Translate

Tuesday, April 2, 2013

পণ্য কিনে প্রতারিত হলে কী করবেন?

পণ্য কিনে প্রতারিত হলে কী করবেন?

বাজারে কিনতে গেছেন পণ্য। কোনো না কোনোভাবে আপনি প্রতারিত হলেন। কিন্তু কাকে জানাবেন সেই অভিযোগ? চিন্তার কারণ নেই। আপনার সমস্যার সমাধানে আছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯। 

পণ্য কেনার আগে যাচাই করে নিন। নইলে প্রতারিত হতে পারেন।
পণ্য কেনার আগে যাচাই করে নিন। নইলে প্রতারিত হতে পারেন।
ছবি: অধুনা


কী কী কারণে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন
যেসব কারণে আইনের শরণাপন্ন হতে পারেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—
 বিক্রেতা যদি পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করে
 মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা
 সেবার তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা
 অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা, ভেজাল পণ্য বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উত্পাদন
 মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রতারণা
 প্রতিশ্রুত পণ্য সরবরাহ না করা
 ওজনে ও পরিমাপে কারচুপি
 দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে গজ-ফিতায় কারচুপি
 নকল পণ্য প্রস্তুত 
 মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়। 

কীভাবে নেবেন আইনের আশ্রয়
ভোক্তা অধিকার রক্ষার জন্য রয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কারণগুলোর মধ্যে যেকোনো একটির কারণে আপনি যেদিন প্রতারণার শিকার হবেন সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ফ্যাক্স ও ই-মেইল (যদি থাকে) উল্লেখ করে এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ঢাকার কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে অবস্থিত) মহাপরিচালক কিংবা অধিদপ্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন না করলে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে এই আইনের অধীনে আদালতে সরাসরি কোনো মামলা যায় না। আপনার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তসাপেক্ষ মামলা শুধু ভোক্তা অধিদপ্তর করতে পারবে। ঢাকা জেলার বাইরে এবং যেসব জেলায় অধিদপ্তরের শাখা নেই সেসব জেলায় এই আইনে মহাপরিচালককে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর ন্যস্ত থাকবে। আপনার ক্ষতি যদি আর্থিক মূল্যে নিরূপণযোগ্য হয়, তবে ক্ষতিপূরণ দাবি করেও যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করতে পারবেন। আদালত ক্ষতিপূরণ প্রদান ছাড়াও পণ্যের প্রতিস্থাপন বা ফেরত দিয়ে পণ্যের দাম ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া অভিযোগ করার পর তদন্তে অভিযোগটি প্রমাণিত হলে জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে, তার শতকরা ২৫ ভাগ টাকা আপনি পাবেন। এ ছাড়া তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে প্রত্যেক ভোক্তার তাঁর সেবা সম্পর্কে জানার অধিকার রয়েছে। 

শাস্তি
এসব অপরাধের শাস্তি অনূর্ধ্ব তিন বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে দণ্ডিত ব্যক্তি একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে তিনি বর্ণিত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আকরামুল ইসলাম |  লেখক: মানবাধিকারকর্মী
দৈনিক প্রথম আলো থেকে সংগৃহিত, তারিখ: ০৩-০৪-২০১৩

0 comments:

Post a Comment