Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Sunday, December 29, 2013

পিএসসি বা সমাপনীর / এবতেদায়ী 2013 রেজাল্ট জানুন (30/12)

 পিএস সি / এবতেদায়ী পরীক্ষার ফলাফল (30/12) জানুন 

ভাল ফলাফল কারীদের সালাম ও শুভেচ্ছা

 আশা করি তোমরা বড় হয়ে আরও ভাল ফলাফল করে পিতামাতা ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। দেশ তোমাদের মুখ পানে চেয়ে আছে। দেশে আজ দেশপ্রেমিক নেতার বড় অভাব, আমরা যা দেশের জন্য করতে পারিনি, আশা করি তোমরা তা অবশ্যই পারবে। নিজে সৎ থাকবে । শুধু দুনিয়া নয় আখেরাত নিয়েও ভাববে এবং অবশ্যই  নিয়মিত নামাজ আদায় করবে।


আপনারা এ সাইট থেকে ফলাফল

 জানতে পারবেন

http://dperesult.teletalk.com.bd/dpe.php

** এছাড়া মোবাইল থেকে থেকে জানতে পারেন  যেভাবে - -

PSC/  এবতেদায়ী  Result 2013

DPE <Space> Thana/Upazila Code <Space> Roll Number <Space> send To 16222
Example: DPE 22327 435675 and send the SMS to 16222

Ebtedayee Result by SMS

EBT <Space> Thana/Upazila Code <Space>Roll Number <Space> Send To 16222

Example: EBT 71657 765643 and Send SMS To 16222













































































































Saturday, December 28, 2013

JSC / JDC Result আজ প্রকাশিত - পাসের হার ৮৯.৯৪

JSC / JDC Result আজ প্রকাশিত হচ্ছে 
পাসের হার ৮৯.৯৪
এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ লাখ ২ হাজার ৭৪৬ জন। এর মধ্যে মোট পাস করেছে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১০৯ জন। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় পাসের গড় হার ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন শিক্ষার্থী। এই দুই পরীক্ষার মধ্যে জেএসসিতে পাশের হার ৮৯ দশমিক ৭১ ও জেডিসিতে ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ।
ভাল ফলাফল কারীদের সালাম ও শুভেচ্ছা

 আশা করি তোমরা বড় হয়ে আরও ভাল ফলাফল করে পিতামাতা ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। দেশ তোমাদের মুখ পানে চেয়ে আছে। দেশে আজ দেশপ্রেমিক নেতার বড় অভাব, আমরা যা দেশের জন্য করতে পারিনি, আশা করি তোমরা তা অবশ্যই পারবে। নিজে সৎ থাকবে । শুধু দুনিয়া নয় আখেরাত নিয়েও ভাববে এবং অবশ্যই  নিয়মিত নামাজ আদায় করবে।

আপনারা এ সাইট থেকে ফলাফল জানতে পারবেন
http://www.educationboardresults.gov.bd

** এছাড়া মোবাইল থেকে থেকে জানতে পারেন - -

JSC Result 2013

SMS Method to Get JSC result 2013 (Latest)

JSC <space> DHA <space> Roll Number <space> Year Send to 16222

Example: JSC DHA 123456 2013 to 16222


SMS Method To Get JDC Result 2013 (Latest)

JDC <space> MAD <space> Roll Number <space> Year Send to 16222

Example: JDC MAD 123456 2013 to 16222


Thursday, December 19, 2013

এক হয়ে গেল ওডেস্ক ও ইল্যান্স

এক হয়ে গেল ওডেস্ক ও ইল্যান্স

    
ইল্যান্স ও ওডেস্ক একজোট
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক ও ইল্যান্স একজোট হল। এই দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করবে এবং নতুন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে যা অনলাইনে বৃহত্তর মার্কেটপ্লেস হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আজ ইল্যান্স এবং ওডেস্ক সংযুক্ত হয়ে নতুন কোম্পানি গঠনের ঘোষণা দিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই দুটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ১৮০ টি দেশের এক কোটির বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট অল থিংস ডিজিটাল এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশে ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে বিশ্বে ইল্যান্স ও ওডেস্ক  প্রথম  সারির দুটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত। একজোট হয়ে এই দুটি কোম্পানি অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে বর্তমান সুবিধাগুলোর মান উন্নয়নসহ নতুন ধরনের আরও কিছু সেবা আনার বিষয়ে একসাথে কাজ করবে। এতে ফ্রিল্যান্সার এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের ক্ষেত্রে আরও সুবিধা পাবেন।  অবশ্য কোম্পানি দুটি এক হয়ে নতুন কোম্পানি গঠন করলেও আপাতত ইল্যান্স ডটকম ও ওডেস্ক ডটকম আলাদা প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাবে। 
ইল্যান্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে নতুন প্রতিষ্ঠানটি উন্নত ফিচার যুক্ত করবে।  একটি একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বের এক কোটি ফ্রিল্যান্সারের প্ল্যাটফর্ম হবে এটি। নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পাচ্ছেন বর্তমানে ইল্যান্সের প্রধান নির্বাহী ফাবিও রোসাটি এবং বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন ওডেস্কের বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান থমাস লেয়টন। ওডেস্কের বর্তমান সিইও গ্যারি সোয়ারট কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন কোম্পানির নাম সংযুক্তি বিষয়ক সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর ঘোষণা করা হবে।
ইল্যান্স ডট কমের সিইও ফাবিও রোসাটি জানিয়েছেন, ‘আমরা এমন দুটি প্ল্যাটফর্মকে এক করতে যাচ্ছি, যারা কাজের মাধ্যমে বিশ্বকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে বিশ্বাসী এবং সবসময়ই আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যেতে চায়। ইল্যান্স ও ওডেস্কের একজোট হওয়া মানে বিশ্বে অনলাইনে কাজ খোঁজা ফ্রিল্যান্সারদের ও কাজ দাতা বায়ারদের নানা সুবিধা হবে।
এ প্রসঙ্গে ওডেস্ক সিইও গ্যারি সোয়ারট জানিয়েছেন, ‘এই সংযুক্তি অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে প্রায় ২.৭ বিলিয়ন মানুষ অনলাইনে যুক্ত আছে, যাঁরা মুক্তভাবে একটি পেশা বেছে নেয়ার জন্য এবং নানা জায়গা থেকে একসঙ্গে হওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছে। ৪২২ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক কাজের বাজার এখন নতুনভাবে তৈরি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি গতিতে এগিয়ে যাওয়া অনলাইন কাজের ক্ষেত্রে আরও দ্রুত গতিতে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ইল্যান্সের সাথে যুক্ত হতে পেরে ওডেস্ক কর্তৃপক্ষও রোমাঞ্চিত।’

ইল্যান্স পরিচিতি
ইল্যান্স হচ্ছে জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে মানুষ বিভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। ইল্যান্স ফ্রিল্যান্স কাজের জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস।  ইল্যান্স বর্তমানে ১৭০টি দেশের ৮ লাখ বায়ার এবং ৩০ লাখ ফ্রিল্যান্সারদের ব্যবহার করে থাকেন।  প্রতি বছর ১৩ লাখেরও বেশী কাজ ইল্যান্সে পোস্ট হয়।

ওডেস্ক পরিচিতি
অনলাইন কাজের ওডেস্ক জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। ওডেস্কে প্রায় ১০ লাখ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও প্রায় ৫০ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ২০১৩ সালে তথ্য অনুযায়ী, সবমিলিয়ে ১০০ কোটি ডলারের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে ওডেস্ক প্ল্যাটফর্ম থেকে। 

বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রে ওডেস্ক ও ইল্যান্স বাংলাদেশে জনপ্রিয় দুটি মার্কেটপ্লেস। ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার জানিয়েছেন, এই দুটি প্ল্যাটফর্মে আড়াই লাখের বেশি দেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করেন। ইল্যান্স ও ওডেস্কের সংযুক্তির ফলে নতুন যে ফিচার আসবে তা দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অপূর্ব সুযোগ তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
তথ্যসূত্র - দৈনিক প্রথম আলো

Saturday, December 7, 2013

৪টি সহজ রোমান্টিক কৌশলে, শোবার ঘর সাজান !

শোবার ঘরে রোমান্টিকতা নিয়ে আসার ৪টি সহজ কৌশল!

 সারাদিন কাজের ব্যস্ততা শেষ করে একটু খানি প্রশান্তি মেলে বেডরুমে বাইরের নানান ঝক্কি ঝামেলা, ব্যস্ততা, জটিলতা শেষে শোবার ঘরে নিজের বিছানায় গা এলিয়ে দেয়ার আনন্দটাই আলাদা তাই বেডরুমের অন্দর সাজটাও হওয়া উচিত প্রশান্তিদায়ক রোমান্টিক ধাঁচের সম্পর্ক সুন্দর রাখতেও একটি সুন্দর শোবার ঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বৈকি! খুব সল্প খরচেই এবং প্রায় বিনা পরিশ্রমে শোবার ঘরটিকে গড়ে তুলতে পারেন নিজের পছন্দের মানুষটির জন্য সবচাইতে পছন্দের স্থান হিসাবে

যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততার পরে নিজের রোমান্টিক শোবার ঘরে প্রবেশ করলে নিমিষেই মানসিক চাপ উধাও হয়ে যাবে তাই আসুন, জেনে নেয়া যাক শোবার ঘরটাকে রোমান্টিক করে তোলার ৪টি সহজ উপায়
বিছানা চাদর
শোবার ঘরের মূল উপাদান হলো বিছানা বিছানা কেনার সময় দেখে কিনুন যেন সেটা বেশ আরামদায়ক দৃষ্টিবান্ধব হয় ইদানিং নিচু বিছানার চল এসেছে চাইলে নিচু বিছানা কিনে বেড রুমের সাজে আনতে পারেন একটু ভিন্নতা এছাড়াও জাজিম, তোষক তৈরির সময় দেখে নিন যে সেগুলো যথেষ্ট আরামদায়ক কিনা
বিছানার চাদর নির্বাচনে কিছুটা হালকা ধরনের রঙ যেমন সাদা, আকাশী, হালকা বেগুনী, হালকা হলুদ কিংবা গোলাপী ধরনের রঙ গুলো বেছে নিতে পারেন খেয়াল রাখুন যেন বিছানার চাদর বালিশের কভার সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে
হালকা রঙের পর্দা
বেড রুমের জন্য বেছে নিন হালকা রঙের পর্দা এক্ষেত্রে প্যাস্টেল শেড গুলো বেছে নিতে পারেন পর্দার কাপড় নির্বাচনের সময় খেয়াল রাখুন যেন বাতাসে পর্দাটি কিছুটা হলেও উড়ে, অর্থাৎ পর্দা যেন হালকা হয় তাহলে জানালা খোলা থাকলে বাতাসে পর্দা উড়বে এবং বেশ রোমান্টিক হয়ে উঠবে আপনার শোবার ঘরের পরিবেশ
পেইন্টিং, ল্যাম্প উইন্ড চাইম
 বেডরুম সব সময়েই আপনার পছন্দ ব্যক্তিত্বের সাথে মিলিয়ে সাজাবেন এক্ষেত্রে আপনার পছন্দের কোনো সুন্দর একটি পেইন্টিং টাঙিয়ে দিতে পারেন বেড রুমের একটি দেয়ালে তবে সেটা হওয়া উচিত ইতিবাচক কোন পেইন্টিং কারণ যুদ্ধ কিংবা মারামারি ধরনের পেইটিং বেড রুমের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখলে মানসিক প্রশান্তির বদলে অশান্তি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই প্রাকৃতিক দৃশ্য কিংবা সুন্দর ইতিবাচক উজ্জ্বল কোনও পেইন্টিং টাঙিয়ে দিন বেড রুমের দেয়ালে
বেড রুমে একটি সুন্দর ল্যাম্প রেখে দিতে পারেন এক কোনে ল্যাম্পের স্নিগ্ধ আলোতে ঘর রোমান্টিক হয়ে উঠবে সহজেই সেই সঙ্গে জানালায় ঝুলিয়ে দিন একটি উইন্ড চাইম এর টুং টাং শব্দে বেড রুমে রোমান্টিক আবহ তৈরী হবে
তাজা ফুল কিংবা গাছ
বেড রুমের এক কোনে এক গুচ্ছ ফুল রেখে দিলে ঘর সজ্জার রোমান্টিকতা বেড়ে যায় অনেকখানি আর তা যদি হয় সুগন্ধি কোনও ফুল তাহলে তো কথাই নেই প্রতিদিন তো আর এক গুচ্ছ ফুল কেনা সম্ভব না তাই বেড রুমের কোনে একটি কিংবা দুটি ফুল রেখে দিতে পারেন ফুল রাখতে না চাইলে জানালার পাশে ছোট্ট টবে দুই একটি গাছও রেখে দিতে পারেন তাহলেও আপনার বেডরুম হয়ে উঠবে সতেজ রোমান্টিক
source - Priyo

২০১৪ সালের এস.এস. সি পরীক্ষার সময়সূচী


২০১৪ সালের এস.এস. সি পরীক্ষার সময়সূচী
যারা এখন ২০১৪ সালের এস.এস. সি পরীক্ষার সময়সূচী পাননি তারা নিয়ে নিন।

বি.দ্র. বিস্তারিত আপনি এই সাইট থেকে পিডি্এফ ফাইল ডাউন করতে পারেন। অথবা ,
এই সাইট থেকে সরাসরি ডাউন লোড করতে পারবেন।

Tuesday, November 19, 2013

রুপকথাকেও হার মানায় যে কাহিনী

* * তিনিই ! এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ! * *
IMG_1088ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শোনা তো দূরের কথা, স্কুল-কলেজ পেরিয়েও যে শিক্ষা নেওয়া যায়, সেটাই জানা ছিল না আবদুল খালেকের। ভাবতেন, ইশকুল-টিশকুল পর্যন্তই বুঝি পড়ে সবাই। নিত্য অভাব লেগে থাকা যে পরিবারে বেড়ে ওঠা, সেখানে নিজের নাম সই করতে পারাটাই যথেষ্ট বলেই বিবেচিত। খুব বেশি হলে হাইস্কুলে দু-চার দিন ঘোরাঘুরি করো। তত দিনে সংসারের জোয়াল নেমে আসবে তোমার কাঁধে। যে বয়সে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে কিশোরেরা স্কুলে যায়, সেই বয়সে খালেকদের মতো পরিবারের শিশুদের নেমে পড়তে হয় জীবিকার সন্ধানে। কলমের বদলে হাতে শক্ত করে ধরতে হয় কোদাল।খালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রথম শোনেন ক্লাস নাইনে পড়ার সময়। একজনের বাসায় গিয়ে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি গাইড। সেখান থেকেই প্রথম জানতে পারেন, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। অবাক করা গল্পটা হলো, এত পরে এসে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জীবনে প্রথমবারের মতো শুনেছিলেন, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক হিসেবে এ বছর যোগ দিয়েছেন খালেক! উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে।
কীভাবে সম্ভব? অদম্য অধ্যবসায়, একাগ্রতা আর নিষ্ঠাই তাঁর পাথেয়!
খালেক নামের এই তরুণ শিক্ষকের জীবনের গল্পটা অবিশ্বাস্য এক উত্থানের। জন্মেছেন বগুড়ার শাজাহানপুরের খলিশাকান্দি গ্রামে। এমন একটা পরিবারে, যে পরিবারে শুধু অভাবেরই প্রাচুর্য ছিল। নুন আনতে পান্তা ফুরোনো দূরে থাক খালেকদের পরিবারে দুটোই যে বাড়ন্ত।
ঘরের চাল কিংবা বাঁশের বেড়ার ভাঙা ফুটো দিয়ে আকাশ দেখে দেখে বেড়ে উঠেছেন। আর তাই হয়তো আকাশ ছোঁয়ার দুঃসাহস দেখাতে পেরেছেন। ‘পড়ালেখা করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে’—এই আপ্তবাক্য সেই শৈশবে মগজের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল। পড়ালেখার মহত্ উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন হতে পারে; তবে কারও কারও কাছে সেটা জীবনের টিকে থাকার একমাত্র অবলম্বনও হয়ে যায়। সেই শৈশবেই খালেক বুঝতে পেরেছিলেন, জীবনের টিকে থাকার এই নিরন্তর সংগ্রামে একটাই অস্ত্র আছে তাঁর—পড়াশোনা!
যে পরিবারে তিনি বেড়ে উঠেছেন, সেখানে পড়াশোনা ব্যাপারটাই ছিল বিলাসিতা। খালেক একটা গল্প শোনালেন, ‘তখন ক্লাস থ্রি থেকে ফোরে উঠব। ফোরে ভর্তি হতে গেলে পাঁচ টাকা লাগে। বাড়িতে টাকা চাইলাম। বাড়ির তখন যা অবস্থা, তাতে আমার ফোরে ভর্তি হওয়ার চেয়ে পাঁচ টাকার গুরুত্ব অনেক। বাড়ি থেকে বলে দেওয়া হলো, দরকার নাই ফোরে পড়ার। তুই আবার থ্রিতেই ভর্তি হ।’
না, খালেকের শেষ পর্যন্ত কিছুই আটকায়নি। পড়াশোনায় তাঁর হাতেখড়িই হয়েছে বাড়ির পাশের বিত্তবান এক পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়ার টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে শুনতে শুনতে। সেই বাড়ির ছেলেমেয়েরা সুর করে পড়ত। আর পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খালেক শুনে শুনে মুখস্থ করতেন অ-আ-ক-খ। এ-বি-সি-ডি।
সেই শিক্ষা সম্বল করে ভর্তি হয়েছেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেই স্কুলের ইতিহাসে যেটা হয়নি, সেটাই তিনি করে দেখিয়েছেন। পঞ্চম শ্রেণীতে পেয়েছিলেন বৃত্তি!
খালেকের জীবন থেকে প্রেরণার রাশি রাশি গল্প আমরা মুঠো ভরে নিতে পারি। তেমনি একটা গল্প শোনালেন তিনি, ‘একবার বাড়ি থেকে মেরে আমাকে বের করে দিয়েছে। পরনে শুধুই একটা হাফপ্যান্ট। খালি গা। কী করি, কোথায় যাই। মনটা পড়ে আছে স্কুলে। স্কুলে না গেলে যে আমার ভালো লাগে না। কী বুঝে ওই খালি গা, হাফপ্যান্ট নিয়েই স্কুলে গেলাম। কিন্তু এভাবে কী করে স্কুলে ঢুকি? ক্লাসের বাইরে তাই দাঁড়িয়ে থাকলাম। ইংরেজি ক্লাস চলছিল। স্যার কী যেন একটা প্রশ্ন করলেন, কেউ উত্তর দিতে পারল না। আমি মুখ ফসকে উত্তরটা দিয়ে দিলাম। তখন স্যারের খেয়াল হলো আমি বাইরে এভাবে দাঁড়িয়ে আছি। একজন আমাকে একটা শার্ট এনে দিল। সেটা পরেই ক্লাসে ঢুকলাম।’
শুধু ক্লাস ফাইভে বৃত্তি নয়, চাঁচাইতারা মাদলা যুক্ত উচ্চবিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম ছাত্র হিসেবে এসএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন রাজশাহী বোর্ড থেকে। ২০০১ সালে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসিতে অধিকার করেছিলেন তৃতীয় স্থান। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় হয়েছিলেন ৩৬তম।
জীবনে উঠে আসার এই সংগ্রামে দেবতার মতো তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অনেকেই। অনেকে পড়ার জন্য অর্থসাহায্য করেছেন। কেউ পরার জন্য দিয়ে দিয়েছে নিজের পরনের শার্ট। তাঁদের মধ্যে আনিসুর রহমান নামের একজনের কথা খালেক আজও ভুলতে পারেন না। পড়াশোনার প্রতি এই অভাবী ছেলেটার অসীম আগ্রহ দেখে সেই ছোটবেলা থেকে কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা দেখিয়ে দিয়েছেন আনিসুর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পথও দেখিয়েছেন তিনি। ঢাকায় আসার পর অপছাত্ররাজনীতির আগুন থেকে বাঁচতে হলেই আর ওঠেননি। ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নূর মোহাম্মদ তালুকদারের শ্যামলীর বাসায় থেকে পড়াশোনা করেছেন।
এইএসসিতে মেধাতালিকায় স্থান করে নেওয়ার পর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অফিসেও ডেকে নিয়েছিলেন খালেককে। দিয়েছিলেন ৫০ হাজার টাকা। বগুড়ার তখনকার জেলা প্রশাসক শামসুল হকও সাহায্য করেছেন নিয়মিত। এইচএসসি পাসের পর প্রথম আলো থেকেও নিয়মিত পেয়েছেন ভাতা।
সাহায্য অনেক মানুষের পেয়েছেন। সেই তালিকাটা দীর্ঘ। তবে এটাও ঠিক, শুধু অন্যের সাহায্য পেলেই তো আর এগোনো যায় না। পথচলাটা নিজের পায়ে ভর দিয়েই করতে হয়। অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণীর সুবাদে আজ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
জীবন নিয়ে আমাদের অভিযোগের শেষ নেই। না-পাওয়ার হাহাকার আমাদের যেকোনো প্রাপ্তিকে এক ফুঁত্কারে উড়িয়ে দেয়। জীবনকে তাই আমরা প্রতিনিয়ত শাপশাপান্ত করে চলি। কিন্তু খালেকের মতো, খালেকদের মতো কেউ কেউ আছেন, যাঁরা জীবনটাকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর সাহস দেখান। প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেন—প্রতিদ্বন্দ্বী, এসো যুদ্ধ হবে!

পাঠকের মন্তব্য ( ৩৭ )

  • ২৮
    মানুষ চেষ্টা করলে জীবনে অনেক কিছুই পারে তার তার বড় উদাহরণ জনাব আবদুল খালেক।
  • ৩৩
    আমার দুচোখে দুফোটা অশ্রু এসে গেলো !! আপনি আরো বহুদূর যান । সত্যিকারের মানুষ গড়ুন !!
  • ৩১
    আপনেরা আছেন বলেই এখনও আমরা একটা নতুন বাংলাদেশের নতুন সূর্য উদয়ের স্বপ্ন দেখি। আপনেরাই আমাদের অনুপ্রেরনা। WE SALUTE YOU SIR.
  • ১৩
    Salute to you.
  • ১৪
    সালাম সালাম, হাজার সালাম তোমায়। সালাম তাদের যারা তোমায় প্রেরণা অর্থ সহযোগিতা করেছে। ধন্যবাদ "প্রথম আলো " পত্রিকার সবাইকে, আল্লাহ আপনাকে একদিন দেশের সেরা শিক্ষক করুন এ কামনা করি I
  • ১৫
    আল্লাহ কিছু মানুষরে এক্সট্রা কিছু জিনিস দিয়ে দুনিয়াতে পাঠান।
  • সংবাদটি পড়ে ভাল লাগল, মন অনেকখানি ভাল হয়ে গেল। তবে শিরোনামটা মনে হয় তিনিই এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে পারে। কারণ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক’ বলতে আসলে কী বোঝায়? ‘কী বুঝে ওই গালি গা, হাফপ্যান্ট নিয়েই স্কুলে গেলাম’ এটা মনে হয় খালি গা হবে।যাহোক খালেকের পথ আরও সুগম হোক, শুভ কামনা।
    • ধন্যবাদ। সংশোধনগুলো করা হয়েছে। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে
  • সাধুবাদ আপনাকে জীবন যুদ্ধে পরাজিত হননি।
  • Very good news
  • অভিনন্দ খালেককে।
  • Congratulations Man! My all educational history is full of struggle, but no doubt better than yours. Hope to see you at upper stairs.
  • খালেক, তুমি মানুষ নও, ঈশ্বরের প্রেরিত দূত। তাই এই অসাধ্য সাধন তুমি করেছ। তোমায় অভিবাদন।
  • আপনার গল্পের আমার গল্পটা যোগ করি।লেখাপড়া না জানা বিধবা মা কাঠ বন থেকে আনতেন আর বাজারে গিয়ে বিক্রি। ফেরা হয় রাতে চাল ডাল তেল নুন। আণ্চলিক ভাষার চাপে শুদ্ধ বাঙলা যেখানে জানি না তখন দয়াল স্যার বড় ছোট হাতের ইংরেজী পি লিখতে না পাড়ার খেসারত গরু পেতানো সেই দুর্দিনকে ভুলতে দেয় না। তারপরও একটা পরিবেশ, অনেক ভালো মানুষের সহযোগিতা পেয়ে খুব মেধাবী হয়ে কোন ভালো না পেলেও এখন লিখতে পড়তে পারছি। আপনি আসলেই মেধাবী। আপনার জন্য গর্ববোধ করছি। প্রথম আলোর সহযোগিতা আপনাকে নিশ্চিন্ত করেছেন আর্থিক দুরবস্হা থেকে ।
  • প্রথম আলো থেকেও নিয়মিত পেয়েছেন ভাতা।কিছু কিছু মানুষ গোপনে ভালবেসে যায়.. তারা বিনিময়ে কিছুই চায় না,তবে অনেক কিছুই দিয়ে যায়...
  • আপনার এই মহান শ্রম সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা আমার শোভা পায় না স্যার । সালাম আপনাকে ।
  • আপনার জন্যে অনেক অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো। পড়ে বুক টা ভরে গেল শান্তিতে যে আপনি পেরেছেন, অনেকে পারে না, আপনি তা করে দেখিয়ে দিয়েছেন, সবই সম্ভব শুধু দরকার এগিয়ে যাওয়ার মানসিক প্রত্যয়। আপনার দীর্ঘায়ু কামণা করছি।
  • ধন্যবাদ খালেক আপনাকে! আপনি অনেককেই পথ চলতে শেখাবেন বা আপনার যাপিত জীবনে অনেকে পথ চলতে শিখবে। আরো ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বগুড়ার তখনকার জেলা প্রশাসক শামসুল হকসহ যারা এই শিক্ষাগুরুর পথ চলায় সহযোগিতা করেছিলেন।
  • আপনার অনেক দায়িত্ব এখন। দেশকে গড়ার। দারিদ্র দূরীকরণে নানামুখী চিন্তার বিশালতা তৈরী করা, শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেশপ্রেম আগে, দেশের মানুষ আগে।
  • আমাদের বাংলাদেশের গরব জনাব আবদুল খালেক ভাই । শোব কামনা
  • really you are a hero.
  • Thanks prothom alo for a nice report.
  • একটু সংশোধন হবে। স্যার উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রভাষক, অর্থনীতি বিভাগের নন। স্যার পড়াশোনা করেছেন অর্থনীতি বিভাগ থেকে।
    • ধন্যবাদ। সংশোধন করা হয়েছে। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে
  • আপনি হলেন সত্যিকারের হিরু ।
  • congratulations!!!!!!!!!!!!!
  • Congratulations!really a good news we read
  • I SALUTE YOU SIR
  • Really, it is an courageous story. Congratulation! I believe there are many outstanding geniuses in our country who will lead the nation in 21st century.
  • Proud of you brother and honoured to share space in same Thana (Shahjanpur) and same college.heartfelt Congrats my
  • প্রথম আলো সবসময় অদম্য মেধাবী দের দিকে সহযোগীতার হাত বারিয়ে দেয়। ধন্যবাদ প্রথম আলো।
  • You are a symbol for majority population of Bangladesh.
  • আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে - আর খালেক ভাই যদি এস এস সি ১৯৯৯ এ পাশ করে থাকেন, তাহলে আমিও উনার সাথে একই সালে বৃত্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম । আমার গ্রামের নাম দুরুলিয়া - উনার পাশের গ্রাম। অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল ইনার সাথে দেখা করার, অনেক বার চেস্টা করেও হয়ে ওঠেনি।
  • আপনাকে প্রণাম। ধন্যবাদ 'প্রথম আলো'কে।
  • খালেক কে লাল সালাম....।সংগ্রামী জীবন হোক সংগ্রামী মানুষের তরে।
  • নিজের উপর নিজের থুতু ফালাইতে ইচ্ছা করতেছে, আর বাবা মার জন্য খুব খারাপ লাগতেছে............