Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Thursday, August 29, 2013

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৩ এর রুটিন

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৩
সময়সূচী

তারিখ
সময়
বিষয়
২০/১১/২০১৩
সকাল ১১:০০টা-দুপুর :৩০ টা
প্রাথমিক গণিত
২১/১১/২০১৩
সকাল ১১:০০টা-দুপুর :৩০ টা
বাংলা
২৪/১১/২০১৩
সকাল ১১:০০টা-দুপুর :৩০ টা
ইংরেজি
২৫/১১/২০১৩
সকাল ১১:০০টা-দুপুর :৩০ টা
বাংলাদেশ বিশ্ব পরিচয়
২৭/১১/২০১৩
সকাল ১১:০০টা-দুপুর :৩০ টা
প্রাথমিক বিজ্ঞান
২৮/১১/২০১৩
সকাল ১১:০০টা-দুপুর :৩০ টা
ধর্ম নৈতিক শিক্ষা

Monday, August 26, 2013

ঝাঁকে ঝাঁকে জালে টনে টনে পাচার

ঝাঁকে ঝাঁকে জালে টনে টনে পাচারইলিশের স্বাদ নিচ্ছে ভারত, বঞ্চিত দেশ 
ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। নদী-সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রসনার ইলিশ। বড় ইলিশের দেখা সাধারণত বছরের অন্য সময় পাওয়া যায় না। গত কয়েক দিনে জালে ধরা দিচ্ছে বড় ইলিশও। কিন্তু অতিরিক্ত দামের কারণে গড়পড়তা আয়ের পরিবার বড় ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর আকাশছোঁয়া এই দামের নেপথ্যে রয়েছে পাচার। বড় ইলিশ চলে যাচ্ছে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পাশের দেশ ভারতে। এ অবস্থায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে উঠছে মাঝারি আকারের ইলিশ।

দেশবাসীর পাতে ইলিশের টুকরো তুলে দিতে গত বছর রমজান মাসে ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে সরকার। এর সুফলও মিলেছিল। কিন্তু তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। চোরাচালানিদের দৌরাত্ম্যে ইলিশের রসনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের মানুষ।
সীমান্তে ইলিশ চোরাচালানের জমজমাট ব্যবসা চলছে। সড়কপথে দুই-তিনটি রুটে আর নদীপথে ইলিশ পাচার হয়ে যাচ্ছে কলকাতায়। ইলিশ পাচার এতই জমজমাট যে যশোরের বেনাপোল সীমান্তবর্তী সাদিপুর গ্রামটি পরিচিত হয়ে পড়েছে 'সাদিপুর ঘাট' নামে। গত ৭ মাসে বিজিবি ওই সীমান্ত দিয়ে পাচারকালে ছয় হাজার ১৩০ কেজি ইলিশ আটক করেছে। সাতক্ষীরার সীমান্ত দিয়েও একইভাবে মণকে মণ ইলিশ পাচার হচ্ছে। এভাবে অবাধ পাচারের কারণে একদিকে দেশবাসী বড় ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ভারতে বৈধভাবে রপ্তানি হলে যে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যেত তাও হারাচ্ছে দেশ।
জানা গেছে, গত বছর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরামর্শে ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে সরকার। পরে রপ্তানিকারকদের চাপে এফবিসিসিআই রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করলেও সরকার তাতে কান দেয়নি। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ইচ্ছায় ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতের প্রভাবশালী আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি এক নিবন্ধে লিখেছে, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিতে বাগড়া দেওয়ায় বাংলাদেশের সরকার ইলিশ রপ্তানিতে আগ্রহী নয়।'
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শিকদার বলেন, এক কেজি বা তার কাছাকাছি ওজনের ইলিশ দেশের বাজারে খুব বেশি আসছে না। ভারতে চলে যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইলিশ পাচার হচ্ছে। আবার নৌপথে সাতক্ষীরা থেকে ভারতের কাকদ্বীপসহ কয়েকটি পথে ইলিশ চলে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশে। ইলিশ পাচারে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রশ্রয় আছে দাবি করে তিনি বলেন, ভারত থেকে গরু এলেই বিএসএফ গুলি করে। কিন্তু ইলিশ পাচার করতে গিয়ে কেউ গুলি খেয়েছে এমনটা শোনা যায় না।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে অবাধে ইলিশ পাচার : চোরাকারবারিরা ইলিশ পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে যশোরের সাদিপুর, পুটখালী, গাতিপাড়া, সাতক্ষীরার কলারোয়া ও ভোমরা সীমান্তকে ব্যবহার করছে। বিজিবি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে দাবি করলেও ইলিশ পাচার বন্ধ হয়নি।
সরেজমিনে জানা যায়, বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে ট্রাক-পিকআপে যশোরের মাছের বাজারে ইলিশ আসে। চোরাচালানিরা তা নিয়ে যায় বেনাপোলে। সেখান থেকে কার্টন ভর্তি করে ইলিশ নিয়ে যাওয়া হয় বেনাপোল চেকপোস্টের সীমান্তবর্তী সাদিপুর গ্রামে। অবাধ চোরাচালানের কারণে গ্রামটি সাদিপুর ঘাট হিসেবে পরিচিত। ছোট একটি খালের বেড়ি পার হলেই ভারতের জয়ন্তীপুর। ২০-৩০ জনের চোরাচালানি দল প্রতি কার্টনে ৩০ থেকে ৪০ কেজি ইলিশ মাথায় করে ভারতের চোরাচালানি মহাজনদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শরিফুল, হাফিজুল ও শফিউর নামের তিন ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে সাদিপুর ঘাট দিয়ে ওপারে ইলিশ পাচার করে। বিশেষ বিশেষ কারণে সাদিপুর ঘাট বন্ধ থাকলে চোরাচালানিরা তখন গাতিপাড়া ঘাটকে বেছে নেয়। এই ঘাটে ইলিশ পাচারের সঙ্গে জড়িত জসিম সিন্ডিকেট। জসিমের নেতৃত্বে ইছামতি নদী পার করে চোরাচালানিরা ভারতের কালিনীতে ইলিশ নিয়ে যায়।
ইলিশ পাচারের আরেকটি বড় রুট বেনাপোলের সীমান্তবর্তী পুটখালী ঘাট। এই ঘাটের জিয়া সিন্ডিকেট মণ মণ ইলিশ পাচার করছে। জানা যায়, চোরাচালানিরা পুটখালী ঘাট পার করে ভারতের আংরাইলে ঘাট মালিক কানাইয়ের কাছে ইলিশ পৌঁছে দেয়। এ ছাড়া চোরাচালানিরা ট্রাক ও পিকআপযোগে বড় বড় ইলিশের চালান সাতক্ষীরার কলারোয়া ও ভোমরার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পাচার করে। পরবর্তী সময়ে পাচারকৃত ওই সব ইলিশ হাতবদলের মাধ্যমে বনগাঁও, মসলেন্দপুর, বারাসাত, কলকাতার শিয়ালদহ ও হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে পৌঁছে যায়।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ইলিশ পাচারের সময় ঘাট এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা কার্টনপ্রতি বিজিবির নামে এক হাজার টাকা ও পুলিশের নামে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। এ ব্যাপারে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রবিউল ইবনে কামরুল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রতিনিয়ত ইলিশ পাচার হচ্ছে। এই পাচার বন্ধে বিওপিগুলোকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত সাত মাসে আমরা ছয় হাজার ১০০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছি। ইলিশ পাচার রোধে আরো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।'
সাতক্ষীরায় ইলিশ পাচার মৌসুমী ব্যবসা : ইলিশ পাচারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে এখন মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আনাগোনা। জেলার চরাবাড়ি সীমান্তের ইলিশ পাচারকারী আবদুল ওয়াহেদ জানান, তাঁরা সাতক্ষীরার হাটা বর্ডার (ভূমির ওপর দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দেশ বিভক্ত করা) দিয়ে সবচেয়ে বেশি মাছ পাচার করেন। তিনিসহ ভোমরা সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের অনেকে মৌসুমী ব্যবসা হিসেবে ইলিশ পাচার করে থাকেন। প্রতিবছর ইলিশের ভরা মৌসুমে (তিন-চার মাস) তাঁরা স্থানীয় বাজার থেকে কিনে ভারতের বশিরহাট, হঠাৎগঞ্জ, তারালীসহ আশপাশের বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন মাছ বাজারের মাড়োয়ারিরা এ দেশের মাছের আড়ৎদারদের কাছে হুন্ডির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আগাম পাঠিয়ে দেন। পরে তাঁদের চাহিদামতো ইলিশ সীমান্তের চোরাচালান সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সীমান্ত পার করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ভারতের ব্যবসায়ীরা তাঁদের নির্ধারিত আড়তে নিয়ে যান।
ভোমরা সীমান্তের ইলিশ পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্য ভোমরা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, মাহমুদপুর গ্রামের কানা সালাম, মোটা নজরুল ও টুটুল জানান, তাঁরা সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে মাঝেমধ্যে ভারতে ইলিশ পার করে দেন। ভোলা, বরিশাল, মংলা ও খুলনা মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা সীমান্তে ইলিশ এনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে শ্রমিক দিয়ে রাতের বেলা মাছ ওপারে (ভারতে) দিয়ে আসেন।
ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার গুলজার আহম্মেদ ইলিশ পাচারের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভারতে পাচারকালে সম্প্রতি একটি পিকআপ ভর্তি ইলিশ ও দুটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া গত দুই মাসে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ইলিশ পাচারকালে আটক করা হয়েছে।
জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, রাত ফুরালেই উধাও : কয়েক দিন ধরে গভীর বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। মাছ ধরার একেকটি ট্রলার গড়ে তিন থেকে চার হাজার ইলিশ নিয়ে সাগর থেকে কূলে ফিরছে। কয়েক দিন আগে বরগুনার নিশানবাড়িয়া গ্রামের সত্তার মাস্টারের একটি ট্রলার ১২ হাজার ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফেরে। যার অধিকাংশ ছিল এক কেজির কাছাকাছি ওজনের।
পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি বাজার কেন্দ্রের পাইকার সমিতির সভাপতি সাফায়েত হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় থেকে দুই হাজার মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এই বাজারে। এর সবই ট্রাক বোঝাই হয়ে চলে যাচ্ছে যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক পাইকার জানান, এখান থেকে সারা দেশে যে ইলিশ যায় তার অর্ধেকই চোরাই পথে চলে যায় ভারতে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. কর্নেল সোলায়মান শেখ জানান, গত মাসের তুলনায় অনেক বেশি ইলিশ পড়ছে এ মাসে। সারা জুলাই মাসে পাথরঘাটার মৎস্য বন্দরে মোট ইলিশের অবতরণ ছিল দুই লাখ ৩১ হাজার ৫৪২ কেজি। চলতি মাসে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আগস্ট মাসের প্রথম ১২ দিনে এখানে মোট অবতরণ হয়েছে দুই লাখ দুই হাজার ২৮৭ কেজি ইলিশ।
যাচ্ছে ইলিশ, আসছে পণ্য : পটুয়াখালীর জেলেরা জানান, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র নদী থেকেই জোর করে ইলিশ কিনে ভারত ও মিয়ানমারে পাচার করছে। নতুন কৌশল হিসেবে পাচারকারীরা শাড়ি, থ্রি-পিস, জুতা ও নেশাজাতীয় পানীয়র বিনিময়ে ইলিশ নিয়ে নিচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়া চলছে অরক্ষিত বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জেলে ও চোরাচালানিদের অবাধ বিচরণের কারণে।
জানা গেছে, অনেক ট্রলারমালিক উপকূলীয় সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার টন ইলিশ বিদেশিদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। সাগর থেকে ভারতীয় কিংবা মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে খালি ট্রলার ফিরছে ঘাটে। আবার বড় মাছ বিক্রি করে অনেক ট্রলার ছোট ইলিশ নিয়ে আসছে।
পাথরঘাটা উপজেলার ঘুটাবাসা গ্রামের রুস্তম মাঝি জানান, বাংলাদেশিরা রাতে সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন নদী কিংবা খাল ও ভারত-বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রায়মঙ্গল, হাঁড়িয়াভাঙ্গা এবং কালিন্দী নদী এলাকা দিয়ে ভারতীয় ট্রলারে তুলে দিচ্ছে ইলিশ। বিনিময়ে তাঁদের কাছ থেকে সমমূল্যের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসছে বাংলাদেশের বাজারে।
বিষয়টি সম্পর্কে কলাপাড়া মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, 'অনেক জেলে শূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে উপকূলে ফিরছে। সাগরে তাঁরা ভারতীয় ট্রলারে মাছ বিক্রি করছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে ভারতীয়রা বাংলাদেশি জলসীমায় ঢুকে সাগর দখল করে ইলিশের আনাগোনার স্থানে জাল ফেলে ইলিশ শিকার করে। ইলিশ শিকারে এরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রূপালী ইলিশ ভারতে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জেলেরা মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। বংলাদেশের জলসীমায় বিদেশি জেলেদের প্রবেশ বন্ধ করা না গেলে বিদেশিদের ইলিশ শিকার কিংবা পাচার কখনোই বন্ধ হবে না।'
এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড ভোলা জোনের লে. কমান্ডার মাজহার বলেন, 'সীমিত সম্পদ এবং কম জনবল দিয়ে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছি। ইলিশ পাচার হয় এমন নির্ধারিত এলাকা কিংবা পাচারকারীদের সম্পর্কে কেউ আমাদের অবহিত করলে অবশ্যই পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।'
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্যের জোগান দিয়েছেন কালের কণ্ঠের যশোরের নিজস্ব প্রতিবেদক ফখরে আলম, বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন ও পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল।

ডিসেম্বরে বিপিএল হবে

 ডিসেম্বরে বিপিএল হবে

পেসারদের প্রস্তুতি : বালুর ওপর লাঠি নিয়ে কসরত! চর দখলে যাওয়া কোনো লাঠিয়াল বাহিনীর ছবি নয় এটি, বরং ক্রিকেট দলের পেসারদের প্রস্তুতি। মাঠের ক্রিকেটটা শানিত করতে জাতীয় দলের ক্যাম্পে নতুন এই ড্রিল কাল করছেন মাশরাফি-শফিউল-নাজমুলরা। ছবি : মীর ফরিদ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ম্যাচ পাতানোর তদন্তে সহায়তার কারণে প্রশংসার দাবিদার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর কোনো দেশের ক্রিকেট প্রশাসনের কাছ থেকে ক্রিকেট জুয়ার তদন্তে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ (আকসু) এতটা সহযোগিতা পেয়েছে বলে জানা নেই। কিন্তু সেই বিসিবিই ডিসেম্বরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর আয়োজনে তৎপর। যদিও সংস্থাটির কর্মকর্তাদের অনেকেই সাধারণের সঙ্গে একমত যে সুষ্ঠু অবকাঠামো নিশ্চিতকরণের আগে বিপিএল আয়োজনের কোনো প্রয়োজনই নেই।

বিপিএলকে ঘিরে এত কাণ্ড-কীর্তির কারণে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে টুর্নামেন্টের এবারের আসর যেন টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আয়োজন করা হয়। তাতে খেলোয়াড়দের দেনা-পাওনা পরিশোধের পাশাপাশি টুর্নামেন্টটি আয়োজনের ক্ষেত্রে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, সেসব মিটিয়ে ফেলা যাবে। কিন্তু মে মাসের বোর্ড সভায় এ মৌসুমের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে বিপিএল এগিয়ে আসে বিশ্বকাপের আগে, এ বছরের ডিসেম্বরে। টুর্নামেন্টটি এগিয়ে আনার পক্ষে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের যুক্তি ছিল যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্যই এ ফরম্যাটের একটি টুর্নামেন্ট খেলা দরকার। বোর্ড সভাপতির কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন প্রস্তুতির সুফল মেলার কোনো অতীত নেই। যেমন ২০১১ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ক্রমাগত ওয়ানডে খেলেও ব্যর্থ বাংলাদেশ দল। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিরন্তর ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলে সেই একই দুর্দশা হয়েছে মুশফিকুর রহিমদের। আর যদি প্রস্তুতিই একমাত্র উপলক্ষ হয়ে থাকে, তাহলে জাতীয় লিগের দলগুলোকে নিয়েই আয়োজন করা যেত একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, অতীতে এমনটা হয়েছেও।

কিন্তু বিপিএল বিশ্বকাপের আগেই করতে হবে- এমন মরণপণ প্রতিজ্ঞা এ টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব আই এইচ মল্লিকের। আকসুর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর তিনি জোর দাবি করেন যে অন্য কোনো কারণে বিপিএল পেছাতে পারে। তবে সে পেছানোতে আকসুর তদন্ত প্রতিবেদনের কোনো প্রভাব থাকবে না। কিন্তু বাস্তবে আকসুর তদন্ত প্রতিবেদনই যথাসময়ে বিপিএল আয়োজনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করছেন বোর্ডেরই বড় একটি অংশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তার আশঙ্কা, 'আগের দুই আসরকে ঘিরেই দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় বিপিএল-সংক্রান্ত অনেক নেতিবাচক খবর বেরিয়েছে। এত দিন সেসব ছিল ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর গড়িমসি। এখন পুরো বিশ্ব জানে যে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সদলবলে ম্যাচ পাতিয়েছিল। এতে কোনো কোনো বোর্ড মনে করতেই পারে যে এমন টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় পাঠিয়ে না আবার কোনো বদনাম কিনে আনে!'

তাঁর আশঙ্কা অমূলক নয়। ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন পিসিএর প্রধান নির্বাহী প্রকাশ্যেই বলেছেন, 'পারিশ্রমিক না পেলে খেলোয়াড়দের মাঝে ভুল করার প্রবণতা বেড়ে যায়। সে কারণে গত বছরই খেলোয়াড়দের বলেছিলাম যে তারা যেন বিপিএলে না যায়।' এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে এবার বিপিএল-বিরোধী অবস্থানে আরো কঠোর হবে পিসিএ। গুঞ্জন আছে, অপবাদ থেকে গা বাঁচাতে বিপিএলে নিজ দেশের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিকার পরামর্শে পিছিয়ে যেতে পারে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররাও।

বোর্ডের ওই কর্মকর্তার দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ অবশ্য বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের বিষয়টি নয়। তাঁর চিন্তার স্রোত আরো গভীরে, 'বিপিএলটা তড়িঘড়ি আয়োজন করা হয়েছিল। সেটা করতে গিয়ে কিছু ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। আমিও চাই বিপিএল হোক, কিন্তু সে ভুলগুলো আগে শুধরে নিলে ভালো।' সে ভুলগুলোর বিস্তারিত অবশ্য বলেননি তিনি। তবে ক্রিকেট ঘনিষ্ঠদের কাছে ওই ভুলগুলো আর গোপন কিছু নয়। প্রথমত, বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বোর্ড কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতায় বিধিনিষেধ আরোপ করেনি বিসিবি। স্বয়ং বোর্ড সভাপতির মেয়ে বনে যান একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক। দ্বিতীয়ত, তড়িঘড়ি টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে গিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মনোনয়নে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেনি বিসিবি। এ সুযোগে বিপিএলের মতো আলোচিত টুর্নামেন্টে দলের মালিক বনে যায় এমন কিছু প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি, যাদের মনে নেতিবাচক কোনো প্রচারণায় সামান্যতম হেলদোল দেখা যায়নি। পরিস্থিতি এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে ম্যাচ পূর্ববর্তী কিংবা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারের কাছে করা একটি প্রশ্ন ছিল অবধারিত, 'আপনি পারিশ্রমিক পেয়েছেন কি?' একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিটি ম্যাচ-পূর্ব টিম মিটিংয়ের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, 'টাকা না পেলে কালকের ম্যাচে নামব না।' গত আসরে এক ম্যাচের আগে বয়কট করে বসেছিলেন দুরন্ত রাজশাহীর সাত বিদেশি ক্রিকেটার। সিলেট রয়্যালসকে নেতৃত্ব দেওয়া মুশফিকুর রহিমের উষ্মা, 'পাওনা চাইতে গিয়ে কোনো মালিককেই খুঁজে পাচ্ছি না!' এমন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বিসিবির কাঁধে চেপে বসেছে গেম অন নামক উৎপাত।

তাই দায়িত্ব গ্রহণের পর বিসিবির বর্তমান সভাপতিই বলেছিলেন, 'বিপিএল একটা পেইন।' সেই 'পেইন' না সারিয়েই ডিসেম্বরে বিপিএল আয়োজনে উন্মুখ বিসিবি!
সূত্র -    কালের কন্ঠ।

Saturday, August 24, 2013

পাসপোর্ট করার সহজ নিয়মাবলী

পাসপোর্ট করার সহজ  নিয়মাবলী 
পাসপোর্ট ছাড়া আপনি কি নিজকে বাংলাদেশী নাগরিক ভাবতে পারেন।নিজের পাসপোর্ট থাকা জরুরী পত্রিকা পড়ে অনেকের পাসপোর্ট করা নিয়ে ভিতি ভাব আছে   অফিসিয়াল ব্যাপারগুলো আত্মবিশ্বাসের সাথে করলে একটা না একটা উপায় সহজভাবেই বের হয়ে আসে। বর্তমানে অনলাইনে পাসপোট ফরম জমা দিলে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় না । পরে নিধারিত সময়ে দালালের খপ্পড় বা পাসপোর্ট অফিসের কারো কোন সমস্যার ছাড়াই একদম সরাসরি যেয়ে ছবি তুলে ও ফিঙ্গারিং করা যায়।
এতে অনাহুত খরচের বালাই নেই।

যারা অনলাইনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য ব্যাপারটাকে আরো সহজ করে তোলার জন্য এই পোস্ট 

আপনিও খুব সহজেই পারবেন কারণ অনলাইনে পাসপোর্ট পাওয়া অনেক অনেক সহজ একটা কাজ যদি একটু জানা থাকে পাসপোর্ট হাতে পাওয়াসহ সব মিলিয়ে আপনাকে মাত্র তিনদিন যেতে হবে আর সাথে টুকিটাকি যদি জানা থাকে তাহলে আর কথাই নেই

আসেন, একদম শুরু থেকে শুরু করি অনলাইনে পাসপোর্ট ফর্ম পূরণ করা এবং পরের ধাপের কাজগুলো নিয়ে

প্রথম ধাপ : ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া

সোনালী ব্যাংকের কলেজ গেইট শাখায় পাসপোর্ট আবেদনের ফি হিসাবে টাকা জমা দিতে হবে রেগুলার ফি ৩০০০/- টাকা ( মাসের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে) আর ইমারজেন্সি ফি ৬০০০/- টাকা ( ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে)

প্রথমেই টাকা জমা দেয়া প্রয়োজন এই কারণে যে , অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং জমাদানের রিসিটের নাম্বার উল্লেখ করার প্রয়োজন হবে তাই টাকা আগে জমা দেয়া থাকলে একবারেই ফর্ম পূরণ করা হয়ে যাবে

 টিপস -ভুলেও আবার আগারগাঁও সোনালী ব্যাংকের শাখায় গেলে - - - - - । সোনানী ব্যাংকের কলেজ গেইট শাখায় বেশ দ্রুত টাকা জমা দেয়া যায় , কারণ এইখানে ভিড়টা কম আপনার সুবিধামত সোনালী ব্যাংকের শাখায় / ব্রাঞ্চে টাকা জমা দিয়ে রিসিট বুঝে নিন । 

লাইনে দাঁড়ালে ব্যাংকের কাজ শুরুর আগেই ব্যাংকের লোকজন রিসিট দিয়ে যাবে বা নিজেই টাকা দেয়ার রিসিট সংগ্রহ করে নিন রিসিট পেলে ইংরেজি ব্লক লেটার স্পষ্টভাবে পূরণ করুন। সাথে অবশ্যই কলম রাখুন
( আমি যখন টাকা জমা দিয়েছিলাম , তখন আগারগাঁও ব্রাঞ্চ টাকা জমা নিত , এখন খোঁজ নিয়ে দেখলাম সেখানে টাকা জমা নেয়া বন্ধ ! এছাড়া অনলাইনে যেসব ব্রাঞ্চের লিস্টগুলো আছে , তার অনেকগুলোতেই টাকা জমা নেয় না তাই ঢাকায় থাকলে কলেজ গেইট ব্রাঞ্চেই যাওয়া বেটার)

দ্বিতীয় ধাপ - অনলাইনে ফর্ম পূরণ

অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য প্রথমেই যান পাসপোর্ট অফিসের এই সাইটে - http://www.passport.gov.bd/http://www.passport.gov.bd/ নির্দেশনা ভালোভাবে দেখুন , সতর্কতার সাথে একাউন্ট করুন আপনার নাম ব্যক্তিগত তথ্যাদি ( যেমন নামের বানান, প্যারেন্টস এর নাম ) যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেটের মতই হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং রিসিট নাম্বার উল্লেখ করুন

সবশেষে আপনি যেদিন ছবি তোলা হাতের ছাপ দেয়ার জন্য বায়োমেট্রিক টেস্ট দিতে যেতে চান, সুবিধামত সেইদিনটা নির্বাচন করে সাবমিট করুন অর্থ্যাৎ আপনি নিজের পছন্দসই সময়েই যেতে পারছেন ! ব্যাপারটা খু্বই মজার না !

পুনরায় চেক করার পর সবশেষে সাবমিট করুন সফলভাবে সাবমিশন শেষ হলে পূরণকৃত ফর্মের একটি পিডিএফ কপি আপনার মেইলে চলে আসবে এইধাপ এইখানেই শেষ

 টিপস  1 –  অনলাইনে একাউন্ট খোলার পরপরই আপনাকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেবে সেটা সংরক্ষণ করুন আর ছবি তোলার জন্য যেদিন সময় দেবেন সেদিনটা ফ্রি রাখবেন সময় লাগতেও পারে এই দিনে যদি মানুষ বেশী হয়


তৃতীয় ধাপ জমা দেয়ার আগে ফর্মের প্রিন্ট এবং সত্যায়ন আপনার পূরণকৃত ফর্মের যেই পিডিএফ কপিটা পেয়েছেন, সেটার কপি কালার প্রিন্ট করে ফেলুন যেসব জায়গা হাতে পূরণ করতে হবে সেগুলো করে ফেলুন আপনার সাইন দিন। এবার নিজের চারকপি ছবি , জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিন পরিচিত কাউকে দিয়ে সসত্যায়ন করানো দরকার এই কারণে যে, কর্মকর্তার নাম , যোগাযোগ ফোন নাম্বার ফর্মে লিখতে হয়। সত্যায়ন শেষে পুরো ফর্মটি রিচেক করুন

সত্যায়িত ছবি এবং ব্যাংকের রিসিট আঠা দিয়ে ফর্মের সাথে যুক্ত করুন সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটি নিন। আপনার ফর্ম জমা এখন দেয়ার জন্য প্রস্তুত

টিপস  2 – ফর্মের প্রিন্ট করার সময় এক কপি এক্সট্রা করুন ব্যাকআপ থাকা ভালো আমার প্রথম পেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল শেষ সময়ে ব্যাকআপ কপির প্রথম পেইজ দিয়ে দিয়েছি
ছবি দুই কপি লাগলেও এক্সট্রা দুই কপি করিয়ে রাখা ভালো , পাসপোর্ট অফিসে চেয়ে বসে মাঝে মাঝে একই কথা জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যাপারেও

চতুর্থ ধাপছবি তোলা এবং অন্যান্য আপনার নির্বাচন করা তারিখে সকাল সকাল পাসপোর্ট অফিসে চলে যান অবশ্যই সাদা পোষাক পরবেন না , ফর্মাল পোষাক পরার চেষ্টা করুন

সকাল টার দিকে গেলেই হবে কোন লাইনে দাঁড়াতে হবে না আপনাকে সরাসরি মেইন গেইট দিয়ে মূল অফিসে যান সেখানে দায়িত্বরত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞেস করুন কোন রুমে যাবেন

প্রথমে আপনাকে আটতলায় যেয়ে ফর্ম দেখিয়ে আনতে হবে খুবই অল্প সময়ের কাজ ৮০৩ নাম্বার রুম সিরিয়াল নেবেন। এবার তলার থেকে আসতে বলবে তলায় সেখানে এসেই আসল কাজ । প্রথমে আপনার ফর্মটি চেক করবে এবং সাইন করে দেবে। সাইন শেষে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে ছবি তোলার জন্য কোন রুমে যাবে রুমগুলো ঠিক পাশেই সিরিয়াল আসলে ছবি তুলুন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিন ব্যস , কাজ শেষ !

এবার আপনাকে পাসপোর্ট রিসিভের একটা রিসিট দেবে সেটা যত্ন করে রাখুন পুলিশ ভেরিফিকেশান সাপেক্ষে, রিসিট পাওয়ার একমাস বা ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পাবেন

আমার টিপসআবারো বলছি , সাদা পোষাক পরবেন না , ফর্মাল পোষাক পরার চেষ্টা করুন

আর সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপিসহ সত্যায়িত কপিগুলো নিয়ে যান তিনতলায় যেয়ে সেখানকার সেনাসদস্যের কাছ থেকে দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন , সব সংযুক্তি ঠিক আছে কিনা। সাথে অবশ্যই কলম রাখুন। আঠা, স্ট্যাপলার, এক্সট্রা ছবিও সাথে রাখুন

আর যারা সরকারী কর্মকর্তা বা শিশুসহ যাচ্ছেন , তাদের কিছু আলাদা কাগজ লাগবে সেটার জন্য নির্দেশনা দেখুন কিংবা ৮০৩ যোগাযোগ করুন

পঞ্চম ধাপপুলিশ ভেরিফিকেশান পাসপোর্ট রিসিভ ডেট ( টিপস সহ)

পুলিশ ভেরিফিকেশানই আমার কাছে ঝামেলার মনে হয়েছে যদি আপনার স্থায়ী আর বর্তমান ঠিকানা আলাদা হয় , তবে দুই জায়গাতেই আপনার ভেরিফিকেশান হয়ে থাকে পুলিশের এস বি ( স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এই কাজটা করে থাকে

এবং এইটা করতে যেয়ে পুলিশ বখশিশ হিসাবে টাকা চেয়ে বসে খুবই ইরিটেটিং একটা ব্যাপার সেটা ৫০০-১০০০ পর্যন্ত হতে পারে !!!!!

তবে স্ট্রিক্ট থাকলে এটা এড়ানো সম্ভব আপনি কীভাবে তাদের ফেইস করছেন সেটার উপর নির্ভর করে সরাসরি বলে দিতে পারেন যে, এইটা আপনার দায়িত্ব, তো টাকা দেয়ার প্রশ্ন কেন কিংবা বলতে পারেন যে, আপনি ছাত্র , টাকা দেয়া সম্ভব না ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি !

যাই হোক, ভেরিফিকেশান শেষ হলে আপনার মোবাইলে এস এম এস আসবে যেদিন এস এম এস আসবে তারপরেই আপনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। 

ব্যস, এইবার পাসপোর্ট হাতে নেয়ার পালা

ষষ্ঠ ধাপপাসপোর্ট সংগ্রহ

এইখানে কাজ সহজ পাসপোর্ট অফিসে চলে যান লাইনে দাঁড়ান
সাথে রিসিট আর কলম রাখুন টার দিকে গেইট খুলবে লাইন ধরে প্রবেশ করুন। রিসিট জমা দিন অপেক্ষা করুন

এবার আপনার নাম ডাকবে । সাইন করুন , বুঝে নিন আপনার পাসপোর্ট

টিপস  3 – হাতে পেয়েই সবার আগে চেক করুন আপনার ইনফোগুলো ঠিক এসেছে কিনা নিজের এবং পিতামাতার নাম , ঠিকানা এবং অন্যান্যসব তথ্যগুলো মিলিয়ে নিন

এই হচ্ছে একটি ঝামেলাবিহীন পাসপোর্টের আত্মকাহিনী বা আমি যেভাবে খুব সহজেই পাসপোর্ট পেলাম এর আদ্যোপান্ত আশা করি কাজে লাগবে
সবার জন্য শুভকামনা হ্যাপি পাসপোর্টিং !

সংযুক্তি -

০১) আপনার বর্তমান ঠিকানা যদি ঢাকা হয় , তাহলে এখান থেকেই পাসপোর্ট করতে পারেন আলাদা করে দেশের বাড়ির জেলা অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না

০২) ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার জন্য যে স্লিপ লাগে , সেখানে আলাদা একাউন্ট নম্বরের প্রয়োজন নেই নতুন পাসপোর্ট করা বা রিনিউ এর জন্য আলাদা স্লিপই থাকে

০৩) GO: Government order

NOC: NO Objection Certificate

PDS: Proof of retired Date


সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবীরা এই ঘর পুরণ করবেন আর কমেন্ট থেকে জানা গেল যে সরকারী কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট নীল রঙের পুলিশ ভেরিফিকেশান এর ঝামেলা নাই

এই পোস্ট ভাল লাগলে  কমেন্টে জানান দিয়েন প্লিজ  ধন্যবাদ

সূত্র -  ইকারুসের ডানা, সামহোয়ার ব্লগ।