Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Tuesday, October 30, 2012

ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার সহজ কয়েকটি টিপস জেনে নেই

আসুন আমরা ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার সহজ কয়েকটি টিপস জেনে নেই

 
স্থূলতা বা বাড়তি ওজনের সাথে আমরা কম বেশি সবাই   পরিচিত। কারণ এটি এখন বহুল আলোচিত একটি বিষয়। নাগরিক জীবনে কারও কারও ক্ষেত্রে স্থূলতা বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে। বাড়তি ওজনের জন্য বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমরা সকলেই বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। কিন্তু দেখা যায় বিভিন্ন কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। আসলে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছা এবং চেষ্টা। আসুন আমরা ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার সহজ কয়েকটি টিপস জেনে নেই।
 বাড়তি ওজন কমাবেন কি ভাবে
  • প্রতিবেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন।
  • খাবার সময় মজার বা প্রিয় খাবার দেখে ওদরপূর্তি করে না খেয়ে আধপেট খান/পেট খালি রেখে খান।
  • খাবারের সময় অবশ্যই চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে খান। বিশেষ করে মাছ ও মাংসের চর্বি, ঘি, মাখন, পনির ইত্যাদি।
  • ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবেন না।
  • বাজি ধরে বা বন্ধুদের সাথে সেলিব্রেট করার সময় খাবার না খেয়ে বরং কোথাও ঘুরে আসুন।
  • ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো উচ্চ ক্যালরী ও উচ্চ ফ্যাটবহুল খাবার। এসব খাবারের সাথে আপনি নিজের অজান্তেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্যালরী গ্রহণ করে ফেলেছেন।
  • যতটা সম্ভব হাঁটাহাঁটি করুন। যেমন, কাছাকাছি দূরত্বে কোথাও হেঁটে যান, উপরে উঠতে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়িতে চলুন।
  • স্ন্যাকস হিসেবে ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • কারো আশায় না থেকে নিজের ছোট ছোট কাজগুলো নিজেই করুন। যেমন-এক গ্লাস পানির জন্য কাউকে না বলে নিজেই উঠে গিয়ে নিয়ে নিন।
  • অনেকেই বলেন, সময়ের অভাবে এক্সারসাইজ করতে পারেন না, তাই যখনই সময় পান ফ্রিহ্যান্ড কিছু এক্সারসাইজ করুন। যেমন-সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানাতে বসেই কিছু ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন।
  • সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের ওজন মাপুন। কারণ, ওজন যদি স্বাভাবিক থাকে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
আসুন আমরা স্থূলতাকে ভয় না পেয়ে সহজ ভাবে একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। কারণ, স্থূলতা বা ওজনাধিক্য থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশেষ করে ডায়াবেটিস, হূদরোগ, হাইপার-টেনশন ইত্যাদি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির ইচ্ছার সাথে সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশও একান্ত কাম্য।
Collected from Techtunes.com.bd  টিউন করেছেন : | প্রকাশিত হয়েছে : 18 October, 2012 

Saturday, October 13, 2012

ফ্রিল্যান্সিং : রাতারাতি বড়লোক হবার সর্টকার্ট রাস্তা নয়!

ফ্রিল্যান্সিং : রাতারাতি বড়লোক হবার সর্টকার্ট রাস্তা নয়!



যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন,সেদিন থেকে আপনি আপনার,আপনার নেই কোন ধরা বাধা পেশা। আপনি স্বাধীন এবং আপনার উন্নতি আপনার দক্ষতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি বিপ্লব,আধুনিক যুগে নিজেকে উচু করে তোলার একটি নতুন পদ্ধতি।
আজ থেকে বহু বছর আগে ইংল্যান্ডে শিল্প বিল্পব হয়েছিল,কিন্তু আজো নতুন প্রজন্ম সেই দিনটির কথা স্মরন করে।এখন থেকে বহু বছর পরের প্রজন্ম ঠিক তেমনি করে স্মরন করবে ফ্রিল্যান্সিং বিপ্লবের কথা।
২০১১-২০১২ সালটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ।বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ের জন্য,তাদের মনে ২য় কোন ভাবনা আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে অনেকে এটাকে টাকা আয়েরর সরল পথ হিসেবে অভিহিত করে।

চলুন আজ থেকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশে ফিরে যাই,কয়টা কম্পিউটার ছিল বাংলাদেশে ? হাতে গোনা শ’খানেক ? কিংবা আরো কম/বেশি। তখন যুব সমাজের মনে প্রশ্ন জাগতো পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি করবো,কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার হত।অনেক সময় ছোট একটি চাকরি করেও ভালোই দিন কেটে যেত। তো ২০১২ সালের যুক সমাজের মনে কি প্রশ্ন জাগে ? ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে টাকা আর টাকা ইনকাম ? নাকী অন্য কিছু ?
প্রযুক্তির যতই কাছে যাচ্ছি ততই আমরা সর্টকার্ট হয়ে যাচ্ছি,কাজে কর্মে,যাতায়াতে কিংবা বিনোদনে।কিন্তু একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরি করলে কি বিনোদনের সময় পাবেন ?
সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা বাজার আগে বাড়ি গিয়ে বিশ্রামের চিন্তা ? ইম্পসিবল। বসের গাল মন্ধ না শুনলে সেটা কি চাকরি হল ? মাস শেষে অফিসের ম্যানেজারের রুমের সামনে গোরাগোরি ছাড়া মাইনে নিবেন ? অসম্ভব।

আপনার কি ইচ্ছে করে না বাসায় বসে গরম কপিতে চুমুক দিয়ে বসের ঝাড়ি না খেয়েই অফিস করতে ? কিংবা সকাল বেলা চাকুরি করে বিকেল বেলা পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে ? সপ্তাহের যে কোন দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমনে যেতে ? যদি ইচ্ছে থাকে তবেই ফ্রিল্যান্সিং এ আসুন।
ভালো কথা,আরাম আয়েশ এর কথা শুনে এই পথে আসলেন ? তো করবেন টা কি ?আপনার যোগ্যতা কি ? বিকম/এমবিএ কিংবা ডাক্তার ? অনলাইনে বসে ডাক্তারি করবেন ? হয়েছে আপনি রুগি মেরে ফেলবেন।তো আপনার প্রথমেই জানা দরকার অনলাইনে কি কি কাজের ক্ষেত্র আছে ।


আমি এই পথে আসার আগে আপনাকে ৫টি প্রশ্ন করবো ,আগে নিজেকে নিজে সেই প্রশ্ন করুন তার উত্তর দিন:-

  • ১. আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি?
  • ২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
  • ৩. আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
  • ৪. আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি ?
  • ৫. আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?

আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি? :

আপনার বর্তমান পেশায় আপনার বেতন কম,পদোন্নতি হচ্ছে না,পদোন্নতির ভবিষত সুযোগ নেই,আমি এই পেশায় আগ্রহী নই,আমি অফিসের নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারছি না।
যদি এই হয় আপনার উত্তর তবে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এ স্বাগতম।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?:

সব কিছুর একটা বয়স/সময় আছে,সঠিক সময়ে সঠিক পথে না গেলে পরে সফল হবার সম্ভাববনা কমেই যায়। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন,বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসলে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা। যদি আপনি শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাশ করা যুবক হয়ে থাকেন তবে এক কথায় বলবো এই পথে আপনার সূচনা হওয়া চাই।
প্রতিটা মানুষের চাকরি/কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত সময় লাগে,আপনি যদি একজন ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার্থীকে এনে এই পেশায় ডুকিয়ে দিন তবে তার বড় হওয়া তো দূরের কথা স্বপ্ন দেখাই পাপ হয়ে দাড়াবে। তাই যখন তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যাবে না।আগে একটা উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আপনি যখন নিজেকে মানষিক ভাবে যখন কাজ করার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন,তখনি আসুন।

আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?:

দরুন আপনি বর্তমানে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা,আপনি একটু স্বাধীন ভাবে চলার জন্য ব্যাংক এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ? ভুল সিব্ধান্ত নিবেন না কারন আপনার দক্ষতা হিসাব নিকাশে অন্য কিছুতে নয়।
আপনি আপনার বর্তমান পেশাকে সম্মান করেন,এবং কাজটি আপনার জন্য সহজ অথচ মাইনে কম, তো আপনি কি বেশি আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ নামবেন ? টাকা তো পরের কথা আসল কথা হচ্ছে আপনি তো এই কাজে পারদর্শী নন।
তাই আমি বলবো আপনি যে কাজটি ভালো পারেন সেটাই করুন,হোক না কয়টা টাকা মাইনে কম বা বেশি।

আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি ?:

এই পেশায় ২/৪টা ভুল করবেন এটা নিশ্চিত,তবে আপনি যদি বাসায় বসে কাজ করেন তবে আপনার ভুলগুলো সংশোধনের জন্য কি আপনি প্রস্তুত ? যদি নিজের ভুল নিজে ধরতে না পারেন তবে আপনার জন্য এই পেশা কিছুটা ঝুকির হতে পারে। যারা ভুল করার পর অন্নত সেটা উপলব্ধি করতে পারেন তবে তাদের জন্য এই পেশা শুভ।

আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো? :

অফিসে আপনি বসের প্রতিদিন বকা খেতেন দেরিতে আসার জন্য,কিন্তু এই আচরন যদি আপনার থেকে চিরবিদায়া না নেয় তবে ফ্লিল্যান্সিং ও আপনার জন্য কল্যানকর হবে না। কারন এখানে মানুষ টিকে থাকে পার্সোনালীটি এবং দক্ষতার উপর।তাই বাজে অভ্যাশ ত্যাগ করুন।

ডিগ্রি ছাড়া ফ্লিল্যান্সিং চলবে ? :

আপনি যদি ডিগ্রি প্রাপ্ত হোন তবে আপনার জন্য ওয়েলকাম,বর্তমানে আগের মত আর সুযোগ নেই যে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবনা শুরু করে পরে ১০ বিলিয়নের মালিক হবেন।
বর্তমানে অবস্থা হচ্ছে সঠিক পথে না যেতে পারলে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে ১০ বিলিয়নের মালিক হওয়া যাবে না।
যাদের শিক্ষাগত যোগত্য নেই তাদের জন্য এই পেশা অসম্ভব,যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনাকে কোন বিশেষ জ্ঞান না দিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই পেশা উপযোগী নয়।
কেননা এখানে আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি সমাজে উপস্থিত হতে হবে,যার সাথে আপনি সম্পূর্ণ অপরিচিত।তাই আমি বলবো আগে শিক্ষাগত যোগত্য অর্জন করুন এবং পরে পেশায় আসুন।
এই পেশায় আসতে হলে আমর কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন ?: প্রথমত আপনাকে স্কুল/কলেজের/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করতে হবে।হতে পারে তা হাতে কলমে শিক্ষা কিংবা বই মুখস্ত করে শিক্ষা,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করতেই হবে।

২য় কথা হচ্ছে ফ্লিল্যান্সিং পেশায় আপনি যে কাজটি করতে চাইছেন তার সম্পর্কে শিক্ষা লাভ।যদি তা হয় চিত্রাংকন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তবে সেই বিষয়ে আপনাকে শিক্ষাগ্রহন করতে হবে।
আমি কিন্তু ডিগ্রি বলতে শুধু নামকরা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় সার্টিফিকেটের কথা বলছি না,যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করেই এই পেশায় আসার অনুরোধ করছি।

আমার রুম মেট প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করে,আমিও তার সাথে যোগ দেব ? :

ধরুন আপনি ইংরেজীতে অনার্স করেছেন এবং ইংরেজী অনেক ভালো জানেন। আপনার বন্ধু মার্কেটিং কিংবা হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স করেছে। এখন আপনি করেন কোন কলেজে ইংরেজী  বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরি।
আর আপানার বন্ধু করে শেয়ার বাজার বিজনেস। আপনি চাইলেন আপনার জমানো টাকা দিয়ে তার সাথে শেয়ার বিজনেস শুরু করবেন,এবং শেয়ার বাজারে আপনার ১ লক্ষ টাকাও বিনিয়োগ করলেন।
১ মাস বাধে আপনার ১ লক্ষ টাকা লস হলো,এবং আপনি শেয়ার বাজারের সামনে লাঠি নিয়ে অবস্থান করলেন।আপনার ধারনা সব দোষ শেয়ার বাজারের।
কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে কিভাবে শেয়ার বিজনেস পরিচালনা করতে হয় আপনি তা জানেন না,কথন কোন প্রদক্ষেপ নিতে হয় আপনি তাও জানেন না। কেননা শেয়ার বাজার সমন্ধে আপনার কোন ধারনা নেই,আপনি ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী তাই বলে শেয়ার বাজারে আপনার লাভ হবে তা নয়।আপনারই বন্ধু শেয়ার বাজারে লাভ করতে পেরেছে কারন তিনি শেয়ার বাজার সমন্ধে অনেক ভালো বুঝেন,তিনি এই বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন সে জন্য।
তাই অন্যকে দেখে তার পেশায় ঝুকে পড়বেন না,আপনি যা ভালো পারেন তাই করুন । আর পেশা বদলাতে হলে সেই পেশার সমন্ধে আগে অবগত হোন,ট্রেইনিং গ্রহন করুন। না ঝুঝে,না জেনে,যেখানে সেখানে নিজেকে পরিচালিত করবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে নিতে হলে আগে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর খোজ খবর নিন,অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন প্রয়োজনে প্রশিক্ষন নিন।

আমি তো ফিজিক্স এর ছাত্র ফ্রিল্যান্সিং কি আমাকে দিয়ে হবে? :

আপনি কিসের ছাত্র তা দেখার বিষয় নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে আগ্রহী এবং দক্ষ। আপনি যদি ফিজিক্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন কিন্তু আপনি আইটি সেক্টরে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আমি বলবে আপনিও এই পেশায় আসতে পারেন।
কেননা আপনার সফলতা নিশ্চিত ,যেহেতু আপনি এই পেশার প্রতি আগ্রহী। তবে আগের কথা হচ্ছে এই যে আপনাকে উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করতে হবে এবং তারপরেই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করবেন।

আমি ফ্লিল্যান্সিং পেশায় পেশাজীবি হতে চাই,কিন্তু কিভাবে ?:

  • ১.  সব সময় নিজেকে প্রফেশনাল ভাবতে শিখুন: আপনি মনে করবেন যে আপনি বেকার নন,শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই তাকে পেশা/চাকুরি বলে না। আপনি সব সময় ভাবুন যে আপনি পেশাজীবি এবং আপনার একটি সম্মানজনক পেশা আছে।
  • ২. সব সোর্স থেকে উপদেশ গ্রহন করবেন না: আমরা প্রতিদিন যে কথাবার্তা শুনি বা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিংবা জনসভায় যা শুনি তার সবগুলো আপনি উপদেশ হিসেবে গ্রহন করবেন না।
    ভালো এবং খারাফের পার্থক্য নিশ্চিত করার পর ভালো টা গ্রহন করুন।অনেকে পত্র পত্রিকায় নিজেদের স্বার্থে অনেক কিছুই বলে/লিখে,তবে তার সব কটি পজেটিভ নয়।
  • ৩. পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন
  • ৪. একটি সময় ঠিক করুন,কতদিন এই পেশায় থাকবেন: মিনিমাম ৩ অথবা ৫ বছর প্রাথমিক ভাবে নিদ্দিষ্ট করুন যে আপনি আগামী ৫ বছর ফ্রিল্যান্সিং করবেন।

  • ৫. সব অফার গ্রহন করবেন না: আপনি যখন ভালো পজিশনে থাকবেন তখন অনেক অফার পাবেন,তাই বলে সবগুলো গ্রহন করবেন না,কিছু অফার ছেড়ে দিন এবং বেছে যেকোন একটি ভালো সুযোগ গ্রহন করুন। কেননা ছোট এবং কম লাভজনক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে পরে ভালো অফার পেলেও আপনি তা গ্রহন করতে পারবেন না বা সেই সুযোগ থাকবে না।
  • ৬. যে কাজটি পারেন তাই করুন:  ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে,আপনি যেটা ভালো পারেন সব সময় সেটাই করুন,বার বার কাজ পাল্টাবেন না,এতে আপনি ততটা দক্ষতা অর্জন করতে কোনদিন পারবেন না।যে কোন একটা কাজেরই অভিঙ্গতা অর্জন করুন।

প্রমোশন লাগবে ? আগে এগুলো করুন:

  • ১. দায়িত্বের অবহেলা নয়: আপনাকে কেউ hire করেছে তার একটি কাজ করে দেওয়ার জন্য,অথচ সে আপনাকে কাজের সময় পেলো না,তবে প্রমোশন হবে নাকী ডিমোশন হবে ?
  • তাই কাজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি যত্নশীল হোন।
  • ২. কাজ নির্বাচন করুন; ক্লায়েন্ট আপনাকে কি কাজের জন্য hire করেছেন তার সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারনা নিতে হবে এবং সেই কাজটি আপনি পারেন কিনা তা নিশ্চিত হোন।

  • ৩. কাজ না করে লোক বলে বেড়াবেন না: কোন কাজ শেষ করার আগে লোক বলে বেড়াবেন না ।
  • ৪. আপনার কতটুকু বহনের ক্ষমতা আছে:এক সাথে কতটুকু কাজ আপনি করতে পারবেন তার উপর অনুমান করেই কাজ নিন,ওভার লোড নিবেন না।তাতে কোন কাজই সময় মত শেষ করতে পারবেন না।

আমার কাজের মূল্য কত ?

আমি যে কাজ করি তার জন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে কত টাকা চাইতে পারি?
  • ১. নিজেকে অযোগ্য মনে করে কাজের মূল্য খুব কমাবেন না
  • ২.আপনি কাজটি একা করতে পারবেন নাকী অন্য কাউকে সাথে নিবেন,তবে সে হিসেবে টাকার ইষ্টিমিট করুন
  • ৩.নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে ভালো কাজ অল্প দামে করবেন না
  • ৪.আগামীতে আরো কাজ পাবার আশায় কারো কাজ খুব কম দামে করবেন না।
  • ৫.ক্লায়েন্ট কে বোকা ভেবে কোন কাজের মূল্য খুব বড় অংকের চাইবেন না।
  • ৬.আপনার প্রাপ্য থেকে কখনো ডিসকাউন্ট দিবেন না

কাজ নিতে গেলে যে সকল বাক বিতর্ক প্রায়ই হয়:

যা আপনাকে ক্লায়েন্ট বলতে পারে-
“ এই কাজের জন্য আমরা ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করে ফেলছি.”
তার মানে ক্লায়েন্ট আপনাকে বলতে চাচ্ছে যে তারা আপনাকে যে কাজের জন্য নিতে চাচ্ছেন সে কাজটি তারা এর আগেও অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন,এবং অনেক অর্থ খরচ করেছেন।
“ আপনি যে টাকা দাবি করছেন,তার অর্ধেক দামেই আমাদের আগের কর্মীরা কাজ করেছেন“
এখন আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছে একটা টাকার পরিমান চাইবার পরে সে আপনাকে বলবে যে এর আগে তারা অনেক সস্তায় কাজ করিয়েছেন।
“ আমাদের এখানে আপনার দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ রয়েছে ”
আপনাকে লোভ দেখানো হচ্ছে যে আপনি কিছু টাকা কম নিলে তারা আপনাকে অনেক দিন তাদের কাজে রাখবে

“ আপনার পূর্বের করা কাজের নমুনা দেখতে চাই ”
আপনি তাদের কাজটি করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে ধারনা পেতে তারা আপনার কিছু সদ্য শেষ করা কাজের নমুনা দেখতে চাইবে।
“ আপনাকে আমাদের সাথে সময় মেনে কাজ করতে হবে ”
আপনি যে দেশেই থাকুন না কেন ক্লায়েন্ট চাইবে তার সুবিদা মত আপনাকে কাজে পেতে,তাই একটা সময়  নির্ধারন করে নিবে।
“আপনিই প্রথম,যাকে আমি নিজে থেকে hire করেছি”
তার মানে ক্লায়েন্ট বলতে চাইছে,তার কাছে আপনাকে হয়তো পছন্দ হয়েছে অথবা যোগ্য মনে হয়ছে।
“আপনার কাজের মূল্যায়ন করেই আপনার সাথে আগাবো”
এখন আপনাকে অগ্রিম তাদের সাথে কাজ কন্টিনিউ করার একটা প্রসেস বলে দেওয়া হয়েছে।

ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন ! কি করবেন ?

ANGER !
জেনে নিন ANGER এর পূর্ণ রুপ আসলে কি
A=Acknowledge= স্বীকার
N=Nod  =  নড়া
G=Guide=  গাইড
E=Execute=  সম্পাদন
R=Retreat= পশ্চাদপসরণ
আপনার ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন এটা কোন ব্যাপার নয়,আপনি ক্লায়েন্ট সমন্ধে কি চিন্তা করছেন তাও ব্যাপার নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে এটা হ্যান্ডেল করবেন।
এবার আপনিও রেগে গেছেন ? একটাই সমাধান চুপ করে বসে থাকুন,নো টক

একই কাজের রিলেটেড কয়েকটা কাজ শিখে রাখুন:

মনে করুন আপনি একজন ডাক্তার,আপনি কারো পেট কেটে তার টিউমার অপারেশন করেছেন,তার পেটে কেটে দেখলেন যে তার কিডনির ও সমস্যা আছে,এখন আপনি কি করবেন ?তার টিউমার এর সমস্যা সমাধান করে তার পেট সেলাই করে দিবেন এবং অন্য ডাক্তার এনে আবার তার পেট কেটে কিডনির সমস্যা সারাবেন ? এক পেটে কত সেলাই করবেন ? রুগী কি বাচবে ? আপনার যদি কিডনির সম্পর্কে ধারনা থাকতো তবে এই অপারেশনে ২টি সমস্যার সমাধান করে পেলতে পারতেন।
কেন এই উদাহরন দিলাম: মনে করুন আপনি নিজেকে ওয়ার্ডপ্রেস/জুমলা এক্সপার্ট পরিচয় দেন কিংবা মনে করেন। আপনাকে যদি আপনার ক্লায়েন্ট বলে যে আপনি আমাকে সাইটের মধ্যে অমুক ফিচার টি এড করে দিন। তখন আপনি কি করবেন ?
তার মানেই হলো ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা জুমলা জানলেই আপনি ওয়েব পরিপূর্ণ নন।
আপনাকে তার পাশাপাশি অন্য কাজগুলো আয়ত্ব করে নিতে হবে।ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে : প্লেইন কোডিং,সিএমএস,সিকুরেটি এইসব কিছুই জানতে হবে।

যাদের প্রতি মুহুর্তে টাকা উপার্জন প্রয়োজন তারা এই পেশার আসবেন না:

ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যার ভবিষ্যত কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না,বর্তমানে যে কাজটি বেশি জনপ্রিয় এবং চাহিদা আছে আগামী দিনে তা কি হবে তা কেউ জানে না।
এখানে প্রতিদিন কিন্তু কাজ পাবেন তাও নয়,এটি যেমন স্বাধীন পেশা তাই এখানে সব সময় কাজ পাবেন না।এটাকে সিজনাল ও বলতে পারেন,এখানে অনেক প্রতিযোগী তাই আপনাকে কে ভাবে গড়ে তুলতে হবে।
যাদের মাস পুরালেই অবশ্যই নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রয়োজন তারা এই পেশায় আসবেন না। কেননা এখানে মাস শেষে কতটাকা ইনকাম হবে তা মাসের শুরুতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না।
সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত আপনার চাহিদা অনুযায়ী চাকুরি/কাজ কার এবং যাতে আপনার বাজেট ফিক্সড হয়।

যাদের সংসার চালাতে মাসে নূন্যতম একটা টাকার অংক(আবশ্যক) লাগবেই তারা এই পেশায় না এসে কোথাও চাহিদা অনুসারে কাজ নিন।আমি তাদের কথাই বলছি যাদের সংসারে ব্যাকাপ দেবার মত কেউ নেই তাদের।
কেননা এখানে কোন মাসে আপনি অনেক টাকা আয় করবেন আবার কয়েকমাস কোন আয় হবে না,সে ক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তবে আপনি চাইলে চাকুরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টাকে অপশনাল হিসেবে নিন,তাহলে আপনার আর কোন  রিক্স থাকবে না।

ব্লগে/পত্র পত্রিকায় সবাই বলে ফ্রিল্যান্সিং সহজ,অথচ আপনি বলছেন অনিশ্চিত !

কোট টাই লাগিয়ে আপনাদের সামনে ভাষন দিতে আসিনি,কিংবা আমার পিএস আমাতে কাগজে লিখে দিয়ে যায়নি মহান ভক্তা হবার বিশেষ ভাষন।
আমি যা বলছি এবং লিখছি তা জীবনমুখী,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। কোন সফল কাহীনির বাংলা অনুবাদ করে লিখছি না, আমরা বাংলাদেশীরা সব সময় ইন্টারনেটে বসে বসে সফল কাহীনি খুজে,তাই আমরা সমস্যা গুলো খুজে পাইনা।
শতকরা ১০ ভাগ মানুষ সফল হয়,আর বাকী ৯০ ভাগ মানুষ ব্যার্থ হয়,কারন তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে মাটিতে হোচড় খায়,আপনি যদি সফল হতে চান তবে সঠিক পথে ধরে এগোতে হবে।

সবাই বড়লোক হতে বলে,কিন্তু বড়লোক হবার সঠিক রাস্তা কেউ দেখায় না:

ব্লগ/নিউজ পেপার/পরিবার/বন্ধু বলেন ,কেউ আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারবে না,কেউ জানেও না কিভাবে বড়লোক হতে হয়। মানুষ আস্তে আস্তে কোন একদিন অপরের চোখে বড়লোক হয়ে উঠে,তবে তার জন্য কতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তা গননার প্রয়োজন নেই।আপনাকে কেই জীবনে বড় হতে বললেই ভাববেন না যে সে মহা অপরাধ করেছে আসলে সে আপনার মাথায় বড়লোক হবার ভাবনা ডুকিয়ে দিয়েছে এখন বাকী কাজ আপনার।

ভাইয়া আমি অনলাইনে আয় করতে চাই,ইনকাম করতে চাই: আমার ভাইয়েরা,আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তারা আগে কোন একট নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন।
মনে রাখবেন দক্ষ হলে যে কোথাও তার কাজ আছে আর দক্ষ না হলে তার স্থান কোথাও নেই।
অনলাইনে আয় করে বড়লোক হোন ! : অনেক সময় এই ধরনের শিরোনামের কিছু লেখা চোখে পড়ে, আসলেই কি টাকা উপার্জন এতটা সহজ ?
রাতারাতি বড়লোক হবার কোন সর্টকার্ট রাস্তা নেই(ভালো পথে)।ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটা সময়উপযোগী পেশা,এখানে আপনার নিজেকে প্রমোট করার সুযোগ নিজের হাতেই,তবে আপনাকে একটা ভালো পজিশনে যেতে হলে প্রচুর কায়িক শ্রম দিতে হবে।
আজকে ফ্রিল্যান্স শুরু করে কালকে বড়লোক হয়ে যাবেন সেটা কথনো হবার নয়। একটা  কাজ করতে করতে যখন আপনি সেই কাজে পারদর্শী হয়ে যাবেন তখনি আপনার প্রমোশন।অপরের কথায় আত্বভোলা না হয়ে নিজে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

সবাই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার জন্য উ্যসাহ দেয়,আমি কেন নেগেটিভ কথা বলছি ?:

পৃথিবীতে অনেক কঠিন সত্য আছে তাই।সব কিছুর একটা বাজে দিক আছে,যদিও এই পেশার সমস্যাগুলো ততোটা বাজে নয় তবুও জেনে শুনে বিষ পান করাও শ্রেয়।

টিকা:

  • বাংলা টেকনোলজী ব্লগ গুলোর(টেকটিউন্স সহ) মডারেশন প্যানেল কে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে,ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যাতে কেউ ভুল ব্যাখ্যা না দিয়ে লেখা না প্রকাশ করে,অনেকে রাতারাতি টাকা আয়ের পথ দেখায়, পিটিসি কিংবা ফেইসবুক লাইক দেয়ার জবের কথা বলে, আসলে এই সব কাজের কোন গ্যারান্টি নেই। তাই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক লেখাগুলোকে ভালো করে যাচাই করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
  • আমি যে সব ভালো কথা বলছি তা কিন্তু নয়,শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত মতামত আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করছি, সবচেয়ে উত্তম কাজ হবে আমার লেখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বের করতে পারেন কিনা সেটাই।
আমার লেখায় ভালো কিছু থাকলে তা গ্রহন করুন আর যা আপনার মতের সাথে মিলছে না তা বর্জন করুন।
Collected from Techtunes, (http://www.techtunes.com.bd/freelancing/tune-id/141620)

Thursday, October 11, 2012

বিদ্যুৎ নিয়ে কিছু সাধারণ ধারনা যা অনেকেরই অজানা।

বিদ্যুৎ নিয়ে কিছু সাধারণ ধারনা যা অনেকেরই অজানা।

বিদ্যুৎ উৎস হতে ফেজ তার দিয়ে লোডে আসে এবং নিউট্রাল তার দিয়ে উৎসে ফেরত যায়। কিন্তু থ্রী-ফেজ লাইনে নিউট্রাল তার নেই তাহলে উৎসে ফেরত যায় কিভাবে। যে সকল প্রাণী ডিম পারে তাদের শক করেনা ব্যাপারটি তাই,
এই বিষয়টি নিয়ে পরে আলোচনা করব তার আগে জেনে নেই বিদ্যুৎ কি?
মূল কথা হল যদি পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয় তাহলেই তাকে ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ বলে।
আমারা অনেকেই ভোল্টেজ ও কারেন্ট কে গুলিয়ে ফেলি আসুন দেখি এগুলো কি?
আপনি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য নিজেকে কয়লা বানিয়ে ফেলছেন কেন কারণ সুন্দর একটা নারী,বাড়ী,গাড়ী আরো কিছু পাবেন বলে । তা-না হলে কেউ পড়ালেখা করত, না, বিশেষ করে আমি করতাম না। যাই হোক নারী,বাড়ী,গাড়ী পাবার চাপের জন্যই লেখা পড়া। আসলে চাপ ছাড়া কেউ কিছুই করতে চায়না তেমনি চাপ ছাড়াও কিন্তু ইলেকট্রন চলতে চায়না।
উৎস হতে যে চাপের কারণে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয় সেই চাপকে ভোল্টেজ বলে, ইলেকট্রন প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিবাহিতে যে বাধার সম্মখিন হয় তাকে রেজিষ্ট্রান্স বলে, এবং ইলেকট্রনের প্রবাহকে কারেন্ট বলে।
ভোল্টেজের প্রতীক V একক (V) ভোল্ট। রেজিষ্ট্রান্স এর প্রতীক R একক  ওহম, কারেন্টের প্রতীক I (আই) একক (A) অ্যাম্পিয়ার। এবং এদের মধ্যে সম্পর্ক হল V=I*R     (সাবধান যে ১২ কেজি চাপ সয্য করতে পারবে তাকে ২২০ কেজি চাপ ভুলেও দিবেনা তাহলে কিন্তু ফ...ট...স...) যদি প্রতি সেকেন্ডে ৬২৪২০০০০০০০০০০০০০০০ টি ইলেকট্রন প্রবাহিত হয় তখন তাকে ১ অ্যাম্পিয়ার বলে।
চল-বিদ্যুৎ দুই প্রকার  ১. ডিসি     ২. এসি ।
ডিসির ক্ষেত্রে উৎসের যে প্রান্ত হতে বিদ্যুৎ লোডে আসে তাকে পজিটিভ (+) এবং লোড হতে উৎসের যে প্রান্তে ফেরত যায় তাকে নেগেটিভ বলে (-)।
এসির ক্ষেত্রে উৎসের যে প্রান্ত হতে বিদ্যুৎ লোডে আসে তাকে ফেজ (P) এবং লোড হতে উৎসের যে প্রান্তে ফেরত যায় তাকে নিউট্রাল বলে (N)।
আমরা প্রতিনিয়ত পজিটিভ এবং ফেজ কে এক করে ফেলি কিন্তু জেনে রাখা ভাল ফেজের মধ্যে পজিটিভ এবং নেগেটিভ বিদ্যমান ।
চিত্রের উপরের অংশ টুকু পজেটিভ নীচের অংশ টুকু নেগেটিভ এবং পুরাটুকুকে এক সাইকেল বা এক হার্জ বলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ এর সাপ্লাই ফ্রিকোয়েন্সি ৫০ হার্জ (Hz) বা ৫০ সাইকেল/সেকেন্ড।
এখন আসি পাওয়ার নিয়ে
পাওয়ার তিন ধরনের
Apparent Power (আপাত পাওয়ার) = V * I  (ভোল্টেজ* কারেন্ট)   (এই পাওয়ার কে অনেকেই ডিসি পাওয়ার বলে)
Re Active Power ( প্রতি কার্যকরী পাওয়ার) = V * I * Sin( V এবং I এর মধ্যবতী কোণ) (পেলান্টি পাওয়ার ও বলে)
Active Power ( কার্যকরী পাওয়ার) = V * I * Cos( V এবং I এর মধ্যবতী কোণ) (মূলত এই পাওয়ারটাই আমরা ব্যবহার করি)
Cos( V এবং I এর মধ্যবতী কোণ)=Power factor
Power factor নিয়ে Faisal ভাই সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন সেটাই তুলে ধরলাম: Power factor হল voltage এবং current এর মধ্যে অবস্থিত angle এর Cosine. বিভিন্ন Electrical equipment এর Inductance এবং Capacitance এর কারনে AC সোর্সের Voltage এবং Current এর মধ্যে angle এর difference চলে আসে। যেমন inductor, current এর change কে বাধা দেয়, ফলে voltage এর থেকে current পিছিয়ে(lag) পড়ে। আবার Capacitor এর বেলায় ঘটনা উল্টো সেক্ষেত্রে Current এগিয়ে(lead) যায়।
এনার্জী পরিমাপ করা হয়  পাওয়ার * সময়    দিয়ে যার একক কিলোওয়াট-আওয়ার বা ইউনিট।
মূল বিষয়ে আসি সিঙ্গেল ফেজে নিউট্রাল থাকলেও থ্রী-ফেজে নেই তাহলে বিদ্যুৎ কিভাবে উৎসে ফেরত যায়। ২নং চিত্রের দিকে খেয়াল করুন যখন দুটো ফেজ পজেটিভ তখন অপরটি নেগেটিভ তাই এই নেগেটিভ তারটিই নিউট্রাল হিসেবে কাজ করবে। তাই নিউট্রাল তার ছাড়াই চলে।
আবার ট্রান্সফরমারে ৩ তার প্রবেশ করে ৪ তার (৩টা ফেজ ১টা নিউট্রাল) বের হয় কিভাবে? ৩ ও ৪ নং চিত্রের দিকে খেয়াল করুন
প্রথম অংশটুকু প্রাইমারী সাইড ডেল্টা সংযোগ ২য় অংশ টি ষ্টার বা Y সংযোগ, ষ্টার সংযোগের কমন প্রান্তটি নিউট্রাল। একটি ফেজ হতে আরেকটি ফেজের মধ্যবর্তি ভোল্টেজ কে লাইন ভোল্টেজ এবং একটি ফেজ ও নিউট্রালের মধ্যবর্তি ভোল্টেজকে ফেজ ভোল্টেজ বলে। এবং এদের মধ্যে সম্পর্ক  লাইন ভোল্টেজ =১.৭৩ * ফেজ ভোল্টেজ, অর্থাৎ  ৩৮০= ১.৭৩* ২২০ । কিন্তু আমরা ৩৮০ বা ৪০০ বা তার কম ভো্ল্ট কে 440 বলি । ট্রান্সফরমারের মজার বিষয় হল প্রাইমারী সাইড ও সেকেন্ডারী সাইড উভয়ের মধ্যে তার দিয়ে সংযোগ করা থাকেনা।
যদি কখনো আপনার বাসার নিউট্রাল ফেইল করে তবে নিউট্রাল তারকে মাটিতে পুতে দিন কাজ হয়ে যাবে। আমরা অনেকেই মনে করি পুথিবী নিউট্রালের কাজ করে কিন্তু তা নয় আপনি যদি ট্রান্সফরমারের নিউট্রালকে মাটিতে না পুতেন (আর্থিং) তাহলে কাজ হবেনা অর্থাৎ পৃথিবী তারের কাজ করে নিউট্রালের নয়।
এবার আসি হাউজ ওয়্যারিং এর বিষয়ে-অনেকেই লাল তার দেখলেই সেটাকে ফেজ মনে করেন কালো দেখলে নিউট্রাল কিন্তু সাবধান আপনি যদি কালো তারকে ফেজের সংগে যুক্ত করেন তবে সেটাও ফেজ তার হয়ে যাবে। কাজের আগে টেষ্টার দিয়ে টেষ্ট করুন। হাউজ ওয়্যারিং এর আগে লোড সম্পর্কে একটু বলি লোড হল যে ডিভাইটি বৈদ্যুতিক শক্তি গ্রহন করে অন্য শক্তিতে পরিনত। আপনি যথন ওয়্যারিং করবেন তখন মনে রাখবেন লোডের দুই প্রান্তে ফেজ ও নিউট্রাল তার যুক্ত করতে হবে অন্য কোথাও না । তবে কিছু কিছু ডিভাইস আছে যে গুলো লোড নয় কিন্ত সেখানে লোড সংযুক্ত করব সেখানেও ফেজ নিউট্রাল সংযোগ করতে হবে। যেমন- সকেট, সিলিংরোজ, কানেকটর ইত্যাদী।
অনেকেই মনে করেন ডিসি সাপ্লাই শক করেনা। ডিসিতে এসির চেয়ে বেশী শক করে আসলে আমরা যে ব্যাটারী ধরি তার ভোল্ট ১.৫ থেকে ১২ তাই শক করেনা ৬০ ভোল্টের উপরে গেলেই কেবল শক অনুভব করি। আসলে শক করা নির্ভর করে ভোল্টের উপর এবং মৃত্য নির্ভর করে আপনার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট এর উপর সাধারণত ১০ মিলি অ্যাম্পিয়ার (লিড বাল্বের মধ্যদিয়ে যে পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হয় তার কাছাকাছি) কারেন্ট যদি আপনার দেহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তবে ইন্না লিল্লা.......। ভাগ্য ভাল সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেহে প্রায় ২ মেগাওহম রেজিষ্ট্রান্স দিয়েছিল নইলে বিদ্যুৎ আর ব্যবহার করতে হত না।
অনেকেই মনে করেন যে সকল প্রাণী ডিম পারে তাদের শক করেনা ব্যাপারটি তাই, আসলে তাদের গায়ে লোম বা পালক থাকে পায়ে ইনসুলেশন করা থাকে তাছাড়া এগুলো এক তারের উপর বসে তাই এদের মধ্যদিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয় না। পালক তুলে সাপ্লাই দিয়ে দেখেন কি হয়? পাখির মত আপনি একতার ধরে ঝুলে থাকলে আপনাকেও শক করবেনা। বাদুরের কপার মন্দ তাই ওর গায়ে লোম নেই পাখাটাও বড় তাই দেখবেন বাদুর কমপক্ষে দুই তারের মধ্যে আটকে থাকে।
“এই বিষয় গুলো নিয়ে আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্টে বলবেন চেষ্টা করব জানানোর”
অনেক প্যাচাল পারলাম অনেক ধর্য় আপনাদের তাই পুরোটুকু পড়েছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
 Collected from Techtunes.(www.techtunes.com.bd/how-to/tune-id/156898)