Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Tuesday, May 20, 2014

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নির্দেশনা

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নির্দেশনা – রাফি

Thursday, May 1, 2014

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত: যেভাবে শুরু

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত: যেভাবে শুরু


বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার শফিউল আলম কাজ করছেন
ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকেরই নতুন এই ক্ষেত্রটিতে আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। পাঠকদের কাছে ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত। আজকে রইলো এর প্রতিবেদনটির প্রথম পর্ব।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দ দুটি বাংলাদেশে অনেকের কাছেই পরিচিত। দেশের প্রচুর ওয়েবসাইট ডেভেলপার, গ্রাফিকস ডিজাইনার, রাইটার, মার্কেটার বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সফলতার সাথে কাজ করছেন, আবার অনেকেই নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। নতুনদের কাছে যে বিষয়টা প্রায়ই শোনা যায় তা হলো এই পেশায় সহজে সাফল্য পাওয়া যায় না। বিষয়টা কিছুটা হলেও সত্যি। যেকোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের এবং ইংরেজি মাধ্যমে যোগাযোগের দক্ষতা না থাকলে আসলে এই পেশায় সাফল্য পাওয়া কঠিন। অবশ্য শুধু এই দুইটি যোগ্যতা থাকলেই যে সাফল্যের চূড়ায় যাওয়া যাবে, তাও ঠিক নয়। সাময়িক সাফল্য পাওয়া এবং নিজেকে একটি পেশায় প্রতিষ্ঠিত করা এক কথা নয়। যদি লম্বা ভবিষ্যত্ ঠিক করে এই পেশায় এগিয়ে যেতে চান তাহলে নিজেকে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ হিসেবে তৈরি করতে হবে, যাতে শুধু কাজের দক্ষতা নয়, অন্যান্য সব দিক দিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের একজন পেশাজীবী হিসেবে তৈরি করা যায়।
আউটসোর্সিং বিষয়টি কী?ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিং সাইটে যিনি কাজ করেন তাঁকে বলে কনট্রাক্টর (তিনি কনট্রাক্টে কাজ করেন)। আর যিনি কাজ দেন তাঁকে বলে বায়ার/ক্লায়েন্ট (তিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন)।
যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়আউটসোর্সিং সাইটের কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব 
 ডেভেলপমেন্ট (Web Development), সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (Software
Development), নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (Networking & Information Systems), লেখা ও অনুবাদ (Writing & Translation), প্রশাসনিক সহায়তা (Administrative Support), ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া (Design & Multimedia), গ্রাহকসেবা (Customer Service), বিক্রয় ও বিপণন (Sales & Marketing), ব্যবসা-সেবা (Business Services) ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঅনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছেএই বিভাগের মধ্যে আছে আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, ই-কমার্স, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টএই বিভাগের মধ্যে আছে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি, সফটওয়্যার প্লাগ-ইনস, মোবাইল অ্যাপিস্নকেশন, ইন্টারফেস ডিজাইন, সফ্টওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার টেস্টিং, ভিওআইপি ইত্যাদি।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেএর মধ্যে আছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএ (ডেটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইআরপি/সিআরএম ইমপিস্নমেনটেশন ইত্যাদি।
রাইটিং ও ট্রান্সলেশন
এর মধ্যে আছে টেকনিক্যাল রাইটিং,  ওয়েবসাইট কনটেন্ট, বস্নগ ও আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, অনুবাদ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
এর মধ্যে আছে ডেটা এন্ট্রি, পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ই-মেইল রেসপন্স হ্যান্ডলিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
এর মধ্যে আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট ডিজাইন, থ্রিডি (3D) মডেলিং, অটোক্যাড, অডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন, ভয়েস ট্যালেন্ট, অ্যানিমেশন, প্রেজেন্টেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনিক্যাল ডিজাইন ইত্যাদি।
কাস্টমার সার্ভিস
এর মধ্যে আছে কাস্টমার সার্ভিস ও সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, অর্ডার প্রসেসিং ইত্যাদি।
সেলস ও মার্কেটিং
এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, ই-মেইল মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং), এসএমএম (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং), পিআর (পাবলিক রিলেশনস), টেলিমার্কেটিং ও টেলিসেল্স, বিজনেস প্ল্যানিং ও মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ ও সার্ভে, সেলস ও লিড জেনারেশন ইত্যাদি।
বিজনেস সার্ভিসেস
এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং, এইচআর/পে-রোল, ফাইন্যানসিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড পস্ন্যানিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, লিগ্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কনসালটিং, রিক্রুটিং, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ইত্যাদি।
কোন কাজের কী যোগ্যতা
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ভাষাগুলোর ওপর দু-একটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে সফ্টওয়্যার তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন জাভা, সি-শার্প, ভিজুয়্যাল বেসিক, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল, ওরাকল, এমএস এসকিউএল সার্ভার) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ল্যাঙ্গুয়েজগুলোর ওপরও এক-দুইটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম
এই বিভাগের কাজের জন্য ডেটাবেজ, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
অনলাইনে কাজের জন্য চাই দক্ষতালেখা ও অনুবাদ (রাইটিং ও ট্রান্সলেশন)এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভালো হয়।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্টএই বিভাগের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। মূলত কপি পেস্টের কাজ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, বস্নগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার) ইত্যাদি সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়াএই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে গ্রাফিক্সের কাজ জানতে হবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ফ্লাশ ইত্যাদি জানা থাকলে লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ খুব সহজেই করা যায়। অডিও, ভিডিও এডিটিংয়ের ওপরও অনেক কাজ পাওয়া যায়।
কাস্টমার সার্ভিসএই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। দ্রুত ইংরেজি লেখা এবং বলা দুটোতেই দক্ষ হতে হবে।
সেলস ও মার্কেটিং
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার), মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
বিজনেস সার্ভিসেস
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে। লেনদেনের বিভিন্ন মাধ্যম (পেমেন্ট মেথড) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
কাজ পাবেন যেখানে
আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার অনেক ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করা ভালো। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা হলো-
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্স ও ওডেস্ক এখন একসঙ্গেই কাজ করছেবর্তমানে ৪-৫টি আন্ত্মর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এই মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রতিটিতেই একটি বিষয় কমন থাকে আর সেটা হলো একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। সাধারণ কাজে যেমন সিভি দেখে চাকরি দেয়া না দেয়ার বিষয়টি নির্ধারণ হয় তেমনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও আপনার প্রোফাইল দেখেই ক্লায়েন্ট বিবেচনা করবে আপনি কাজ পাওয়ার যোগ্য কি না। এর জন্য প্রোফাইলকে যতটুকু সম্ভব আকর্ষণীয় করে তৈরি করুন। প্রোফাইলে যেগুলো না থাকলেই নয়-
হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স.কমে ফ্রিতেই প্রচুর স্কিল টেস্ট দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবে যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হোন না কেন সেই স্কিলে আপনার যথেষ্ট তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে।
পোর্টফলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবে যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে।
বিষয়টি অনেকটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার মতো। একদম খালি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালে যেমন কেউ আপনাকে সহজে অ্যাড করবে না, ঠিক তেমনি একদম খালি, অনাকর্ষণীয় একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে 
*    পরবর্তি  পর্ব  দেখুন -     ফ্রীল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত-২
*   ঘরে বসে আয় দেখুন -  েএখানে 
সূত্র- মো. আমিনুর রহমান , দৈনিক প্রথম আলো

ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ কি ?আলো না অন্ধকার ?

ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ কি ?আলো না অন্ধকার ?

গুরুজনঃ ছেলে কি করে?
আমার মাঃ এইতো কম্পিউটারে বিদেশিদের কাজ করে।
গুরুজনঃ ভবিষ্যৎ তো তাহলে অন্ধকার। পড়াশোনা না করিয়ে এই লাইনে প্রবেশ করার সুযোগ দিয়েছো কেনো?
মাঃ ওর নিজ ইচ্ছা থেকেই করছে, তাই বাঁধা দেই না। আর তাছাড়া তো ভালো আয় রোজগার ও করছে।
গুরুজনঃ ওসবে কিচ্ছু হবে না। ২ দিন পর দেখবে ঘরে বসে মাছি মারছে। তার চেয়ে ইঞ্জিনিয়ার, টিঞ্জিনিয়ার বানিয়ে একটা চাকুরিতে বসিয়ে দাও। তাহলে অন্তত নিজের জীবনের আর্থিক নিশ্চয়তা দিতে পারবে।
এই হলো আমাদের বড়দের উপদেশ বানী। সবাই আর্থিক নিশ্চয়তা বলে বোঝে গৎবাঁধা চাকুরি। ব্যাংকার হও, একাউন্টেন্ট হও, কেরানী হও, ইঞ্জিনিয়ার হও। আর সকারী চাকুরি হলেতো মাথাই নষ্ট, পিয়নের চাকুরি হলেও করো।
এসবের একটাই কারণ, আর্থিক নিশ্চয়তা। কিন্তু এসবের বাহিরেও একটি জগত আছে, আছে স্বাধীন ভাবে কাজ করে নিশ্চত ক্যারিয়ার গড়ার পথ। আর সেটা হলো ফ্রিল্যান্সিং অথবা আউটসোর্সিং। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হলো অনেকেই বিশ্বাস করে না যে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে একজনের প্রধান ক্যারিয়ার। কারণ আমাদের জানায়, আমাদের চিন্তাধারায় রয়েছে অনেক ভুল। আর এই কারণেই কম্পিউটারের সামনে বসলেই মনে করে পোলাপাইন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অদ্য কি তাই?
তাছাড়া আর কিছু মানুষ রয়েছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান অথবা কেবল শুরু করেছেন, তারাও ভুগছেন দ্বিধার মধ্যে। পারবো তো? লাইফ নষ্ট করছি না তো? কাজ কাম অদ্যও থাকবে তো? ২-৩ বছর পর হারিয়ে যাবে না তো? এমন আরো হাজারো প্রশ্ন। আর এইসব প্রশ্ন আসাও স্বাভাবিক, কারণ একজন যখন কোন ক্যারিয়ারের দিকে পা বাড়ান তখন তাকে অনেক কিছুই ছেড়ে দিতে হয়, কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়, অনেক সময় দিতে হয়। তাই অনেক সময় বলে ওঠেন “থাক ভাই, যা করছি সেটাই করি”
আর এই কারণেই অনেকেই দিন দিন ফ্রিল্যান্সিং এর থেকে সরে যাচ্ছেন। হারাচ্ছেন একটি উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সুযোগ। আর আজ আমি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো যে কেন ফ্রিল্যান্সিং এই নিশ্চিত ক্যারিয়ার। কেন ফ্রিল্যান্সিং করে ও আপনি অনায়াসে আপনার জীবন পাড়ি দিতে পারবেন। তো শুরু করি।

ফ্রিল্যান্সিং বন্ধ হবার সুযোগ নেই কারণ

সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ যা পারে না তা অন্য যে পারে তাকে দিয়ে করিয়ে নেয়। আগের দিনে হয়তো হত পণ্যের বিনিময়ে কিন্তু বর্তমান সময়ে সেটা হয় অর্থের বিনিময়ে। এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা চলতে থাকবে। আমি একজন অনেক ভালো লেখক, কিন্তু আমি তো বইয়ের কাভার ডিজাইন করতে পারি না। তার মানে তো এই নয় যে আমার লেখা কখনো প্রকাশ পাবে না। তখন আমি ঠিকই যিনি বইয়ের কভার ডিজাইন করেন তার শরণাপন্ন হব এবং অর্থের বিনিময়ে তার কাছে থেকে ডিজাইন করিয়ে নেবো। এভাবেই চলতে থাকবে কাজের আদান প্রদান।
আর বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। আপনি চাইলেই আমেরিকার কোন বিল্ডিং ডিজাইনারের কাছ থেকে ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন। আর সেই সুযোগে পৃথিবীর কিছু বড় প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন কিছু মার্কেটপ্লেস। যেখানে একজন খুব সহজেই কাজ খুঁজে পেতে পারেন এবং করতে পারেন। আর এই মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে যে সকল কাজ করা হয় তাকেই আমরা ফ্রিল্যান্সিং বলে থাকি। আপনি একবার ভাবুন তো পৃথিবীতে কি বিল্ডিং তৈরি হওয়া বন্ধ হবে কোন দিন? যদি না হয় তাহলে ডিজাইন করাও কি কখন ও বন্ধ হবে? আর সেটা যদি বন্ধ না হয় তাহলে অবশ্যই ডিজাইনারদের কাজের অভাব হবে না। তাই যেহেতু কাজের অভাব হবে না সেহেতু ফ্রিল্যান্সিং ও বন্ধ হবে না।
এরপর ও হয়তো অনেকে বলবেন যে আচ্ছা কোন ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং করলে নিশ্চিতে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায়? আচ্ছা, তাহলে জেনে নিন কিছু পরিচিত এবং অত্যান্ত স্মার্ট ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে

১ – হয়ে উঠুন একজন ভালো ডিজাইনার

be a designer ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?কারণ পৃথিবী যতদিন আছে ততোদিন ডিজানের গুরুত্ব থাকবেই। কারণ আপনার বাসার টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে বারাক ওবামার বার্গারের প্যাকেটেও প্রয়োজন হয় ডিজাইনের। ডিজাইন বলতে অনেক ধরনের ডিজাইন হতে পারে। তবে ফ্রিল্যান্সিং এ গ্রাফিক্স ডিজাইনের তুলো না হয় না। দিন যত বাড়ছে পণ্য ততো বাড়ছে। আর পণ্য যত বাড়ছে, ততো ডিজাইনের চাহিদাও বাড়ছে। আর গ্রাফিক্স এর কাজ নেই এমন কিছু পাওয়াও দুষ্কর। তাই যদি আপনি চান আপনার সারাজীবন পাড়ি দিবেন ফ্রিল্যান্সিং করে তাহলে নিশ্চিতে হয়ে উঠুন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন। কারণ পৃথিবীর শেষ পর্যন্তও এই গ্রাফিক্স প্রয়োজন হবেই। হয়তো এখন কাজ করছেন ফটোশপ দিয়ে, ১০ বছর পরে হয়তো অন্য কিছু আসবে। অন্য প্রযুক্তি আসবে। কিন্তু ডিজান কনসেপ্ট কখনই চেঞ্জ হবে না। তাই আপনি যদি চলমান সব আপডেট এর সাথে মিল রেখে একজন ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনার নিশ্চিত ক্যারিয়ারের পথে আর কোন বাঁধাই থাকবে না।

২ -নিশ্চিত ক্যারিয়ার হতে পারে লেখা-লিখি করেও

article writer ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?লেখালিখি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং এ অন্যতম নিশ্চিত একটি ক্ষেত্র। কারণ আমাদের পৃথিবীতে মুখের ভাষার পরেই হচ্ছে কলমের ভাষা। মনের সব কথা মুখে না বলেও লিখে প্রকাশ করা যায়। যেমন এখন আমি করছি icon biggrin ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার? আর আপনি যদি একজন ভালো মানের লেখক হন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কারণ এই যুগে লেখার কোন বিকল্প নেই। লেখার মাধ্যমে একটি বিষয়কে সবার সামনে খুব সুন্দর করে তুলে ধরতে পারবেন। ধরুন আপনার একটি পণ্য আছে অনলাইনে অথবা লোকালে। এখন আপনি যদি সেই পণ্যের শুধু ছবি টানিয়ে রাখেন তাহলে কি কেউ আগ্রহ প্রকাশ করবে সেটি কেনার জন্য? উত্তর হবে না। কারণ মানুষ আগে যাচায় করে নেয় তার পর ক্রয় করে। আর সেই পণ্যের ছবির সাথে যদি আপনি একটি বিস্তারিত লিখে তারপর সবার সামনে উপস্থাপন করতেন তাহলে সবাই একনজরেই বুঝে ফেলতো যে আপনার পণ্য কি বা কেন সবাই কিনবে। তার মানে বুঝতে পেরেছেন তো? একজন রাইটারকে সব স্থানেই লাগবে, ছোটদের কবিতা লেখা থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীদের থিসিসের মুলবস্ত লেখার জন্য। তাই এই ক্ষেত্রও শেষ হচ্ছে না কোন দিন। যতদিন পণ্য আছে ততো দিন লেখা লেখি ও রয়েছে। এর জন্য যারা লিখতে পছন্দ করেন তারা হয়ে উঠুন একজন প্রফেশনাল রাইটার হিসাবে।

৩ - ইন্টারনেট মার্কেটিং ছাড়া সব অচল

internet marketer 300x242 ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?মেনে নিলাম একটি পণ্যের প্রথম সারির কাজের মধ্যে গ্রাফিক্স, রাইটিং অন্যতম। কিন্তু এর প্রধান উদ্দেশ্য কি? অবশ্যই পণ্যকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া তাই না? আর যদি সেটা হয় তাহলে অবশ্যই মার্কেটিং করতে হবে। তাই মার্কেটিং ছাড়া এসব কিছুর কোন মুল্য নেই। আর এখন পৃথিবী হয়ে উঠছে ইন্টারনেট ভিত্তিক। কোমল পানীয় খেতে গেলো এখন অনেকে অনলাইনেই অর্ডার করে। তারা বাসায় এসে হাতে পৌঁছে দেয় তাঁদের পণ্য। তাই দিন দিন চাহিদা বাড়ছে ইন্টারনেট মার্কেটারদের। অনলাইনে যেহেতু সব কেনাকাটা হচ্ছে তাই কিভাবে সঠিক এবং টার্গেটেড কাস্টমারদের হাতে সেবা বা পণ্য পৌঁছে দেয়া যায় তার জন্য প্রয়োজন হয় একটি ভালো রিসার্চ এর। যা একজন ইন্টারনেট মার্কেটার করে থাকেন। এবং তিনিই সেই সেবা বা পণ্যের মার্কেটিং করেন। এবং সামনে পৃথিবী আরো বেশি অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়বে। তখন এই ইন্টারনেট মারকেটারদের প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়ে যাবে। তাই আপনি যদি একজন ভালো মানের ইন্টারনেট মার্কেটার হয়ে উঠতে পারেন এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং অপেক্ষা করছে আপনার জন্যই ।

৪ - হতে পারেন ওয়েব ডিজাইনার/ডেভেলপার

web designer ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট ছাড়া অনলাইনে কিছুই চিন্তা করা যায় না। তথ্যপ্রদান থেকে শুরু করে শুধু হাত দিয়ে স্পর্শ করা ছাড়া এমন কিছুই নেই যে ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে পাবেন না। এখন যেমন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিজের ওয়েবসাইট থাকে আবার একজন জনসাধারণ এর ও নিজের ওয়েবসাইট রয়েছে। এবং তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখনকার এই যগে যেমন ওয়েবসাইট ছাড়া কিছুই ভাবা যাচ্ছে না ঠিক তেমনি ভাবে আগামী দিন গুলতে ও ওয়েবসাইট লাগবেই। হয়তো এর অনেক কিছুই পরিবর্তন হবে কিন্তু এটি নিঃশেষ হয়ে যাবে না।
আর ওয়েবসাইট যেহেতু থাকবে সেহেতু দরকার হবে ওয়েব ডিজাইনারের ও ওয়েব ডেভেলপারদের। তাই আপনি যদি একজন ভালোমানের ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার হতে পারেন তাহলেও আপনি অনলাইনে নিশ্চিত ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে দিনদিন বেড়েই চলেছে ওয়েব এর কাজের চাপ। কাজ করা ফ্রিল্যান্সার ও যেমন বাড়ছে তেমনি তার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে কাজের পরিমাণ ও। তাই হয়ে উঠুন এখন ভালো ওয়েব এর কারিগর, আর নিশ্চিন্তে থাকুন আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার নিয়ে।
উপরোক্ত এই ৪টি ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এ। তবে এছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যেমন ভিডিও এডিটিং, ফটোগ্রাফি, এনিমেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি। আপনি চাইলে এসকল বিসয়ের উপরেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে মার্কেটপ্লেস গুলিয়ে ফেলবেন না

অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর কাজ পাওয়া মানেই শুধুমাত্র মার্কেটপ্লেস এ বিড করা। ফ্রিল্যান্সিং এর কথা শুনলেই সবার চোখে ভেসে ওঠে ওডেক্স, ফ্রিল্যান্সার, ইল্যান্স এর কথা। তার মানে আমাদের ভ্রান্ত ধারণা হয়ে গিয়েছে যে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে শুধু মার্কেটপ্লেসেই কাজ করতে হবে। আসলে তা মোটেও ঠিক নয় !
কেন শুধু মার্কেটপ্লেসের উপর ভরসা করে থাকবেন আপনি? এমন ও হতে পারে যে ওডেক্স বন্ধ হয়ে গিয়েছে, হয়তো তার জায়গায় নতুন কেউ আসবে। কিন্তু তাই বলে কি ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং বন্ধ হয়ে থাকবে? না থাকবে না। কারণ মার্কেটপ্লেস গুলোতে যে পরিমাণ কাজ আসে তা পুরো পৃথিবীর ফ্রিল্যান্সিং/ আউটসোর্সিং কাজের অর্ধেকেরও  কম! তার মানে ৫০ ভাগের বেশি কাজ বিলি হয় এই মার্কেটপ্লেসের বাহিরে।
তার মানে মার্কেটপ্লেস থাক বা না থাক আউটসোর্সিং বন্ধ হবে না। তাই যারা দিন দিন মার্কেটপ্লেস এর উপর নির্ভর হয়ে পড়ছেন তাঁদের জন্য উপদেশ থাকবে আপনারা মার্কেটপ্লেসের বাহিরে কাজ নিয়ে আসতে শুরু করুন। যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন বাহিরের বড় বড় আউটসোর্সিং কোম্পানি গুলোর সাথে। হয়তো বড় কোন কাজ পেয়েও যেতে পারেন। যদি সরাসরি যোগাযোগ করতে না পারেন তাহলে একটি ওয়েবসাইট খুলে আপনি সার্ভিস দেয়া শুরু করুন। সেটা হতে পারে ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং, লেখা লিখি ইত্যাদি। আপনার সাইটকে সবার মাঝে পৌঁছে দিন। দেখবেন একটি সময় সে সকল কোম্পানি গুলো নিজ থেকেই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে কাজের ব্যপারে। এভাবেই আপনি ও গড়ে তুলতে পারেন একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান, দিতে পারেন বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে। এবং নিজের ক্যারিয়ারকে নিশ্চিন্ত করতে।
আশা করি এতোক্ষনে যাঁদের ভ্রান্ত ধারণা ছিলো ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে, তাদেকে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত করতে পেরেছি যে ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং ভবিষ্যৎ অন্ধকার নয়।
আগামী পোষ্টে আবারো দেখা হবে সবার সাথে, সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর ভালো করে কাজ শিখে নিজের নিশ্চিত ক্যারিয়ারের দিকে ছুটে চলুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
লিখেছেনঃ সজীব রহমান 
- See more at: http://www.sojibrahman.com/blog/article/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%86%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF.html?fb_action_ids=830433103638001&fb_action_types=og.likes#sthash.lE6EBXDQ.dpuf