত্যন্ত নিরাশ ও ব্যথিত হয়। এই ক্ষেত্রে শুধু তারাই নয়। তাদের দাম্পত্য জীবনেই বিষময় হয়ে পড়ে এই সকল সমস্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পুরুষত্বহীন, ধাতু¯্রাব, স্বপ্নদোষ, শুক্রতারল্য, বদঅভ্যাস, শীঘ্র পতন ইত্যাদি।
এইছাড়া মিলনের ইচ্ছা থাকলেও প্রিয়তমা স্ত্রী পাশে থাকা সত্ত্বে¡ও যৌনঙ্গের দুর্বলতার কারণে মিলনের অক্ষমতা প্রকাশ করেন পুরুষের এই সকল সমস্যার মূলে রোগী নিজেই। প্রথমত ঃ যৌবনের পদার্পণ সময় থেকে বিবাহের পূর্ব মুহূত্ব পর্যন্ত মন মানসিকতা ভাল রাখা  একান্ত জরুরি। খারাপ চিন্তা, খারাপ অভ্যাস সব বর্জন করে ভাল মনের মানুষরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে তাই প্রয়োজন ধর্মীয় বিষয় চিন্তা- চেতনাকে মনে জাগ্রত করতে হবে-যেই ব্যক্তি যেই ধর্মের অনুসারী  সেই হিসাবে নিজেকে নিজের চরিত্রকে  গঠন করতে হবে। তাহলে সব কর্মে প্রকৃত সুখ আসা করা যাবে। রোগ হলে ওষুধের প্রয়োজন। ওষুধও আপনাকে সেবন করতে হবে। তাই বলবো সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন হোমিও চিকিৎসা সব ধরনের সমস্যা সমাধানের একমাত্র ব্যবস্থা তাই আপনি সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিপ্যাথি ডাক্তার খুঁজে নিন আপনার সমস্যার কথাগুলো গোপন না রেখে বলুন। রোগ লক্ষণ ওষুধের লক্ষণ সব মিলিয়ে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় মাত্রায় হোমিও ওষুধ সেবনে আপনি নিশ্চয় সুচিকিৎসা পাবেন।
ডা. মো. ইব্রাহীম মজুমদার , নবযুগ হোমিও ক্লিনিক, 
বি. দ্র. এব্যপারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতামত কামনা করছি।

অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও বেশি কার্যকর চা ও মধু


অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও বেশি কার্যকর চা ও মধু

যেকোনো কৃত্রিম অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়ে চা ও মধু বেশি কার্যকর বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি তারা জানান, ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে অন্য যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়ে চা ও মধু দ্রুত এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কাজ করে।

কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লেস বেইলি এক সাাৎকারে বলেন, আমরা কড়া ডোজের যেসব অ্যান্টিবায়োটিক খাই সেগুলোর চেয়ে মধু ও চা বেশি কার্যকর। সুপারবাগের মতো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধেও মধু কাজ করে।
আরেক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক বেইলিস বলেন, গত বছর বিশ্বব্যাপী শুধু অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের জন্য কমপে দুই হাজার লোক মারা গেছেন এবং ২৪ হাজার মানুষের ওপর তিকর প্রভাব পড়েছে। শুধু তা-ই নয়, গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি পেতেও মধু উপকারী বলে জানান তিনি।
 সংগৃহীত - ডেস্ক রিপোর্ট :নয়াদিগন্ত তাং 27/12/12

2012 এ প্রাথমিকে দেশ সেরা মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়


২০১২ এ প্রাথমিকে দেশ সেরা মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়

এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। গতকালের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় এ বিদ্যালয়ের মোট ৫টি শাখা থেকে ২ হাজার ৭০জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ১হাজার ৫শ' ৬৩জন। যা মোট পরীক্ষার্থীর শতকরা ৭৫ভাগ। মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১ হাজার ৫৫জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭শ' ৫৯জন। আর ছাত্রী ১হাজার ১৫জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮শ' জন। ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা জিপিএ-৫ এ এগিয়ে রয়েছে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর হার, পাসের হার, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএর ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় সেরা স্কুলের যে তালিকা করেছে তাতে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কোর ৬৬ দশমিক শূন্য ৭। যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয় তখন এ স্কুলের ৩ নং শ্যাওড়াপাড়া শাখায় চলছে পুরো মাঠ জুড়ে আনন্দ হৈ হুল্লোড় । এরপর স্কুলের অধ্যক্ষ মো.ফরহাদ হোসেন শিক্ষার্থীদের সাথে যখন দেখা করতে স্কুল মাঠে আসেন তখন ব্যান্ডের তালে তালে চলছিল শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাস। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী নুসরাত সায়েমা অনুভূতির কথা জানতে চাইলে সে বলল জীবনের প্রথম একটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ রকম ফলাফলে সত্যিই উচ্ছ্বসিত আমি। তাওহীদ এ স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী। ভাল ফলাফলের পেছনে নিজের চেষ্টা আর শ্রমকে মূল হিসেবে মনে করছে সে। খুদে এ শিক্ষার্থীদের এ অভূতপূর্ব সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাদের বাবা-মাও । তারাও শরিক হয়েছেন সন্তানদের এ আনন্দে।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ন্যায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষাতেও এ স্কুল মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। জেএসসিতে এ স্কুল থেকে মোট ১৭২০জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৭৮জন শিক্ষার্থী। সারাদেশে সেরা এ স্কুলের অধ্যক্ষ মো.ফরহাদ হোসেন জানান,শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দ্বিতীয়বারের মতো আবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছি। এ সাফল্যের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন,আমাদের শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসের পড়া ক্লাসেই আদায় করে নেন।
নাজমুল হক জেনিথ, দৈনিক ইত্তেফাক 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তি পরীক্ষারফল প্রকাশ


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তি পরীক্ষারফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ সম্মান (অনার্স) শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার ফল গত বুধবার রাতে প্রকাশিত হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশিত ফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.result.nu-bd.net-এ এবং যে কোন মোবাইল থেকে ৪৬৩৬ নম্বরে NU AdmissionRoll PIN No লিখে এসএমএস করে পাওয়া যাবে।

Wednesday, December 26, 2012

2012 পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ


2012 পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ
অনলাইন প্রতিবেদক , দৈনিক ইত্তেফাক থেকে সংগৃহীত
পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা ও অষ্টম শ্রেণীর স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফছারুল আমীন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দুই পরীক্ষার ফলের অনুলিপি তুলে দেন। 

পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ইবতেদায়ীতে ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফেকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশীদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীর ফল স্কুলের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://dpe.teletalk.com.bd) থেকেও শিক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবে।
এছাড়া যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে DPE লিখে স্পেস দিয়ে থানা বা উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
আর ইবতেদায়ীর ফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে EBT লিখে স্পেস দিয়ে থানা বা উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে ফল জানানো হবে।
জেএসসি ও জেডিসির ফল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) পাওয়া যাবে।
এছাড়া যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে জেএসসির ফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে ঔঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্েডর প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
জেডিসির ফল পেতে একইভাবে JDC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোডের্র প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।

জেএসসি-জেডিসির রেজাল্ট 2012 েদেখুন এই সাইটে-


2012 জেএসসি-জেডিসির রেজাল্ট বেরিয়েছে 


জেএসসি-জেডিসির রেজাল্ট দেখুন এই সাইটে-

জেএসসি-জেডিসিতে জিপিএ-৫ পেল ৪৭ হাজার শিক্ষার্থী

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ হাজার ৯৪২ জন শিক্ষার্থী। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ১০ হাজার ৫০৮ জন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৮৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং ছাত্রী ৮৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। সারা দেশে ২২ হাজার ৯৭৬ জন ছাত্র ও ২৩ হাজার ৯৬৬ ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।


http://www.educationboardresults.gov.bd

প্রাথমিক সমাপনি ‘ 2012 বা পঞ্চম শ্রেনীর রেজাল্ট দেখুন



প্রাথমিক সমাপনি  ‘ 2012   বা পঞ্চম শ্রেনীর রেজাল্ট দেখুন 


আজ প্রাথমিক সমাপনি বা পঞ্চম শ্রেনীর রেজাল্ট বেরিয়েছে, সরকারী সাইট বন্ধ তাই এই  সাইটে দেখুন।
http://dpe.teletalk.com.bd/


2012 পঞ্চম ও অস্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ


2012 পঞ্চম ও অস্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি), প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল আজ বৃহস্পতিবার একসাথে প্রকাশ করা হবে।
জেএসসি ও জেডিসির ফল প্রকাশ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে সকাল ১১ টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বেলা ১২ টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
জেএসসি ও জেডিসি 
নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এই ওয়েবসাইটে জেএসসির ফল পাওয়া যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল পাওয়া যাবে। যে কোন মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC লিখে একটি স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামে প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে। এরপর লিখতে হবে নিজের রোল নম্বর। পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। মাদ্রাসার ক্ষেত্রে জেএসসির বদলে JDC লিখতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী
নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও প্রাথমিকের ফল পাওয়া যাবে  এই ওয়েবসাইটে। এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল পাওয়া যাবে। যে কোন মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে DPE লিখে একটি স্পেস দিয়ে নিজ উপজেলা/থানার কোড নম্বর লিখে একটি স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখতে হবে। এরপর লিখতে হবে পাসের বছর। এরপর পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। মাদ্রাসার ক্ষেত্রে DPE এর স্থলে EBT লিখতে হবে। এছাড়া অন্যান্য সব আগের মতোই হবে।
চলতি বছর জেএসসি, জেডিসি মিলিয়ে সর্বমোট ১৯ লাখ ৮ হাজার ৩৬৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৫ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে সারাদেশে অংশ নিয়েছে ২৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯৩ জন শিশু শিক্ষার্থী।
Collected from - ইত্তেফাক রিপোর্ট 27/12/12


শুরু হচ্ছে ২য় বারের মত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ।
আমরা উক্ত বি. পি. এল  এর  সাফল্য কামনা করি।

২০১৩ সালের  বিপিএল  ফিকশ্চার
১৭ জানুয়ারি উদ্বোধন মিরপুর সন্ধ্যায়
তারিখ                        ম্যাচ                           ভেন্যু                        সময়
১৮ জানুয়ারি           বরিশাল-খুলনা                মিরপুর                       ২.৩০

                             ঢাকা-চট্টগ্রাম                   মিরপুর                      ৬.৩০

১৯ জানুয়ারি            রাজশাহী-খুলনা              মিরপুর                       ৩.০০

                             সিলেট-রংপুর                  মিরপুর                       ৭.০০

২০ জানুয়ারি           বরিশাল-রাজশাহী            মিরপুর                       ৩.০০

                             ঢাকা-রংপুর                     মিরপুর                      ৭.০০

২২ জানুয়ারি           সিলেট-খুলনা                  চট্টগ্রাম                       ৩.০০

                             বরিশাল-চট্টগ্রাম               চট্টগ্রাম                      ৭.০০

২৩ জানুয়ারি           ঢাকা-খুলনা                     চট্টগ্রাম                       ৩.০০

                             রাজশাহী-সিলেট              চট্টগ্রাম                      ৭.০০

২৪ জানুয়ারি           বরিশাল-রংপুর                 চট্টগ্রাম                       ৩.০০

                             চট্টগ্রাম-রাজশাহী              চট্টগ্রাম                        ৭.০০

২৫ জানুয়ারি           ঢাকা-সিলেট                    চট্টগ্রাম                        ২.৩০

                             চট্টগ্রাম-খুলনা                   চট্টগ্রাম                       ৬.৩০

২৬ জানুয়ারি             রাজশাহী-রংপুর                চট্টগ্রাম                        ৩.০০

                             ঢাকা-বরিশাল                  চট্টগ্রাম                        ৭.০০

২৭ জানুয়ারি              চট্টগ্রাম-রংপুর                 চট্টগ্রাম                        ৩.০০

                              বরিশাল-সিলেট              চট্টগ্রাম                         ৭.০০

৩০ জানুয়ারি              চট্টগ্রাম-সিলেট               খুলনা                           ৩.০০

                              খুলনা-রংপুর                   খুলনা                          ৭.০০

৩১ জানুয়ারি              বরিশাল-সিলেট                খুলনা                          ৩.০০

                               ঢাকা-রংপুর                    খুলনা                         ৭.০০

১ ফেব্রুয়ারি                 চট্টগ্রাম-রাজশাহী             খুলনা                         ২.৩০

                                ঢাকা-খুলনা                   খুলনা                          ৬.৩০

২ ফেব্রুয়ারি                 বরিশাল-রাজশাহী          খুলনা                           ৩.০০

                                চট্টগ্রাম-খুলনা              খুলনা                           ৭.০০

৩ ফেব্রুয়ারি                 সিলেট-রংপুর               খুলনা                           ৩.০০

                                  ঢাকা-বরিশাল              খুলনা                          ৭.০০

৬ ফেব্রুয়ারি                 সিলেট-খুলনা              মিরপুর                           ৩.০০

                                 রাজশাহী-ঢাকা             মিরপুর                         ৭.০০

৭ ফেব্রুয়ারি                  খুলনা-রংপুর               মিরপুর                          ৩.০০

                                 বরিশাল-চট্টগ্রাম           মিরপুর                        ৭.০০

৮ ফেব্রুয়ারি                  রাজশাহী-সিলেট           মিরপুর                       ২.৩০

                                 ঢাকা-চট্টগ্রাম               মিরপুর                        ৬.৩০

৯ ফেব্রুয়ারি                    রাজশাহী-রংপুর           মিরপুর                      ৩.০০

                                  বরিশাল-খুলনা              মিরপুর                     ৭.০০

১০ ফেব্রুয়ারি                 চট্টগ্রাম-রংপুর               মিরপুর                      ৩.০০

                                  ঢাকা-সিলেট                মিরপুর                      ৭.০০

১১ ফেব্রুয়ারি                 রাজশাহী-খুলনা           মিরপুর                        ৩.০০

                                  চট্টগ্রাম-সিলেট            মিরপুর                       ৭.০০

১২ ফেব্রুয়ারি                 রাজশাহী-ঢাকা            মিরপুর                       ৩.০০

                                  বরিশাল-রংপুর             মিরপুর                     ৭.০০

১৪ ফেব্রুয়ারি                 ১ম সেমিফাইনাল         মিরপুর                       ৬.৩০

১৫ ফেব্রুয়ারি                ২য় সেমিফাইনাল          মিরপুর                      ৬.৩০

১৭ ফেব্রুয়ারি                       ফাইনাল               মিরপুর                       ৬.০০

Friday, December 14, 2012

মধুর উপকারিতা


মধুর উপকারিতা

. কে এম খালেকুজ্জামান :- মধু হলো মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম রাসুলুল্লাহ (সা.) একেখাইরুদ্দাওয়াবা মহৌষধ বলেছেন আয়ূর্বেদ এবং ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ এটা যেমন বলকারক, সুস্বাদু উত্তম উপাদেয় খাদ্যনির্যাস, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও আর তাই তো খাদ্য ওষুধÑ উভয়বিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নির্যাসকে প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিকভাবেপুষ্টিকর শক্তিবর্ধকপানীয় হিসেবে সকল দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যবহার করে আসছে মধুতে যে সকল উপকরণ রয়েছে এর মধ্যে প্রধান উপকরণ সুগার সুগার বা চিনি আমরা অনেকই এড়িয়ে চলি কিন্তু মধুতে গ্লুকোজ ফ্রুক্টোজ দুটি সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায় এবং ফ্যাট হিসাবে জমা হয় না

মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এতে এলুমিনিয়াম, বোরন, ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, টিন, জিংক জৈব এসিড (যেমনÑ ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং অক্সালিক এসিড), কতিপয় ভিটামিন, প্রোটিন, হরমোনস, এসিটাইল কোলিন, এন্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস, সাইস্টোস্ট্যাটিক্স এবং পানি (১৯-২১%) ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে ভিটামিন যেমনÑ ভিটামিন সি বা অ্যাসকারবিক এসিড, ভিটামিন বি-, বি-, বি-, বি-, বি-, ভিটামিন-, ভিটামিন-কে, ভিটামিন- বা ক্যারোটিন ইত্যাদি বিদ্যমান মধু এমন ধরনের ঔষধ, যার পচন নিবারক (এন্টিসেপটিক), কোলেস্টেরল বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী ধর্ম আছে মধু দ্বারা ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ার জীবাণু চতুর্থ দিনে, টাইফয়েডের জীবাণু পঞ্চম দিনে এবং আমাশয়ের জীবাণু ১০ ঘণ্টায় ধ্বংস হয়
নিয়মিত পরিমিত মধু সেবন করলে নিুলিখিত উপকার পাওয়া যায়

. ƒদরোগ প্রতিরোধ করে রক্তনালী প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং ƒদপেশীর কার্যক্রম বৃদ্ধি করে
. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
. দাঁতকে পরিষ্কার শক্তিশালী করে
. দৃষ্টিশক্তি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে
. মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে বার্ধক্য ঠেকাতে সাহায্য করে
. মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লাবিনের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক হয়
. আন্ত্রিক রোগে উপকারী মধুকে এককভাবে ব্যবহার করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের উপকার পাওয়া যায়
. দুর্বল শিশুদের মুখের ভেতর পচনশীল ঘা-এর জন্য খুবই উপকারী
১০. শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে
১১. ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু øায়ু এবং মস্তিস্কের কলা সুদৃঢ় করে
১২. মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইমস এবং মিনারেলস থাকায় চুল ত্বক ঠিক রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে
১৩. মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
১৪. যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক
১৫. শিশুদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে তার ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি সহজে হয় না
১৬. ক্ষুধা, হজমশক্তি রুচি বৃদ্ধি করে
১৭. রক্ত পরিশোধন করে
১৮. শরীর ফুসফুসকে শক্তিশালী করে
১৯. জিহ্বার জড়তা দূর করে
২০. মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
২১. বাতের ব্যথা উপশম করে
২২. মাথা ব্যথা দূর করে
২৩. শিশুদের দৈহিক গড়ন ওজন বৃদ্ধি করে
২৪. কাশি-হাঁপানি এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগে বিশেষ উপকার করে
২৫. শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি-সামর্থ্য দীর্ঘস্থায়ী করে
২৬. মধু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, ফলে শরীর হয়ে ওঠে সুস্থ, সতেজ এবং কর্মক্ষম
২৭. যৌন অক্ষমতা দূর করে এবং অটুট যৌবন ধরে রাখে যৌন অক্ষমতা দূর করার জন্য বিশ্বের প্রখ্যাত মধু বিজ্ঞানীদের মতে দৈনিক পর্যাপ্ত মধুই যথেষ্ট
২৮. নিয়মিত মধু সেবন করলে ধাতু দুর্বল (ধ্বজভঙ্গ) রোগ হয় না
. কে এম খালেকুজ্জামান :- লেখক : ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, পাবনা[সংগৃহীত - http://www.amadershomoy2.com/content/2012/12/14/news0248.htm]

Wednesday, December 12, 2012

মেডিকেল এ চান্স পাননি তাই মন খারাপ স্বল্প ব্যায়ে বিদেশ থেকে


মেডিকেল এ চান্স পাননি তাই মন খারাপ

আমাদের অনেকের রেজাল্ট ভাল থাকা সত্ত্বেও মেডিকেল এ চান্স হল না।তাই নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নাই।
আসেন একটু বাস্তবতায় যাই,বাংলাদেশ এ মেডিকেল সিট সংখ্যা  প্রায় ২৭০০+।
বেসরকারি কলেজ মিলিয়ে প্রায় ৪০০০ এর    বেশি।কিন্তু ৫৩ হাজার এর বেশি এক্সাম দিয়েছ।প্রায় সবার রেজাল্ট ডবল A+ ছিল।কিন্তু তারপরে ও যারা চান্স  পেলনা,তাহলে তারা কি করবে?আমার এই টিউনটি মুলত তাদের জন্য যাদের মেডিকেল এ পড়ার ইচ্ছে আছে কিন্তু চান্স  পাননি তারা কি করবেন।কিংবা কারো রেজাল্ট H.S.C  তে একটু খারাপ হয়ে গেছে।
অনেকের ই ভাবছেন বাহিরে যেয়ে MBBS করবেন।কিন্তু বাহিরে যাবার আগে যে জিনিসটা খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি  যে ইউনিভার্সিটি তে admission নিবেন,তা BMDC অনুমদিত কিনা।এখন প্রায় ছেলারা/মেয়েরা CHINA যেয়ে  MBBS করছে কিন্তু তারা খেয়াল ই করেনা ঐ ইউনিভার্সিটি টা BMDC অনুমদিত কিনা।
আমার রেজাল্ট খারাপ ছিল না।কিন্তু চান্স হল না।মেডিকেল এ পড়ার ইচ্ছা ছিল তাই বাহিরে যাবার জন্য নিজেকে ঠিক করলাম।ঠিক করলাম যে CHINA যাব।প্রায় কথাবার্তা ok।কিন্তু আমি BMDC  তে যেয়ে দেখি ঐ ইউনিভার্সিটি BMDC অনুমদিত না।আমার মাথায় তখন বাশ।পরে ইন্টারনেট এর সার্চ এর মাধ্যমে দেখলাম UKRAINE  মেডিকেল পড়া।তারপর আমি LUGANSK STATE MEDICAL UNIVERSITY তে অ্যাপলই করলাম নিজে।BMDC এটা অনুমোদিত।তারপর চলে আসা।এখানে বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে খরচ অনেক কম এবং পড়াশুনার মান অনেক অনেক ভাল।আমি
LUGANSK STATE MEDICAL UNIVERSITY
এ পড়ছি
UKRAINE এর best দুইটা মেডিকেল ইউনিভার্সিটি
আপনি চাইলে উপরের লিংক গুলুতে ক্লিক করে ইনফর্মেশন নিতে পারেন।আপনে নিজেই অ্যাপ্লাই করতে পারেন।কোন এজেন্ট এর দরকার হবে না।
কারো যদি ফ্যাশন ডিজাইন,আইন,বাবস্থপনা ,সাংবাদিকতা , পরিবেশ বিদ্যা বা অন্য ভালো বিষয়ে পরতে চান তাহলে এই  ইউনিভার্সিটি তে যোগাযোগ করতে পারেন।এই ইউনিভার্সিটি টি ইউরোপ এর top 100 ইউনিভার্সিটির মধ্যে অন্যতম।
আশাকরি,এই টিউনটি আপনাদের উপকার এ আসবে, বিশেষ করে যারা ইউরোপ এ উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে চান।
এটি আমার প্রথম টিউন, ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভবিষ্যতে আমার ইউনিভার্সিটি নিয়ে বিস্তারিত লিখব।
আপনাদের আর বিরক্ত করব না যদি কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করবেন।
বিস্তারিত তথ্য জানার থাকলে আমাকে ইমেইল করতে পারেন
Himu.bai@yahoo.com
সংগৃহীত - এ ই সাইট থেকে 

Wednesday, December 5, 2012

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এল ‘ইল্যান্স’


বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এল ‘ইল্যান্স’

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত ‘ইল্যান্স’। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং সাইটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করার ঘটনা এটাই প্রথম। বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে ইল্যান্স। 
প্রসঙ্গত, ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ইল্যান্সারের তথ্য অনুযায়ী, সাইটটিতে ২৮ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করেন।
৪ ডিসেম্বর বেসিস অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশে ইল্যান্সের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ইউরোপীয় শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেতিল জে অলসেন। বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাইদুর মামুন খান।
সাইদুর মামুন খান প্রথম আলো অনলাইনকে জানান, বাংলাদেশে ইল্যান্স ভিত্তিক বিভিন্ন প্রচারণা, ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুযোগ তৈরিসহ দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে কাজ করবে। 
সাইদুর মামুন খান আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার দ্রুত বাড়ছে। তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে বিভিন্ন বিভাগে, জেলায় ফ্রিল্যান্স মোবিলাইজার নিয়োগের মাধ্যমে ইল্যান্সের কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে।

Tuesday, December 4, 2012

রাজধানীতে লিভ টুগেদার


রাজধানীতে লিভ টুগেদার


 
ঢাকায় লিভ টুগেদার বাড়ছে। মধ্যবিত্ত ঘরের যুবক-যুবতীরা লিভ টুগেদারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কারণে বাড়ছে খুনের মতো অপরাধও। গ্রাম থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থীও ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে লিভ টুগেদার করছে অনেকে। সমাজবিজ্ঞানীরাও স্বীকার করছেন পাশ্চাত্য দুনিয়ার ওই ধারণা অনেকটা সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে ঢাকায়। রকম এক জুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। একই বিভাগে, একই ক্লাসে পড়তেন। গভীর বন্ধুত্ব তখন থেকেই। দুজনই মেধাবী। রেজাল্টও ভাল। বন্ধুটি এখন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বান্ধবী পিএইচডি করছেন, এখনও শেষ হয়নি। থাকছেন বনানী এলাকার একটি অভিজাত ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটটিও নিজেদের। লিভ টুগেদার করছেন। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিয়ে করবেন না। দুজনই চেষ্টা করছেন ইউরোপের একটি দেশে যেতে। বিত্তবান ঘরের সন্তান তারা। বন্ধুটির বাড়ি ছিল ফেনীতে, বান্ধবীর ঢাকায়।


শাহানা তার নতুন নাম। নামে কেবল জর্জই তাকে চেনে। জর্জকে ওই নামে অন্য কেউ চেনে না। এটা শাহানার দেয়া নাম। একে অপরকে দেয়া নতুন নামেই তাদের বাড়ি ভাড়া নেয়া উত্তরা এলাকায়। চাকরিজীবী দুজনই। এক সময়ে চাকরি করতেন এই সংস্থায়। সেখান থেকে পরিচয় ঘনিষ্ঠতা। এখন তারা চাকরি করছেন পৃথক দুটি বৈদেশিক সাহায্য সংস্থায়। উচ্চ বেতনে চাকরি। অফিসের গাড়ি। শাহানা ইংরেজি সাহিত্যে এমএ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে। জর্জ পড়াশোনা করেছেন ভারতের নৈনিতালে, বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন। বছর পাঁচেক আগে ঢাকায় ফিরে চাকরি নিয়েছেন। লিভ টুগেদার করছেন। বিয়ের প্রতি আগ্রহ নেই তাদের। শাহানা ইউরোপ-আমেরিকায় পাড়ি জমাতে চান। সেখানে তার পরিবারের বেশির ভাগ লোক বসবাস করছে। শাহানার চিন্তা বিয়ে মানেই একটি সংসার, ছেলেমেয়ে, স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি। এখনই এগুলোর কথা ভাবতে গেলে তার ক্যারিয়ার হোঁচট খাবে, বিদেশে যাওয়া না- হতে পারে। কথাগুলো সে খুলে বলেছে জর্জকে। জর্জ রাজি হওয়ায় এক সঙ্গে থাকছেন তারা চার বছর ধরে। খাওয়া-দাওয়ার খরচ দুজনে মিলে বহন করেন। সব কিছুই হয় দুজনে শেয়ার করে। মনোমালিন্য হয় না তা নয়, হয় আবার তা মিটেও যায়। এভাবেই চলছে চার বছর ধরে।


একটি মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষে পড়াশোনা করছেন তারা। বসবাস করছেন ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাটে। ছেলেমেয়ে দুজনই ধনাঢ্য পরিবারের। দুবছর ধরে লিভ টুগেদার করছেন। পড়শিরা জানে, স্বামী-স্ত্রী। অন্যদের সঙ্গে সেভাবেই নিজেদের পরিচয় দেন। যশোরের একটি গ্রাম থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসেছেন ওরা। পরিচয় তাদের স্কুল থেকে। ঢাকায় এসে প্রথম দুবছর দুজন থাকতেন আলাদা বাড়ি ভাড়া করে। এখন দুজন মিলে থাকছেন একই বাসায়। ভাড়া দেন দুজনে শেয়ার করে। গত এক বছর ধরে লিভ টুগেদার করছেন তারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় লিভ টুগেদারের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ঢাকার প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজগুলোর ছাত্র-শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এমনকি সাধারণ কর্মচারীরা পর্যন্ত লিভ টুগেদার করছে। শোবিজে লিভ টুগেদার এখন সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। জাতীয় ভাবে পরিচিত শোবিজের অনেক স্টার এখন লিভ টুগেদার করছেন। দেশব্যাপী পরিচিত দুজন নৃত্যশিল্পীর লিভ টুগেদারের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট শোবিজে। একজন পরিচিত কণ্ঠশিল্পী গত পাঁচ বছর ধরে লিভ টুগেদারের পর আপাত বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এখন থাকছেন আলাদা। শোবিজের নাট্যাঙ্গনের চার জোড়া নতুন মুখ লিভ টুগেদার করছেন বছরখানেক ধরে। তাদের পরিচিত নিকটজনরা জানেন তাদের লিভ টুগেদার সম্পর্কে। নিজেদের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে তারা কেউ আপাতত বিয়ের কথা ভাবছেন না। শোবিজে ছেলেমেয়ে উভয়ের উচ্চাসনে যাওয়ার পথে বিয়েকে একটি বড় বাধা মনে করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত দুই তিন বছরের মধ্যে ঢাকায় লিভ টুগেদারেরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে লিভ টুগেদারের বেশির ভাগ ছিল সমাজের উচ্চ স্তরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে। এখন লিভ টুগেদারের প্রবণতা বেড়েছে মধ্যবিত্ত সমাজে। সদ্য গ্রাম থেকে এসে ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া ছেলেমেয়েরা লিভ টুগেদার করছে। কেবলমাত্র পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে কিন্তু তাদের কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি এমন অনেক মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা ঢাকায় লিভ টুগেদার করছে। ঢাকার একটি নামকরা মেডিকেল কলেজের একজন শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে বলেন, তার জানা মতে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম করে হলেও এক জোড়া ছেলেমেয়ে লিভ টুগেদার করছে। বিষয়টি তাদের কাছে ওপেন সিক্রেট হলেও কেউ কাউকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে না। ওই শিক্ষার্থী লিভ টুগেদারকে খারাপ কিছু মনে করেন না। তার ভাষায় দুজনের মতের মিলেই তারা লিভ টুগেদার করে। এখানে অপরাধ কিছু নেই। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা লিভ টুগেদার করছেন। তাদের লিভ টুগেদারের কথা জানে তাদের অনেক ছাত্রও। ওই শিক্ষকদের একজন তার এক নিকটজনের কাছে বলেছেন, লিভ টুগেদারকে তিনি বরং গর্বের বিষয় মনে করেন।


ঢাকায় লিভ টুগেদার করছেন, বর্তমানে বসবাস করছেন গুলশান এলাকায়। চাকরি করেন একটি বিদেশী সাহায্য সংস্থায়। এর আগে তার কর্মস্থল ছিল পাপুয়া নিউগিনিতে। তিন বছর ধরে ঢাকায় আছেন। লিভ টুগেদার করছেন তারই এক সহকর্মী নারীর সঙ্গে। ওই ভদ্রলোক এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা দুজনই বাংলাদেশী। তবে আমাদের কর্মক্ষেত্র আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে পোস্টিং হয়। এখন বাংলাদেশে আছি, এক বছর পর অন্য কোথাও যেতে হতে পারে। সে কারণে আমরা দুজনই ঠিক করেছি লিভ টুগেদার করতে। তাছাড়া, লিভ টুগেদারের ধারণা খারাপ নয়, আমরা কেউ কারও বোঝা নই, আইনি বন্ধনও নেই। কারও ভাল না লাগলে তিনি এক সঙ্গে না- থাকতে পারেন। এতে কোন জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
ঢাকায় লিভ টুগেদার করছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে প্রবণতার কিছু কারণ জানা গেছে। তাদের মতে, যে সব মেয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করে, নিজেদেরকে ইউরোপ-আমেরিকা বা দেশের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তারা এখনই বিয়ে করে ছেলেমেয়ের ভার নিতে চায় না। সংসারের ঘানি টানতে চায় না। ওই সব মেয়ে নিজেদেরকে বিবাহিত বলে পরিচয় দিলে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করে। এমন অনেক ছেলেও আছে যারা ওই সব মেয়ের মতো ধারণা পোষণ করে না তারা কেবলমাত্র জৈবিক কারণে লিভ টুগেদার করছে। অর্থবিত্তে বা চাকরিতে প্রতিষ্ঠিত এমন অনেকে লিভ টুগেদার করছে কেবলমাত্র সমাজে তার একজন সঙ্গীকে দেখানোর জন্য, নিজের একাকিত্ব জৈবিক তাড়নায়। অনেকে বিয়ের প্রতি প্রচণ্ড রকম অনাগ্রহ থেকেও লিভ টুগেদার করছে। ঢাকা শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতির কন্যা ঢাকায় লিভ টুগেদার করছেন একজন বিদেশী নাগরিকের সঙ্গে। ওই শিল্পপতির কন্যার প্রথম বিয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে সংসার জীবনের পাট চুকিয়ে এখন বিদেশী নাগরিকের সঙ্গে লিভ টুগেদার করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় ব্যাপক হারে বেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের লিভ টুগদোর। ওয়েস্টার্ন সোসাইটির প্রতি এক ধরনের অন্ধ আবেগ অনুকরণের পাশাপাশি জৈবিক চাহিদা মেটাতে তারা লিভ টুগেদার করছেন। আবার ঘন ঘন তাদের লিভ টুগেদারে বিচ্ছেদও ঘটছে। সহসা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। ঘটছে খুনের মতো অপরাধ। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত এক বছরে রাজধানীতে দশটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশি অনুসন্ধানে শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছে ওইসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল লিভ টুগেদারের বিড়ম্বনা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খুনের শিকার হয়েছে মেয়েরা। দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এরা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। এক পর্যায়ে মনোমালিন্য বা মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে খুন করে পালিয়েছে ছেলেটি। চলতি বছর জুলাই মাসে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় খুন হয় সুরাইয়া নামের এক যুবতী। তিনি চাকরি করতেন একটি বেসরকারি সংস্থায়। তাকে খুন করে বাসায় লাশ রেখে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে চলে যায় যুবক সুমন রহমান। পরে জানা যায়, প্রায় বছর খানেক ধরে লিভ টুগেদার করতেন সুমন সুরাইয়া। এপ্রিল মাসে এক অজ্ঞাত তরুণীর লাশ পাওয়া যায় গাজীপুরের শালবন এলাকায়। পুলিশ অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরা এলাকায় একটি বাড়িতে দুই-তিন বছর ধরে এক যুবকের সঙ্গে সে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া থাকতো। মে মাসে রাজধানীর গুলশান এলাকায় বাসার ভেতরে এক তরুণীকে খুন করে পালিয়ে যায় ঘাতক। তারাও ভাড়া থাকতো স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে। মে মাসে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, ঢাকার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ওই তরুণী লিভ টুগেদার করতো তারই এক বন্ধুর সঙ্গে। মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে মনোমালিন্য শুরু হয় তাদের মাঝে। শেষে মেয়েটিকে খুন করে পালিয়ে যায় বন্ধুটি। গত ১লা নভেম্বর ্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয় ম্যারেজ মিডিয়ার দুই পার্টনার। ফরিদপুর শহরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে একই শহরের আরেকটি মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে লিভ টুগেদার করছে। পারভীন নামের মেয়ে আরিফ নামের ছেলেটি অকপটে স্বীকার করেছে তারা লিভ টুগেদার করছে এবং এক সঙ্গে ম্যারেজ মিডিয়ার ব্যবসা করছে।



ঢাকাতে লিভ টুগেদার বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক . শাহ এহসান হাবীব বলেন, বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের প্রভাবে নানা ধরনের মুভি সিনেমা ডকুমেন্টারি আমাদের সমাজমানসে পাশ্চাত্য জীবনের নানা দিক প্রভাব ফেলছে, অনেকে সেটা গ্রহণ করছে। তার সঙ্গে আমাদের সমাজে ইন্ডিভিজ্যুয়াল বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের চিন্তা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে লিভ টুগেদারের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়াও অনেক যুবক-যুবতী এখন ফ্যামিলিকে একটা বার্ডেন মনে করে, বিয়েকে তাদের ক্যারিয়ারের অন্তরায় মনে করে। দেখা যাচ্ছে, এরা বিয়ের চেয়ে লিভ টুগেদারকে বেশি পছন্দ করছে। এতে তাদের জৈবিক চাহিদাও মিটছে আবার সামাজিক নিরাপত্তাও পাচ্ছে। তারা সুখে দুঃখে একজন আরেক জনের সঙ্গী হচ্ছে। মধ্যবিত্তদের লিভ টুগেদারে আগ্রহী হয়ে ওঠা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এখন বাড়ি ভাড়া একটি বড় সমস্যা। বাইরে থেকে পড়তে আসা বা চাকরি করতে আসা যুবক বা যুবতীকে বাড়ির মালিক আলাদা আলাদা বাড়ি ভাড়া দিতে চায় না। সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এক সঙ্গে থাকছেন, লিভ টুগেদার করছেন। এতে তাদের জৈবিক চাহিদাও মিটছে আবার সামাজিক নিরাপত্তাও থাকছে। আবার অনেক ছেলেমেয়ে মনে করছে লিভ টুগেদার করে কয়েক বছর কাটিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তারা আবার অবিবাহিত পরিচয়ে সমাজে ফিরে যাবে যাতে সমাজে তাদের মর্যাদা ঠিক থাকে।


  তিনি বলেন, তবে এতে সমস্যা হচ্ছে সমাজে এক ধরনের ক্রাইম তৈরি হচ্ছে, কোন কারণে বনিবনা না হলে খুন হয়ে যাচ্ছে মেয়ে বা ছেলেটি
আসুন এই পঙ্কিলতা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে ভূমিকা রাথি, ধমীয় মূল্যবোধই পারে চরিত্রবান জীবন যাপনে গড়তে।