Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Tuesday, March 26, 2013

গুগলের উপহার ৪৩তম স্বাধীনতা দিবসে

গুগলের উপহার ৪৩তম স্বাধীনতা দিবসে

আমরা গবিত গুগলের এ অসামান্য উপহারে।  গুগল আমরা তোমায় ভালবাসি। তুমি দীঘজীবি হও !
আমরা আজ শপথ নেই, হানাহানি  / সংঘাত  আর বিভাজন নয়, আগামী প্রজম্মের জন্য আমরা সবাই যে যার ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতি পরবতী প্রজম্মকে উপহার দিব।

Saturday, March 23, 2013

ঋতু বদলের অসুখ


ঋতু বদলের অসুখ

সময়ের হিসাবে বসন্ত চলছে। কিন্তু এখনো মাঝে মধ্যে শীত শীত লাগে, মাঝে মধ্যে গরমও। তাপমাত্রার এ দোলাচলে শরীরও ঠিক মানিয়ে নিতে পারছে না।
যারা বেশি আক্রান্ত হয়
ষ নবজাত শিশু ষ এক থেকে ছয় মাস বয়সী শিশু ষ স্কুলপড়–য়া শিশু
ষ বয়স্ক মানুষ (৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে) ষ যাদের আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট (অ্যাজমা) বা যক্ষ্মা বা বক্ষব্যাধি আছে ষ ক্যান্সারে আক্রান্ত ও রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি চলছে যাদের ষ যাদের লিভার সিরোসিস রয়েছে ষ ডায়াবেটিস রোগী ষ হার্টের রোগী ষ যারা পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বাস করে না ষ গর্ভবতী নারী
যে ধরনের অসুখ হয়
ঋতু পরিবর্তনের এ সময় সাধারণত হয়ে থাকেÑ
ষ শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ষ পেটের অসুখ ষ চর্মরোগ
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা
ঋতু পরিবর্তনের সময় মানুষ সর্বাধিক আক্রান্ত হয় শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায়।
কেন হয়
ষ তাপমাত্রার ওঠানামার সাথে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী সিস্টেম হঠাৎ করে ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারলে মানুষ আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে শিশুরা, যাদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী সিস্টেমটি যথেষ্ট কার্যকর নয়। ষ তাপমাত্রার পরিবর্তন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক শক্তি বা ইমিউন সিস্টেম আক্রান্ত করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়, বিশেষ করে যারা শিশু ও বৃদ্ধ অথবা যাদের ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি অসুখের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে। ষ এ সময় পানি খাওয়া কম হয় বলে শরীরে পানিশূন্যতা থাকে এবং শ্বসনতন্ত্র থেকে যে প্রতিরোধক ব্রংকিয়াল নিঃসরণ হয়, যা শ্বাসনালীর ভেতরের জীবাণুকে বের করে দেয়, তা শুকিয়ে যায়। ফলে জীবাণু বের হতে পারে না এবং সহজেই বিস্তার লাভ করে। ষ এ সময় বাতাস অত্যন্ত শুষ্ক থাকে, ফলে প্রশ্বাসের বায়ু প্রয়োজনীয় পরিমাণে আর্দ্র হতে পারে না। এর ফলে জীবাণু শ্বাসতন্ত্রের ভেতরে ঢোকে ও বিস্তার লাভ করে। ষ শুষ্কতার জন্য ধুলাবালি বেড়ে যায় বলে অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ে।
কী লক্ষণ থাকে
ষ জ্বর ষ তীব্র কান্তি ষ কাশি ও গলা ব্যথা ষ নাক দিয়ে পানি পড়া  ষ নাক বন্ধ হয়ে থাকা ষ মাথাব্যথা ষ পা ব্যথা এ সমস্যাগুলো কখনো জটিল আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়া, প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
যা করতে হবে
ঋতু পরিবর্তনের সমস্যাগুলো এড়াতে যা করতে পারি
ষ এ সময় গরম লাগলেও শিশু ও বয়স্করা পাতলা কাপড় পরে থাকবেন না। শীত পুরোপুরি চলে না যাওয়া পর্যন্ত গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। ষ ফু খুব ছোঁয়াচে, তাই এ সময় পিকনিকে যাওয়া ও মেলায় যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম তারা এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলুন। ষ শিশুরা ফুতে আক্রান্ত হলে স্কুলে যেতে দেবেন না। এতে অন্য শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ষ হাঁচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করুন। ষ এ সময় অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাই সব সময় ইনহেলার সাথে রাখুন। ধুলায় সমস্যা হলে বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। ষ পানি বেশি পান করতে হবে। দিনে অন্তত দুই লিটার (আট গ্লাস) পানি পান করুন, যাতে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি না হয়। ষ ধূমপান করবেন না। ষ প্রচুর তাজা শাকসবজি ও ফল খান, বিশেষ করে টক ফল যেমনÑ লেবু, বরই, কমলা। ষ দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন এবং খালি হাতে ব্যায়াম করুন।
পেটের অসুখ
এ সময়টায় পেটের অসুখ বেশি হয়।
কেন হয়
ষ এ সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। ষ শীতের সময় ফ্রিজে খাবার রাখার প্রবণতা কমে কিন্তু হালকা গরম ও আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে বাইরে রেখে দেয়া খাবার সহজেই জীবাণু আক্রান্ত হয়। ষ এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে সহজেই অন্যজন আক্রান্ত হয়।
যে ধরনের জীবাণু দিয়ে অসুখ হয়
সাধারণত রোটা ভাইরাস (পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে), এডেনো ভাইরাস দিয়ে পেটের পীড়া হয়।
যে ধরনের লক্ষণ দেখা যায়
ষ পানির মতো পাতলা পায়খানা ষ বমি ষ জ্বর ষ মাথা ও শরীর ব্যথা ষ পেট ব্যথা
কত দিন অসুখ থাকে
একবার আক্রন্ত হলে এ অসুখ এক থেকে ১০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
যা করতে হবে
ষ বাইরের খোলা খাবার ও কেটে রাখা ফল খাওয়া যাবে না। ষ রান্না করার আগে ও শিশুদের খাওয়ানোর আগে হাত ভালোমতো সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ষ ডায়রিয়া ও বমির সময় শিশুকে সাবধানতার সাথে (খাদ্যদ্রব্যের সাথে যেন জীবাণুর সংক্রমণ না ঘটে) খাওয়াতে হবে। অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি বা ফুটানো পানি পান করতে হবে।
টিকা
রোটা ভাইরাসের প্রতিরোধক ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, যা শিশুদের দেয়া হয়। নিজ উদ্যোগে এ টিকা নিতে হয়। সরকারিভাবে এখনো দেয়ার ব্যবস্থা নেই।
চিকিৎসা
সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই যুক্তিযুক্ত। তবে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে পানিশূন্যতা রোধ করাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের ক্ষেত্রে।
চর্মরোগ
ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টায় চামড়ায় বেশ কিছু রোগ দেখা দেয়। এর অনেকটাই ঋতু পরিবর্তিত হয়ে গেলে ঠিক হয়ে যায় আপনাআপনি। তবে কিছু রোগের চিকিৎসা না করালে অনেক দিন ভোগাতে পারে।
চর্মরোগ কেন হয়
ষ এ সময় বাতাস শুষ্ক থাকায় ত্বকে পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং আর্দ্রতার অভাবে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। এতে চুলকানি বেড়ে যায়। চুলকানোর সময় নখের আঁচড়ের সাথে জীবাণু চামড়ার ভেতরে ঢুকে পড়ে। ষ অনেকেই শীতকালের অভ্যাস হিসেবে গরম পানি দিয়ে গোসল করা অব্যাহত রাখে। গরম পানি ত্বক নরম করে দেয়, ফলে ত্বক ফাঙ্গাস ও অন্যান্য জীবাণু সহজেই অনুপ্রবেশ করতে থাকে। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফাঙ্গাস ইনফেকশন দেখা দেয়। ষ রোদের তীব্রতার কারণে শরীর ঘেমে যায় এবং এ ঘাম জমে চর্মরোগ হয়। ষ এ সময় ধুলা ও বাতাসে ভাসমান ফুলের রেণুর প্রভাবে ত্বকের সেবাম নিঃসরণ বেড়ে যায়, যা জমে গিয়ে চর্মরোগ হয়। ষ আগের সোরিওসিস একজিমা বা স্ক্যাবিসের মতো চর্মরোগ এ সময় বেড়ে যায়। ষ মাথার স্কাল শুষ্ক হয়ে এ সময় খুশকি হতে দেখা যায়।
করণীয়
ষ পানি ও অন্যান্য তরল বেশি পান করতে হবে। ষ ভিটামিন সি-যুক্ত ফল যেমনÑ লেবু, কমলা ইত্যাদি খেতে হবে। ষ গরম পানি দিয়ে গোসল করলে সাবান ব্যবহার করতে হবে। ষ গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ষ পরিবারের কারো চুলকানি থাকলে তাকে ধরার পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। তাদের সাথে গামছা বা তোয়ালে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করবেন না। ষ অন্তর্বাস পরিষ্কার রাখতে হবে। ষ যেকোনো ধরনের চর্মরোগ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরো কিছু অসুখ এ হয় সময়। যেমনÑ
ষ কনজাংটিভিটিস ও চোখ লাল হয়ে যাওয়া ষ এনকেফালাইটিস ষ জন্ডিস ষ ডিপ্রেসিও ইলনেস
 ডা: এ কে এম মোশারফ হোসেন, লেখক : অধ্যাপক, মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক নয়াদিগন্ত তারিখ: ২৪ মার্চ, ২০১৩

Sunday, March 17, 2013

ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। সময় এসেছে এবার পথে নামার।


প্রসঙ্গঃ ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। সময় এসেছে এবার পথে নামার। আপনি বিকলাঙ্গ হলে এ পোস্টে ঢোকার প্রয়োজন নেই! আপডেটেড উইথ এক্সক্লুসিভ নিউজ!

যেদিকে তাকাই-শুধু পরিবর্তনের হাওয়া। আমি শুভ পরিবর্তন গুলোর কথা বলছি।
আমাদের ছোট্ট এ দেশটির অনেক কিছুই বদলেছে, আবার অনেক কিছুই অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়ে গেছে। ইন্টারনেট ইউসেজ এর মুল্য ৫/৬ বছর আগে যা ছিল এখন ও তাই আছে।
আগে পার কিলো বাইট দুই পয়সা ছিল, এখনো তাই। এক জিবি ৩৫০টাকা ছিল, এখনো তাই। ভাবা যায়!
কিছু কিছু প্যাকেজের মুল্য কমেছে কিন্তু তা আশানুরুপ নয়।
অতীতের কথা বাদ দিলাম। তখন ব্যান্ডউইথের মুল্য অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন তো আগের অবস্থা নেই। সরকার দফায়-দফায় ব্যান্ডউইথের মুল্য কমিয়ে ৮০০০টাকাতে এনেছে। তারপরেও আমরা ভোক্তারা এর সুফল ভোগ করতে পারছিনা।
এটা গেল সার্ভিস প্রোভাইডারদের ভোক্তাদের বাশ দেবার কথা।
এবার আসুন দেখি সরকারের নীতি নির্ধারক মহল কি করছে।
২০১২ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ১৬৪ (আরেক সূত্রমতে ২০০) জিবিপিএস/সেকেন্ড। এর মধ্যে মাত্র ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ আমরা সবাই মিলে ব্যবহার করি।
তবে আসল কথা হল, আমাদের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বর্তমানে কত আছে এবং কত ব্যান্ডউইথ পড়ে আছে, কেউই এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিচ্ছেনা।
প্রশ্ন জাগেনা- বাকি ব্যান্ডউইথ তাহলে গেল কোথায়? সরকারের নীতি নির্ধারকদের কথা অনুযায়ী এই ২৬গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ বাদে বাকি ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ রাখা হয়!
ব্যান্ডউইথ সোনা নাকি জমি যে রিজার্ভ অবস্থায় ফেলে রেখে দিলে এর মুল্য বা চাহিদা বাড়বে অথবা ইন্টারনেট ইউজারদের কোন উপকারে আসবে!
মুল্য যতই কমানো হোক, প্রায় ৮০% ব্যান্ডউইথ ফেলে রাখলে সেটা দেশের কোন উপকারে আসবে?
প্রয়োজন হলে ব্যান্ডউইথের দাম আরো কমিয়ে সম্পুর্ন ব্যান্ডউইথ সকল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হোক। কারন কয়েক শ কোটি টাকার ব্যান্ডউইথ ফেলে রেখে তো কোন উপকারে আসছেনা!
ভাবছেন কি গর্দভ সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের লোকগুলো! ভুলেও তা ভাবতে যাবেন না।
ওরা আপনার আমার চাইতে অনেক অনেক বুদ্ধিমান এবং নিজের আখের গোছাতে সচেষ্ট।
বিভিন্ন সূত্রমতে, কিছু প্রভাবশালী মহল সরকারের উঁচু পর্যায়ের কিছু অফিসিয়ালের সাথে যোগসাজশ করে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি বিজনেস চালাচ্ছে।
যে কারনে আমরা টাকা দিয়ে কলা কিনছি ঠিকই কিন্তু কপালে কলার খোসা ছাড়া আর কিছুই জুটছেনা। অথচ আমাদের যে ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে বলা হচ্ছে সেই ব্যান্ডউইথ গুলো সঠিকভাবে এ্যালোকেট করলে এবং যে টাকা আমরা ইন্টারনেট ইউজের জন্য ব্যয় করি, তাতে আমাদের কমপক্ষে ৭থেকে ৮গুণ বেশি স্পীড পাবার কথা।
তথ্যগুলো আপনারা আমার থেকে অনেক ভাল জানেন, ব্লগে বা ফেসবুকেও কম লেখালেখি হল না।
কথা সেটা নয়।  কথা হল আর কতকাল এভাবে চুপ থাকব আমরা? আর কতকাল নিজেদের পশ্চাৎদেশ সার্ভিস প্রোভাইডার আর সরকারের নীতি নির্ধারকদের দিকে মেলে বসে থাকব?? পশ্চাৎদেশে আর কত বাশমারা খেলে আপনাদের ঘুম ভাঙ্গবে???
ব্লগে/ফেবুতে তো অনেক লাফালাফি হল, মাঠে নামার সময় কি এখনো হয়নি?
ফেসবুক/ব্লগে প্রতিবাদ করে আমাদের দ্বায়িত্ব শেষ মনে না করি।
যদি সৎ উপার্জনের টাকায় ইন্টারনেট ইউজ করে থাকেন, তাহলে আসুন এবার পথে নামি।
ব্লগে/ফেবুতে অনেক বড় বড় ব্লগার আছেন, যাদের একটি ডাকে হাজার হাজার মানুষ আসবে।
তাদের কেউ একজন কি এই বিষয়ে স্ট্যান্ড নিতে পারেন না?
কাউকে না কাউকে দ্বায়িত্ব নিতে হবেই। কেউ একজন স্ট্যান্ড না নিলে এরা সারাজীবন ধরে আমাদের টাকা ভ্যাম্পায়ারের মত চুষেই খাবে।
*আপডেটঃ
আমরা শাহবাগ/বিটিসিএল কার্যালয় অথবা কোন টিভি চ্যানেলের সামনে মানব বন্ধন করার মাধ্যমে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করব।
আমি জানি শুধু মানব বন্ধনে কোন কাজ হবেনা, তবে প্রাইমারি স্টেপ হিসাবে এটার বিকল্প কিছু দেখছিনা।
মিডিয়া কাভারেজ হিসাবে আমরা ইটিভি কে পাশে পাচ্ছি ইনশাল্লাহ। তাছাড়া কয়েকটি পত্রিকার সাথেও কথা হচ্ছে।
ওরা এটা নিয়ে নিউজ করবে এবং মানব বন্ধনের দিন রিপোর্টার পাঠাবে।
তবে তার জন্য আপনাদের হেল্প দরকার।
ওরা একটা প্রেস নোট চেয়েছে। কতটুকু ব্যান্ডউইথ রিজার্ভ আছে, কতটুকু ইউজ হচ্ছে ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে একটা ডিটেইল রিপোর্ট ও চেয়েছে।
প্রেস নোট কিভাবে লিখতে হয় সে সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া নেই।
আর কিছু না পারেন, অন্তত এই উপকার টুকু করেন।
কবে-কিভাবে আমরা রাস্তায় নামতে পারি, সরকার কে আমাদের পাওনা ব্যান্ডউইথ দেবার কথা কিভাবে বলতে পারি আইডিয়া দিন।
সবাই আরেকটিবার জাগুন! মেসেজ টি সবার কাছে পৌছে দিন।
Collected from Popular site Techtunes.com.bd
টিউন করেছেন : মাহবুব হাসা | প্রকাশিত হয়েছিল : 21 January, 2013 

Friday, March 15, 2013

ন্যায়বিচার চাই - ভোক্তার জন্য

ভোক্তার জন্য ন্যায়বিচার চাই

১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডির উদ্যোগে উত্থাপিত চারটি ভোক্তা অধিকার সংবলিত ঐতিহাসিক বিল মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদনের ফলে ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের আনুষ্ঠানিক ও আইনানুগ যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় দেশে দেশে কোটি কোটি ভোক্তা তাদের স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করছেন এবং ক্রেতা-ভোক্তাদের সংগঠন গড়ে তুলছেন। ১৯৬০ সালের এপ্রিল মাসে হেগে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস প্রভৃতি দেশের ভোক্তা সংগঠনের আয়োজিত সভায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব কনজুমারস ইউনিয়ন (আইওসিইউ) গঠিত হয়েছিল। পরে এর নাম হয় কনজুমারস ইন্টারন্যাশনাল (সিআই)। ১৯৮৩ সাল থেকে সিআই-এর আহ্বানে প্রতি বছর ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্যÑ ‘এখনই ভোক্তার জন্য ন্যায়বিচার চাই’।


আমাদের দেশে সত্তরের দশকে ভোক্তা আন্দোলন শুরু করার চার দশক পর ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন পাস হয়। এ আইনে ২০ ধরনের অপরাধের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আইনের ৫৪ ধারায় মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করার দণ্ড : কোনো ব্যক্তি, কোনো ব্যবসায়ী বা সেবা প্রদানকারীকে হয়রানি বা জনসমক্ষে হেয় বা বা ব্যবসায়িক ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করলে ওই ব্যক্তি অনূর্ধ্ব তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ৫০ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন করলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
একজন নকল ও ভেজাল পণ্য উৎপাদক ও বাজারজাতকারী জঘন্য সন্ত্রাসীর চেয়েও মারাত্মক। অনেক লোকের প্রাণহানি নীরবে ঘটিয়ে শাস্তি পাবেন তিন বছর জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানা। আর একজন সাধারণ ভোক্তা কারো অপব্যবসায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তা প্রমাণে ব্যর্থ হলে ব্যবসায়ীর মামলায় নিজেই শাস্তি ভোগ করবেন তিন বছর জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এটা কি ন্যায়বিচার? কোর্ট-কাচারিতে একটি অভিযোগ দায়ের করে তা প্রমাণ করা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। এ জন্য যে মানের আইনজীবী প্রয়োজন তা সাধারণ ভোক্তার নাগালের বাইরে। ফলে আইনগত বাধ্যবাধকতার ভয়ে ভোক্তা পণ্য কিনে ঠকলে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের না করাই শ্রেয় মনে করেন। অর্থাৎ, ভোক্তা আইনে সাধারণ মানুষের অভিযোগ দায়ের ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের (আইপিএইচ) অধীনস্থ ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, দেশের মানুষ প্রতিদিন যে মাছ, গোশত, দুধ, ফল, চাল, ডাল, তেল, মসলা ও লবণ খাচ্ছে এর শতকরা ৪০-৫৪ ভাগই ভেজাল। এসব খাদ্যে বিভিন্ন কীটনাশক, ভারী ধাতু, সিসা, আর্সেনিক ও স্টেফাইলোকক্কাসের মতো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।
ফল পাকাতে ব্যাপকভাবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও ইথেফেন এবং সতেজ রাখতে ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে। চিকিৎসা ও পুষ্টিবিদেরা বলেন, এগুলোর প্রভাবে শিশুর ডায়রিয়া থেকে শুরু করে ফুসফুসের সংক্রমণ, কিডনি ও লিভার পচে যাওয়া, রক্ত সরবরাহ বিঘিœত হওয়া, এমনকি অন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, ইথেফেনের কারণে ২০-৩০ শতাংশ এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইডের কারণে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায় ফলের পুষ্টিমান। জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ২০১০ সালে পাঁচ হাজার ৭৫৯টি খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করে ভেজাল পেয়েছিল দুই হাজার ৯৯০টিতে। গত জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৩৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮৭টি ভেজাল পায়। ডিম ও মাছ উৎপাদনে ট্যানারির বর্জ্যজাত খাদ্য ব্যবহার করে মানবস্বাস্থ্য বিষিয়ে তোলা হচ্ছে। লবণ ও মুড়ি সাদা করতে হাইড্রোজ ও ইউরিয়ার অপব্যবহার চলছে। ইরি-২৮ চাল অটোরাইস মিলে কেটেছেঁটে নাজির শাইল ও মিনিকেট বানানোর বাহারি কৌশলের ফাঁদে দেশের মানুষ। তদুপরি, অতিরিক্ত দাম দিয়ে এসব পণ্য কিনতে হচ্ছে।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অভিযোগে ৬২টি কোম্পানির তৈরী ওষুধ পরীক্ষার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর কাজ করছে। কমিটির সভায় নি¤œ মানের ওষুধ তৈরির কারণে যে নয়টি প্রতিষ্ঠানের সনদ বাতিল হয়েছিল, তারা উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ওষুধ সাধারণ মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবেও সংসদীয় কমিটি চিহ্নিত করেছে।
এ দিকে, মালিকদের সিদ্ধান্তে বাসভাড়া বেড়েছে। সরকার তবুও ব্যবস্থা নেয়নি। আইন অনুযায়ী, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ এবং মালিক পক্ষের মধ্যে আলোচনাসাপেক্ষে সরকারি উচ্চমহল ভাড়া নির্ধারণ এবং এসআরো জারির মাধ্যমে সরকার তা বাস্তবায়ন করে থাকে। সম্প্রতি মালিকেরা সরকারকে পাশ কাটিয়ে একতরফাভাবে বেশি ভাড়া আদায় করে চলেছেন যাত্রীদের জিম্মি করে।
বছর ঘুরে আসার দু-এক মাস আগেই বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়া ৫০০ থেকে দুই-তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতে শুরু করেন। ১৯৯১ সালে প্রণীত বাড়িভাড়া আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই।
শিক্ষার ক্ষেত্রেও সরকারি নীতি কার্যকর হচ্ছে না। শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন অনেক ক্ষেত্রে কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ। শিক্ষার বৈষম্য, কোচিংবাণিজ্য বন্ধ করা আর নোট ও গাইড বইয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বইয়ের সংখ্যা শিশু-কিশোরদের ধারণক্ষমতার বেশি। এতে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের গৃহশিক্ষক ও কোচিংমুখিতা বেড়েছে। শিক্ষাব্যয়ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নাগালের বাইরে। যারা গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে এবং কোচিং করতে পারছে না, তারা ঝরে যায় অথবা সহপাঠীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে।
চিকিৎসাব্যবস্থায় কতটা নাজুক ও অরাজক পরিস্থিতি বিদ্যমান, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। ডাক্তাররা যে যেমন পারছেন, আদায় করে চলেছেন ফি। সর্দি-কাশি নিয়ে ডাক্তারদের শরণাপন্ন হলে দুই-তিনটা টেস্ট ধরিয়ে দিয়ে বলে থাকেন, অমুক ল্যাব থেকে টেস্ট করিয়ে আনুন। রোগী এসব হুকুম মানতে বাধ্য। শোনা যায়, পরীক্ষা ফির একটা অংশ ডাক্তারদের বখরা দেয়া হয়। সরকার এসব শোনে, কিছু করে না। এখানেও WHO নির্ধারিত, রোগীর অধিকার ভূলুণ্ঠিত।
বাংলাদেশের ভোক্তাদের দুর্ভোগ-দুর্দশা উত্তরণে দেশে আইন বিদ্যমান। এসব আইন বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দায়িত্বশীল লোক থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই। জনগণের চলছে ভোগান্তি। সরকারি মহলের রয়েছে সদিচ্ছার অভাব।
ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে সিআই-এর ডাইরেক্টর জেনারেল হেলেন এমসি কাম্ভ বলেছেন, ভোক্তাদের জন্য ভালো সুরক্ষা কেবল একটি আইনি বিষয় নয়। এটি ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের অঙ্গীকার এবং জীবন রক্ষার প্রতিশ্রুতিও।
জাতিসঙ্ঘস্বীকৃত ক্রেতা ও ভোক্তাদের আটটি অধিকার ও পাঁচটি দায়িত্ব সম্পর্কে আমরা সচেতন হলে ভোক্তাদের সমস্যা দূর হতে থাকবে। ভোক্তারা সরকারি মহলের শৈথিল্যের বিরুদ্ধে যত দ্রুত সোচ্চার ও সংগঠিত হতে শুরু করবেন, তত ভোক্তাস্বার্থ এবং সংশ্লিষ্ট আইন হালনাগাদকরণ ও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।
লেখক : এমদাদ হোসেন মালেক, তারিখ: ১৫ মার্চ, ২০১৩, Daily Naya Diganto.
সাধারণ সম্পাদক, কনজুমারস ফোরাম (সিএফ)

Monday, March 4, 2013

ভেজাল খাবারের সুদরপসারী প্রতিক্রিয়া




ভেজাল খাবারের সুদরপসারী প্রতিক্রিয়া 
  োঃ মাহফুজুল হক ( কাজল ভাই)

ভেজাল শুধু ভেজাল, যেদিকে তাকান আর হাত বাড়ান ভেজাল যেন এখন আমাদের এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী।বর্তমানে ভেজাল খাদ্যদ্রব্যে  পণ্য বাজার ছেয়ে গেছে যেন ভেজাল খাবারই সাধারন ঘটনা। সাধারণ মানুষ খাচ্ছে ভেজাল খাদ্য আর বাড়ছে রোগ, থেমে নেই ভোগান্তি ভেজালকারী নিত্য নতুন কৌশল নিয়ে অতি আধুনিক পদ্ধতিতে ভেজাল ছড়িয়ে দিয়ে ভেজালকারীরা কোটিপতি হচ্ছে। আর বতমান ও ভবিষ্যত প্রজম্মর ভবিষ্যত অন্ধকার।

নানা রকম ফলের তৈরি জুস - টেলিভিশন খুললেই চোখে পড়ে নানা ধরনের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনআসল আমের মজা অমুক জুসেকিংবা অমুক ব্র্যান্ডের জুস খেলে মনের গোপন কথা বেরিয়ে যায় অজান্তে তবে এই ব্র্যান্ডিস জুস যারা তৈরি করছে তারাই বা কতটা ভেজালমুক্ত সেটাই সবার প্রশ্ন বাজারে অহরহ নামি-বেনামি বিভিন্ন ধরনের কথিত জুস পাওয়া যাচ্ছে অতি আকর্ষণীয়ভাবে প্যাকেটজাত করার কারণে সব বয়সী মানুষের কাছে এগুলোর কদর বেশ মহাখালীর স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি থেকে বেরিয়ে এসেছে ভেজাল জুস রহস্য এসব ফলের তৈরি জুসে নেই ফলের রসের ন্যূনতম উপাদান, তারপরও স্বাস্থকরী ভিটামিন জুস বলে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে ভেজালকারীরা টাকার পাহাড় গড়ছে নির্দিষ্ট রঙ, চিনি, প্রিজারভেটিভ, পানি আর ওই ফলের ফ্লেভার মিশিয়ে বোতলজাত করা হয় আমের জুস কিংবা অমুক অমুক জুস নামে ধরনের অস্বাস্থ্যকর জুস নামের ভোগ্যখাদ্যে যেসব কেমিক্যাল ব্যবহারিত হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে চিকিৎকরা জানিয়েছেন

পাটালি গুড় মুড়ি তৈরিতে - পাটালি গুড় অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার এই মুখরোচক পাটালি গুড় তৈরি কাহিনী বেশ বিস্ময়কর, এর সঙ্গে মেশানো হয় অস্বাস্থ্যকর নানা উপাদান জানা গেছে, ৪০ কেজি পাটালি গুড় তৈরি করতে লাগে মাত্র কেজি আখের গুড়, কেজি চিটাগুড়, ১০ কেজি চিনি, আলুর মণ্ড, আটা, চুনের সঙ্গে সালফেট হাইড্রোজ কেমিক্যাল আবার মুড়ি তৈরিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল এবং একই ধরনের পদ্ধতি মুড়িতে টেক্সটাইলে ব্যবহারিত সাদা রঙ, ইউরিয়া মিশ্রিত পানি, সোডিয়াম, হাইড্রো সালফাইড কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে ফলে মুড়ির রঙ ধবধবে সাদা এবং মোটা হয়, তাতে ক্রেতারা বেশি আকৃষ্ট হয় তবে পাটালি গুড় বা মুড়িতে ব্যবহার্য এসব কেমিক্যাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান
মিষ্টি, মধুতে - বর্তমানে যে মিষ্টি আমরা দোকান থেকে কিনে খাচ্ছি তার অধিকাংশই ভেজাল জানা যায়, যে কোন মিষ্টিতে ১০% মিল্ক ফ্যাট না থাকলে সেটি ভেজাল বলে বিবেচিত হয় স্টার্চ, পাউডার, কেমিক্যালের মিশ্রণে মিষ্টিকে আরও বেশি ফুলিয়ে এবং ভারি করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে সাধারণের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ঠকিয়ে অর্থ আয় করছে স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীরা আবার মধুর ক্ষেত্রেও তাই, চিনি স্যাকারিন পানি রঙ কিংবা কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নামি-বেনামি বোতলজাত মধু এসব মধু আপাত দৃষ্টিতে বোঝার উপায় থাকে না সেটা কতটা ভেজাল বা কতটা খাঁটি বোতলের গায়ে ক্রেতা আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন লাগিয়ে হরহামেশায় এগুলো বিক্রি হচ্ছে
তরল দুধ কনডেন্স মিল্ক - দুধে মিশানো হচ্ছে নানা ক্যামিকেলসহ প্রানঘাতি ফরমালিন।এছাড়াও ছানার পানির সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ঘন তরল দুধ সাদা পাউডার, বেকিং পাউডারের সঙ্গে কিছু কেমিক্যাল, ছানা মিশিয়ে তৈরি করা হয় বোতলজাত বাজারের সেরা তরল দুধ জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে আসা নমুনার পরীক্ষা থেকেই এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে আরও জানা যায়, ধরনের দুধের মধ্যে এমনও আছে যেগুলোর উপাদানে বিন্দু পরিমাণ দুধের গুণাগুণটুকু নেই, সম্পূর্ণভাবে সেগুলো ভেজাল স্টার্চ, মাস্টার ওয়েল, ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেট, বেকিং পাউডার, দুধসদৃশ সুগন্ধী পানিতে মিশিয়ে অতি সহজে তৈরি করা হয় ভেজাল দুধ জানা যায়, প্রকৃত দুধে .% ফ্যাট থাকে, এছাড়াও আরও কিছু নির্দিষ্ট খাদ্যগুণাগুণ থাকতে হয়, কিন্তু বাজারের প্যাকেটজাত দুধে তার কোনটাই নেই বলে জানান স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারা কনডেন্স মিল্ক ছাড়া দুধ চা হয় না, কিন্তু এই কনডেন্স মিল্কেও রয়েছে ভেজাল যদিও দুধ বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে, তবে এতে দুধের সামান্য পরিমাণও উপস্থিত থাকে না বলে স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে মূলত পামওয়েল, ভেজিটেবল ওয়েল এমনকি চাল কুমড়ার মতো উপাদান আর কিছু ক্ষতিকর কেমিক্যালের মিশ্রণে তৈরি করা হয় সুস্বাদু ঘন কনডেন্স মিল্ক  
ঘি তৈরিতে - দুধ ছাড়া যে ঘি তৈরি সম্ভব নয়, এটা সবাই জানে তবে এখন অসম্ভবও সম্ভব হচ্ছে অসাধু ভেজাল ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বর্তমান বাজারের অন্যতম উপাদেয় খাদ্যদ্রব্য ঘি তৈরি হচ্ছে দুধ ছাড়াই সয়াবিন বা পাম ওয়েল তেলে একটি বিশেষ ধরনের ফল মিশ্রিত করে আগুনে কিছুক্ষণ জ্বাল দিলেই ঘি সদৃশ রঙ চলে আসে ঘ্রাণ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় আরও কিছু কেমিক্যাল খুবই সহজে এই সাধারণ তেলে কিছু রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাজারের এক নম্বর খাঁটি ঘি যা খেয়ে মানব শরীরে দানা বাঁধছে নানা ধরনের মরণব্যাধি হাতে নাতে ধরা হচ্ছে এসব ভেজাল ব্যবসায়ীদের তবে আইনের ফাঁকফোকর আর জটিলতায় সহজে ছাড় পেয়ে যান ধরনের খোলস আবৃত ভেজালকারীরা

সরিষা, সয়াবিন তেল - দৈনন্দিন প্রয়োজনে সরিষার তেল, সয়াবিন কিংবা নারকেলের তেল অন্যতম খোলা কিংবা প্যাকেটজাত তেলের মধ্যে হরদাম চলছে ভেজাল প্রায় প্রতি দিনই এসব ভেজাল ভোগ্যপণ্য আসছে জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে পরীক্ষার জন্য জানা গেছে, বর্তমান বাজারে ৯৫ শতাংশ সরিষার তেলই ভেজাল নিুমানের ভোজ্যতেল আর কেমিক্যালের মিশ্রণে তৈরি হচ্ছে নামি-বেনামি ব্র্যান্ডের সরিষার তেল এছাড়া ইঞ্জিন তেল, তিলের তেল, গর্জনের তেল কিংবা ব্যারনের তেল মিশ্রিত করে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরিষার তেলের ঝাঁজ বানানো হয় এক ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে পামওয়েল বা সয়াবিন তেলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা কেমিক্যাল মেশালেই হুবহু অরিজিনাল রঙের সরিষার তেল তৈরি হয়ে যায় আর এসব ভেজাল সরিষার তেলে বর্তমান বাজার ছেয়ে গেছে তবে সয়াবিন তেলও ভেজালের হাত থেকে মুক্ত নয় পামওয়েল, সুপার পামওয়েল যেগুলো আবার গ্রিজ তৈরিতে ব্যবহারিত হয় এমন খনিজ তেল, ডালডা আর ইঞ্জিন ওয়েল দিয়ে প্রস্তুতকৃত তেলই বাজারজাত করা হচ্ছে আর্কষণীয় ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল নামে জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট জানিয়েছে ভোজ্যতেলের মাঝে ভেজালের পরিমাণ আরও বেশি থাকে বেড়েই চলেছে ভোগান্তি, সেইসঙ্গে বাড়ছে অপরাধীর সংখ্যা, তারপরও নেয়া হচ্ছে না কার্যকরী কোন পদক্ষেপ
হলুদ, মরিচ গুঁড়া, লবণে - রান্না-বান্নার ক্ষেত্রে হলুদ, মরিচ গুঁড়ার বিকল্প নেই গ্রাম বাংলায় এক সময় কাঁচা হলুদ আর কাঁচা মরিচ শুকিয়ে তা গুঁড়া করে তরকারিতে ব্যবহার করা হতো কিন্তু আধুনিক বিশ্বে তাল মিলিয়ে আর সময় বাঁচিয়ে দিতে বাজারে এসেছে প্যাকেটজাত হলুদ, মরিচের গুঁড়া তবে সময় বাঁচালেও এসব পণ্য জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টেক্সটাইল রঙ, লৌহজ রঙ, আটা-ময়দা, ডালের গুঁড়া হলুদ কিংবা মরিচের সঙ্গে মিশিয়ে সেগুলো খোলা বাজার প্যাকেটজাত করা হচ্ছে এমনিতেই এসব মিশ্রণে যা দেয়া হচ্ছে, তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তবে তার চেয়ে ক্ষতিকর হচ্ছে ইটের গুঁড়া, কাঠের গুঁড়া লবণে মেশানো হচ্ছে বালু, আর তাতে ঠিকমতো আয়োডিনও মেশানো হচ্ছে না লবণে মেশানো এই বালি শরীরের জন্য খুবই ভয়ানক বলে তার বর্ণনা দেন চিকিৎসকরা
মাছ / মটরশুটি – পচনশীল মাছ বিষাক্ত ফরমালিনের প্রভাবে এখন পচেঁ না। মাছে দুধে ফরমালিন এখন স্বাভাবিক ঘটনা। রান্নার ক্ষেত্রে আরেকটি উপাদেয় খাবার হচ্ছে মটরশুটি আমাদের দেশীয় বাজারে যে মটরশুটি আমরা খাই, সেগুলো অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইনসহ ইউরোপ, আমেরিকায় ঘোড়া বা গবাদিপশুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় মটরশুটির মতো দেখতে এসব ফল দেশে এনে স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীরা রঙ আর কেমিক্যাল মিশিয়ে মটরশুটি নামে বাজারে ছাড়ছে, যা ঘোরতর অপরাধ
অন্যান্য - মুরগীর খাবারে বিষাক্ত ট্যানারির বজ্য ভয়ঙ্কর বিষাক্ত রাসায়নিক যুক্ত চামড়ার ভুসি ব্যবহার করা যচ্ছে যাতে সবধরনের দেশী মুরগী/ফারমের মাংস ও ডিম বিষাক্ত হয়ে পড়ছে । ইদানিং শুনা যাচ্ছে জনগনকে বিষাক্ত ডিমও নাকি খাওনো হচ্ছে। 


চিকিৎসক, পুষ্টিবিজ্ঞানীরা যা বললেন
এসব ভেজাল ভোগ্যপণ্য গ্রহণের ফলে নানা দুরারোগ্য ব্যাধিতে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিটি ভেজাল খাবার গ্রহণের ফলে ছেলে-বুড়ো সবাই তার ভুক্তভোগী হচ্ছে বাচ্চাদের জন্য এসব ভেজাল খাবার মারাÍ ক্ষতিকর শিশুর মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রে এসব ভেজাল পণ্য প্রধান প্রতিবন্ধক বলে চিকিৎসকরা জানান যে খাবার আমরা খাই সেটা পেট থেকে লিভার হয়ে কিডনিতে প্রবেশ করে এবং তা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে ফলে ভেজাল খাবারের কারণে শরীরে লিভার ক্যান্সার, স্টমাক ক্যান্সার, ফুসফুস, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গগুলো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সুদীপ রঞ্জন দেব বলেন, ‘আমাদের মিডিয়ায় খুবই আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভেজাল জুস, দুধ, ঘিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য উপস্থাপন করা হয় কিন্তু সাধারণ মানুষ তো জানে না এসব ভোগ্যপণ্য আসলে কতটা অস্বাস্থ্যকর এসব ভেজালপণ্য শিশুদের জন্য খুবই ক্ষতিকর বাচ্চার বুদ্ধি বিকাশ মানসিক বিকাশের জন্য ভেজাল খাবার অন্যতম দায়ীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক খোরশেদুল জাহিদ বলেনকেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার খেলে মানবদেহে মারাত্বক রোগ হতে পারে, যা শরীরে বিষের মতো কাজ করে এজন্য  ফল, সবজিসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্য কেনার সময় এসব বিষয়ের প্রতি সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে
প্রতিকার -  ভেজালকারী এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন কার্যকরী পদক্ষেপমাঝে মাঝে লোক দেখানো যেসব পদক্ষেপ না হয় তা খুবেই সামান্য, যা সমাজের সাধারণ মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি করছে  
 আমাদের দাবী যে কোন ভেজাল এর বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোতর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে । ভেজালকারীর নিঃসন্দেহে খুনী। এসব নীরব খুনীরা সমাজকে  বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলবে, আর আমরা নীরবে কতকাল সহ্য করব।সরকার সহ সবার প্রতি অনুরোধ আমরা ভেজালের বিরুদ্ধে ব্যপক জনসচেতনতা গড়ে তুলি এবং সরকার বাধ্য করি কাযকর আইন প্রনয়ন ও ব্যবস্থা নেয়া। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করূন।