Translate

Friday, July 13, 2012

প্রাথমিক সমাপনী 2012 - উত্তরপত্র মূল্যায়নে নতুন নিয়ম


প্রাথমিক সমাপনীর উত্তরপত্র মূল্যায়নে নতুন নিয়ম - 2012
চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উত্তরপত্র নিজ উপজেলার শিক্ষকরা মূল্যায়ন করতে পারবেন না। এক উপজেলার শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র অন্য উপজেলার শিক্ষকরা মূল্যায়ন করবেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসংক্রান্ত কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে।
এ নিয়ম এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এ নিয়মে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়। ২০০৯ সালে দেশে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষার ভিত্তিতে বৃত্তিও দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৪ জন, ইংরেজি ভার্সনে পাঁচ হাজার ৮৪৮ এবং এবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় তিন লাখ ২৯ হাজার ৬৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আবদুর রউফ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মূল্যায়নে মান নিশ্চিতের জন্যই এ পরিবর্তন। আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা দুটির রুটিনও চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার ফি ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষকরা উত্তরপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠাবেন। সেখানে উত্তরপত্রগুলোর কোডিং হবে। পরে সেগুলো জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে উত্তরপত্র ভিন্ন ভিন্ন উপজেলায় পাঠাবেন। শিক্ষকরা উত্তরপত্র পাওয়ার পর উপজেলা সদরে বসে মূল্যায়ন করবেন। মূল্যায়ন শেষে শিক্ষকরা উত্তরপত্রগুলো ফের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠাবেন। সেখান থেকে উত্তরপত্রগুলো আবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উত্তরপত্রগুলোর আরেক দফা কোডিং হবে। এরপর ফলাফল বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আসবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
উত্তরপত্র মূল্যায়ন ছাড়াও এ বছরের সমাপনী পরীক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার ১০ শতাংশ প্রশ্ন হবে ‘যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন। যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ‘আধুনিক হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
অন্যান্য বছর এ পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের জন্য তিন ঘণ্টার অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হতো। এ বছর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিবন্ধীদের জন্য ২০ মিনিট সময় বেশি দেওয়া হবে।
পরীক্ষার ফল গ্রেডিং পদ্ধতিতেই প্রকাশ করা হবে। গত বছর থেকে ফল প্রকাশে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হয়েছে। এর আগে বিভাগ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হতো। গ্রেডিং বিন্যাস হচ্ছে- এ প্লাস (৮০-১০০), এ (৭০-৭৯), এ মাইনাস (৬০-৬৯), বি (৫০-৫৯), সি (৪০-৪৯), ডি (৩৩-৩৯) এবং এফ (০-৩২)।

0 comments:

Post a Comment