Translate

অনলাইন আয় সম্পর্কে জানব বেকারত্ব দুর করব

গুগলে অনলাইন আয়ের সকল তথ্য ফ্রিতে পাওয়া যায়, তাই অনলাইন আয়ের সকল ট্রেনিং আপনি ইন্টারনেট থেকে ফ্রি শিখতে পারেন।Odesk, Elance এ প্রোফাইল ১০০% বা সামান্য ফিতে Test পাশে সহায়তা দিই

আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনব

অতিরিক্ত জনসংখ্যা এখন আর কোন অভিশাপ নয়, সঠিক ব্যবহারে এ জনসম্পদ দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশকে মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে পারে।

আধুনিক যুগে বেকারত্ব লজ্জার ব্যাপার

বেকারত্বকে না বলি ! আপনার যদি একটি পিসি ও ইন্টারনেট লাইন থাকে, আর পিসি সর্ম্পকে ধারনা থাকে, তবে সামান্য ট্রেনিং নিয়ে আপনি নিজকে প্রস্তুুত করে আয় শুরু করতে পারেন।

বেকারত্ব দুরীকরনে অনলাইন আয়ের বিকল্প নাই

সময় এসেছে অজানা ওয়েব দুনিয়া জানার ও বুঝায়, ফেসবুক বা্ ইউটিউবে সময় অপচয় না করে সোস্যাল সাইট গুলির সাফল্য নিজের ঘরে তুলি ।সময় অপব্যয় নয় মিতব্যায়িরা কাঙ্খিত সাফল্য পেতে পারে।

শিক্ষার শেষ নাই, তাই, জানার চেষ্টা আসলেই কি বৃথা

যদি অনলাইন আয়ে আগ্রহী তাহলে SEO, Date Entry বা Graphics etc জানুন, প্রয়োজনে নামেমাত্র সামান্য ফিতে আমাদের সহযোগীতা/টিউটোরিয়াল / ভিডিও টিউটোরিয়াল সহায়তা নিতে যোগাযোগ করুন।

Tuesday, May 21, 2013

মুখের দাগ দূর করুন

মুখের দাগ দূর করুন 
মুখে দাগ। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কীভাবে তা দূর হবে, জানেন না। নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। হয়তো আপনার ত্বকের ধরনে তা কাজ করছে না। তাই তো মুখের দাগ দূর করার নানা উপায়ের কথা জানিয়েছেন কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান। 'নানা কারণে মুখে দাগ হতে পারে। তবে ব্রণ থেকে দাগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে; বিশেষ করে যাদের ত্বক তৈলাক্ত। আবার অনেকের রোদে পোড়া, মেছতা, বয়সের ছাপসহ বংশগতির কারণেও মুখে দাগ হয়। এর জন্য সব সময় মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। সেই সঙ্গে তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। তা না হলে মুখে ব্রণ দেখা দেবে। আর এই ব্রণে নখের সামান্য আঁচড় লাগলেই হয়ে যাবে দাগ। তাই কোনোভাবেই এ সময় মুখে নখ দেওয়া যাবে না।'

ব্রণের দাগ দূর করতে

ঘরোয়া পদ্ধতিতে নানা প্যাক তৈরি করে দাগের জায়গায় লাগিয়ে নিন। এতে করে দাগ অনেকখানি কমে আসবে।

 চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে একটু গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 শুধু মধু প্রতিদিন দাগের ওপর লাগাতে পারেন। এতে করে দাগ কমে আসবে। তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার ত্বকে মধু সহনীয় কি না।

 তৈলাক্ত ও সাধারণ ত্বকে শসা ও আলুর রস দিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এ রস ব্যবহার করতে পারেন।

 তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টক দই, লেবুর রস ও আটা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। সপ্তাহে দুই দিন এটি ব্যবহার করুন।

 অ্যালোভেরার রস প্রতিদিন দাগের জায়গায় লাগালে দ্রুত তা কমে যাবে।

 তৈলাক্ত ত্বকে মুলতানি মাটি, লেবুর রস ও টক দই মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এতে উজ্জ্বলতা বাড়বে, দাগও কমবে।

 মিশ্র ও সাধারণ ত্বকে দাগ হলে ল্যাভেন্ডার তেল লাগাতে পারেন।

 যেকোনো ত্বকের দাগ কমাতে পাকা কলার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

 রসুন ও লংয়ের মিশ্রণ করে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

 নারকেল তেল ও টি-ট্রি অয়েল প্রতিদিন দুবার করে দাগের জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

 টমেটোর রস মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতেও দাগ দূর হয়।

 কাঁচা হলুদ ও মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।

এ ছাড়া রোদে পোড়া, অতিরিক্ত আগুনের তাপে দাগ কিংবা মেছতার দাগ ঘরোয়া পদ্ধতিতে দূর করতে পারেন।

 নিয়মিত লেবুর রস মুখে দিতে পারেন।

 গুঁড়ো দুধ ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

 অ্যালোভেরা জেল ও আলুর পেস্ট নিয়মিত মুখে লাগাতে পারেন।

 আমন্ড অয়েল ও মধু মুখে লাগিয়ে হালকা করে ঘষুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

 কমলার খোসার গুঁড়ো ও কাঁচা দুধের মিশ্রণ দাগ দূর করতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

 মেছতার জায়গায় লেবুর রস, সামান্য ভিনেগার ব্যবহার করা যেতে পারে। কেউ চাইলে অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।

 লেবুর রস, মধু ও কাঁচা পেঁপে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। দাগ কমাতে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

তবে বেশি দাগ হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া আপনার ত্বকের উপযোগী উপাদান ব্যবহার করুন। বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন লোশন লাগাতে ভুলবেন না। প্রসাধনসামগ্রী দেখেশুনে কেনা উচিত। সেটি যেন ভালো মানের হয়, তা খেয়াল রাখবেন। 
Collected from, Daily Ittefak,  মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৩,
মডেল মুন
ছবি সাফাওয়াত খান সাফু

Thursday, May 16, 2013

সবশেষে এবার ফ্রীল্যান্সারদের পথের ভিখারি করার শপথ নিলেন সরকার । আপলোড স্পীড কমিয়ে সর্বচ্চো ২৫% করে দেয়ার নির্দেশ BTRC-র


সবশেষে এবার ফ্রীল্যান্সারদের পথের ভিখারি করার শপথ নিলেন সরকার । আপলোড স্পীড কমিয়ে সর্বচ্চো ২৫% করে দেয়ার নির্দেশ BTRC-র


আজ হঠাৎ করেই সন্ধ্যা থেকে ইন্টারনেট এর স্পীড কম পাচ্ছি । কারন টা ঠিক বুঝতে পারি নি । ভেবেছি হয়তো বৃষ্টি আর মহাসেন এর কারণে স্পীড এ সমস্যা হচ্ছে । তাই কোন রকম কস্ট করেই নেট ব্রাউজ করতে থাকলাম । ব্রাউজ করতে করতেই হঠাৎ চোখে পরলো একটি পোস্ট! ঘটনা বৃষ্টি নয়, ঘটনা আমাদের সরকার । ফেসবুক এ ঘুরতে ঘুরতেই oDesk help নামক একটি গ্রুপ এ একটি পোস্ট দেখলামঃ
সরকার ফ্রিলেন্সার দের পেটে লাথি মারার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সকল আই.এস.পি র আপলোড স্পিড ৮৫% কমিয়ে দিয়েছে । তাই কেউ আর ক্লায়েন্টের সাথে শান্তিতে কথা বলতে পারবেন না আশা করি, সেই সাথে, হাই ফাইল সাইজের ফাইল নিয়ে যে সব প্রোজেক্ট, সেগুলা থেকে বাংলাদেশের ফ্রিলেন্সার রা অটো বাদ । খুবি কষ্ট পাইলাম, একটা প্রোজেক্ট এর ৩০০ এম বি একটা ফাইল আপলোড করার কথা, এখন পুরাই ধরা । :(
দেখে তো বাকি সবার মত আমার মাথায় ও সরাসরি ৩৫ ফুট লম্বা আর ২ ফুট চউড়া বাশ!

মাননীয় সরকার ইন্টারনেট এর আপলোড স্পীড সর্বচ্চো ২৫% করে দিতে বলেছেন । অর্থাৎ ৭৫% স্পীড দিয়ে শরবত গুলিয়ে খাওয়া হবে ।

আপলোড স্পীড সর্বচ্চো ২৫% করার নোটিশ BTRC-র

১৬ মে তে সকল ইন্টারনেট অপারেটরদের কাছে নির্দেশ পাঠায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) । এতে উল্লেখ রয়েছে সকল ইন্টারনেট গ্রাহকদের আপলোড স্পীড কমিয়ে সর্বচ্চো ২৫% করে দিতে । নিম্নে BTRC-র ঘোষণা সরাসরি তুলে ধরা হলঃ
Dear All

You are requested to comply the Directives regarding VPN vide no.
BTRC/E&O/VoIP (177)/2005-24,Date:06-01-2010. Following on the Directives,
you are directed to execute the below mentioned:

1. To limit the upload bandwidth up to maximum 25% for all the clients
(ISPs) from 6 PM today (15.05.2013) onwards until further instruction from
BTRC.

2. As per clause no.1 of the Directives, the VPN port allowed for Bank,
Financial Institutions, Software Development Firms (BASIS Members),Travel
Agents, Embassies and Govt. Agencies less than 512 Kbps can be continued but
have to intimate to BTRC with the list of users with Source & Destination IP
Addresses within 07 (Seven) Working Days. After that intimidated users less
than 512 Kbps must be disabled.

3. As per clause no. 2 of the Directives, VPN Port should be disabled for
any individual or other entity less than 512 Kbps except the categories
mentioned above from 6 PM today (15.05.2013) onwards until further
instruction.

4.Above 512 Kbps, any intimidated VPN Port should not be allowed in favor of
any user/client from 6 PM today (15.05.2013) onwards until further
instruction.

Thanks and Regards

Sabina Islam
Senior Assistant Director
Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC)
E-mail: sabina@btrc.gov.bd

 কিউবি থেকে এসেছে এই মেসেজঃ

Dear User,

Your Upload Speed/Internet Experience May Be Affected Until Further Notice Due To BTRC Restrictions At IIG End. We Regret The Inconvenience.

Qubee

Link3 থেকে এসেছে এই মেসেজঃ

Dear Sir,

This is to inform you regarding Internet Service Usages Limitation of Upload speed.
As per instruction received from BTRC, from 18:00 BST on 15.5.2013 our upstream provider
had to limit the Upload Bandwidth up to maximum 25% until further instruction from BTRC.
Please be informed that this Upload Bandwidth limitation may impact your Upload and Download traffic.

We are very sorry for the unwanted inconvenience and your patience is highly expected on this regard.

Please feel free to contact for any further queries at our 24x7 Helpline: 09678123123 or mail us at support@link3.net. 

Note: Please see the attached E-mail from BTRC regarding limitation of Upload speed.

Regards,

Nayemul Islam Mazumder (Nayan)
Senior Executive, Service Delivery
সব আইএসপি তাদের আপলোড স্পীড অলরেডি কমিয়ে দিয়েছে ।

শুধু আপলোড নয়, কমবে ডাউনলোড স্পীড ও

আপলোড স্পীড ডাউনলোড স্পীড এর উপর অনেকটা প্রভাব ফেলে । আপনি যখন একটা ওয়েবসাইট এড্রেস ব্রাওজার এ দেন, ব্রাউজার তখন সারভার এর কাছে ওই ওয়েবসাইট টা রিকুয়েস্ট করে । এই রিকুয়েস্ট টা ও আপলোড হয় । আপলোড স্পীড যদি কম থাকে, আর রিকুয়েস্ট যদি আপলোড হতে সময় নেয় তাহলে আপনার কাছে ওয়েবসাইট টি আসতেও সময় নিবে । সুতরাং আপলোড স্পীড এর কারণে ডাউনলোড স্পীড ও কমে গেছে ।

ফ্রীল্যান্সার রা কীভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হবে?

অনেক ফ্রীল্যান্সার আছেন যারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করেন । অথবা 3D মডেলিং এর কাজ করেন । অথবা এমন সব কাজ করেন যেসব কাজে বড় বড় মাপের ফাইল ক্লায়েন্ট কে আপলোড করে দিতে হয় । যারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করেন, তাদের এডিট করা একটি ভিডিও এর সাইজ ১ গিগা বা তার চেয়েও অনেক বেশি হয় । একবার ভেবে দেখেন এত বড় ফাইল ক্লায়েন্ট কে আপলোড করে দিতে তার অবস্থা কি হবে?
একজন ফ্রীল্যান্সার ১ এমবিপিএস এর ইন্টারনেট ব্যবহার করেন । তিনি ডাউনলোড স্পীড পান ১০০- ১২০ কেবিপিএস । এবং তার আপলোড স্পীড থাকতো ৪০-৫০ কেবিপিএস । এখন সেটাকে আরো কমিয়ে ২৫% করে দেয়া হয়েছে । অর্থাৎ ২০-৩০ কেবিপিএস আপলোড স্পীড পাবেন তিনি । প্রতি সেকেন্ড এ সে ২০ কেবি আপলোড করতে পারবেন মিনিটে ১২০০ কেবি বা ১ এমবি এবং ঘন্টায় ৭২,০০০ কেবি বা ৭০ এমবি আপলোড করতে পারবেন । ভেবে দেখুন, ৭০ এমবি আপলোড করতে তার ১ ঘন্টা লাগবে । তাহলে ১০২৪ এমবি এর প্রোজেক্ট টা তার ক্লায়েন্ট এর জন্য আপলোড করতে কেমন সময় লাগবে? ১৫ ঘন্টা বা প্রায় অর্ধেক দিনের চেয়ে বেশি!!! যেই কাজটি করতে তার ২ দিন সময় লাগে সেটি ক্লায়েন্ট এর কাছে পৌছাতে তার ১৫ ঘন্টা লেগে যাবে ।
এমন যদি চলে তবে বাংলাদেশের ফ্রীল্যান্সার রা তো কাজ করার আগ্রহ হারাবেই পাশাপাশি ক্লায়েন্ট রাও কাজ দিবে না । কারন ১৫ ঘন্টা অপচয় করার মত সময় তাদের নেই । ফেসবুক এর একজনের স্ট্যাটাস থেকে নেয়াঃ
৮৫% আপলোড ব্যান্ডউইথ ছোটো খাটো কোন ইসু না । এতোদিন বেশি টাকা নিয়ে কম ব্যান্ডউইথ দিয়ে আমাদের গলা চেপে ধরে ছিলো এখন রিতিমত আমাদের রক্ত খাওয়ারও প্ল্যান প্রোগ্রাম শুরু হয়ে গেসে ।
আরে তোরা কি বুঝবি গড়ে ২-১০ কিলবাইট স্পিডে ১০০ মেগাবাইটের একটা ফাইল আপলোড করতে কত ঝক্কি ঝামেলা পোহাইতে হয়, তোদের তো কেউ বলেনা "ইমরান, তোমার কাজ ভালো লাগা সত্যেও কাজটা তোমাকে দিতে পারছি না কারন তোমার ইন্টারনেট স্পিড আমার প্রোজেক্ট এ কাজ করার মত যোগ্যতা রাখে না।" এর মধ্যে আবার এই নতুন কাহিনী। এর জন্য বেশি কিছু ক্ষতি হবে না। যেহেতু আপ্লোডিং ব্যন্ডউইথ হ্রাস ৮৫% সেক্ষেত্রে ফাইল আপলোডিং কমে যাবে ৮৫%, ক্লায়েন্ট দের ফাইল ডেলিভারি কমবে ৮৫%, ক্লায়েন্ট দের ধর্যের সীমা কমবে ৮৫%, বাঙালী ফ্রীল্যান্সার হায়ারের অনুপাত ০% গিয়ে দাঁড়াবে, ফ্রীল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলা থেকে পাইকারি হারে বাঙ্গালী কন্ট্রাকটরদের ধরে ধরে ব্যান করা শুরু করবে, গ্রোয়িং ফ্রীল্যান্স ক্ষাত অঙ্কুরেই পটল তুলবে। দেশ একমাত্র তখনই ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে।
ছাত্র, ব্যবসায়ী, কৃষক সবাইরেই তো রাস্তায় নামাইলেন ফ্রিল্যান্সারেরাও বাদ যাবে কেন ? আমরাও রাস্তায় আসতেসি আসেন আমাদের রক্ত নিয়াও একটু হোলি খেইলা যান।
জয় হোলি!
এর পর হতো আর চোখে আঙ্গুল দিয়ে বোঝাতে হবে নে যে ফ্রীল্যান্সার রা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে!

ফ্রীল্যান্সার রা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাংলাদেশের জনগন বা সরকারের কি?

আসলেই তো! ক্ষতি হলে আমাদের মত ফ্রীল্যান্সারদের হবে । জনগন বা সরকারের এতে কি আসে যায়? আমরা কোন মুড়ির ছাই?
হ্যা ভাই, আমরা মুড়ির ছাই! আমাদের ক্ষতি হলে বাংলাদেশ খুব ভাল থাকবে না । কারন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার একটা বড় অংশ আমরা এনে দেই । গতবছর শুধু ফ্রীল্যান্সার রা প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা এনেছে বাংলাদেশে । বাংলাদেশের প্রতিবছর যে ডলার রিসার্ভ এর প্রয়োজন পরে এর বিরাট একটা অংশ ফ্রীল্যান্সাররা এনে দেয় ।
তাই বাংলাদেশের ফ্রীল্যান্সার রা যদি কাজ করতে না পারে, কাজ বন্ধ করে দেয় তাহলে তেমন কোন ক্ষতি বাংলাদেশের হবে না । এই ৩০০ কোটি (যা এ বছর আরো অনেক বেড়ে যেতো) টাকা আর বাংলাদেশে আসবে না, বাংলাদেশের প্রায় ১০ লক্ষ ছেলে মেয়ে (যারা বর্তমানে ফ্রীল্যান্সার এবং ভবিষ্যতে ফ্রীল্যান্সার হতো) বেকার হয়ে যাবে । এ তেমন কোন ক্ষতি না ।
এখন ফ্রীল্যান্সার দের অবস্থা...

বাকিটা শুনতে চাই আপনার মুখে! টিউমেন্ট করে জানান আপনার মন্তব্য... 
কম্পিউটার লাভার ( রাকিবুল হাসান )
Collected from Techtunes.com.bd প্রকাশিত হয়েছে : 17 May, 2013 

Thursday, May 9, 2013

তুলসী পাতার ঔষধি ব্যবহার

তুলসী পাতার ঔষধি ব্যবহার

তুলসীর উপকারিতার কথা কে না জানে। সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডাজনিত সকল রোগের ঔষধ এই তুলসী। তুলসীর বৈজ্ঞানিক নাম ওসিমাম স্যাঙ্কটাম। অন্য নাম হলি বাসিল, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায় গাছটিকে এ নামে ডেকে থাকে। তাদের কাছে গাছটি ধর্মীয় উপাসনার অনুষঙ্গ। হিন্দু পরিবারগুলো তাদের ঘরের সামনে ফুলের টবে এ গাছটির রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। তাদের প্রার্থনার সময় তুলসীপাতা ব্যবহৃত হয় দেবতার উদ্দেশে। প্রসাদ হিসেবেও তারা তুলসীপাতা ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু তাই বলে এটা হিন্দুদের গাছ এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। সব ধরনের মানুষের কাছেই এর গ্রহণযোগ্যতা অনেক।
এই তুলসীর আছে নানান রকম ঔষধি ব্যবহার। নানান রকম রোগ বালাইয়ের ঘরোয়া চিকিৎসায় ব্যবহার করা সম্ভব এই তুলসী। বর্ণনা করার চেষ্টা করা হলো এমনই কয়েকটি গুনাগুণ।
  • তুলসীপাতা স্নায়ুটনিক এবং স্মৃতিবর্ধক হিসেবে পরিচিত। ফুসফুসের শ্লেষ্মা নিঃসরণে তুলসীপাতার রস অতুলনীয়। পাকস্থলীর শক্তি বর্ধনেও তা অনন্য।
  • তুলসীর বীজ গায়ের চামড়াকে মসৃণ রাখে। বীজ সেবনে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে থাকে।
  • বিভিন্ন প্রকার জ্বরে তুলসীপাতার রসের ব্যবহার অনেকটা শাস্ত্রীয় বিষয় হিসেবে পরিচিত। বিশেষত ঋতু পরিবর্তন হেতু যে জ্বর, ম্যালেরিয়া জ্বর এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে সমাজে। এর জন্য কচি তুলসীপাতা চায়ের সাথে সেদ্ধ করে পান করলে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  • একিউট জ্বরে তুলসীপাতার সেদ্ধ রসের সাথে এলাচিগুঁড়া এবং চিনি ও দুধ মিশিয়ে পান করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। গলক্ষতের জন্য তুলসীপাতা সেদ্ধ পানি পান করলে এবং গারগল করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
  • তুলসী পাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে ফুসফুসীয় সমস্যায়। ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগে তুলসী পাতার রস, মধু ও আদা মিশিয়ে পান করলে উপশম পাওয়া যায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে তুলসী পাতার রস, লবণ ও লবঙ্গ মিশিয়ে পান করলে ফল পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগের ব্যবহারের জন্য তুলসী পাতা আধা লিটার পানিতে সেদ্ধ করতে হয় ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষন তা অর্ধেকে পরিণত হয়।
  • কিডনির পাথরে তুলসীর ব্যবহার চমকপ্রদ ফলাফল দিয়ে থাকে। তুলসীপাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে নিয়মিত একাধারে ছয় মাস পর্যন্ত ব্যবহারে কিডনির পাথর অপসারিত হয়ে থাকে। এ ছাড়া তুলসী কিডনিকে শক্তিশালী করে থাকে। হৃদরোগেও তুলসীর ব্যবহার রয়েছে। কোলেস্টেরল বৃদ্ধিজনিত হৃদরোগে তুলসীপাতার রস খুব উপকারী। এমনকি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে দেয় তুলসী। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রাও কমিয়ে দেয় তুলসীর রস।
  • তুলসীপাতার রস শিশুদের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষত শিশুদের ঠাণ্ডা লাগা, জ্বর হওয়া, কাশি লাগা, ডায়রিয়া ও বমির জন্য তুলসীপাতার রস ভালো কাজ করে। জলবসন্তের পুঁজ শুকাতেও তুলসীপাতা ব্যবহৃত হয়।
  • মানসিক চাপে অ্যান্টিস্ট্রেস এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক অবসাদ প্রশমনে এমনকি প্রতিরোধে তুলসী চমৎকার কাজ করে। কোনো সুস্থ ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অন্তত ১২টি তুলসীপাতা দিনে দু’বার নিয়মিত চিবাতে পারেন তাহলে সেই ব্যক্তি কখনো মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হবেন না বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
  • মুখের ঘা শুকাতেও তুলসীপাতা ভালো কাজ করে। মুখের ইনফেকশন দূর করতে তুলসীপাতা অতুলনীয়। প্রতিদিন কিছু পাতা (দিনে দুবার) নিয়মিত চিবালে মুখের সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে। চর্মরোগে তুলসীপাতার রস উপকারী। দাউদ এবং অন্যান্য চুলকানিতে তুলসীপাতার রস মালিশ করলে ফল পাওয়া যায়। ন্যাচার অ্যাথিতে শ্বেতীরোগের চিকিৎসায় তুলসীপাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
  • চোখের ক্ষতে এবং রাতকানা রোগে নিয়মিত তুলসীপাতার রস ড্রপ হিসেবে ব্যবহারে ফল পাওয়া যায়। দাঁতের সুরক্ষায় তুলসীপাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। এ ছাড়া সরিষার তেলের সাথে তুলসীপাতার গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে দাঁত মাজলেও দাঁত শক্ত থাকে। মুখের দুর্গন্ধ রোধে তুলসীপাতার মাজন ভালো ফল দিয়ে থাকে।
  • মাথাব্যথায় তুলসীপাতার পেস্ট কপালে ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যায়। এ ছাড়া গনোরিয়া ও গাউট রোগেও তুলসীপাতার রস উপকারী। তুলসীপাতার ব্যবহার ছাড়া তুলসী বীজও ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ডায়রিয়া, পুরনো আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা, পাইলস, গনোরিয়া কাশি, কিডনি সমস্যা এবং জ্বরে তুলসী বীজ উপকারী।
  • হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় তুলসী থেকে তৈরি ওষুধটির নাম ওসিমাস স্যাঙ্কটাম, অ্যাজমা, ঠাণ্ডা লাগা, কাশি হওয়া, জ্বর প্রভৃতিতে এর প্রধান ব্যবহার, মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত এবং স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ায় এর চমৎকার ব্যবহার রয়েছে। গলাব্যথা, বুকে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা, কান ব্যথার লক্ষণেও এটা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মুখের ক্ষত, মুখের দুর্গন্ধ, পেট ফাঁপা, ক্ষুধামান্দ্য, লিভারে ব্যথা প্রভৃতিতে এর ব্যবহার রয়েছে।
  • ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য হোমিওপ্যাথিতে এর ব্যবহার রয়েছে। টাইফয়েড জ্বরেও এর নিয়মিত ব্যবহার রয়েছে। হোমিওপ্যাথিতে ডায়রিয়া, আমাশয়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং বারবার প্রস্রাবের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • Collected from this link -http://www.priyo.com/2013/04/23/16510.html

Wednesday, May 8, 2013

আজ 9 মে এস.এস. সি / দাখিল - 2013 ফল প্রকাশ

এস.এস. সি / দাখিল  - 2013   ফল প্রকাশ আজ 9 মে ফল প্রকাশ

আজ 9 মে এস.এস. সি / দাখিল  - 2013   ফল  প্রকাশিত হবে। কাঙ্খিত ও ভাল ফলাফলের জন্য আপনাকে অগ্রিম অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে ফলাফল নেটে এই সাইটে দুপুর ২টা থেকে পাওয়া যাবে, স্কিনশট নীচে দেখুন।

 তবে প্রায় প্রতি বারেই সার্ভার ডাউন হয়ে যায় এবং এতে ফলাফল পেতে সমস্যা হয়। এধরনের সমস্যা যাতে আর না ঘটে তার জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকষন করছি।
অনলাইন থেকে   এস এস সি/ দাখিল 2013  ফলাফল জানার পদ্ধতি (এখানে ক্লিক করুন)  :
আপনি SSC /দাখিল 2013  এর  প্রার্থী এবং আপনি অনলাইন পাওয়ার জন্য সব আপনার জন্য (এখানেক্লিক করুন)। আপনি ঠিক পাশ তারপর বছরের পরীক্ষার নাম, তারপর, বোর্ডের নাম রাখা এবং পরিশেষে কোন রোল স্থাপন করতে হবে. কম্পিউটারের পর্দায়. পরীক্ষার নাম এবং বোর্ডের নাম পাবার জন্য আপনি দেওয়া বক্স স্ক্রল ডাউন এবং তারপর পরীক্ষার নাম এবং বোর্ডের নাম নির্বাচন করার জন্য শুধু প্রয়োজন. আপনার রোল নির্বাণ জন্য সতর্ক থাকুন. Submit বাটনে ক্লিক করে সব শেষ. কোনো জিনিস ভুল তারপর, রিসেট বাটন ক্লিক করুন এবং আবার তথ্য রাখা. অবশেষে আপনি আপনার ফলাফল পেতে. দাখিল অথবা বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনি একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে.
পরিশেষে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও পরিক্ষার্থীদের আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন। পরিক্ষার্থীদের উন্নত ভবিষ্যত কামনা করে শেষ করছি।

            

Friday, May 3, 2013

পোষাক শিল্প নিয়ে কিছু জরুরী কথা – বতমান প্রেক্ষিত

পোষাক শিল্প নিয়ে কিছু জরুরী কথা – বতমান প্রেক্ষিত 

বতমান প্রেক্ষিতে অর্থাৎ সাভারের রানা প্লাজা ধ্বংসের পর থেকে  পোষাক শিল্প নিয়ে আমরা বা বিদেশীরা শুধু এক পক্ষীয় সমালোচনা করে যাচ্ছেন।

এ কথা অনস্বীকায য,ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এ খাতটি এখন একটি প্রধান খাত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।  বতমানে গার্মেন্ট শিল্প আজ বাংলাদেশের মানুষের বিশেষত নারীদের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। সাভারের দুর্ঘটনার কারণে এখন যদি বিদেশী ক্রেতারা ব্যাপকভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তা বড় রকমের বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বহু কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ৩০ লক্ষাধিক গার্মেন্ট শ্রমিক চরম দুর্দশায় নিপতিত হবেন। এ শিল্পের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত আরও অনেক শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং লাখ লাখ শ্রমজীবী-কর্মজীবীর জীবন ও জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হবে। বিদেশী ক্রেতা ও ব্যবহারকারীদের সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।


 বিদেশী আমদানিকারকরা বাংলাদেশের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে যে শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতা ও কাজের উপযুক্ত পরিবেশের অভাবের কথা বলা হচ্ছে, সেই হতভাগ্য শ্রমিকরা আরও বেশি নিরাপত্তাহীনতায় পড়বে। একটি বা দুটি কারখানার দুর্ঘটনা বা দু’-চারজন মালিকের দায়িত্বহীনতার কারণে এ দেশের হাজার হাজার গার্মেন্ট কারখানা ও তার লাখ লাখ শ্রমিকের শাস্তি দেয়ার চিন্তা মোটেই সুবিবেচনার পরিচায়ক হবে না।
বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মি. ড্যান মজিনা সাভারে ভবন ধসের ট্রাজেডিতে শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
আবারও এই প্রসঙ্গেে আস,ি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আমাদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের গার্মেন্ট পণ্যের জিএসপি সুবিধার আলোচনায় এ ঘটনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তার উদ্বগেে আমরাও ব্যথতি, আবগেপ্রবন জাতি হসিাবে আমরা সকলে যার যা ছলি, আন্তরকিতা নযি়ে এ পরস্থিতিি থকেে উত্তোরনরে চষ্টো চালযি়ে যাচ্ছ।ি সরকার বাহাদুরও তাদরে কোন ঘাটতি রাখনেন।ি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারে আন্তরকি বলইে মনে কর।ি
আশার কথা হল, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা গত দুই দশকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ বিশ্ববাজারে গার্মেন্ট পণ্যের অন্যতম প্রধান রফতানিকারক হয়েছেন। এতে তারা লাভবান-বিত্তবান হয়েছেন, অনেকে অতি সাধারণ অবস্থা থেকে এখন বড় মাপের শিল্প-মালিক হয়েছেন। যদওি তাদের অনকেরে আচার-আচরণ নিয়ে জনমনে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় সামগ্রিকভাবে রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের অগ্রবর্তী ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। পোশাক রফতানি থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় কেবল তা-ই নয়, দেশের সর্বশ্রেণীর মানুষই এ শিল্পের সুফল ভোগ করছে। বাংলাদেশে এখন কোন মানুষকে বস্ত্রহীন থাকতে হয় না।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ইউরোপ-আমেরিকার অর্থনীতিতেও যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, সে বিষয়টি যেন পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে নয়, বিশ্বের কোথাও বাংলাদেশের মতো এত কম দামে জামা-কাপড় পাওয়া যায় না বলেই বিদেশী ক্রেতারা এ দেশে আসেন। এ দেশ থেকে স্বল্পমূল্যে উপযুক্ত মানের পোশাক-পরিচ্ছদের সরবরাহ পেয়ে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন ক্রেতা ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল মুনাফা অর্জন করছে। সেখানকার সাধারণ মানুষও বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের পোশাক কিনতে পারছেন সাশ্রয়ী মূল্যে। কাজেই ব্যাপারটা মোটেই একতরফা নয়।
পৃথিবীর ধনী দেশগুলোর ধনবান মানুষরা এভাবেই সস্তা শ্রমের দেশগুলো থেকে পানির দামে সেবা ক্রয় করে থাকে। বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশে শ্রমের মূল্য সবচেয়ে কম বলেই পশ্চিমের দেশগুলোর ক্রেতারা এখানে আসে। ৩ ডলারে যে শার্ট কেনা হয়, তা আরও কম দামে কেনার জন্য তারা দরকষাকষি করে। বাংলাদেশে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানের কারখানাও রয়েছে। এসব কারখানা মালিক কাজ সংগ্রহ করার জন্য নিজেদের মধ্যে জোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে দাম কমিয়ে ফেলেন। তারা তাদের উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে বেশি কাজ সংগ্রহ করতে পারেন। সেই কাজের সিংহভাগ সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়ে দেন ছোট ছোট কারখানায়। সাভারের ধসে পড়া কারখানাগুলোর মতো। এই সাব-কন্ট্রাক্টরদের কাজ তুলে আনতে হয় আরও অনেক কম মূল্যে। তাদের পক্ষে সঙ্গত কারণেই কাজের উপযুক্ত পরিবেশ রক্ষা করা অসম্ভব।
বাংলাদেশ থেকে ৩ ডলারে কিনে ৩০ ডলারে বিক্রি করে মাঝখানে যে ২৭ ডলার থাকছে, তার সবটাই পায় বিদেশী পরিবহনকারী, আমদানিকারক, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা। অর্থাৎ মধ্যস্বত্বভোগীরা। তা দিয়ে তারা তাদের জীবনের উচ্চমান রক্ষা করে আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিতে পারেন এবং তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের উপযুক্ত বেতন ও কাজের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করে আত্মশ্লাঘা অনুভব করতে পারেন। হতদরিদ্র দেশের ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের শ্রম নামমাত্র মূল্যে কেনা যাচ্ছে বলেই তাদের এই সৌভাগ্য।
যে শার্ট আমেরিকার বাজারে ২৫-৩০ ডলারে বিক্রি হয়, তা বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা হয় মাত্র ৩-৪ ডলারে। এ ৩ ডলারের মধ্যে কাপড়, সুতা, বোতাম, প্যাকিং সামগ্রী বাদে সেলাই মজুরি ০.৭৫ ডলারের বেশি নয়! ক্ষেত্রবিশেষে আরও কম। এর মধ্যেই রয়েছে ভাঁজ করা, ইস্ত্রি করা, প্যাকিং, হ্যান্ডলিং; ফ্যাক্টরি ভাড়া/স্থাপনা ব্যয়, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি, মান নিয়ন্ত্রণসহ আরও সব উপযোগ। অতঃপর মালিকের মুনাফা।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নিউইয়র্কের একজন ব্যবহারকারী যে শার্টটি ৩০ ডলার বা বাংলাদেশী ২৪০০ টাকা দিয়ে কিনছেন, সেটি সেলাইয়ের জন্য সর্বশেষ প্রান্তে শ্রমিকের সেলাই মজুরি মাত্র ০.২৫ ডলার অর্থাৎ ২০ টাকা। একথা মাননীয় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কি জাননে, না জনেওে না জানার ভান করছনে। হয়ত মাননীয় পোপ জাননে না, আশা করি তনিি তার ভূমকিা রাখবনে, যাতে পোষাক শল্পিরে শ্রমকিদরে দাস এর জীবনযাপন না করতে হয়।
বস্তুত বর্তমান বিশ্বের পুঁজিবাদী ধন-চক্রে ‘দারিদ্র্য’ একটি মহামূল্যবান সম্পদ। দারিদ্র্যই পুঁজিবাদী ধনপ্রবাহের উৎস এবং পরিবাহী। একপ্রান্তে দারিদ্র্য আছে বলেই অন্যপ্রান্তে সম্পদের স্তূপ জমে উঠতে পারে। সেই সম্পদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে পশ্চিমের ভাগ্যবান মানুষেরা অপর প্রান্তে কথিত ‘তৃতীয় বিশ্ব’, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার অভাবী জনগোষ্ঠীর সস্তায় শ্রম বিক্রির ইঁদুর দৌড় উপভোগ করেন। তারা ‘সস্তা’র দেশ থেকে ‘আরও সস্তা’র দেশে কাজ সরিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়ে থাকেন। সেই হুমকিতে ভীত হয়ে দরিদ্র মানুষেরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে তাদের শ্রমের মূল্য আরও কমিয়ে দেয়। সাভার দুর্ঘটনাকে যেন সেই কাজে লাগানো না হয়।
পশ্চিমের বিশেষ বিশেষ মহল যখন দরিদ্র দেশগুলোতে শ্রমিকের স্বার্থ নিয়ে বেশি বেশি কথা বলে, তখন তা অনেকটা বাড়ির চাকর-বাকর ও গৃহকর্মীদের সুস্থ-সবল রাখার প্রয়োজনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এদের সুস্থ-সবল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা গৃহের সুস্বাস্থ্যের জন্যই জরুরি। আজকের ‘বিশ্ব-গৃহকর্তারা’ তা বোঝেন। সেজন্যই সস্তায় পণ্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর শ্রমিক ও শিল্পকারখানা নিয়ে তাদের ভাবতে হয়।
তা সত্তেও একে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখব।
সাভারের ভবন ধস এবং হাজারও মানুষের হতাহত হওয়ার এ ঘটনা আমাদের জন্য এবং পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত দেশী-বিদেশী সবার জন্য ‘ঘুম ভাঙানোর ডাক’। মি. মজিনা এবং মাননীয় পোপ তাদের দেশের ‘শ্রমিক-অন্ত-প্রাণ’ আমদানিকারকদের এই সাদামাটা অংকের হিসাবটি বোঝানোর চেষ্টা করলে বাধিত হব।

ধন্যবাদান্তে  - ০৪/০৫/১৩ ইং তারিখে দেনিক আমাদের  সময় পত্রকিায় প্রকাশতি ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী  লখো অবলম্বনে