Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Monday, July 30, 2012

ফ্রিল্যান্সিং : রাতারাতি বড়লোক হবার সর্টকার্ট রাস্তা ?


ফ্রিল্যান্সিং : রাতারাতি বড়লোক হবার সর্টকার্ট রাস্তা নয় !




যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন,সেদিন থেকে আপনি আপনার,আপনার নেই কোন ধরা বাধা পেশা। আপনি স্বাধীন এবং আপনার উন্নতি আপনার দক্ষতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি বিপ্লব,আধুনিক যুগে নিজেকে উচু করে তোলার একটি নতুন পদ্ধতি।
আজ থেকে বহু বছর আগে ইংল্যান্ডে শিল্প বিল্পব হয়েছিল,কিন্তু আজো নতুন প্রজন্ম সেই দিনটির কথা স্মরন করে।এখন থেকে বহু বছর পরের প্রজন্ম ঠিক তেমনি করে স্মরন করবে ফ্রিল্যান্সিং বিপ্লবের কথা।
২০১১-২০১২ সালটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ।বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ের জন্য,তাদের মনে ২য় কোন ভাবনা আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে অনেকে এটাকে টাকা আয়েরর সরল পথ হিসেবে অভিহিত করে।

চলুন আজ থেকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশে ফিরে যাই,কয়টা কম্পিউটার ছিল বাংলাদেশে ? হাতে গোনা শ’খানেক ? কিংবা আরো কম/বেশি। তখন যুব সমাজের মনে প্রশ্ন জাগতো পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি করবো,কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার হত।অনেক সময় ছোট একটি চাকরি করেও ভালোই দিন কেটে যেত। তো ২০১২ সালের যুক সমাজের মনে কি প্রশ্ন জাগে ? ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে টাকা আর টাকা ইনকাম ? নাকী অন্য কিছু ?
প্রযুক্তির যতই কাছে যাচ্ছি ততই আমরা সর্টকার্ট হয়ে যাচ্ছি,কাজে কর্মে,যাতায়াতে কিংবা বিনোদনে।কিন্তু একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরি করলে কি বিনোদনের সময় পাবেন ?
সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা বাজার আগে বাড়ি গিয়ে বিশ্রামের চিন্তা ? ইম্পসিবল। বসের গাল মন্ধ না শুনলে সেটা কি চাকরি হল ? মাস শেষে অফিসের ম্যানেজারের রুমের সামনে গোরাগোরি ছাড়া মাইনে নিবেন ? অসম্ভব।

আপনার কি ইচ্ছে করে না বাসায় বসে গরম কপিতে চুমুক দিয়ে বসের ঝাড়ি না খেয়েই অফিস করতে ? কিংবা সকাল বেলা চাকুরি করে বিকেল বেলা পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে ? সপ্তাহের যে কোন দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমনে যেতে ? যদি ইচ্ছে থাকে তবেই ফ্রিল্যান্সিং এ আসুন।
ভালো কথা,আরাম আয়েশ এর কথা শুনে এই পথে আসলেন ? তো করবেন টা কি ?আপনার যোগ্যতা কি ? বিকম/এমবিএ কিংবা ডাক্তার ? অনলাইনে বসে ডাক্তারি করবেন ? হয়েছে আপনি রুগি মেরে ফেলবেন।তো আপনার প্রথমেই জানা দরকার অনলাইনে কি কি কাজের ক্ষেত্র আছে ।


আমি এই পথে আসার আগে আপনাকে ৫টি প্রশ্ন করবো ,আগে নিজেকে নিজে সেই প্রশ্ন করুন তার উত্তর দিন:-

  • ১. আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি?
  • ২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
  • ৩. আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
  • ৪. আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি ?
  • ৫. আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?

আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি? :

আপনার বর্তমান পেশায় আপনার বেতন কম,পদোন্নতি হচ্ছে না,পদোন্নতির ভবিষত সুযোগ নেই,আমি এই পেশায় আগ্রহী নই,আমি অফিসের নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারছি না।
যদি এই হয় আপনার উত্তর তবে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এ স্বাগতম।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?:

সব কিছুর একটা বয়স/সময় আছে,সঠিক সময়ে সঠিক পথে না গেলে পরে সফল হবার সম্ভাববনা কমেই যায়। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন,বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসলে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা। যদি আপনি শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাশ করা যুবক হয়ে থাকেন তবে এক কথায় বলবো এই পথে আপনার সূচনা হওয়া চাই।
প্রতিটা মানুষের চাকরি/কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত সময় লাগে,আপনি যদি একজন ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার্থীকে এনে এই পেশায় ডুকিয়ে দিন তবে তার বড় হওয়া তো দূরের কথা স্বপ্ন দেখাই পাপ হয়ে দাড়াবে। তাই যখন তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যাবে না।আগে একটা উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আপনি যখন নিজেকে মানষিক ভাবে যখন কাজ করার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন,তখনি আসুন।

আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?:

দরুন আপনি বর্তমানে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা,আপনি একটু স্বাধীন ভাবে চলার জন্য ব্যাংক এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ? ভুল সিব্ধান্ত নিবেন না কারন আপনার দক্ষতা হিসাব নিকাশে অন্য কিছুতে নয়।
আপনি আপনার বর্তমান পেশাকে সম্মান করেন,এবং কাজটি আপনার জন্য সহজ অথচ মাইনে কম, তো আপনি কি বেশি আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ নামবেন ? টাকা তো পরের কথা আসল কথা হচ্ছে আপনি তো এই কাজে পারদর্শী নন।
তাই আমি বলবো আপনি যে কাজটি ভালো পারেন সেটাই করুন,হোক না কয়টা টাকা মাইনে কম বা বেশি।

আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি ?:

এই পেশায় ২/৪টা ভুল করবেন এটা নিশ্চিত,তবে আপনি যদি বাসায় বসে কাজ করেন তবে আপনার ভুলগুলো সংশোধনের জন্য কি আপনি প্রস্তুত ? যদি নিজের ভুল নিজে ধরতে না পারেন তবে আপনার জন্য এই পেশা কিছুটা ঝুকির হতে পারে। যারা ভুল করার পর অন্নত সেটা উপলব্ধি করতে পারেন তবে তাদের জন্য এই পেশা শুভ।

আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো? :

অফিসে আপনি বসের প্রতিদিন বকা খেতেন দেরিতে আসার জন্য,কিন্তু এই আচরন যদি আপনার থেকে চিরবিদায়া না নেয় তবে ফ্লিল্যান্সিং ও আপনার জন্য কল্যানকর হবে না। কারন এখানে মানুষ টিকে থাকে পার্সোনালীটি এবং দক্ষতার উপর।তাই বাজে অভ্যাশ ত্যাগ করুন।

ডিগ্রি ছাড়া ফ্লিল্যান্সিং চলবে ? :

আপনি যদি ডিগ্রি প্রাপ্ত হোন তবে আপনার জন্য ওয়েলকাম,বর্তমানে আগের মত আর সুযোগ নেই যে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবনা শুরু করে পরে ১০ বিলিয়নের মালিক হবেন।
বর্তমানে অবস্থা হচ্ছে সঠিক পথে না যেতে পারলে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে ১০ বিলিয়নের মালিক হওয়া যাবে না।
যাদের শিক্ষাগত যোগত্য নেই তাদের জন্য এই পেশা অসম্ভব,যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনাকে কোন বিশেষ জ্ঞান না দিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই পেশা উপযোগী নয়।
কেননা এখানে আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি সমাজে উপস্থিত হতে হবে,যার সাথে আপনি সম্পূর্ণ অপরিচিত।তাই আমি বলবো আগে শিক্ষাগত যোগত্য অর্জন করুন এবং পরে পেশায় আসুন।
এই পেশায় আসতে হলে আমর কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন ?: প্রথমত আপনাকে স্কুল/কলেজের/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করতে হবে।হতে পারে তা হাতে কলমে শিক্ষা কিংবা বই মুখস্ত করে শিক্ষা,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করতেই হবে।

২য় কথা হচ্ছে ফ্লিল্যান্সিং পেশায় আপনি যে কাজটি করতে চাইছেন তার সম্পর্কে শিক্ষা লাভ।যদি তা হয় চিত্রাংকন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তবে সেই বিষয়ে আপনাকে শিক্ষাগ্রহন করতে হবে।
আমি কিন্তু ডিগ্রি বলতে শুধু নামকরা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় সার্টিফিকেটের কথা বলছি না,যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করেই এই পেশায় আসার অনুরোধ করছি।

আমার রুম মেট প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করে,আমিও তার সাথে যোগ দেব ? :

ধরুন আপনি ইংরেজীতে অনার্স করেছেন এবং ইংরেজী অনেক ভালো জানেন। আপনার বন্ধু মার্কেটিং কিংবা হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স করেছে। এখন আপনি করেন কোন কলেজে ইংরেজী  বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরি।
আর আপানার বন্ধু করে শেয়ার বাজার বিজনেস। আপনি চাইলেন আপনার জমানো টাকা দিয়ে তার সাথে শেয়ার বিজনেস শুরু করবেন,এবং শেয়ার বাজারে আপনার ১ লক্ষ টাকাও বিনিয়োগ করলেন।
১ মাস বাধে আপনার ১ লক্ষ টাকা লস হলো,এবং আপনি শেয়ার বাজারের সামনে লাঠি নিয়ে অবস্থান করলেন।আপনার ধারনা সব দোষ শেয়ার বাজারের।
কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে কিভাবে শেয়ার বিজনেস পরিচালনা করতে হয় আপনি তা জানেন না,কথন কোন প্রদক্ষেপ নিতে হয় আপনি তাও জানেন না। কেননা শেয়ার বাজার সমন্ধে আপনার কোন ধারনা নেই,আপনি ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী তাই বলে শেয়ার বাজারে আপনার লাভ হবে তা নয়।আপনারই বন্ধু শেয়ার বাজারে লাভ করতে পেরেছে কারন তিনি শেয়ার বাজার সমন্ধে অনেক ভালো বুঝেন,তিনি এই বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন সে জন্য।
তাই অন্যকে দেখে তার পেশায় ঝুকে পড়বেন না,আপনি যা ভালো পারেন তাই করুন । আর পেশা বদলাতে হলে সেই পেশার সমন্ধে আগে অবগত হোন,ট্রেইনিং গ্রহন করুন। না ঝুঝে,না জেনে,যেখানে সেখানে নিজেকে পরিচালিত করবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে নিতে হলে আগে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর খোজ খবর নিন,অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন প্রয়োজনে প্রশিক্ষন নিন।

আমি তো ফিজিক্স এর ছাত্র ফ্রিল্যান্সিং কি আমাকে দিয়ে হবে? :

আপনি কিসের ছাত্র তা দেখার বিষয় নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে আগ্রহী এবং দক্ষ। আপনি যদি ফিজিক্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন কিন্তু আপনি আইটি সেক্টরে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আমি বলবে আপনিও এই পেশায় আসতে পারেন।
কেননা আপনার সফলতা নিশ্চিত ,যেহেতু আপনি এই পেশার প্রতি আগ্রহী। তবে আগের কথা হচ্ছে এই যে আপনাকে উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করতে হবে এবং তারপরেই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করবেন।

আমি ফ্লিল্যান্সিং পেশায় পেশাজীবি হতে চাই,কিন্তু কিভাবে ?:

  • ১.  সব সময় নিজেকে প্রফেশনাল ভাবতে শিখুন: আপনি মনে করবেন যে আপনি বেকার নন,শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই তাকে পেশা/চাকুরি বলে না। আপনি সব সময় ভাবুন যে আপনি পেশাজীবি এবং আপনার একটি সম্মানজনক পেশা আছে।
  • ২. সব সোর্স থেকে উপদেশ গ্রহন করবেন না: আমরা প্রতিদিন যে কথাবার্তা শুনি বা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিংবা জনসভায় যা শুনি তার সবগুলো আপনি উপদেশ হিসেবে গ্রহন করবেন না।
    ভালো এবং খারাফের পার্থক্য নিশ্চিত করার পর ভালো টা গ্রহন করুন।অনেকে পত্র পত্রিকায় নিজেদের স্বার্থে অনেক কিছুই বলে/লিখে,তবে তার সব কটি পজেটিভ নয়।
  • ৩. পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন
  • ৪. একটি সময় ঠিক করুন,কতদিন এই পেশায় থাকবেন: মিনিমাম ৩ অথবা ৫ বছর প্রাথমিক ভাবে নিদ্দিষ্ট করুন যে আপনি আগামী ৫ বছর ফ্রিল্যান্সিং করবেন।

  • ৫. সব অফার গ্রহন করবেন না: আপনি যখন ভালো পজিশনে থাকবেন তখন অনেক অফার পাবেন,তাই বলে সবগুলো গ্রহন করবেন না,কিছু অফার ছেড়ে দিন এবং বেছে যেকোন একটি ভালো সুযোগ গ্রহন করুন। কেননা ছোট এবং কম লাভজনক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে পরে ভালো অফার পেলেও আপনি তা গ্রহন করতে পারবেন না বা সেই সুযোগ থাকবে না।
  • ৬. যে কাজটি পারেন তাই করুন:  ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে,আপনি যেটা ভালো পারেন সব সময় সেটাই করুন,বার বার কাজ পাল্টাবেন না,এতে আপনি ততটা দক্ষতা অর্জন করতে কোনদিন পারবেন না।যে কোন একটা কাজেরই অভিঙ্গতা অর্জন করুন।

প্রমোশন লাগবে ? আগে এগুলো করুন:

  • ১. দায়িত্বের অবহেলা নয়: আপনাকে কেউ hire করেছে তার একটি কাজ করে দেওয়ার জন্য,অথচ সে আপনাকে কাজের সময় পেলো না,তবে প্রমোশন হবে নাকী ডিমোশন হবে ?
  • তাই কাজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি যত্নশীল হোন।
  • ২. কাজ নির্বাচন করুন; ক্লায়েন্ট আপনাকে কি কাজের জন্য hire করেছেন তার সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারনা নিতে হবে এবং সেই কাজটি আপনি পারেন কিনা তা নিশ্চিত হোন।

  • ৩. কাজ না করে লোক বলে বেড়াবেন না: কোন কাজ শেষ করার আগে লোক বলে বেড়াবেন না ।
  • ৪. আপনার কতটুকু বহনের ক্ষমতা আছে:এক সাথে কতটুকু কাজ আপনি করতে পারবেন তার উপর অনুমান করেই কাজ নিন,ওভার লোড নিবেন না।তাতে কোন কাজই সময় মত শেষ করতে পারবেন না।

আমার কাজের মূল্য কত ?

আমি যে কাজ করি তার জন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে কত টাকা চাইতে পারি?
  • ১. নিজেকে অযোগ্য মনে করে কাজের মূল্য খুব কমাবেন না
  • ২.আপনি কাজটি একা করতে পারবেন নাকী অন্য কাউকে সাথে নিবেন,তবে সে হিসেবে টাকার ইষ্টিমিট করুন
  • ৩.নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে ভালো কাজ অল্প দামে করবেন না
  • ৪.আগামীতে আরো কাজ পাবার আশায় কারো কাজ খুব কম দামে করবেন না।
  • ৫.ক্লায়েন্ট কে বোকা ভেবে কোন কাজের মূল্য খুব বড় অংকের চাইবেন না।
  • ৬.আপনার প্রাপ্য থেকে কখনো ডিসকাউন্ট দিবেন না

কাজ নিতে গেলে যে সকল বাক বিতর্ক প্রায়ই হয়:

যা আপনাকে ক্লায়েন্ট বলতে পারে-
“ এই কাজের জন্য আমরা ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করে ফেলছি.”
তার মানে ক্লায়েন্ট আপনাকে বলতে চাচ্ছে যে তারা আপনাকে যে কাজের জন্য নিতে চাচ্ছেন সে কাজটি তারা এর আগেও অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন,এবং অনেক অর্থ খরচ করেছেন।
“ আপনি যে টাকা দাবি করছেন,তার অর্ধেক দামেই আমাদের আগের কর্মীরা কাজ করেছেন“
এখন আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছে একটা টাকার পরিমান চাইবার পরে সে আপনাকে বলবে যে এর আগে তারা অনেক সস্তায় কাজ করিয়েছেন।
“ আমাদের এখানে আপনার দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ রয়েছে ”
আপনাকে লোভ দেখানো হচ্ছে যে আপনি কিছু টাকা কম নিলে তারা আপনাকে অনেক দিন তাদের কাজে রাখবে

“ আপনার পূর্বের করা কাজের নমুনা দেখতে চাই ”
আপনি তাদের কাজটি করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে ধারনা পেতে তারা আপনার কিছু সদ্য শেষ করা কাজের নমুনা দেখতে চাইবে।
“ আপনাকে আমাদের সাথে সময় মেনে কাজ করতে হবে ”
আপনি যে দেশেই থাকুন না কেন ক্লায়েন্ট চাইবে তার সুবিদা মত আপনাকে কাজে পেতে,তাই একটা সময়  নির্ধারন করে নিবে।
“আপনিই প্রথম,যাকে আমি নিজে থেকে hire করেছি”
তার মানে ক্লায়েন্ট বলতে চাইছে,তার কাছে আপনাকে হয়তো পছন্দ হয়েছে অথবা যোগ্য মনে হয়ছে।
“আপনার কাজের মূল্যায়ন করেই আপনার সাথে আগাবো”
এখন আপনাকে অগ্রিম তাদের সাথে কাজ কন্টিনিউ করার একটা প্রসেস বলে দেওয়া হয়েছে।

ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন ! কি করবেন ?

ANGER !
জেনে নিন ANGER এর পূর্ণ রুপ আসলে কি
A=Acknowledge= স্বীকার
N=Nod  =  নড়া
G=Guide=  গাইড
E=Execute=  সম্পাদন
R=Retreat= পশ্চাদপসরণ
আপনার ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন এটা কোন ব্যাপার নয়,আপনি ক্লায়েন্ট সমন্ধে কি চিন্তা করছেন তাও ব্যাপার নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে এটা হ্যান্ডেল করবেন।
এবার আপনিও রেগে গেছেন ? একটাই সমাধান চুপ করে বসে থাকুন,নো টক

একই কাজের রিলেটেড কয়েকটা কাজ শিখে রাখুন:

মনে করুন আপনি একজন ডাক্তার,আপনি কারো পেট কেটে তার টিউমার অপারেশন করেছেন,তার পেটে কেটে দেখলেন যে তার কিডনির ও সমস্যা আছে,এখন আপনি কি করবেন ?তার টিউমার এর সমস্যা সমাধান করে তার পেট সেলাই করে দিবেন এবং অন্য ডাক্তার এনে আবার তার পেট কেটে কিডনির সমস্যা সারাবেন ? এক পেটে কত সেলাই করবেন ? রুগী কি বাচবে ? আপনার যদি কিডনির সম্পর্কে ধারনা থাকতো তবে এই অপারেশনে ২টি সমস্যার সমাধান করে পেলতে পারতেন।
কেন এই উদাহরন দিলাম: মনে করুন আপনি নিজেকে ওয়ার্ডপ্রেস/জুমলা এক্সপার্ট পরিচয় দেন কিংবা মনে করেন। আপনাকে যদি আপনার ক্লায়েন্ট বলে যে আপনি আমাকে সাইটের মধ্যে অমুক ফিচার টি এড করে দিন। তখন আপনি কি করবেন ?
তার মানেই হলো ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা জুমলা জানলেই আপনি ওয়েব পরিপূর্ণ নন।
আপনাকে তার পাশাপাশি অন্য কাজগুলো আয়ত্ব করে নিতে হবে।ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে : প্লেইন কোডিং,সিএমএস,সিকুরেটি এইসব কিছুই জানতে হবে।

যাদের প্রতি মুহুর্তে টাকা উপার্জন প্রয়োজন তারা এই পেশার আসবেন না:

ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যার ভবিষ্যত কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না,বর্তমানে যে কাজটি বেশি জনপ্রিয় এবং চাহিদা আছে আগামী দিনে তা কি হবে তা কেউ জানে না।
এখানে প্রতিদিন কিন্তু কাজ পাবেন তাও নয়,এটি যেমন স্বাধীন পেশা তাই এখানে সব সময় কাজ পাবেন না।এটাকে সিজনাল ও বলতে পারেন,এখানে অনেক প্রতিযোগী তাই আপনাকে কে ভাবে গড়ে তুলতে হবে।
যাদের মাস পুরালেই অবশ্যই নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রয়োজন তারা এই পেশায় আসবেন না। কেননা এখানে মাস শেষে কতটাকা ইনকাম হবে তা মাসের শুরুতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না।
সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত আপনার চাহিদা অনুযায়ী চাকুরি/কাজ কার এবং যাতে আপনার বাজেট ফিক্সড হয়।

যাদের সংসার চালাতে মাসে নূন্যতম একটা টাকার অংক(আবশ্যক) লাগবেই তারা এই পেশায় না এসে কোথাও চাহিদা অনুসারে কাজ নিন।আমি তাদের কথাই বলছি যাদের সংসারে ব্যাকাপ দেবার মত কেউ নেই তাদের।
কেননা এখানে কোন মাসে আপনি অনেক টাকা আয় করবেন আবার কয়েকমাস কোন আয় হবে না,সে ক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তবে আপনি চাইলে চাকুরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টাকে অপশনাল হিসেবে নিন,তাহলে আপনার আর কোন  রিক্স থাকবে না।

ব্লগে/পত্র পত্রিকায় সবাই বলে ফ্রিল্যান্সিং সহজ,অথচ আপনি বলছেন অনিশ্চিত !

কোট টাই লাগিয়ে আপনাদের সামনে ভাষন দিতে আসিনি,কিংবা আমার পিএস আমাতে কাগজে লিখে দিয়ে যায়নি মহান ভক্তা হবার বিশেষ ভাষন।
আমি যা বলছি এবং লিখছি তা জীবনমুখী,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। কোন সফল কাহীনির বাংলা অনুবাদ করে লিখছি না, আমরা বাংলাদেশীরা সব সময় ইন্টারনেটে বসে বসে সফল কাহীনি খুজে,তাই আমরা সমস্যা গুলো খুজে পাইনা।
শতকরা ১০ ভাগ মানুষ সফল হয়,আর বাকী ৯০ ভাগ মানুষ ব্যার্থ হয়,কারন তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে মাটিতে হোচড় খায়,আপনি যদি সফল হতে চান তবে সঠিক পথে ধরে এগোতে হবে।

সবাই বড়লোক হতে বলে,কিন্তু বড়লোক হবার সঠিক রাস্তা কেউ দেখায় না:

ব্লগ/নিউজ পেপার/পরিবার/বন্ধু বলেন ,কেউ আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারবে না,কেউ জানেও না কিভাবে বড়লোক হতে হয়। মানুষ আস্তে আস্তে কোন একদিন অপরের চোখে বড়লোক হয়ে উঠে,তবে তার জন্য কতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তা গননার প্রয়োজন নেই।আপনাকে কেই জীবনে বড় হতে বললেই ভাববেন না যে সে মহা অপরাধ করেছে আসলে সে আপনার মাথায় বড়লোক হবার ভাবনা ডুকিয়ে দিয়েছে এখন বাকী কাজ আপনার।

ভাইয়া আমি অনলাইনে আয় করতে চাই,ইনকাম করতে চাই: আমার ভাইয়েরা,আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তারা আগে কোন একট নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন।
মনে রাখবেন দক্ষ হলে যে কোথাও তার কাজ আছে আর দক্ষ না হলে তার স্থান কোথাও নেই।
অনলাইনে আয় করে বড়লোক হোন ! : অনেক সময় এই ধরনের শিরোনামের কিছু লেখা চোখে পড়ে, আসলেই কি টাকা উপার্জন এতটা সহজ ?
রাতারাতি বড়লোক হবার কোন সর্টকার্ট রাস্তা নেই(ভালো পথে)।ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটা সময়উপযোগী পেশা,এখানে আপনার নিজেকে প্রমোট করার সুযোগ নিজের হাতেই,তবে আপনাকে একটা ভালো পজিশনে যেতে হলে প্রচুর কায়িক শ্রম দিতে হবে।
আজকে ফ্রিল্যান্স শুরু করে কালকে বড়লোক হয়ে যাবেন সেটা কথনো হবার নয়। একটা  কাজ করতে করতে যখন আপনি সেই কাজে পারদর্শী হয়ে যাবেন তখনি আপনার প্রমোশন।অপরের কথায় আত্বভোলা না হয়ে নিজে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

সবাই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার জন্য উ্যসাহ দেয়,আমি কেন নেগেটিভ কথা বলছি ?:

পৃথিবীতে অনেক কঠিন সত্য আছে তাই।সব কিছুর একটা বাজে দিক আছে,যদিও এই পেশার সমস্যাগুলো ততোটা বাজে নয় তবুও জেনে শুনে বিষ পান করাও শ্রেয়।

টিকা:

  • বাংলা টেকনোলজী ব্লগ গুলোর(টেকটিউন্স সহ) মডারেশন প্যানেল কে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে,ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যাতে কেউ ভুল ব্যাখ্যা না দিয়ে লেখা না প্রকাশ করে,অনেকে রাতারাতি টাকা আয়ের পথ দেখায়, পিটিসি কিংবা ফেইসবুক লাইক দেয়ার জবের কথা বলে, আসলে এই সব কাজের কোন গ্যারান্টি নেই। তাই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক লেখাগুলোকে ভালো করে যাচাই করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
  • আমি যে সব ভালো কথা বলছি তা কিন্তু নয়,শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত মতামত আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করছি, সবচেয়ে উত্তম কাজ হবে আমার লেখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বের করতে পারেন কিনা সেটাই।
আমার লেখায় ভালো কিছু থাকলে তা গ্রহন করুন আর যা আপনার মতের সাথে মিলছে না তা বর্জন করুন।

Thursday, July 26, 2012

কিভাবে নামাজের মধুরতা আস্বাদন করা যায়? পর্ব ১

কিভাবে নামাজের মধুরতা আস্বাদন করা যায়? পর্ব ১

২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০৫


সকল প্রশংসা ও শুকরিয়া আল্লাহ তায়ালার জন্যে, এবং অজস্র দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সকল নবী রাসুল গনের উপর|

বেশ কিছুদিন আগে, কুয়েতী দা’য়ী মিশারী আল-খারাজ এর উপস্থাপনায় ”كيف تتلذذ بالصلاة؟” নামে একটি আরবি প্রোগ্রাম প্রচারিত হয়েছিল যার মানে হলো: “কিভাবে নামাজের মধুরতা আস্বাদন করা যায়?” আমা...দের প্রায় সবারই নামাজের ‘খুশু’ কমবেশি হয়ে থাকে| খুশু কী? এটা আসলে অন্তরের বা মনের একটি অবস্থা যা নামাজে প্রশান্তি, গাম্ভীর্য ও বিনম্রতা বজায় রাখে; যা হৃদয় থেকে বর্ষিত হয়ে আমাদের আল্লাহর সামনে বিনম্র ও আম্ত্মসমর্পিত করে|

কোন কোন সময় নামাজে আমাদের আরাধনা এমন হয় যেনো আমরা প্রতিটা শব্দ কে ভেতর থেকে অনুভব করি; আবার অন্য সময় নামাজ শুধু নিয়ম মেনে উঠাবসা ছাড়া আর কিছুই হয় না| ইনশা-আল্লাহ, আমরা আগামী কিছুদিন নামাজের অতিগুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করব|
এক আনসারী ও এক মুহাজির এর কাহিনী:

সুনানে আবু দাউদ থেকে হাসান সনদে বর্ণিত; কোন একটি যুদ্ধের সময় নবী(সা:) দুজন পাহারাদার নিয়োগ করেন, তাদের একজন ছিলেন মুহাজিরীন, আরেকজন ছিলেন আনসার| একটা সময় আনসারী সাহাবী নামাজের জন্য উঠে পড়লেন অপরদিকে মুহাজিরীন সাহাবী তখন ক্লান্তিতে তন্দ্রা মতো এসেছিলেন| এই সময় প্রতিপক্ষের এক মুশরিক এই অবস্থা দেখে সুযোগ বুঝে আনসার সাহাবীর দিকে তীর ছুড়ে মারেন| এটা তাঁর গায়ে লাগে, কিন্তু তবুও কষ্ট করে তীর বের করে রক্তাক্ত অবস্থায় নামাজ চালিয়ে গেলেন| এটা দেখে ঐ মুশরিক আবার তীর নিক্ষেপ করলেন| আবারও আনসার সাহাবী তীরটি অপসারণ করে নামাজ চালিয়ে গেলেন| কিন্তু যখন তৃতীয় তীর আঘাত হানল; তিনি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না এবং তিনি রুকু এবং সেজদায় চলে গেলেন, এর মাঝে মুহাজিরীন সাহাবীর ঘুম ভেঙ্গে যায়(মুশরিক তা দেখে পালিয়ে যায়), এবং তাঁর সাথীর রক্তাক্ত অবস্থা দেখে চেঁচিয়ে উঠে বললেন “সুবহান-আল্লাহ! যখন প্রথম সে তোমাকে আঘাত করেছিলো আমাকে কেন ডাকলে না?” আনসারী সাহাবীর উত্তর ছিল, “আমি তখন এমন একটি সুরা তিলাওয়াত করছিলাম যা আমি ভালবাসি, আর আমি সেটা থামাতে চাচ্ছিলাম না|” আল্লাহ আকবার, আমাদের পক্ষে কী কল্পনা করা সম্ভব কী পরিমান আবেগ ও নিষ্ঠা ছিলো তাঁর নামাজে?
নামাজের মধুরতা:

নামাজ হল সর্বোত্তম ইবাদত| যখন কেউ নামাজ শেষ করার উদ্দেশ্যে সালাম ফেরায়(তাসলিম) তখন সে নিশ্চিত ভাবেই এক প্রশান্তি লাভ করে| ইবনে আল যাওজী নামাজের ব্যাপারে বলেন:
إنا في روضة طعامنا فيها الخشوع و شرابنا فيها الدموع

“আমরা এমন এক উদ্যানে অবস্থান করি যেখানে আমাদের খাদ্য হল খুশু আর পানীয় হল অশ্রু”
যে নামাজে পূর্ণভাবে আরাধনা করে তার আত্মা তার কাছে আর থাকেনা; যেমন ইবনে তায়মিয়্যাহ বলেন, তার রুহ আসলে আল্লাহর আরশের তাওয়াফ করতে থাকে|

কেউ একথা বলতে পারেন যে এরাতো আগের জামানার মানুষ| এখন কেউ এরকম অনুভব করেন না| কিন্তু এ কথা মোটেও সত্য নয়; যে কেউ নামাজের এই অমৃতসুধার সন্ধান পেতে পারে, আর এর জন্য দরকার নামাজের গুরুত্ব অনুধাবন করা এবং খুশু অর্জনের রহস্য উন্মোচন করা| আর এর মাধ্যমেই নামাজ হতে পারে আমাদের সব কিছুর সমাধান; সব দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি ও হতাশার ঔষুধ, এমন কিছু যার মাঝে আমরা পরম প্রশান্তি লাভ করি; এমন কিছু যা আমরা চাই কখনও শেষ না হোক|

চলুন তাহলে শুরু করি রহস্য উন্মোচন এবং আল্লাহর সাথে কথোপকথন|

১: প্রথমত আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটা হলো খুশু সম্পর্কে আমাদের ধারণা পরিবর্তন করতে হবে| খুশু মানে শুধু এই না যে আপনি খুবই কষ্ট করে এমন মনোনিবেশ করেছেন যে আপনাকে আর ভিন্নমুখী করা সম্ভবই নয়| একাগ্রত হৃদয় বা মন হল খুশুর প্রথম স্তর| অনেকটা এরকম যে আপনি কেবল একটি বাড়ির দরজা খুলেছেন, এখনো পুরো বাড়িটা দেখা বাকি আছে| খুশুর গভীরতা অসীম|
অনেকেরই এটা মনে হয় যে মনকে একাগ্রত করা, নিজের চিন্তা চেতনাকে কেন্দ্রীভূত করা খুবই কঠিন কাজ| এই ধারনাকে নির্মূল করতে নামাজে আসার সময়ই আমাদের নামাজের ব্যাপারে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আসতে হবে| ধরা যাক আমাদের প্রতি নামাজে ১০ মিনিট সময় লাগে| মানে দিনে ৫০ মিনিট; এক ঘন্টাও না| বাকি তেইশ ঘন্টা আমার দুনিয়ার জন্য| এই পঞ্চাশটা মিনিটও কী আমরা শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য দিতে পারিনা? এইটুকু সময়েও কী আমরা দুনিয়ার জিনিস নিয়ে ভাববো?

নামাজ শুরুর আগে এই কথা গুলো মনে মনে ভাববেন, যাতে আমাদের নফস আমাদের এই বলে ধোঁকা দিতে না পারে যে “নামাজে মনোযোগ দেয়া খুবই কঠিন”-কারণ এটা খুবই সম্ভব একটা কাজ; মনে রাখা উচিত আল্লাহর সামনে দাড়ানোর আনন্দ/মিষ্টতা দুনিয়ার যেকোনো প্রলোভনের চেয়ে অনেক অনেক আকাঙ্ক্ষিত, অনেক সুখের| শুধু একবার তা অনুভব করলে আর কিছুতেই মন উদাস হবে না|
নামাজের গভীরতা:

নামাজের আসল স্বাদ আস্বাদনের অন্যতম একটি উপায় হলো; নামাজ বুঝে বুঝে পড়া| কী তিলাওয়াত করা হছে তা বোঝা ও তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা| ঐ প্রোগ্রামটিতে, মিশারী আল-খারাজি বলছিলেন: “চলুন পরিচয় করিয়ে দেই নামাজে আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগীকে|” জানেন কাকে তিনি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন?

মসজিদের একটি স্তম্ভ(pillar)কে! জি হ্যাঁ, মসজিদের মাঝে দাড়িয়ে থাকা স্তম্ভ| যেকোনো স্তম্ভ; তা সে বাড়িতেই হোক, অফিসে হোক আর মসজিদেই হোক তা আপনার প্রতিযোগী|কেন?

কারণ যদি আপনি নামাজে দাড়িয়ে থাকেন, স্তম্ভ আপনার চেয়ে বেশি সময় দাড়িয়ে থাকে| যখন সিজদা
করেন, আপনার চেয়ে বেশি সময় ধরে সিজদাহ করে সেই স্তম্ভ| যখন তাসবীহ পরেন, এটা আপনার চেয়ে অনেক বেসি তাসবীহ পড়ে| কিভাবে? আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন:

وَإِنْ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَكِنْ لَا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ

“তাঁর পবিত্রতা তো বর্ণনা করছে সাত আকাশ ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যে যা কিছু আছে সব জিনিসই৷ এমন কোনো জিনিস নেই যা তাঁর প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে না, কিন্তু তোমরা তাদের পবিত্রতা ও মহিমা কীর্তন বুঝতে পারো না,” [সুরা বাণী ইসরাইল ১৭:৪৪]

এবং

أَلَمْ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ يَسْجُدُ لَهُۥ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَن فِى ٱلْأَرْضِ وَٱلشَّمْسُ وَٱلْقَمَرُ وَٱلنُّجُومُ وَٱلْجِبَالُ
وَٱلشَّجَرُ وَٱلدَّوَآبُّ وَكَثِيرٌۭ مِّنَ ٱلنَّاسِ ۖ وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ ٱلْعَذَابُ

“তুমি কি দেখো না আল্লাহর সামনে সিজদানত, সবকিছুই যা আছে আকাশে ও পৃথিবীতে- সূর্য, চন্দ্র, তারকা, পাহাড়, গাছপালা, জীবজন্তু এবং বহু মানুষ ও এমন বহু লোক যাদের প্রতি আযাব অবধারিত হয়ে গেছে? আর যাকে আল্লাহ লাঞ্ছিত ও হেয় করেন তার সম্মানদাতা কেউ নেই আল্লাহ যা কিছু চান তাই করেন৷” [সুরা হাজ্জ ২২:১৮]

যদি আমরা পিলারকে জিগ্যেস করি, তোমরা কী বুঝো? তা কখনই উত্তর দিতে পারবে না| এখন যদি আমরা আমাদের জিগ্যেস করি- আমরা তাদের চেয়ে কতটা বেশি ভালো? যখন আমরা বলি “সামি’আল্লাহু লিমান হামিদা” এর মানে কী? কিংবা তাহিয়্যাত(আত্তাহিয়াতু)ই বা কী বোঝায়? শুধু শাব্দিক অর্থই নয়; এগুলোর সুনির্দিস্ট অর্থ কী? এগুলো বলার কারণ ও উদ্দেশ্যই বা কী? ইনশা-আল্লাহ আগামী পর্বগুলোতে আমরা নামজের প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করব যাতে আমরা খুশু অর্জন করতে পারি|
শেষ কথা....

এ কথা বলা ঠিক হবে না যে “কিন্তু...আমি পারিনা!” আল্লাহ কিভাবে আমাদের খুশু অর্জনের কথা বলতে পারেন যদি তা অসম্ভবই হবে? আল্লাহ তায়ালা উদার; তাঁর উদারতার সীমা নেই, আমাদের কল্পনার বাইরে; আমরা যদি তাঁর দিকে এক পা অগ্রসর হই, তিনি আমাদের দিকে ছুটে আসবেন| আল্লাহ বলেন:

وَٱلَّذِينَ جَٰهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا ۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَمَعَ ٱلْمُحْسِنِينَ

“যারা আমার জন্য সংগ্রাম- সাধনা করবে তাদেরকে আমি আমার পথ দেখাবো৷ আর অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মশালীদেরই সাথে আছেন৷” [সুরা আনকাবুত ২৯:৬৯]

তাই বিসমিল্লাহ(আল্লাহর নামে) ও ইনশা-আল্লাহ, চলুন পরিশেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন আল্লাহ আমাদের সবার খুশু বাড়িয়ে দেন এবং নামাজের প্রশ্নটিকে উপলব্ধি করার তৌফিক দেন| আমীন|

চলবে...ইনশাআল্লাহ 
Collected from popular blog Somewhere. 

Monday, July 16, 2012

ফ্রিল্যান্সিং তরুণীদের কাছে এখন জনপ্রিয়

ফ্রিল্যান্সিং তরুণীদের কাছে এখন জনপ্রিয়

দেশের আর্থসামাজিক প্রোপটে আত্মনির্ভরশীলতার বিকল্প নেই। ঘরে বসে আয়ের পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পেশাগত দতা প্রদর্শন। বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে দেশে সমাদৃত হয়ে উঠেছে আউটসোর্সিং। শুধু পুরুষ নয়, নারীর কাছেও সমান জনপ্রিয় আউটসোর্সিং। এসব নিয়ে লিখেছেন নাজমুল হোসেন

পড়াশোনা, সংসার সব কিছু সামলে সফলভাবে আউটসোর্সিং করছেন দেশের নারীরা। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পড়ালেখা শেষ করে পূর্ণকালীন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনেকেই আত্মপ্রকাশ করছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে পড়ালেখা শেষ করে একটা চাকরির জন্য বসে থাকতে হয় না। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্বল্পপুঁজিতে অনায়াসে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায়। এ জন্য দরকার কয়েকটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ এবং আইটিতে দ জনবল, যা প্রতি বছরই বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছে।
সফল ফ্রিল্যান্সার মারজান আহমেদ
ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আলাদা রকমের আগ্রহ রয়েছে দেশের খ্যাতিমান ফ্রিল্যান্সার মারজান আহমেদের। কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মারজান। বর্তমানে যশোর সরকারি এমএম কলেজে স্নাতকপর্যায়ে পড়াশোনা করছেন। ২০১০ সাল থেকে পেশা হিসেবে জগৎটিকে বেছে নিয়েছেন। শুধু শখের বশেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন তিনি। শুরুর দুই-তিন মাসের মধ্যে ভালো সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে বেশ উৎসাহ নিয়ে পুরোদমে কাজে নেমে পড়েছিলেন মারজান। প্রবন্ধ লেখা ও ওয়েব ডিজাইনের কাজ দিয়ে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটিংয়ে নিজেকে দ করে ফ্রিল্যান্সার ডট কমে কাজ করছেন। বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন, ছোট ছোট লোগো ডিজাইন তৈরির কাজ করছেন। মারজান ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী হওয়ায় ওয়েব কনটেন্ট লেখায় বেশি পারদর্শী। এ ছাড়া ইন্টারনেট বিপণনের ক্ষেত্রেও তার আগ্রহ রয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে সব সময় বায়ারের কাছ থেকে ভালো র‌্যাংকিং পাওয়ার চেষ্টা করেন। ডেডলাইন মেনে চলায় এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যায় পড়েননি। তিনি জানিয়েছেন, দেশের মেয়েদের স্বনির্ভরতার জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটা উন্মুক্ত সেক্টর। নিজের মেধা, মনন আর সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে যে কেউ এ জগতে আসতে পারেন। তবে শুরুতেই নতুনদের উদ্দেশে একটা কথা বলব, তা হলো ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেসে অনেক রকমের কাজ রয়েছে। নিজেকে ঠিক করতে হবে কোন ফিল্ডে কাজ করবেন। ভালো একটি বিষয় পছন্দ করে নিজেকে দ করতে পারলে এখানে কাজের কোনো অভাব হবে না। আর আপনার কাজের সোর্সের ব্যাপারেও অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। যেহেতু এটা ইন্টারন্যাশনালি, তাই ইংরেজি ভাষা ভালোভাবে আয়ত্ত করা উচিত। প্রথম দিকে কাজ পেতে একটু দেরি হলে নতুনরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন এটা ঠিক নয়। মনে রাখা দরকার এ কাজে ধৈর্য আর দতাই আপনার মূল পুঁজি। এ দু’টিকেই সামনে নিয়ে চলতে হবে। অপো করুন দেখবেন ঠিক কাজ পেয়ে গেছেন।
বর্তমানে মারজানের নিজের ছোট একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে কাজ করছেন ১০ থেকে ১৫ জন ফ্রিল্যান্সার। তিনি আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতিতে বিশ্বের মধ্যে একটি ভালো অবস্থানে যাবে। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে অনেক। এর পরও নতুনদের নিয়ে অগ্রসর হতে চান তিনি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথমে দেখতে চান। ভবিষ্যতে নতুনদের নিয়ে ভালো কিছু করার ইচ্ছাও রয়েছে।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য টিপস
বহির্বিশ্বের কাজ কম্পিউটারের মনিটরে সাজিয়ে দিচ্ছে কয়েকটি মধ্যস্থতাকারী ওয়েবসাইট, যাদের বলা হচ্ছে মার্কেটপ্লেস। এ মার্কেটপ্লেসই হতে পারে আয়ের নতুন ঠিকানা। মুক্ত পেশা হিসেবে এখানে যে-কেউ সফল হতে পারেন। তবে প্রথম কাজ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। তাই হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরে বিড করে যেতে হয়। প্রথম দিকে যত কম মূল্যে বিড করা হবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। সম্ভব হলে বিড করার আগেই যদি কাজটি সম্পন্ন করে বায়ারকে দেখানো যায়। কাজটি যদি তিনি পছন্দ করেন তাহলে নিশ্চিতভাবে প্রজেক্টটি পাওয়া সম্ভব। সাধারণত যেসব কাজ তুলনামূলক একটু কঠিন এবং যেসব কাজে কম বিড পড়ে, সে ধরনের কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে সব ধরনের কাজ একটু পর্যবেণ করে নিয়ে সে অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে ইংরেজিতে পারদর্শী হতেই হবে। অন্তত প্রজেক্টের চাহিদা বোঝা এবং সে অনুযায়ী বায়ারের সাথে সাবলীলভাবে যোগাযোগ করার মতা থাকা প্রয়োজন। একটি প্রজেক্ট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করতে হয়। এতে বায়ারের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় এবং কাজ করার সময় পরিশ্রম অনেক কমে যায়। ডেডলাইন সময় শেষ হওয়ার আগেই সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে কায়েন্টের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। কায়েন্টের কাছে কাজ পাঠানোর আগে ভালো করে রিকোয়ারমেন্ট আরেকবার দেখে নিয়ে সম্পূর্ণ কাজ ভালো করে পরীা করতে হবে। সব সময় চেষ্টা থাকবে, যাতে কাজ শেষে সর্বোচ্চ রেটিং পাওয়া যায়। ভালো রেটিং পেলে পরবর্তী কাজগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায়। ভালো রেটিং পাওয়ার উপায় হচ্ছে সঠিকভাবে কাজটি করা, সময়মতো কাজটি শেষ করা, কায়েন্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, যা ভালোভাবে না জানার কারণে অনেকে সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন না। এ জন্য জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা-অসুবিধাসহ রেটিং, ডেডলাইট, সম্মানী বা পারিশ্রমিকের বিষয়টি। 
ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে চলছে প্রতারণা
বর্তমানে ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে দেশের তরুণ-তরুণীরা অর্জন করছে বৈদেশিক মুদ্রা। কয়েক বছর ধরে আউটসোর্সিং কাজের সাথে দেশের তরুণ প্রজন্ম সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটে ভালো আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসের (কাজ পাওয়ার ওয়েবসাইট) পাশাপাশি চালু হয়েছে বেশ কিছু ওয়েবসাইট, যেগুলোতে আউটসোর্সিংয়ের নামে চলছে প্রতারণা। এ ধরনের সাইটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করার আগেই নিবন্ধনের নামে নেয়া হয় বড় অঙ্কের টাকা। পরে বলা হচ্ছে, আগ্রহী পেশাজীবীরা (ফ্রিল্যান্সার) কমিশন প্রথার মাধ্যমে নতুন নতুন ক্রেতা তৈরি করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারবেন। এসব সাইট পরিচালনা করা হয় বাংলাদেশ থেকেও। 
বিশ্বের সেরা মার্কেটপ্লেস 
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এসব মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইটের সাহায্য নেয়া যায়। 
www.odesk.com, 
www.freelancer.com, 
www.elance.com, 
www.vworker.com, 
www.scriptlance.com, 
www.getacoder.com, 
www.99designs.com, 
www.peopleperhour.com। 
এ ছাড়া বেশ কিছু সাইট রয়েছে, যেগুলোতে গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন, স্ক্রিপ্ট, অডিও ও ভিডিও মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সাইটগুলো হলো: 
www.themeforest.net, 
www.graphicriver.net, 
www.codecanyon.net, 
www.activeden.net, 
www.3docean.net, 
www.audiojungle.net, 
www.videohive.net
শেষ কথা : বর্তমান আর্থসামাজিক প্রোপটে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং হতে পারে অর্থনৈতিক মুক্তির উপায়। দেশের দ ও বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জনশক্তিতে পরিণত করতে এটি হতে পারে একটি সহায়ক নিয়ামক। এ েেত্র সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই যথাযথ পদপে নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষজ্ঞের মতামত
মূলত প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের রয়েছে ব্যবহারবান্ধব নীতিমালা, যা নিবন্ধন পূর্ণাঙ্গ করার আগে ব্যবহারকারী সহজে বুঝতে পারবেন। প্রতারণামূলক সাইটগুলোতে এসব নিয়মের কথা নিজেদের মনের মতো করে দেয়া হয়। 

জাবেদ মোর্শেদ
দেশের ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জাবেদ মোর্শেদ জানিয়েছেন, কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ রাখলেই প্রতারণামূলক সাইটগুলোকে চিনে নিতে পারা যায় সহজেই। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কখনোই টাকা দিয়ে কোনো প্যাকেজ কেনা বা এ ধরনের বিষয় থাকে না। এ ছাড়া শুরুতে এসব সাইটে নিবন্ধনের জন্য কোনো টাকাও পরিশোধের প্রয়োজন পড়ে না। কোনো দতার প্রয়োজন নেই, আর অল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে বেশি আয় করা যায় এ বিষয়টিই এসব সাইটে বেশি করে তুলে ধরা হয়। ফ্রিল্যান্সিং আউট সোর্সিংয়ের কাজ বলতে সাধারণত বোঝানো হয়, নিজের কোনো দতার বিনিময়ে স্বাধীনভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাজ করা। আর নিবন্ধনের জন্য নির্দিষ্ট ফি লাগবে তাহলেই বুঝতে হবে, ওই সাইট কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করছে। এ ছাড়া থাকতে পারে একাধিক ব্যক্তিকে যুক্ত করার মাধ্যমে আয়ের বিষয়টি। আকর্ষণীয় নানা ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনেক েেত্র এসব ওয়েবসাইটে বিশেষ বিশেষ সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়। এ তালিকায় রয়েছে পেইড টু কিক (পিটিসি) ধরনের কিছু ওয়েবসাইট।

এ কে এম ফাহিম মাশরুর 
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের সহসভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর জানিয়েছেন, অনলাইনে ভালো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেকেই কাজ করছে। তাই কাজের দতা অর্জন করে সেই সাইটগুলোতেই কাজ করা ভালো। একটা বিষয় মনে রাখা উচিত আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে টাকা পাওয়া যায়, এখানে দেয়ার কোনো বিষয় নেই।

শাহ ইমরুল কায়েস
টেকনোবিডি ওয়েব সলিউশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফ্রিল্যান্সার শাহ ইমরুল কায়েস জানিয়েছেন, ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে নিজেকে আগে নির্দিষ্ট কাজে দতা অর্জনের পাশাপাশি কোন সাইট ভালো সে বিষয়ে একটু পর্যালোচনা করতে হবে। তারপর মার্কেটপ্লেসে চেষ্টা করলে কাজ করা সম্ভব। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ভালো মার্কেটপ্লেস সাইট রয়েছে, যার বাইরে কাজ না করাই ভালো। যথেষ্ট সম্ভাবনাময় এ খাতের কাজ করতে তাই আপনিও সতর্ক থাকুন। প্রতারণামূলক সাইটগুলোকে এড়িয়ে চলুন এবং নিজে কাজ শিখে তারপর ফ্রিল্যান্সিং করুন।
Collected from, নাজমুল হোসেন, Daily Nayadiganto, 17th July12

Friday, July 13, 2012

প্রাথমিক সমাপনী 2012 - উত্তরপত্র মূল্যায়নে নতুন নিয়ম


প্রাথমিক সমাপনীর উত্তরপত্র মূল্যায়নে নতুন নিয়ম - 2012
চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্র নিজ উপজেলার শিক্ষকরা মূল্যায়ন করতে পারবেন না। এক উপজেলার শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র অন্য উপজেলার শিক্ষকরা মূল্যায়ন করবেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসংক্রান্ত কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে।
এ নিয়ম এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এ নিয়মে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়। ২০০৯ সালে দেশে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষার ভিত্তিতে বৃত্তিও দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৪ জন, ইংরেজি ভার্সনে পাঁচ হাজার ৮৪৮ এবং এবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় তিন লাখ ২৯ হাজার ৬৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আবদুর রউফ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মূল্যায়নে মান নিশ্চিতের জন্যই এ পরিবর্তন। আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা দুটির রুটিনও চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার ফি ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষকরা উত্তরপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠাবেন। সেখানে উত্তরপত্রগুলোর কোডিং হবে। পরে সেগুলো জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে উত্তরপত্র ভিন্ন ভিন্ন উপজেলায় পাঠাবেন। শিক্ষকরা উত্তরপত্র পাওয়ার পর উপজেলা সদরে বসে মূল্যায়ন করবেন। মূল্যায়ন শেষে শিক্ষকরা উত্তরপত্রগুলো ফের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠাবেন। সেখান থেকে উত্তরপত্রগুলো আবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উত্তরপত্রগুলোর আরেক দফা কোডিং হবে। এরপর ফলাফল বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আসবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
উত্তরপত্র মূল্যায়ন ছাড়াও এ বছরের সমাপনী পরীক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার ১০ শতাংশ প্রশ্ন হবে ‘যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন। যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ‘আধুনিক হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
অন্যান্য বছর এ পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের জন্য তিন ঘণ্টার অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হতো। এ বছর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিবন্ধীদের জন্য ২০ মিনিট সময় বেশি দেওয়া হবে।
পরীক্ষার ফল গ্রেডিং পদ্ধতিতেই প্রকাশ করা হবে। গত বছর থেকে ফল প্রকাশে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হয়েছে। এর আগে বিভাগ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হতো। গ্রেডিং বিন্যাস হচ্ছে- এ প্লাস (৮০-১০০), এ (৭০-৭৯), এ মাইনাস (৬০-৬৯), বি (৫০-৫৯), সি (৪০-৪৯), ডি (৩৩-৩৯) এবং এফ (০-৩২)।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সময়সূচি` - 2012


প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সময়সূচি- 2012
২১ নভেম্বর গণিত,
২২ নভেম্বর বাংলা,
২৬ নভেম্বর ইংরেজি,
২৭ নভেম্বর পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান,
২৮ নভেম্বর পরিবেশ পরিচিতি সমাজ ও
২৯ নভেম্বর ধর্ম।

এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সময়সূচি-2012
২১ নভেম্বর গণিত,
২২ নভেম্বর বাংলা,
২৬ নভেম্বর ইংরেজি,
২৭ নভেম্বর পরিবেশ পরিচিতি সমাজ ও পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান,
২৮ নভেম্বর আরবি ও
২৯ নভেম্বর কোরআন, আকাঈদ ও ফিকাহ।
কালের কণ্ঠ / শেষের পাতা : ১৪/০৭/২০১২

Tuesday, July 10, 2012

আউটসোর্সিংয়ে অর্জিত অর্থ আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : অর্থমন্ত্রী


আউটসোর্সিংয়ে অর্জিত অর্থ আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : অর্থমন্ত্রী


সরকার আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ সহজে দেশে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এজন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অন-লাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ‘পে-পল’ সেবা বাংলাদেশে প্রবর্তনের বিষয়েও বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচনা করেছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত আজ রবিবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের মিসেস আমিনা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের আলোকে ইতোমধ্যে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড অন-লাইন পেমেন্ট গেটওয়ে এ্যালার্টপে’র সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
যার মাধ্যমে বর্তমানে মাত্র ৩ ডলারের চেয়ে কম ব্যয়ে অদৃশ্য সেবার বিপরীতে (যেমন- ডাটা এন্ট্রি/প্রোসেসিং/অপসোর আইটি সার্ভিসেস, বিজনেস প্রোসেস আউটসোর্সিং ইত্যাদি) অর্জিত অর্থ দেশে প্রত্যাবাসন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওডেক্স থেকে অর্জিত অর্থ প্রতিবার উত্তোলন করতে ভারতীয়দের যেখানে ২ ডলারের কম খরচ করতে হয় সেখানে বাংলাদেশীদের ৩০ ডলার খরচ করতে হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পে-পল বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করছে। অচিরেই তাদের সেবাও এদেশের আউটসোর্সিং সেবা প্রদানকারীরা গ্রহণ করতে পারবেন।
Collected from
বিজনেসটাইমস২৪.কম

Saturday, July 7, 2012

একটি সুন্দর জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর নিয়ম


একটি সুন্দর জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর নিয়ম

আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) হচ্ছে একজন সম্ভাব্য চাকুরীদাতার কাছে একজন চাকুরীপ্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করার প্রাথমিক মাধ্যম কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকুরীপ্রার্থীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত সুন্দর এবং সঠিকভাবে তৈরী করার ব্যপারে গুরুত্ব প্রদান করে না ফলশ্রুতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থীই Job Interview তে ডাক পায় না এবং যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়
আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর আগে যে সকল বাস্তবতার দিকে নজর রাখবেন---
একজন চাকুরীদাতা গড়ে একটি জীবনবৃত্তান্ত (CV)-এর উপর ৩০ সেকেন্ডের বেশী সময় দেয় না সুতরাং এটি হতে হবে সংক্ষিপ্ত তথ্যগুলোর উপস্থাপন হতে হবে সুস্পষ্ট অপ্রয়োজনীয় বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিহার করতে হবে
একজন অনভিজ্ঞ/সদ্য পাস করা চাকুরীপ্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত এক থেকে দুই পাতার বেশী হওয়া কোনভাবেই উচিত্ নয় 
আপনার জীবনবৃত্তান্ত হচ্ছে আপনার নিজেকে বিপণন করার মাধ্যম সুতরাং এটি হতে হবে আকর্ষণীয় তবে চটকদার কোন কিছু যেমন রঙিন কাগজ বা রঙিন কালি ব্যবহার করবেন না কোন কিছু Highlight করতে হলে সেটিকে Bold, italic বা underline করতে পারেন
মনে রাখবেন, আপনার জীবনবৃত্তান্তের মধ্যে যদি কোন বানান ভুল বা ভাষাগত/ Grammatical ভুল থাকে তবে সম্ভাব্য চাকুরীদাতার আপনার সম্বন্ধে নেতিবাচক ধারণা হবে এটি প্রকাশ পাবে যে আপনি কোন কাজই নির্ভুল ভাবে করতে সক্ষম নন সুতরাং একটি CV তৈরীর পর সেটি নিজে ভাল করে পড়ুন এবং শুদ্ধ ইংরেজী জানেন এমন ব্যক্তিকে দেখিয়ে নিন
যখন আপনি কোন নির্দিষ্ট চাকুরী বিজ্ঞপ্তির (job announcement)-এর বিপরীতে আবেদন করার জন্য জীবনবৃত্তান্ত পাঠাবেন, তখন চেষ্টা করুন আপনার CV সেই চাকুরীর চাহিদা অনুযায়ী তৈরী করতে (Customize your CV) এর জন্য প্রয়োজন চাকুরী বিজ্ঞপ্তি ভাল করে পড়া এবং প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে কিছু গবেষণা (Research) করা উদাহরণ স্বরুপ আপনি যদি জানেন যে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের যে কোন স্থানে নিয়োগ দিতে পারে, তাহলে আপনি আপনার CV-তে উল্লেখ করতে পারেন আপনি বাংলাদেশের কোন কোন স্থানে পূর্বে অবস্থান করেছেন অথবা কোন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এমন কোন লোক খুঁজছে যার একজনসংগঠকের (organizer’) ভূমিকা পালন করতে হবে, সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ছাত্রজীবনের কোন সাংগঠনকারীর ভূমিকা উল্লেখ করেন তবে আপনার CV নিয়োগকারীর কাছে আলাদা মূল্য পাবে
§ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার CV তে সঠিক তথ্য দিবেন এমন কোন তথ্য দিবেন না যা আপনার Job interview-তে ভুল প্রমানিত হতে পারে
জীবনবৃত্তান্তের (CV) বিভিন্ন অংশ
একটি জীবনবৃত্তান্তে (CV) যে তথ্যগুলো আপনি সুবিন্যস্ত ভাবে উপস্থাপন করবেন সেগুলো হচ্ছে--
* শিরোনাম (Title)
* সার সংক্ষেপ (Career Summary) --> অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের জন্য বেশী প্রয়োজন
* ক্যারিয়ার উদ্দেশ্য (Career objective)-->সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থীদের জন্য বেশী প্রয়োজন
* চাকুরির অভিজ্ঞতা (Experience)
* শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education)
* অতিরিক্ত তথ্য (Additional Information)
* ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information)
* রেফারেন্স (Reference)
শিরোনাম: (Title)
জীবনবৃত্তান্তের শুরুতেই থাকবে আপনার পুরো নাম এটা বোল্ড (bold) হবে এবং একটু বড় ফন্টে লিখতে হবে (ডাক নাম পরিহার করুন) তার পর থাকবে আপনার ঠিকানা (বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনাকে চিঠি দিলে আপনি পাবেন), ফোন নম্বর -মেইল এড্রেস এই অংশটুকু পৃষ্ঠার উপরে মধ্যখানে থাকবে, যাতে তা প্রথমেই চোখে পরে
Career Summary( সার সংক্ষেপ )
যে সকল ব্যক্তিদের - বছরের বেশী চাকরীর অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য এটি বেশী প্রযোজ্য এই অংশে আপনি সর্বোচ্চ - লাইনে উল্লেখ করুন আপনার পূর্ব চাকরীর অভিজ্ঞতার কর্মক্ষেত্রগুলো আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতার সাফল্যগুলো (Achievement) সংক্ষেপে তুলে ধরুন (যদি থাকে)
Career Objective
এটি বেশী প্রযোজ্য সদ্য পাশ করা চাকুরী প্রার্থী বা অল্প অভিজ্ঞ ( / বছর) চাকুরী প্রার্থীদের জন্য এই অংশে আপনি আপনার চাকুরীক্ষেত্রে বর্তমান লক্ষ্য (Immediate goal) উল্লেখ করুন এবং আপনার যোগ্যতা কিভাবে বিজ্ঞপ্তির (Advertised) চাকুরী বা যে প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন, তার প্রয়োজন মেটাতে পারে তার প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করুন চাকুরীর জন্য উপযুক্ত ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষিপ্তভাবে উলেখ করুন চাকুরী বিজ্ঞপ্তি বা কোম্পানির প্রয়োজনের সাথে খাপ খাইয়ে Career Objective লেখা জরুরী আপনি কোম্পানিকে কি দিতে পারবেন তার ওপর গুরুত্বারোপ করুন, কোম্পানির কাছ থেকে আপনি কি আশা করছেন তার ওপর নয়
Experience: (কর্ম অভিজ্ঞতা)
অভিজ্ঞ পেশাজীবিদের জন্য এই অংশটি শিক্ষাগত যোগ্যতার আগেই আসা উচিত সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা (Education) এবং তার পরে experience আসা উচিত
যে সকল তথ্য আপনার প্রতিটি পূর্ব অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে উল্লেখ করবেন সেগুলো হচ্ছে,
* Organization name (প্রতিষ্ঠানের নাম)
* Designation (পদবী)
* Time period- From & To (সময়কাল)
* Job responsibility (দায়িত্ব)
* Special achievement (উল্লেখযোগ্য সাফল্য)
আপনি যদি একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে কাজ করে থাকেন, তাহলে আলাদা আলাদা ভাবে তা উল্লেখ করুন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি প্রথমেই উল্লেখ করবেন আপনার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা (most recent experience), তার পরে এক এক করে Resume Chronological Order- একটির পর একটি অভিজ্ঞতা উল্লেখ করবেন যা শেষ হবে আপনার সর্বপ্রথম অভিজ্ঞতা দিয়ে
আপনার খুব কম গুরুত্বপূর্ণ বা কম সময়ের অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করাই ভাল তবে লক্ষ্য রাখবেন যে আপনার List of experience এর মধ্যে যাতে খুব বেশী Time gap না থাকে
Education & Training (শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশিক্ষণ)
আগেই বলা হয়েছে যে এই অংশটি সদ্য পাশ করা বা অল্প অভিজ্ঞদের জন্য Experience অংশের আগেই আসা উচিত্ Education অংশে আপনি আপনার ডিগ্রিগুলোর নাম উল্লেখ করবেন এবং নিম্নেবর্ণিত তথ্য প্রদান করবেন
* ডিগ্রির নাম (যেমন: SSC, HSC, BCom)
* কোর্স সময়কাল (কবে থেকে কবে)
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডের নাম
* পরীক্ষার বছর এবং প্রয়োজনে ফলাফল প্রকাশের সময়
* ফলাফল/Result এবং যদি উল্লেখযোগ্য সাফল্য (যেমন: মেধাতালিকায় স্থান) থাকে তবে তার উল্লেখ করতে হবে
Experience-এর মতো এক্ষেত্রেও আপনি আপনার সবচেয়ে সাম্প্রতিক ডিগ্রির উল্লেখ আগে করবেন এবং তার পর পর্যায়ক্রমিক ভাবে বাকিগুলো উল্লেখ করবেন
লক্ষ্য রাখবেন আপনার কোন ডিগ্রির চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হয়ে থাকলে সেই ডিগ্রির উল্লেখ করার সময় ব্র্যাকেটে ‘Appeared’ উল্লেখ করবেন কোন কোর্সে অধ্যায়নরত থাকলে ‘Ongoing’ উল্লেখ করুন কোন ডিগ্রির ক্ষেত্রে আপনার Result যদি খুব খারাপ হয়ে থাকে তবে কোন Result- উল্লেখ করার দরকার নেই মনে রাখবেন একটি ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করা অন্যটি উল্লেখ না করা দৃষ্টিকটু
আপনি যদি কোন বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং যদি তা আপনার কাজের যোগ্যতার সহায়ক বলে মনে করেন তবে তা উল্লেখ করবেন সেক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, Topics, প্রতিষ্ঠানের সময় (Duration) তারিখ উল্লেখ করবেন৷
প্রশিক্ষণের তালিকা আপনি Education অংশের নীচে দিতে পারেন
অতিরিক্ত তথ্য / Additional Information
যে সকল তথ্য উপরে উল্লেখিত অংশগুলোর মধ্যে পড়ে না কিন্তু চাকরির সাথে সম্পর্কিত তা বিভাগে বর্ণনা করুন
* পেশাগত অর্জন / Professional Achievement
* পদক/ সম্মাননা/ Award.
* ভাষাগত দক্ষতা / Language Literacy
* কম্পিউটারে দক্ষতা / Computer Skills.
* লাইসেন্স,সরকারি পরিচয়পত্র, প্রকাশিত লেখা সত্বাধিকার
* স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড ইত্যাদি
ব্যক্তিগত তথ্য / Personal Information
এই অংশে পিতামাতা, বর্তমান/স্থায়ী ঠিকানা, ধর্ম, যে সকল দেশ আপনি ভ্রমণ করেছেন, শখ ইত্যাদি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে
রেফারেন্স (Reference)
খেয়াল রাখবেন Reference অংশে আপনি আপনার নিকট আত্মীয়দের নাম উল্লেখ করবেন না আপনাকে আপনার ছাত্র জীবনে বা কর্মজীবনে কাছ থেকে দেখেছে এমন ব্যক্তিকেই আপনি Reference হিসাবে উল্লেখ করবেন অবশ্যই যাদেরকে Reference দিবেন তাদের ফোন নাম্বার, ঠিকানা এবং -মেইল (যদি থাকে) উল্লেখ করবেন সাধারণত Reference হিসাবে সর্বোচ্চ - জনের নাম উল্লেখ করাই শ্রেয় তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাপারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে আপনি যাদেরকে Reference হিসাবে উল্লেখ করেছেন সে সকল ব্যাক্তিকে আপনার আগে থেকে জানাতে হবে যে আপনি তাদের Reference হিসাবে আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV)- তে উল্লেখ করেছেন