Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Monday, December 29, 2014

2014 জেএসসি - পিএস.সি ফল প্রকাশ

আজ মঙ্গলবার 30/12/14 প্রাথমিক সমাপনী জেএসসি- জেডিসি ফল প্রকাশ

আসসালামুআলাইকুম। আজ মঙ্গলবার একযোগে পিএসসি এবং জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
সকল সমাপনি/ এবতেদায়ী  ও জেএসসি/ জেডিসি পরীক্ষার্থীদের আগাম অভিনন্দন।

সহজে যেভাবে পাওয়া যাবে জেএসডি-জেডিসির ফল

ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেডিসি পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাপনি/ এবতেদায়ী  ও জেএসসি/ জেডিসি পরীক্ষার ফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহ করার পাশাপাশি পরীক্ষার্থীরা মোবাইলে এসএসএম, শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের (www.educationboardresults.gov.bd) এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবে
মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমেও ফল পেতে যে কোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC/JDC লিখে একটি স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, রোল নম্বর পাসের বছর (২০১৪) লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে

যেভাবে পাওয়া যাবে প্রাথমিক সমাপনীর ফল

প্রাথমিক ইবতেদায়ী সমাপনীর ফল www.dpe.gov.bd http://dpe.teletalk.com.bd এবং এসএমএসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে
এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে যে কোনো মোবাইল থেকে ডিপিই, (dpe) উপজেলা কোড, রোল নম্বর এবং পাসের বছর (২০১৪) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে ফল জানানো হবে


Tuesday, November 25, 2014

আউটসোর্সিং করে শূন্য থেকে কোটিপতি

আউটসোর্সিং করে শূন্য থেকে কোটিপতি
কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্যবহার করে শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন চিরিরবন্দর উপজেলার চিরিরবন্দর গ্রামের মধ্যবিত্ত আবদুস সামাদ সরকারের ছেলে বেলাল সরকার তিনি এই মাধ্যম ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে কাণ্ড ঘটিয়েছেন এর আগে বেলালকে নিয়ে চিন্তার শেষ ছিল না বাবা-মার অভাব-অনটনে চলছিল সংসার বেলাল বলেন, ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারের প্রতি তার প্রবল আকর্ষণ ছিল

তাই এসএসসি পাসের পর কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেন এরপর এইচএসসি পাস করে ভাগ্যের অন্বেষণে ঢাকায় পাড়ি জমান ২০০৩ সালে একটি ফার্মে কয়েক বছর চাকরিও করেন সময় মোকতাদির হোসেন শিখর নামে এক গিটার শিক্ষকের কাছে গিটার শিখতে গিয়ে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তারই অনুপ্রেরণায় এবং সাহায্যে প্রথমে ঢাকায় ছোট পরিসরে একটি ফার্ম গড়ে তোলেন এর কয়েক বছর পর ২০০৯ সালে রংপুরে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা চলে আসে বেলাল তখন তার ফার্মটি রংপুরের একটি ভাড়া বাড়িতে স্থানান্তর করেন এরপর তার গ্রামেই উচ্চগতির ইন্টারনেট চালু হলে ফার্মটি চিরিরবন্দরে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন বর্তমানে এই ফার্মটিতেই তিন শিফটে ৫০ জনের বেশি ছেলে মেয়ে তার অধীনে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা ক্যাটাগরি অনুযায়ী হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা আয় করছেন বেলাল সরকারকে এখন সব কাজে সহযোগিতা করছেন তার সহধর্মিণী শামিমা নাসরিন বেলাল জানান, বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, সুইডেন, কানাডা, জার্মানি, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ফটোশপ -বুক ডিজাইনের কাজ সরবরাহ করছেন এবং আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা বেলাল আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তি, ইন্টারনেট কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমেও যে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব তার প্রমাণ তিনি নিজে এখন আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয় না বর্তমানে তিনি চিরিরবন্দরে পাঁচ তলা বাড়ি করেছেন এলাকার ছেলেমেয়েদের বেকারত্ব দূরীকরণে সহায়তা করতে নিজ বাড়িতে ক্লিপিংবিডি নামে আউটসোর্সিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সমাজের অসহায় দুস্থ লোকদের সাহায্য করার জন্য তিনি একটি দাতব্য তহবিলও চালু করেছেন, যার অর্থ দিয়ে প্রতি বছর শীতকালে দরিদ্র অসহায় লোকদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন বেলাল সরকার জানান, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি, ইন্টারনেট কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজ থেকে বেকারত্ব, অর্থনৈতিক সমস্যা দূরীকরণ এবং এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি রবিবার তিনি ফ্রি ইন্টারনেট কম্পিউটার ব্যবহারের ব্যবস্থা করেছেন এর ফলে যে কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এদিন এখানে এসে কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্যবহার এবং অনলাইন ভিডিও টিউটরিয়াল দেখার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারছে

সূত্র - রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন।

Saturday, October 11, 2014

কম্পিউটার থেকে চোখ বাঁচাবেন যেভাবে

কম্পিউটার থেকে চোখ বাঁচাবেন যেভাবে

 
কম্পিউটার এখন অধিকাংশ মানুষেরই কাজ আর অবসরের সঙ্গী। এ যন্ত্রটি ব্যবহারের কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। কম্পিউটার থেকে বের হওয়া ক্ষতিকর নীল আলো চোখের জন্য মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে। একটানা কম্পিউটার ব্যবহারে ডিজিটাল আই স্ট্রেইন বা কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোমের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।  মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা, চোখে পানি ঝরা বা শুষ্কতা, ফোকাস নষ্ট হওয়ার বিষয়গুলো ডিজিটাল আই স্ট্রেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে আশার কথা হচ্ছে, মার্কিন চিকিত্সকেরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম বা এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে সাহায্য করতে পারে।


কম্পিউটারের স্ক্রিনটি পরিষ্কার রাখুন


কম্পিউটারে ধুলো, ময়লা কিংবা আঙুলের ছাপ পড়তে দেবেন না। ধুলা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন। কারণ এগুলোর কারণে স্ক্রিনে কোনো কিছু পড়তে চোখের সমস্যা হয়। যদি পরিষ্কার করার অভ্যাস না রপ্ত হয় তবে এর কারণে আপনাকে খেসারত দিতে হবে। ধুলা জমা স্ক্রিন দীর্ঘদিন ব্যবহারের অভ্যাসের ফলে ‘ক্রনিক হেডেক’ দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন তাই একবার করে কম্পিউটারের স্ক্রিন পরিষ্কার করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সঠিক আলোর ব্যবহার


অভ্যন্তরীণ কোনো উজ্জ্বল আলো বা সরাসরি সূর্যের আলো কম্পিউটারে পড়লে তা চোখ ব্যথার কারণ হতে পারে। কম্পিউটারকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ঘরের জানালা বরাবর কম্পিউটারের অবস্থান না হয়। মাথার ওপর সরাসরি ফ্লুরোসেন্ট বাতি এড়িয়ে চলা ভালো।


হজে পাঠযোগ্য ফন্টের ব্যবহার


কম্পিউটার স্ক্রিনে পড়ার জন্য খুব ছোট ফন্ট ব্যবহার করবেন না। চোখের কষ্ট হয় এমন ফন্ট বাদ দিয়ে চোখের জন্য আরামদায়ক ফন্ট নির্বাচন করুন।

নিয়মিত চোখের পলক ফেলা

কম্পিউটার স্ক্রিনের কারণে আমরা চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাই। কম্পিউটারে কাজের সময় নিয়মিত বিরতিতে চোখের পলক ফেললে চোখে ময়েশ্চার তৈরি হয় যা চোখের শুষ্কতা দূর করে। চোখ যদি বেশি চুলকায় বা বেশি শুষ্কতা দেখা যায় তবে ডেস্কটপের পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ নিচের দিকে চোখ গেলে চোখে ময়েশ্চার তৈরি হয়।

২০-২০-২০ নিয়ম

চোখ সুরক্ষার জন্য একটি নিয়ম হচ্ছে ২০-২০-২০। এতে প্রতি ২০ মিনিট পর পর, ২০ ফুট দূরত্বের কোনো জিনিসের দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে হয়। কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকা ক্লান্ত চোখ বা কোনো কাজ করার সময় দৃষ্টি সরানোর সুযোগ না পেলে এই নিয়ম মেনে চলা উচিত। গবেষকেরা বলেন, চোখের বিশ্রামের জন্য ২০-২০-২০ নিয়মটি মেনে চললে চোখে যথেষ্ট আর্দ্রতা থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে।

চোখ পরীক্ষা করা

যাঁরা কম্পিউটারে কাজ করেন তাঁদের প্রতিবছর অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চোখ পরীক্ষা পুরো শরীর পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, টিউমারের মতো সমস্যাগুলো চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা যেতে পারে। চোখ পরীক্ষার সময় কতক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহার করেন সেটা চিকিত্সককে জানাতে হবে।

কম্পিউটার উপযোগী গ্লাস ব্যবহার করুন
খরচ বেশি হলেও চোখের জন্য কম্পিউটার গ্লাসে বিনিয়োগ করা যায়। কম্পিউটার গ্লাসের ব্যবহারে ঘাড়, পিঠ, চোখ সুরক্ষিত থাকে। অ্যান্টি গ্লেয়ার কোটিং কম্পিউটার থেকে নির্গত আলো থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া কম্পিউটার গ্লাস ব্যবহার করা উচিত নয়।

সবুজ শাকসবজি খাবেন

চোখ ভালো রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। টাটকা সবুজ শাকসবজি, হলুদ ফলমূল যেমন গাজর, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি খেতে হবে। পাকা আম চোখের জন্য উপকারী।

১৫ মিনিট বিরতি

কাজের ফাঁকে ফাঁকে চোখের জন্য ১৫ মিনিটের বিরতি নেবেন। এ সময় চোখের দৃষ্টি ঘরের বা অন্য কোনো দিকে রাখবেন। এতে ফোকাসিং পেশি কিছুক্ষণ বিরতি পাবে।

চোখের ব্যায়াম

দু হাতের তালুর মাঝে কিছুক্ষণ চোখ ঢেকে রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং চোখের পেশি শিথিল করুন। একে চোখের যোগ ব্যায়াম বলে। কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের চোখকে প্রশান্তি দিতে এটি ভালো উপায়। এসময় ঘাড় ও পিঠও হাত দিয়ে হালকা মেসেজ করতে পারেন।

চোখের ওষুধ

ভিটামিন এ, সি, ই, বি কমপ্লেক্স ও জিংক চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষার গ্রহণ করা যেতে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিও সেবন করা যেতে পারে।
সূত্র - দৈনিক প্রথম আলো।

Wednesday, August 20, 2014

ভয়কে করুন জয়, আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ আপনারই জন্য

ভয়কে করুন জয়, আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ আপনারই জন্য


আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে গড়ে দিতে পারে আপনার ক্যারিয়ার ? এই আলোচনায় আসার আগে ছোট্ট একটা ঘটনা বলি, ঘটনাটি আমার দেখা এক আপুর। তিনি এসইও এর ব্যাপারে টুকটাক শুনেছেন। এসইও শেখার খুব আগ্রহ নিয়ে আমার কাছে এলেন পরামর্শ নিতে, ভাল কথা, মোটামুটি একটা ধারনা দেয়ার পর যখন বললাম, আপু বর্তমানে এসইও তে আপনি তখনি ভাল করতে পারবেন যখন আর্টিকেল রাইটিং টা আপনার আয়ত্তে থাকবে। কথাটা শুনে আপু ঘাবড়ে গিয়ে বললেন, ওরে বাপরে আর যত যাই সম্ভব এই আর্টিকেল রাইটিং আমাকে দিয়ে হবে না! আর্টিকেল রাইটিং এর ব্যাপারে এই ভীতিটা আমি অনেকের মাঝে লক্ষ্য করেছি!

ইন্টারনেট মার্কেটিংয়ের রানী সামা কাবানীর জীবন গল্প থেকে শিখার আছে অনেক কিছু

ইন্টারনেট মার্কেটিংয়ের রানী সামা কাবানীর জীবন 

গল্প থেকে শিখার আছে অনেক কিছু

যারা অনলাইন মার্কেটিংয়ের কাজ করেন কিংবা ভবিষ্যতে করার স্বপ্ন দেখেন তারা কি জানেন, ইন্টারনেট মার্কেটিংয়ের রানী কাকে বলে? আমি বলে দিচ্ছি, নাম তার সামা কাবানী। পুরো নাম সামা হায়দার কাবানী। এ তরুনী ১৯৮৫ সালের ২৫ এপ্রিল ভারতের গোয়াতে জন্মগ্রহন করেন।  ভারতে জন্ম হলেও মাত্র ৯ বছর বয়সে তার পরিবারে সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ২০০৩ সালে ক্যারলটনের আর. এল হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তারপর ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে। তিনি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্গানাইজেশনার কমউনিকেশন এন্ড টেকনোলজি এর উপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন ২০০৮ সালে। এখানে মাস্টার্সেন থিসিস করার জন্য তিনি বিষয় নির্ধারণ করেন, “সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং”। এ থিসিস চলাকালীন অবস্থাতে তার মাথাতে  এল মানুষ কেন টুইটারে বা অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলো ব্যবহার করে। সেই সময় কিন্তু টুইটার, মাইস্পেস, লিংকডিন প্রভৃতি সোসাল মিডিয়া সাইট সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানত।  এমনকি ফেইসবুকের জনপ্রিয়তাও খুব বেশি ছিল না তখন। সামা তার থিসিসের কাজ করার সময় অনুধাবন করলেন যে, সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলোর মাধ্যমেও যে কোনো কোম্পানীর পন্য প্রমোশন করা সম্ভব। তিনি তার এ নতুন  ধারনাটি অনেকের সাথে শেয়ার করেন।  অনেকেই বিষয়টিকে পাত্তাই দেয়নি।  ম্যাকিনসি ওবং বেইন এন্ড কো. এর মতো  সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানও তার এই ধারনাটিকে বিশ্বাস করতে পারল না। এই প্রতিষ্ঠানটি ভাবল যে, সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইট সমূহের দ্বারাআর যা-ই হোক কোনো ভাবেই পণ্যের মার্কেটিং করা সম্ভব নয়, ক্লায়েন্টদের কাছে এই মাধ্যম ব্যবহার করে পৌছানো যাবে না, কিংবা পৌছানো গেলেও আসলে মূল কাজটি কিছুই হবে না।

mmm

 সামা কাবানীর ফেসবুক পেজঃ  facebook.com/ShamaKabaniPage



একনজরে সামা কাবানীর কিছু কর্মঃ

সামা কাবানী একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, বেস্টসেলার বইয়ের লেখিকা, পাবলিক স্পিকার এবং টেলিভিশন  ব্যক্তিত্ব। তিনি মার্কেটিং জেন গ্রুপের সিইও। উল্রেখ্য যে, সামা কাবানী ২০০৯ সালে এই ওয়েব মার্কেটিং অ্যাজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ওয়েব মার্কেটিং এর উপর তিনটি বই লেখেছেন যেগুলো প্রত্যকটি পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। তার লেখা সোসাল নেটয়ার্কিং সাইটগুলো নিয়ে একটি বই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে । সামার লেখা প্রথম বই “দ্যা জেন অব সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং” যেটি ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় এবং আমাজন ডট কমে বেস্ট সেলার বই হিসেবে বিবেচিত হয়।

তার প্রফেশনাল লাইফঃ

সামা কাবনী ২০০৯ সালে মার্কেটিং বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করার জন্য মার্কেটিং জেন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি নিজেই এই প্রতিষ্ঠানের সিইও হন।  মাত্র ১৫০০ ইউএস ডলার মূলধন নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করলেও, তিনি তার ব্যবসায়িক নৈপুর্নতার মাধ্যমে খুব অল্পদিনেই একটি প্রভাবশালী বিজনেস জায়ান্টে পরিণত হয়। অল্প কয়েক বছরের মধ্যে মার্কেটিং জেন গ্রুপের মুনাফা ৪০০% বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানটির কর্ম পরিধি বৃদ্ধি পায়। ফলে সামা প্রতিষ্ঠানটিকে সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য ২৫ জন তরুণকে নির্বাচিত করলেন তার প্রতিষ্ঠানের ভার্চুয়াল কর্মকর্তা হিসেবে। এই তরুণরা অনলাইনে ক্লায়েন্টদের অনলাইন ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিনা মূল্যে সেবা প্রদান করত। সামা কাবানীর মার্কেটিং জেন গ্রুপ ইউরোপ, এশিয়া, সাউথ আমেরিকা প্রভৃতি দেশের ক্লায়েন্টদের অনলাইনে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে ক্লয়েন্টদের আস্থা অর্জন করে।

সামা তার অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে একটি বই লেখার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি মনস্থির করলেন এমন একটি বই লেখবেন যার মাধ্যমে মানুষ সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলো সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা লাভ করতে পারবে। তাই সামা তার প্রথম বই “” দ্যা জেন অব সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং’ লিখলেন এবং বইটি ২০১০ সালে প্রকাশিত হল। এই বইয়ে তিনি ফেইসবুক, লিংকডিন, টুইটার, মাইস্পেস এর ব্যবহার সম্পর্কে খুব চমৎকারভাবে আলোচনা করেন যাতে এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী সহজে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো ব্যবহার করতে পারে। তার বইটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করল। অবশেষে সামা কাবনী এই বইয়ের মাধ্যমে আমাজন ডট কমের হিসেবে বেস্ট সেলার বইয়ের লেখকের তকমা লাগান।

অনলাইন ব্যবসা সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে সামা কাবানীর সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য পৃথিবীর তাবৎ মিডিয়াগুলো, ওয়ার স্ট্রিট জার্নাল, হাফিংটন পোস্ট, সিবিএস, ফক্স বিজনেস মুখিয়ে থাকে। তিনি পৃথিবীর সামনের সারির রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সাথে একই কাতারে বসে বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা এবং দালাই লামার মতো রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সাথে একই মঞ্চে বসে, অগনিত দর্শকদের সামনে নিজের ভাবনা বিনিময় করেছেন।


sabanai


কর্মের স্বীকৃতস্বরুপ পুরস্কারসমূহঃ

তার কর্মের স্বীকৃতস্বরুপ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তাকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন। তিনি ২০০৯ সালে ২৫ বছরেরও কম বয়সী ২৫ জন তরুন উদ্যোক্তাদের একজন নির্বাচিত হয়েছেন। তাছাড়া তার প্রতিষ্ঠিত মার্কেটিং জেন গ্রুপ কে  ফোবস ম্যাগাজিন ৫০০ টি বেসরকারীভাবে প্রতিষ্ঠিত  ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম একটি হিসেবে উল্লেখ করেছে। সামা তার ব্যবসায়িক সাফল্যের কৃতিত্ব স্বরুপ “টেকনোলজি টাইটান ইমার্জিং কোম্পানী সিইও” পুরস্কারে ভূষিত হন । সম্প্রতি ২০১৩ সালে সামা কাবানীর সৃজনশীল কর্মের বিশেষ নৈপুন্যের ফল হিসেবে আমেরিকার টপ ৩০ জন উদ্যোক্তার তালিকায় তার নামও ওঠে এসেছে যাদের বয়স ৩০ বছরেরও কম। তাছাড়া তিনি হোয়াইট হাউসের সেরা ১০০ জন তরুণ উদ্যোক্তাদের অন্যতম একজন হিসেবে তিনি মনোনিত হয়েছেন।

তার কিছু আন্তরিক প্রয়াস

সামা কাবানী মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব হিসেবে, আন্তর্জাতিক বক্তা হিসেবে, স্ব প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর সিইও হিসেবে  ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আগামী দিনের ক্ষুদে উদ্দোক্তা তৈরিতে ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন। তার বিশেষ আগ্রহ হচ্ছে তরুণ-তরুণীদের ক্ষমতায়নে যারা তাদের সৃজনশীল কাজের দ্বারা পৃথিবীকে আর সুশ্রী আরও মনোমুগ্ধকর করতে পারবে। তাইতো যখনই কোনো আন্তর্জাতিক ওয়ার্কশপগুলোতে প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত হন, সেখানেই  তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রানিত করেন, তাদের সম্ভাবনার ক্ষেত্র সমূহ তাদের সম্মুখে উপস্থাপন করেন। ২০১১ সালের জুলাই মাসে আমেরিকার ১১ জন তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিদল কায়রো সফর করে। আমেরিকার এই উজ্জ্বল,মেধাবী ও অপরিসীম সম্ভাবনাময়  তরুণ প্রতিনিধি দলের একমাত্র নারী প্রতিনিধি ছিলেন সামা কাবানী। এ সফরটির আয়োজন করেছিল ইউএসএইড এর ইয়াং ইন্টাপ্রেনিউর কাউন্সিল, ডেনমার্ক সরকার এবং মিশরের বিভিন্ন উদ্যোক্তা সংস্থাসমূহ। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল মিশরের তরুন উদ্যোক্তাদের সাথে  নতুন ও সৃজনশীল ব্যবসায়িক ধারনা বিনিময় করা। প্রতিনিধি দলটি মিশরের তরুণদের পরামর্শ প্রদান করে কীভাবে একটি সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়।

NOVphoto_businessexpo2

এবার নিজের জন্য কিছু শিক্ষণীয়

১। পরিশ্রম একজন মানুষকে কীভাবে বড় করে তুলে সামা কাবানী সম্পর্কে   জানলে খুব ভালভাবে সেটি অনুধান করা যায় ।  আমাদের আশেপাশের মানুষজন একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানে জব করেই  হাঁপিয়ে ওঠে, একদিন ছুটি পেলে সেটিকে ঘুমিয়ে কাটায়  কিন্তু সামা কাবানী একাধারে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর সিইও, আন্তর্জাতিক বক্তা, প্রযুক্তি পরামর্শক, টেলিভিশনের বিশেষ শো এর উপস্থাপনা ও করেন, লেখালেখিতেও তার অবস্থান বেশ উজ্জ্বল।

২। সামা কাবানী তার  এত ব্যস্ততার পরও তরুণদের কর্মক্ষম করার জন্য যা করছেন, মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছেন বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের সামনে একটি অনুকরনীয় দুষ্টান্ত।

তিনি সাপ্তাহিক বিজনেস পরামর্শক কলামে ”আস্ক কাবানী” নামক শিরোনামে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাঠকের নানা রকম প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি তার স্ব প্রতিষ্ঠিত “সামা টিভির” উপস্থাপক যেটি মূলত একটি ওয়েব টেলিভিশন শো যা নতুন মিডিয়া প্রযুক্তির মার্কেটিং কৌশল সংক্রান্ত  বিভিন্ন তথ্য সম্প্রচার করে থাকে । সামা দুটি টেলিভিশন স্টেশনে “সিডব্লিউথ্রিথি এবং কে.ডি.এ.এফ.”-এ সপ্তাহে একটি করে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। এগুলো মূলত মানূষকে সামাজিক ভাবে সচেতন করার লক্ষ্যে করে থাকেন।

৩। সামা কাবানী এত বেশি বিখ্যাত হয়েছেন, কারন শুরুর দিকে এবং এখনও অনেক ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার পরও বিনামূল্যে অনেক ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ আমাদের দেশের মানুষদের বিখ্যাত হওয়ার পরতো দুরের কথা, যখন মাত্র অল্প বিস্তর কিছু শিখা শুরু করে, তখনই তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক চিন্তা শুরু হয়ে যায়। যেকাজে কোন আয় নাই, সেটি কেন করবে, এই অংকের হিসাব খুব ভাল জানে। এটা ভাবেনা, তার বিনামূল্যে করা সেবা তাকে অনেক বেশি পরিচিত করে তুলবে। তখন নিজেই ব্রান্ডে পরিণত হবে আর এ ব্রান্ডের জন্যই তার আয় বৃদ্ধি পাবে।

আমাদের দেশের  সামগ্রিক উন্নয়ন তরান্বিত করতে হলে সামা কাবানীর মতো পরিশ্রমী এবং স্বাপ্নীক তরুণ-তরুণীর বেশ প্রয়োজন।

সূত্র - জেনোসিস ব্লগ।

Wednesday, August 6, 2014

আসছে বিভিন্ন ব্যাংক এর নিয়োগ পরীক্ষা এবং ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা। - সুন্দর ভাবে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নিন অনলাইন-এ।

আসছে বিভিন্ন ব্যাংক এর নিয়োগ পরীক্ষা এবং ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা। - সুন্দর ভাবে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নিন অনলাইন-এ।


সবাই কেমন আছেন। আশা করি ভাল আছেন। ভালভাবে ঈদ কাটিয়ে আবার
হয়তো কর্ম বাস্ত হয়ে পরেছেন। জীবনটাই এ রকম। আমাদের সব সময় নানা রকম প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।আবার শত কাজের মাঝেও নিজেকেএই প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখার জন্য প্রস্তুত করতে হয়।সে জন্য কিছু পড়া লেখাও করতে হয়। নানান কাজের মাঝে এই পড়া লেখা করার জন্য সব সময় বই খাতা নিয়ে চলা ফেরা করা সম্ভব হয় না।কারন আমাদের এখানে সেখানে দৌড়াতে হয়। কিন্তু বই খাতা নিয়ে দৌড়া দৌরি সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের কাজের প্রয়োজনেই সাথে নিতে হয় ল্যাপটপ কিম্বা হাতে থাকে ট্যাব বা স্মার্ট ফোন এবং আমরা সময় পেলেই এ গুলো ব্যবহার করি। কেমন হয় যদি আমি আমার বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য

এই আধুনিক ডিভাইস গুলোর মাধ্যমেই প্রস্তুতি নিতে পারি।হ্যাঁ, আমি এ বিষয়েই বলছি। এই সব প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন, বিসিএস,
ব্যাংক জব,ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা, এসএসসি, এইচএসসি, পরীক্ষার প্রস্তুতি
সাধারন জ্ঞান এর উপার খুব সুন্দর ও ভালভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়
অনলাইন-এ।আজকে আমি আপনাদের এ রকম কিছু ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক দিব।
১।  জব টেস্ট বিডি
২। বিসিএস প্রস্তুতি
৩। এমসিকিউ টেস্ট
৪। নোট খাতা
৫। এমসিকিউ টেস্ট অ্যাকাডেমি
৬। ই-টেস্ট বিডি
৭। এমসিকিউ মডেল টেস্ট
৮। Exam Care BD
৯। বিগত বছরের বিভিন্ন প্রশ্ন পত্র
১০। পড়া লেখা
সব গুলো অনেক ভাল সাইট। আমরা যেহুতু ডিজিটাল যুগের মানুষ এবং
অনলাইনে আমাদের পদচারনাটা বেশী তাই আমি মনে করি এগুলোর মাধ্যমে
আমরা আমাদের অনলাইনে কাটানো সময় গুলোকে কাজে লাগিয়ে আমাদের
দক্ষতাকে বাড়াতে সক্ষম হব।
আর তেমন কিছু বলবো না। চাইবো আমরা যেন আমাদের অনলাইন এর সময়
গুলো আজ থেকে বাজে ভাবে নষ্ট না করে। নিজেকে এক জন দক্ষ প্রতিযোগী
হিসাবে তৈরি করতে পারি।
ভাল থাকবেন আর চর্চা করবেন।
কারন আমরাই গড়বো সুন্দর বাংলাদেশ.।.।.।.।.।
সূত্র - জেনোসিস ব্লগ। 

Thursday, July 24, 2014

“ইমেইল মার্কেটিং” এ অভিজ্ঞদের জন্য প্রধান ৫ টি কর্মক্ষেত্র এবং আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ।

“ইমেইল মার্কেটিং” এ অভিজ্ঞদের জন্য প্রধান ৫ টি 

কর্মক্ষেত্র এবং আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ।

a     ahman Dipu

“ইমেইল মার্কেটিং” হল ইমেইল আদান-প্রদান এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবার বিপণন ব্যবস্থা । তারমানে, ইমেইল মার্কেটিং বা সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা হল মার্কেটিং-এর এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি কাস্টমারের ইমেইলে কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবার বিবরণসহ পণ্য সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যাবলী প্রেরণ করা। যার ফলে কোম্পানির একদিকে যেমন বাড়ছে বিক্রয়ের পরিমাণ, তেমনি সম্প্রসারিত হচ্ছে তাদের সুনাম ও খ্যাতি। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও দিন দিন বাড়ছে ইমেইল মার্কেটিং-এর কাজ। মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্যানুযায়ী, ইমেইল মার্কেটিং এ একজন ফ্রিলান্সার মাসে আয় করছে লাখ টাকাও বেশী। আর তাই আপনার ক্যারিয়ার হিসাবে “ইমেইল মার্কেটিং” হতে পারে Best Choice ।

কাদের জন্য “ইমেইল মার্কেটিং”  জানা জরুরী

অনেকের ধারণা শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় কিংবা অনলাইনে আয়ের জন্যই “ইমেইল মার্কেটিং”  জানা দরকার। আসলে ধারনাটি একদমই ভুল। এসব ছাড়াও আরো অনেক কাজের জন্য “ইমেইল মার্কেটিং” জ্ঞান থাকাটা খুব জরূরী। কারন, অল্পসময়ে বেশী প্রচারের একমাত্র মাধ্যম হল  “ইমেইল মার্কেটিং” ।
১। আপনি কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আর আপনার কোন নুতন প্রোডাক্টকে প্রচার করবেন
২। যারা স্টুডেন্ট  এবং যাদের পার্ট টাইম জব দরকার
৩। যারা গৃহিণী এবং বাইরে কাজ করার সুযোগ পাছেন না

“ইমেইল মার্কেটিং” শিখে আয় করতে পারবেন যেই কয়টি উপায়ে

১। পিএসডি ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করে আয়।

আপনি যদি দৃষ্টিনন্দন ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে গড়ে ৪০০-৬০০ ডলার আয় করতে পারবেন ।

২। এইচটিএমএল ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করে আয়।

যদি আপনি এইচটিএমএল দিয়ে ইমেইল টেম্পলেট এবং পিএসডি টু এইচটিএমএল ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে গড়ে ৫০০-১০০০ ডলার আয় করতে পারবেন ।

৩। ইমেইল কনটেন্ট  রাইটার হিসেবে আয়।

রাইটারদের চাহিদা মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি। আপনি যদি ইংলিশে ভাল লিখতে পারেন তাহলে ইমেইল কনটেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করলে আপনি মাসে গড়ে ২০০-৫০০ ডলার আয় করতে পারবেন ।

৪। ইমেইল লিস্ট বিল্ডিং করে আয় ।

ক্লাইয়িন্ট এর জন্য বিভিন্ন niches এর উপর ইমেইল লিষ্ট তৈরী করে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি মাসে গড়ে ১০০-৩০০ ডলার আয় করতে পারবেন ।  এছাড়া, ক্লাইয়িন্ট এর ইমেইল লিষ্ট তৈরী করে দেওয়ার সাথে সাথে দিন দিন নিজের পন্য বা সেবার বিক্রয়ের বা এফিলিয়েশনের জন্য বিশাল ইমেইল লিষ্ট তৈরী হতে থাকে । বলতে গেলে এক ঢিলে দুই পাখি ।

৫। অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়।

অ্যাফিলিইয়েট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান clickbank, clicksure ইত্যাদিতে জড়িত হয়ে তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন ।  অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়ের পরিমান হিসেব করে বলা কষ্টসাধ্য। অ্যাফিলিয়েশন করে মাসে আয় করা যায় ৫০০ ডলার – আনলিমিটেড।
উপরের ৫টি কর্মক্ষেত্রে আপনি কাজ করতে পারবেন, শুধুমাত্র  “ইমেইল মার্কেটিং” ভালভাবে জানা থাকলে । এখানে শুধুমাত্র প্রধান ৫টি কর্মক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরো অনেকগুলো ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারবেন ইমেইল মার্কেটিং জানা থাকলে। সুতরাং ইমেইল মার্কেটিং ভালভাবে শিখুন, যাতে করে আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার অনেক উজ্জ্বল হবে।
“ইমেইল মার্কেটিং” শিখতে বা এই সম্পর্কিত অন্য আরো কিছু জানার জন্য ফেসবুকগ্রুপে এসে প্রশ্ন করলে খুব সহজে উত্তর পেতে পারবেন।
ফেসবুকে আমি
 সূত্র - টেকটিউনস।