চাকরিদাতাদের অভিভূত করতে ৬টি উপায়ে বাড়ান আপনার ইমেজ
২. ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ চালু করা : একটা সুন্দর ব্লগ যদি আপনার থেকে থাকে তবে কোনো প্রতিষ্ঠান গুগলে সার্চ দিলে আপনার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গী বদলে যাবে। ওয়ার্ড প্রেস ডট কম-এ চলে যান। সেখানে ফ্রি সাইন আপ করে অ্যাকাউন্ট খুলে নিন। এই ব্লগটিও আপনার এক ধরনের সিভির মতো কাজ করবে।
৩. টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে নিন : ব্লগ খোলার পর টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে নিন। নিজের ক্ষেত্রে নানা রকম পোস্ট দিন এখানে। এর মাধ্যমে আপনার ব্লগের পাঠক বাড়বে। এতে টুইটারে ফলোয়ার বাড়বে আপনার। এই সব বিষয়গুলো মার্কেটিংয়ের কাজ করে।
৪. গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট : প্রত্যেক চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের নজর কাড়তে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কেন্দ্রিবিন্দুতে থাকতে গুগল প্লাসে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিন। এতে গুগলে আপনার র্যাঙ্ক ভালো হবে। এতে করে কেউ আপনার নাম লিখে সার্চ দিলে ততো ভালভাবে এবং দ্রুত আপনাকে পেয়ে যাবে।
গুগলে দুই ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। প্রথমত, গুগল প্লাসে আপনার পোস্টের মাধ্যমে গুগল 'অথার র্যাঙ্ক' করবে। আর সেই অথার র্যাঙ্ক দিয়েই প্রতিষ্ঠান আপনাকে খুঁজতে আগ্রহী হবে। দ্বিতীয়ত, গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট যখন ব্লগের সঙ্গে যুক্ত করবেন তখন ব্লগের পরই আপনার ছবিটি দেখা যাবে। তাই যখন কোনো প্রতিষ্ঠান আপনার নাম লিখে খোঁজ করবে, তখন ব্লগের পরই আপনার ছবিটা তারা দেখতে পাবে।
৫. ব্লগের জন্য একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালু করুন : অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত হওয়ার পর আপনার কাজটি হবে, ফেসবুকে ব্লগের জন্য একটি অ্যাকাউন্ট খোলা। আপনার যাবতীয় বিষয় মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে, পাঠকসংখ্যা বাড়াতে এবং নিজের ব্লগের ত্রুটি বের করতে ফেসবুক একটি দারুণ জায়গা।
৬. লিঙ্কএডিন অ্যাকাউন্ট : আপনার সামাজিক যোগাযোগসহ পেশাজীবনের বিস্তারিত তুলে ধরা যাবে লিঙ্কএডিন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে এখানে পোস্ট দিতে পারবেন এবং একজন দায়িত্বশীল অভিজ্ঞ চাকরিপ্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠানের নজর কাড়তে পারবেন।
এই সকল মাধ্যম মিলে প্রতিষ্ঠানের চোখে আপনার গোটা সিভি পরিষ্কার হয়ে উঠবে। কাজেই একটি সুন্দর ব্লগ সাইটের মাধ্যমে নিজের ব্র্যান্ডিং ইমেজ তৈরি করুন ঠিক যেভাবে একটি লোগো একটি প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরে। এ সকল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার উপস্থিতি চাকরিদাতাদের মনে আপনার সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা গড়ে দেবে।